বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের ‘আরিস’ সংস্থার গবেষকরা কৃষ্ণ গহ্বরের ওজন সম্পর্কে নতুন সূত্র উদ্ভাবন করেছেন

Posted On: 01 OCT 2020 5:10PM by PIB Kolkata

নতুনদিল্লী, ১লা অক্টোবর, ২০২০  

 

 

কৃষ্ণ গহ্বরের বিষয়ে একটি নতুন গবেষণার থেকে বিজ্ঞানীরা নতুন একটি সূত্র আবিষ্কার করেছেন। কৃষ্ণ গহ্বর আমরা সরাসরি দেখতে পাই না। কিন্তু সেখানকার  প্রচুর শক্তির উপস্থিতি অনুভব করা যায়। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, কৃষ্ণ গহ্বরের বাইরে সাময়িকভাবে বস্তু পূঞ্জিভুত হয় । সেই বস্তু এর পরে ওই গহ্বরের মধ্যে পড়ে যায়। একে পরিবৃদ্ধি বলে। বিজ্ঞানীরা একটি সুত্র আবিষ্কার করেছেন, যার সাহায্যে গহ্বরের চতুঃপার্শ্বে থাকা পরিবৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট চাকতি থেকে যে বর্ণালী বিচ্ছুরিত হয় সেগুলিকে মূল্যায়ন করা যায়। এই বিচ্ছুরণ ওই কৃষ্ণ গহ্বরের ওজন পরিমাপ করতে সাহায্য করে।   

কৃষ্ণগহ্বরের চারপাশে এই পরিবৃদ্ধির ঘটনায় পরমাণুর আয়নিত প্লাজমা দেখা যায়, যেগুলি আসলে পরমাণুর ইলেকট্রন আর প্রোটন । যেহেতু প্রোটনের থেকে ইলেকট্রনে তেজস্ক্রিয়তার কারণে ক্ষয় বেশী হয়, বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, দুটি আলাদা তাপমাত্রায় এই দুটি স্থিতাবস্থায় পৌঁছায়। এর থেকে তৈরি হয়েছে দুই তাপমাত্রার তত্ত্ব। যার সাহায্যে ইলেকট্রন থেকে তাপমাত্রা বেড় হবার সঙ্গে সঙ্গে বর্ণালীর বিচ্ছুরণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। 

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা আর্যভট্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট অফ অবসারভেশনাল সায়েন্সেস (অ্যারিস)-এর বিজ্ঞানীরা দুই তাপমাত্রার তত্ত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেন। 

অ্যারিসের শিল্পা সরকার ও ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায় এবং আইআরএফইউ / সার্ভিস দ্য আস্ট্রোফিজিক্স অ্যান্ড ল্যাবরেটরি আস্ট্রোপার্টিক্যাল এট কসমোলজির ফিলিপ্য লরেঁত যৌথভাবে এই বিষয়ে গবেষণার কাজ করেছেন। বিজ্ঞানীরা এর সমাধানের জন্য এনট্রপি সুত্র থেকে  ‘সরকার ও চট্টোপাধ্যায়’  নামে একটি নতুন সুত্র বেড় করেছেন। এই সুত্র দিগন্তে প্রয়োগ করা যায়। এনট্রপি হল তাপগতিবিদ্যার একটি ধর্ম। যেখানে শক্তি দুটি পদার্থের মধ্যে তাপ ও ক্রিয়ায় রূপান্তরিত হয়। দিগন্তে পরমাণুর আয়ন ও ইলেকট্রন নিজেদের মধ্যে শক্তির আদান প্রদান করে থাকে। সরকার ও চট্টোপাধ্যায় সুত্রের সাহায্যে কৃষ্ণ গহ্বরের চারপাশে চাকতির পরিবৃদ্ধির পর সেখান থেকে বর্ণালীর বিচ্ছুরণ সম্পর্কে একটি ধারণা তৈরি হয়। 

এই সুত্র অনুসারে কৃষ্ণ গহ্বরের কেন্দ্রে পরিবৃদ্ধির ফলে যে চাকতি তৈরি হয় সেটির উজ্জ্বলতা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। এখান থেকে উচ্চ শক্তি সম্পন্ন ফোটন কনা নিঃসৃত হয়। কৃষ্ণ গহ্বরের ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়। তার ফলে বর্ণালীর বিচ্ছুরণ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে বাইরের আকৃতির কিন্তু কোন পরিবর্তন হয় না। এক কথায় বলা যায় বৃহদায়তনের কৃষ্ণ গহ্বর স্বল্প ও উচ্চ শক্তি সম্পন্ন ফোটন কণা প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন করে, কিন্তু ক্ষুদ্রায়তনের কৃষ্ণ গহ্বর থেকে রঞ্জন রশ্মি-ই শুধু নির্গত হয়। .

আরিসের গবেষক দলের মতে দুই তাপমাত্রার তত্ত্ব থেকে বেড়িয়ে এসে এই প্রথম তাঁরা অন্য একটি সুত্র উপস্থাপন করলেন। এ ক্ষেত্রে সঠিক একটি সমাধান সুত্র খুঁজে পেতে এই উদ্ভাবন সাহায্য করবে। কৃষ্ণ গহ্বরের চতুর্দিকে যে ভৌত প্রক্রিয়া প্রতিনিয়ত সম্পাদিত হচ্ছে সে বিষয়েও এই সুত্রের সাহায্যে  একটি ধারণা পাওয়া যাবে। 

 

CG/CB


(Release ID: 1660786) Visitor Counter : 123