স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার কিছু এলাকা সফরের পর রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠিয়ে আবারও বিভিন্ন তথ্য জানতে চাইল আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল

Posted On: 25 APR 2020 8:34PM by PIB Kolkata

কলকাতা, ২৫ এপ্রিল, ২০২০

 

 


পশ্চিমবঙ্গে ২০ তারিখ থেকে কোভিড – ১৯ মহামারীর বিষয়ে কেন্দ্রের পাঠানো দুটি দল রয়েছে। এর মধ্যে যে আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দলটি (ইন্টার মিনিস্টেরিয়াল সেন্ট্রাল টিম – আইএমসিটি) কলকাতায় রয়েছে, ২৫ তারিখ পর্যন্ত তাঁরা, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ৪টি চিঠি দিয়েছে। কিন্তু তার কোনো জবাব এখনও আসেনি। দলের সদস্যরা অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন সংক্রমিত অঞ্চল এবং কোভিড – ১৯ এ সংক্রমিতদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার ২৩ তারিখ মাত্র ৩০ মিনিট আগে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত বেরোতে বলা হয় বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। 


পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব, তাঁর প্রাত্যহিক সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, আইএমসিটি-র সদস্যরা যেখানে খুশি যেতে পারেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গে গিয়ে নিজেদের সময় নষ্ট করবেন না। কেন্দ্রীয় দলটি জানিয়েছে, মুখ্যসচিবের এই মনোভাব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশকে লঙ্ঘন করার সামিল। তাঁরা যদি নিজেরাই বিভিন্ন এলাকায় সফর করেন, তাহলে তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য সরকার নেবে কি না, তা একটি চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে। ঐ চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) এই দলটির নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারে, কিন্তু ২১ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একজন ডিসিপি পদমর্যাদার আধিকারিক জানিয়েছিলেন, লকডাউন জারি থাকায় রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া আইএমসিটি-র সদস্যরা বের হতে পারবেন না।


আইএমসিটি জানিয়েছে, গতকাল দলের সদস্যরা যখন হাওড়ার ডুমুরজলা কোয়ারান্টাইন সেন্টার, উলুবেড়িয়া সঞ্জীবন হাসপাতাল এবং সংক্রমিত সালকিয়া অঞ্চল পরিদর্শন করে, সেই সময় রাজ্যের কোনো পদস্থ আধিকারিকের বদলে অধস্তন এক আধিকারিককে তাদের সঙ্গে পাঠানো হয়। 


রাজ্য সরকারের কাছে, চাওয়া সত্ত্বেও দলের সদস্যদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়া হয় নি। স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে ১০টি বিভিন্ন বিষয় জানতে চাওয়া হয় অথচ তার কোনো লিখিত জবাবও পাওয়া যায় নি। 


আন্তঃমন্ত্রক কেন্দ্রীয় দল অবশ্য জানিয়েছে, ডুমুরজলা কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকা ৮০ জন সেখানের ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সন্তুষ্ট। তবে, তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য যখন অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তখন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা হয় নি। তাঁদের সঙ্গে মোবাইল ফোন না থাকায়, তাঁদের যে সব নিকটজনের কোভিড – ১৯ সংক্রমণের চিকিৎসা চলছে, তার কোন খবরও তারা পাচ্ছেন না।

উলুবেড়িয়ার সঞ্জীবন মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা যথাযথ বলে কেন্দ্রীয় দলটি জানিয়েছে। এই হাসপাতালটি একটি অসরকারী সংগঠন পরিচালনা করে থাকে।

দলের সদস্যরা সন্ধ্যে ৭টার সময় সালকিয়ায় গেলে সেই সময় সেখানে লকডাউন ঠিকভাবে মেনে চলা হচ্ছিল বলে তাঁরা চিঠিতে জানিয়েছেন। কিন্তু স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাঁদের জানানো হয়েছে, সোমবার এব্যাপারে ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

আইএমসিটি-র সদস্যরা সালকিয়া অঞ্চলের মানুষ কিভাবে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পাচ্ছেন, সেবিষয়ে খাদ্য ও গণবন্টন আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে চান বলে জানিয়েছেন। 

প্রতিনিধি দলটি আগে একটি চিঠিতে ১০ জানুয়ারী থেকে ৮ মার্চের মধ্যে যারা যারা বিদেশ থেকে রাজ্যে এসেছেন, তাঁদের বিষয়ে আবারও বিস্তারিত তথ্য চেয়েছিলেন। আজকের চিঠিতে সেই প্রসঙ্গ আবারও উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিনিধি দলটি নতুন দিল্লির নিজামুদ্দিনের মারকজের ঘটনার পর  এরাজ্যে যারা ফিরে এসেছিলেন, তাঁদের নমুনা পরীক্ষা, কোয়ারান্টাইন এবং তাঁরা কাদের কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, সেবিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। 

এই চিঠি দুটির কপি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব শ্রী অজয় ভাল্লাকে পাঠানো হয়েছে।

 

 


CG/CB/SFS



(Release ID: 1618290) Visitor Counter : 185


Read this release in: English