প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভারতীয় দুতাবাসগুলির প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
Posted On:
30 MAR 2020 9:33PM by PIB Kolkata
নতুনদিল্লি, ৩০ মার্চ, ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভারতীয় দূতাবাসগুলির প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারী যা অতিমারীতে পরিণত হয়েছে সেই পরিস্থিতিতে এধরণের বৈঠক এই প্রথম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অস্বাভাবিক পদক্ষেপ নিতে হয়। তাই আজ বিশ্বায়নের যুগে, সারা পৃথিবী পৃথকভাবে নজরদারী অর্থাৎ কোয়ারান্টাইনে চলে গেছে। এই অতিমারীকে আটকাতে এ ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। কিন্তু এর ফলে আন্তর্জাতিক পরিবহণ ব্যবস্থা, আর্থিক বাজার ও বিশ্ব জুড়ে অর্থনীতিতে সুদুরপ্রসারী ও ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, এবছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে এই মহামারী আটকাতে ভারত অভূতপূর্ব এবং দ্রুত উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে ভারতে, অন্যান্য দেশ থেকে এই মহামারীর সংক্রমণের ঝুঁকি কমেছে, আর বড আকারের সংক্রমণ থেকে রক্ষাও পাওয়া গেছে। এর বড় কারণ হল, ভারতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রতিরোধমূলক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর করা।
বিদেশে সংকটের কেন্দ্রে থাকা কিছু জায়গা থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করার ক্ষেত্রে ভারতীয় দূতাবাসগুলির প্রধানদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের পাঁচটি বিষয়ে খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন। এগুলি হলঃ
১। তাঁদের নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের ও অন্যান্যদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার বিষয়টিকে নিশ্চিত করা
২। আন্তর্জাতিক ভাবে ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞায় যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, সেই অবস্থায় বিভিন্ন দেশে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় দূতাবাসের প্রধানদের পরামর্শ দেন, আটকে থাকা এই সব ভারতীয়দের মনোবল বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিকল্পনা বহির্ভুতভাবে যে সব ভারতীয়রা আটকে রয়েছেন, তাঁদের জন্য নানা সমস্যার সমাধান করা।
৩। কোভিড-১৯ এর মোকাবিলার জন্য ভারত নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন দেশে এই রোগ আটকাতে কি কি নিয়ম পালন করা হচ্ছে এবং বৈজ্ঞানিক নানা গবেষণার ফলের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে, দেশে সেগুলিকে কিভাবে কাজে লাগান যায়, তা জানাতে এবং বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে উদ্যোগী হতে হবে। দূতাবাসগুলির প্রধানদের পি এম কেয়ারস ফান্ডে আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করার জন্য বিদেশে যথাযথ প্রচার চালানোরও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
৪। যেহেতু এই সংকটে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে, প্রধানমন্ত্রী তাই দূতাবাসগুলির প্রধানদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা, অনাবাসী ভারতীয়দের অর্থ প্রেরণের বিষয়টি যাতে প্রভাবিত না হয় সেই লক্ষ্যে বিদেশী অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।
৫। কোভিড-১৯ অতিমারীর প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক স্তরে রাজনীতি ও অর্থনীতির পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বেজিং, ওয়াশিংটন ডিসি, তেহরান, রোম, বার্লিন, কাঠমান্ডু, আবু ধাবী, কাবুল, মালে এবং সিওলের ভারতীয় দূতাবাসের প্রধানরা তাঁদের বক্তব্য জানান। সংশ্লিষ্ট দেশগুলি এই মহামারীর মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকাকে প্রশংসা করেছে বলেও তাঁরা জানান।
ছাত্র ও কর্মী সহ আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, দূতাবাসগুলির প্রধানরা সে বিষয়ে বৈঠকে জানিয়েছেন। ভারতের এই মহামারীকে মোকবিলা করার উদ্যোগে সাহায্য করার জন্য তাঁরা সংশ্লিষ্ট দেশে ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, প্রযুক্তি, গবেষণা সহ অন্যান্য নানা কর্মতৎপরতার বিষয়েও জানিয়েছেন। করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশে ভালো ভালো নিয়মগুলোও তাঁরা জেনেছেন। ভারতের উদ্যোগে সার্ক গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির জন্য যে বিশেষ তহবিল গঠিত হয়েছে, তার সাহায্যে প্রতিবেশগুলিতে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বৈঠকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির দূতাবাসের প্রধানরা সেই বিশয়েও বিস্তারিত জানিয়েছেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণা ও পরামর্শর জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বৈঠকের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় দূতাবাসের সদস্যরা দেশের থেকে দূরে থাকলেও কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাঁরাও সমান অংশীদার। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ঐক্যবদ্ধ ও সতর্কভাবে সব ভারতীয় দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষা করবেন।
CG/CB
(Release ID: 1609472)
Visitor Counter : 233