প্রতিরক্ষামন্ত্রক

কোভিড ১৯ মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে অসামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে সশস্ত্রবাহিনী


১০৭৩ জন মানুষকে করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে এনে সশস্ত্র বাহিনীর উদ্যোগে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

Posted On: 28 MAR 2020 7:37PM by PIB Kolkata

নতুনদিল্লি, ২৭ মার্চ, ২০২০

 

 

স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবায় অসামরিক ক্ষেত্রের সঙ্গে দেশজুড়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সশস্ত্রবাহিনীও কাজ করছে ।   

এই মহাসঙ্কটের সময়  কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গুরুদায়িত্ব পালন করতে এবং জনসাধারণের প্রতি  সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সশস্ত্রবাহিনীর চিকিৎসা পরিষেবা  শাখা সক্রিয়। সংক্রমিতদের সমস্ত রকমভাবে সাহায্যের জন্য সর্বতো প্রয়াস নেওয়া  হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ছয় জায়গায় ౼মানেসর, জয়শলমীর, যোধপুর, চেন্নাই, হিন্দান ও মুম্বাইতে।   এ পর্যন্ত মোট ১৪৬৩ জনকে (বিদেশীসহ) কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশগুলি থেকে নিরাপদে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে । এদের মধ্যে ১০৭৩ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা  চালানো হচ্ছে । উল্লেখ্য,  এদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে - ইরান, ইতালি, জাপান ও মালয়েশিয়া থেকে। এছাড়া চীন এবং জাপান থেকেও ৩৯০ জনকে ভারতে আনা হয়েছে।  বাধ্যতামূলকভাবে এদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে  রাখা  হয়েছে। এপর্যন্ত তিনজনের পজিটিভ  রিপোর্ট মিলেছে। এরমধ্যে দুটি সংক্রমনের ঘটনা হিন্দানের ও একটি মানেসরের। ইতিমধ্যে তাদের পরবর্তী চিকিৎসার জন্য নতুন দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর কর্মীরা পুরো কাজে সাহায্য করছেন।   

যেকোন পরিস্থিতির জন্য আরো কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি রাখা হয়েছে কলকাতা, বিশাখাপত্তনম, কোচি, দুন্দিগাল(হায়দ্রাবাদের কাছে), বেঙ্গালুরু, কানপুর, জোরহাট ও গোরক্ষপুরে। সেখানে  উন্নত মানের পরিষেবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য  হলো  ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রয়োজনমতো সেখানে যাতে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায় ।   সশস্ত্র বাহিনীর মেডিকেল পরিষেবা বিভাগের ডিরেক্টর-জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনুপ ব্যানার্জি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানান, আরো ২৮ টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করোনা সংক্রমিতদের চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র কোবিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণের ফলে আক্রান্তদের চিকিৎসাই হবে। শুধু তাই নয়, বাহিনীর চিকিৎসার পাশাপাশি অসামরিক ব্যক্তিদের চিকিৎসা পরিষেবাও এখানে দেওয়া যাবে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে পাঠানো রোগীদেরও এখানে চিকিৎসা হবে। তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত তিন বাহিনীর ৫টি হাসপাতালে একযোগে চিকিৎসা চলছে ।চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে  আর্মি হাসপাতাল রিসার্চ এন্ড রেফারেল (দিল্লি), বিমান বাহিনীর কম্যান্ড হাসপাতাল(বেঙ্গালুরু), আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ (পুনে), কম্যান্ড হাসপাতাল(সেন্ট্রাল কম্যান্ড, লখ্নৌ ) এবং কম্যান্ড হাসপাতালে (নর্দান কম্যান্ড, উধমপুর)। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে যাবে আরও ৬টি হাসপাতাল। এজন্য কাজ চলছে জোরকদমে। এই হাসপাতালগুলিতে শুধুমাত্র করোনা ভাইরাস সংক্রমণের   চিকিৎসাই করা হবে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল শ্রী ব্যানার্জি আরো জানান, এপর্যন্ত লে-তে একজন সেনা জওয়ানের শারীরিক পরীক্ষার পর পজিটিভ ধরা পড়েছে। আপাতত সে ছুটিতে রয়েছে ।ঐ সেনা জওয়ানের বাবা অতি সম্প্রতি ইরান থেকে ফিরেছেন। যদিও সেই জওয়ান বর্তমানে বিপদমুক্ত। এদিকে সশস্ত্রবাহিনীর উদ্যোগে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় আইসোলেশন ওয়ার্ড  চালু করা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্য, শিক্ষা, প্রচার কর্মসূচির জন্য পুরোদমে কাজ চলছে। সশস্ত্র বাহিনীর কর্মীরা এই কাজ করে চলেছেন। যেসব সেনাকর্মী ছুটিতে বাড়ি গেছেন পরবর্তী পর্যায়ে তাদের আর ছুটি বাড়ানো হচ্ছে না ।বিভিন্ন রাজ্য থেকে ছুটি কাটিয়ে ফিরে আসা সশস্ত্রবাহিনীর কর্মীদের যাতে উদ্ভূত পরিস্থিতির কাজে লাগানো যায় সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । অন্যদিকে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে ১৪ জনের এক প্রতিনিধি দলকে পাঠানো হয় মালদ্বীপে। ওই প্রতিনিধি দলটিতে মেডিকেল অফিসার ও প্যারা মেডিকেল স্টাফেরা ছিলেন ।  দলের সদস্যরা  বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ  চিকিৎসা ব্যবস্থা ও কোয়ারেন্টাইন সম্পর্কিত নানা অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সেখানে জানান। ইতিমধ্যেই ১৪ জনের ঐ প্রতিনিধি দল চলতি মাসের ২৩ তারিখে দেশে ফিরেছেন  । তিনি আরও জানান, মালদ্বীপের

পর নেপালে পাঠানো হচ্ছে ব্যাপিড রেস্পন্স টিমকে। সেখানে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করবে তারা। প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য দেশের জন্য বিভিন্নরকম সাহায্য দিতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী। এদিকে, সশস্ত্রবাহিনীর জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সাজ সরঞ্জামের প্রয়োজন । সশস্ত্রবাহিনীর মেডিক্যাল পরিষেবার ডিজি আরো বলেছেন, জাতীয় স্তরে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই পরিস্থিতি এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে।  বাহিনীর  হাসপাতালগুলির  সুবিধা যাতে সকলে পান তার ওপর  গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। পরিকল্পনা মতো অতিরিক্ত সামগ্রী পাওয়া গেলে সঙ্কটের মোকাবিলায় তা কাজে লাগানো হবে।  শ্রী ব্যানার্জীর পরামর্শ হলো ট্রেনের কামরার মধ্যেও যেন চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা উচিত। মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় বর্তমানে সময়ে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে সেক্ষেত্রে তা খুবই কার্যকর হবে। সশস্ত্র বাহিনীতে সামাজিক দূরত্ব রক্ষার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগদান ও সচেতনতামূলক শিবিরে  অংশ নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বাহিনীর সদস্যদের মাস্ক - এর ব্যবহারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা ব্যবস্থা  বজায় রাখার পাশাপাশি কেউ কারো সংস্পর্শে আসলে সেই বিষয়েও তথ্য রাখা হচ্ছে।

 

 

CG/SC/CB



(Release ID: 1608947) Visitor Counter : 99


Read this release in: English