অর্থমন্ত্রক

কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য বিধিবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কিত একাধিক সুবিধার কথা ঘোষণা করেছেন

Posted On: 24 MAR 2020 7:56PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৪ মার্চ, ২০২০

 

 

কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ এখানে কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য বিধিবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কিত একাধিক সুবিধার কথা ঘোষণা করেন। আজ এখানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রীমতী সীতারমন আয়কর, জিএসটি, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন শুল্ক কর্পোরেট ক্ষেত্র, ঋণ পরিশোধে অক্ষমতা ও দেউলিয়া বিধি, মৎস্যচাষ, ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র ও বাণিজ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সুবিধা দানের কথা ঘোষণা করেন।

শ্রীমতী সীতারমন বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেসব সুবিধা দানের কথা ঘোষণা করেছেন, তা নিম্নরূপ :

·        আয়কর ক্ষেত্রে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ৩১শে মার্চ থেকে বাড়িয়ে ৩০শে জুন করা হয়েছে।

·        আধার-প্যান সংযুক্তিকরণের তারিখ আগামি ৩১শে মার্চ থেকে বাড়িয়ে ৩০শে জুন করা হয়েছে।

·        বিবাদ সে বিশ্বাস কর্মসূচির আওতায় বকেয়া আগামী ৩০শে জুনের মধ্যে মিটিয়ে দিলে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ অর্থ জমা করতে হবে না।

·        অগ্রিম কর, সেলস্‌ অ্যাসেসমেন্ট ট্যাক্স, রেগুলার ট্যাক্স, টিডিএস, টিসিএস প্রভৃতি ক্ষেত্রে বকেয়া মেটানোর তারিখ স্থির হয়েছে ২০ই মার্চ থেকে ৩০শে জুন পর্যন্ত। এই ক্ষেত্রগুলিতে সুদের হার বার্ষিক ১২ শতাংশ/১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বকেয়া মেটানোর ক্ষেত্রে কোনও লেট ফি বা জরিমানা ধার্য হবে না।

·        সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে ছাড়ের এই সুবিধা কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি নির্দেশিকা সঠিক সময়ে জারি করা হবে।

·        জিএসটি অথবা পরোক্ষ করের ক্ষেত্রে বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ ৫ কোটি টাকার কম সেই সমস্ত বিষয়ে জিএসটিআর – ৩বি দাখিলের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী জুন মাস পর্যন্ত করা হয়েছে। আলোচ্য সময়ে রিটার্ন দাখিল করলে কোনও সুদ, লেট ফি এবং জরিমানা ধার্য হবে না।

·        একইভাবে, অন্যান্য ক্ষেত্রেও আগামী জুন মাস পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করা যেতে পারে। তবে, এক্ষেত্রে বার্ষিক সুদের হার বর্তমানে বার্ষিক ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছে। অবশ্য, রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যেই বকেয়া মেটালে সুদ ছাড়ে এই সুবিধা মিলবে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করলে কোনও লেট ফি ও জরিমানা দিতে হবে না। কম্পোজিশন কর্মসূচি সুবিধা গ্রহণের শেষ তারিখ বাড়িয়ে ৩০শে জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। একইভাবে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের জন্য ত্রৈমাসিক-ভিত্তিতে রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩১শে মার্চ থেকে বাড়িয়ে জুন মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত করা হয়েছে।

·        জিএসটি-র আওতায় বিজ্ঞপ্তি, নির্দেশ, অনুমোদন সংক্রান্ত আদেশ, আবেদনপত্র দাখিল, বকেয়া সংক্রান্ত বিবরণী সংশোধন এবং অন্যান্য নথিপত্র সম্পর্কিত নির্দেশাবলী জারি করার সময়সীমা ২০শে মার্চ থেকে বাড়িয়ে ৩০শে জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

·        উপরোক্ত বিষয়গুলিকে জিএসটি সংক্রান্ত সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি নির্দেশিকা জিএসটি পরিষদের অনুমোদন পাওয়ার পর সঠিক সময়ে জারি করা হবে।

·        সবকা বিসওয়াস কর্মসূচির আওতায় বকেয়া মেটানোর সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০শে জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে, বর্ধিত এই সময়কালের জন্য কোনও মাশুল ধার্য হবে না।

·        উৎপাদন শুল্ক সম্পর্কিত ছাড়পত্রের সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী ৩০শে জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

·        উৎপাদন শুল্ক আইনের আওতায় বিজ্ঞপ্তি, অনুমোদন সংক্রান্ত আদেশ, আবেদনপত্র দাখিল, কর সংক্রান্ত বিবরণী সংশোধন প্রভৃতি ক্ষেত্রে নির্দেশ জারির সময়সীমাও বাড়িয়ে আগামী ৩০শে জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

·        আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে তিন মাস বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে।

·        ডেবিট কার্ডধারীদের নিজের ব্যাঙ্কের এটিএম ছাড়াও অন্যান্য ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে আগামী তিন মাসে কোনও শুল্ক ধার্য হবে না। 

·        ন্যূনতম ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে শুল্ক ধার্য হবে না।

·        ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের মাশুল কমানো হচ্ছে।

·        কর্পোরেট ক্ষেত্রগুলির জন্য ২০২০’র পয়লা এপ্রিল থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত  বিলম্বে বকেয়া দাখিলের ক্ষেত্রে কোনও শুল্ক ধার্য হবে না।

·        সংস্থার পরিচালন পর্ষদের বৈঠক আহ্বানের সময়সীমা আগামী দুটি ত্রৈমাসিকের জন্য বাড়িয়ে ৬০ দিন করা হয়েছে।

·        কোম্পানি আইনের ৪ নম্বর সিডিউল অনুযায়ী, নিরপেক্ষ নির্দেশকরা ম্যানেজমেন্টের সদস্য এবং নন্‌-ইন্ডিপেন্ডেন্ট নির্দেশকের উপস্থিতি ছাড়াই বৈঠক আয়োজন করতে পারবেন।

·        নবগঠিত ইনকর্পোরেটেড সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে ছয় মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু করার ঘোষণাপত্র দাখিল করা প্রয়োজন। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের সংস্থাগুলিকে আরও ছয় মাস সময় দেওয়া হবে।

·        প্রতিটি সংস্থার অন্তত একজন ডায়রেক্টরকে ভারতে এক বছরের মধ্যে কমপক্ষে  ১৮২ দিন থাকার যে নিয়ম কোম্পানি আইনে উল্লেখ করা রয়েছে, তা যদি মেনে চলা সম্ভব না হয়, তা হলে তা আইন লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে না।

·        কর্পোরেট ক্ষেত্রগুলির জন্য উক্ত সুযোগ-সুবিধা দানের ব্যাপারে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি বা সার্কুলার কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক যথাসময়ে জারি করবে।

·        মৎস্য চাষ দপ্তরের জন্য বিশেষ সুবিধার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী তিন মাস মৎস্য চাষ ক্ষেত্রে এই সুবিধা মিলবে।

·        নথিপত্র যাচাই এবং কোয়ারেনটাইনের জন্য এনওসি সংক্রান্ত অনুমোদনের সময়সীমা ৭ দিন থেকে কমিয়ে ৩ দিন করা হয়েছে।

·        বাণিজ্য দপ্তরের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নিয়মনীতি ও প্রণালী মেনে চলার সময়সীমা বাড়ানো হবে। এই মর্মে বাণিজ্য মন্ত্রক পৃথক বিজ্ঞাপ্তি জারি চিলেন।

 

আজকের ভিডিও কনফারেন্সে অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর, অর্থ সচিব শ্রী এ বি পান্ডে, অর্থনৈতিক বিষয়ক দপ্তরের সচিব শ্রী অতনু চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

CG/BD/SB


(Release ID: 1607981)
Read this release in: English