বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
হান্টিংটন ডিজিজের অন্যতম কারণ সন্ধান
Posted On:
20 MAR 2020 4:34PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২০ মার্চ, ২০২০
হান্টিংটন ডিজিজ একটি ধারাবাহিক জিনগত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী অসুখ যেটি আক্রান্ত ব্যক্তিদের মস্তিষ্কে অনিয়ন্ত্রিত চলনের কারণ। এর ফলে মানুষের মস্তিষ্কে বিরূপ প্রভাব ফেলার দরুণ আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাঁটা-চলা করতে সমস্যা হয়, স্মৃতিভ্রম হয়, আবেগ নিয়ন্ত্রণে থাকে না এবং ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন ঘটে। এইচটিটি নামের একটি জিনের পরিবর্তনের ফলে অসুখটি দেখা দেয়। এইচটিটি জিন হান্টিংটন নামে একটি প্রোটিন তৈরি করে। যখন এই জিনটি ভেঙে যায় তখন তারা ভুল বার্তা দেয় যার ফলে অস্বাভাবিক হান্টিংটন প্রোটিন তৈরি হয়। এর ফলশ্রুতি হিসেবে এক ধরনের পিণ্ড তৈরি হয় যে পিণ্ড মস্তিষ্কের কোষগুলির স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায় যার ফলে, কোষের নিউরনগুলি মারা যায়। এর থেকে হান্টিংটন অসুখের উৎপত্তি হয়।
বিভিন্ন কোষের প্রোটিনের অনিয়মিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হান্টিংটন প্রোটিনের অস্বাভাবিক উৎপাদনের ফলে এই পিণ্ডগুলি তৈরি হয়। এতদিন যেটা জানা ছিল না তা হল এই পিণ্ডগুলি কোষের অন্য প্রোটিনও তৈরি করে। পুণের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেল সায়েন্স (এনসিসিএস)-এর ডঃ অমিতাভ মজুমদারের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী এইচটিটি জিন নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন। এই বিজ্ঞানীরা খেয়াল করেন রোগগ্রস্থ হান্টিংটন প্রোটিন কোষে প্রোটিনের উৎপাদন হ্রাস করায় যার ফলে হান্টিংটন পিণ্ডগুলি একত্রিত হয়ে আরেকটি প্রোটিন তৈরি করে যার নাম ‘ওআরবি-২’। বিজ্ঞানীরা মনে করেছিলেন, এই পিণ্ডগুলি ‘ওআরবি-২’-এর অণু তৈরি করে প্রোটিন তৈরির জন্য তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারে না যার ফলে, কোষে প্রোটিনের পরিমাণ কমে যায়। এই বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়ার পর তাঁরা বেশি পরিমাণে ‘ওআরবি-২’ উৎপাদনের জন্য কোষগুলিকে আবিষ্ট করে যার ফলে খারাপ হান্টিংটন প্রোটিনের কুপ্রভাব হ্রাস পায়। বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণায় দেখেন সিপিইবি গোষ্ঠীর প্রোটিন ‘ওআরবি-২’ প্রোটিনের মতোই রোগগ্রস্থ হান্টিংটন পিণ্ডগুলির মাধ্যমে পৃথক হয়ে যায়। এই ‘ওআরবি-২’ প্রোটিন মাছির মধ্যে থাকে। গবেষকরা দেখতে পান এই মাছির স্মৃতিশক্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে ‘ওআরবি-২’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। সেক্ষেত্রে হান্টিংটন অসুখের সঙ্গে স্মৃতিভ্রম সংক্রান্ত বিষয়টির মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে হান্টিংটন পিণ্ড থেকে ‘ওআরবি-২’কে পৃথক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ডঃ মজুমদারের নেতৃত্বে এই গবেষকদের দলটি এর মাধ্যমে এই অসুখের কারণ খুঁজে পাওয়ার দিকে আরও একধাপ এগোল। এই দলে রয়েছেন হিরন্ময় যোয়াগ, বিগ্নেশ ঘাটপাণ্ডে, মেঘাল দেশাই, মৈথেলি সরকার, ম্রুণালিনী সিন্ধে, রুটা চিতালে, অঙ্কিতা দেও এবং তানিয়া বসু।
CG/CB/DM
(Release ID: 1607354)
Visitor Counter : 139