প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ


‘জনতা কার্ফিউ’ ২২শে মার্চ সকাল ৭টা থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত পালন করা হবে

নিঃস্বার্থ কাজের জন্য পরিষেবা দাতাদের সাধারণ মানুষ কৃতজ্ঞতা জানাবে ২২শে মার্চ বিকেল ৫টায়

মহামারীর প্রেক্ষিতে ইকনমিক রেসপন্স টাস্কফোর্স স্থাপন

আতঙ্কিত হয়ে অত্যাবশ্যক সামগ্রী না কেনার জন্য সাধারণ মানুষকে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর, যাবতীয় সামগ্রীর পর্যাপ্ত যোগান বজায় রাখার আশ্বাস

Posted On: 20 MAR 2020 3:24PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৯ মার্চ, ২০২০

 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। ‘নবরাত্রি’ উৎসব উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রতি ৯টি অনুরোধ রেখেছেন।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে আতঙ্কের পরিবেশ প্রভাব বিস্তারকারী করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্ত ভারতবাসীর সংকল্প ও ধৈর্য্য বজায় রাখা জরুরি। ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া রুখতে তিনি নাগরিকদের কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করার অনুরোধ জানান। করোনা মহামারীকে হাল্কাভাবে না দেখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শ্রী মোদী সতর্ক থাকার পাশাপাশি, ভাইরাস প্রতিরোধে আরও সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান।

 

প্রধানমন্ত্রী নাগরিকদের ‘আমরা যখন সুস্থসবল থাকবো, তখন সারা বিশ্ব সুস্থ থাকবে’ –এই মন্ত্র অনুসরণ করার আহ্বান জানান। তিনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো ব্যক্তিগত কিছু নিয়মনীতি মেনে চলার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। নিয়মনীতি মেনে চলার ক্ষেত্রে নাগরিকদের সংযম বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়ে শ্রী মোদী আক্রান্ত ব্যক্তিকে অন্যদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকার এবং প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না আসার পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে বাড়ি থেকে কাজ করার এবং দরকার ছাড়া ভ্রমণে বিরত থাকার কথাও বলেন। আগামী কয়েক সপ্তাহ ষাটোর্দ্ধ নাগরিকদের বাড়ি থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দেন। হাসপাতালগুলির কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যেককে রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে না যাওয়ার এবং সম্ভব হলে অস্ত্রোপচারের পূর্বনির্ধারিত তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন।

 

‘জনতা কার্ফিউ’

 

প্রধানমন্ত্রী নাগরিকদের আগামী ২২শে মার্চ সকাল ৭টা থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত ‘জনতা কার্ফিউ’ অভিযান মেনে চলার আহ্বান জানান। এই সময়ে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা ছাড়া, বাকিরা বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। তিনি বলেন, এই গণ-অভিযানের সাফল্য এবং লব্ধ অভিজ্ঞতা আমাদের আগামীতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত করে তুলবে। তিনি আরও বলেন, আগামী ২২ তারিখ আমাদের এই প্রচেষ্টা নিজেকে একান্তে রাখার প্রতীক হয়ে উঠবে এবং জাতীয় স্বার্থে দায়িত্ব পালনে সংকল্পবদ্ধ করে তুলবে।

 

রাজ্য সরকারগুলিকে এই গণ-অভিযানে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘জনতা কার্ফিউ’ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য এনসিসি, এনএসএস এবং নাগরিক সমিতির মতো সমস্ত যুবসংগঠনকে এগিয়ে আসতে বলেন। নিজেকে একান্তে রাখার ‘জনতা কার্ফিউ’ অভিযান সম্পর্কে অন্য ১০ জন ব্যক্তিকেও টেলিফোনে বিষয়টি সম্পর্কে জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেককে অনুরোধ জানান।

 

নিঃস্বার্থভাবে কাজ করা পরিষেবাদাতাদের ধন্যবাদ জানানো

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসাকর্মী, পুলিশ, সরকারি চাকুরিজীবী, বিমান সংস্থার কর্মী গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, বাস, ট্রেন, অটো চালক এবং যাঁরা হোম ডেলিভারীর সঙ্গে যুক্ত এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁরা কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবিলায় সামনে থেকে কাজ করছেন।

 

জটিল এই পরিস্থিতিতে জাতির প্রতি বিরাট অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী আগামী ২২ তারিখ বিকেল ৫টায় সমস্ত দেশবাসীকে বাড়ির বারান্দা, দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পাঁচ মিনিট হাততালি দিয়ে বা ঘন্টা বাজিয়ে এদের যথাযথ সম্মান জানানোর প্রস্তাব দেন।

 

তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে সেদিন বিকেল ৫টায় সাইরেন বাজিয়ে সাধারণ মানুষকে একথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান।

 

আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা

 

কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে উদ্ভূত আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ইকনমিক রেসপন্স টাস্ক-ফোর্স গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন। এই টাস্ক ফোর্স সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের মতামত জেনে কিভাবে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়, সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে। গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করার ব্যাপারেও টাস্ক ফোর্স উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

 

শ্রী মোদী ব্যবসায়িক গোষ্ঠী এবং উচ্চ আয়সম্পন্ন মানুষকে কম আয়সম্পন্ন মানুষের অর্থনৈতিক চাহিদার বিষয়টির কথা ভাবার অনুরোধ জানান। কর্মক্ষেত্রে আসতে না পারলে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বেতন না কাটারও পরামর্শ দেন তিনি। এহেন পরিস্থিতিতে শ্রী মোদী মানবিকতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দেন।

 

শ্রী মোদী দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, খাদ্যসামগ্রী, দু্ধ ও ওষুধপত্রের মতো অত্যাবশ্যক পণ্যের কোনও রকম ঘাটতি হবে না। তিনি সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে জিনিসপত্র কেনা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।

 

প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেককে একযোগে কাজ করে কোভিড-১৯ সঙ্কট মোকাবিলায় সবরকম সহায়তার পরামর্শ দেন। তিনি সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্ব জুড়ে এই মহামারীর সময়ে মানবতার জয় ও ভারতের জয় সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন।

 

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1607318) Visitor Counter : 215


Read this release in: English