স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গৃহীত ব্যবস্থা ও বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা উচ্চপর্যায়ের মন্ত্রীগোষ্ঠীর

Posted On: 20 MAR 2020 8:38AM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৯ মার্চ ২০২০

 


কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধনের পৌরহিত্যে কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় আজ নির্মাণ ভবনে মন্ত্রীগোষ্ঠীর অষ্টম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী, বিদেশ মন্ত্রী ডঃ এস জয় শঙ্কর , স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রাই , স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে এবং নৌ-পরিবহন, রাসায়নিক ও সার প্রতিমন্ত্রী শ্রী মনসুখ এল. মান্ডভিয়া উপস্থিত ছিলেন  । বৈঠকে ক্যাবিনেট সচিব রাজিব গৌবাও উপস্থিত ছিলেন ।
এছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব শ্রীমতী প্রীতি সুদান, বিদেশ মন্ত্রকের সচিব শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা,  অসামরিক বিমান চলাচল সচিব  শ্রী প্রদীপ সিং খারোলা, ফারমাসিউটিক্যালস দপ্তরের সচিব, শ্রী পি ডি ভাগেলা, ডি এইচ আর সচিব ও আইসিএমআরের মহানির্দেশক ডঃ বলরাম ভার্গব, বস্ত্র সচিব শ্রী রবি কাপুর, পর্যটন দপ্তরের সচিব শ্রী যোগেন্দ্র ত্রিপাঠি, স্বাস্থ্য  দপ্তরের বিশেষ সচিব শ্রী সঞ্জীব কুমার, জাহাজ চলাচল দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব শ্রী সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বিদেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শ্রী দাম্মু রবি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শ্রী অনিল মালিক, আইটিবিপির ইনস্পেকটর জেনারেল শ্রী আনন্দ স্বরূপ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের মহানির্দেশক ডঃ রাজীব গর্গ ,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব শ্রী লব আগরওয়াল সহ সামরিক বাহিনী, আই টি বি পি এবং বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রীগোষ্ঠীর অষ্টম বৈঠকে আজ কোভিড ১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করার ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এই ভাইরাস প্রতিহত করতে যে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেগুলির ভিত্তিতে আজকের বৈঠকে ক্যাবিনেট সচিবের পৌরহিত্যে সচিবদের কমিটি বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মন্ত্রীগোষ্ঠীকে কিছু পরামর্শ দেয় ।
মন্ত্রীগোষ্ঠী ভারতে এধরনের পরিস্থিতিতে সরকার এপর্যন্ত কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা পর্যালোচনা করে । পর্যটন ক্ষেত্রে যে সমস্ত বাধা নিষেধ ও সতর্কতা জারি রয়েছে সেগুলি ছাড়াও মন্ত্রীগোষ্ঠী সিদ্ধান্ত নিয়েছে -
•       ভারতের বিমানবন্দরগুলি থেকে ২২শে মার্চ, ২০২০ জিএমটি ০০০১ ঘণ্টা অর্থাৎ ভারতীয় সময় ২২শে মার্চ, ২০২০ ৫টা ৩১ মিনিট থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ থাকছে। এই নিষেধাজ্ঞা ২৯ শে মার্চ, ২০২০ জিএমটি ০০০১ ঘণ্টা পর্যন্ত বলবৎ থাকছে।
•       বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমান ভারতে অবতরণের জন্য সর্বোচ্চ 20 ঘন্টা ভ্রমণের সময় অনুমোদিত হয়েছে।
•       সেই হিসাবে, ২২শে মার্চ, ২০২০ জিএমটি ২০০১ ঘণ্টা অর্থাৎ ভারতীয় সময় ২৩শে মার্চ, ২০২০ রাত ১টা ৩১ মিনিটের পর  আগত কোনও নির্ধারিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমানকে ভারতীয় মাটিতে * যাত্রী নামানোর অনুমতি দেওয়া হবে না * (বিদেশী অথবা ভারতীয় ) ।
•       COVID-19 এর বিস্তারকে প্রতিহত করতে এগুলি সাময়িক পদক্ষেপ হিসেবে গৃহীত এবং সরকার এগুলি পর্যালোচনা করবে ।
এছাড়াও সরকার ১৬ই মার্চ ২০২০ সামাজিক দূরত্ব বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করে। প্রাথমিক ভাবে সামাজিক দূরত্ব বলতে এড়ানো / হ্রাস করা বোঝায় যাতে রোগের সংক্রমণের হার এবং প্রসারণ থামানো বা কমিয়ে দেওয়া যায়। এটি অসুস্থতা এবং মৃত্যুর হার হ্রাস করার জন্য একটি দরকারী পদ্ধতি বলে মনে করা হচ্ছে। সরকার নিয়মিতভাবে নাগরিকদের হাত ও শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে, পরিবেশগত পরিচ্ছন্নতা রক্ষা যেমন ব্যবহৃত বস্তু নিয়মিত পরিষ্কার করা, বস্তুকে যতটা সম্ভব কম ভাগ করা; এবং সামাজিক দূরত্বের পাশাপাশি যথাযথ বায়ুচলাচল নিশ্চিত করার বিষয়ে আর্জি জানাচ্ছে।
মন্ত্রীগোষ্ঠী নির্দেশিত পরামর্শগুলির সঙ্গে, কর্মচারী ও প্রশিক্ষণ দপ্তরও সংযোগ ও ভিড় কমাতে কয়েকটি নির্দেশিকা জারি করেছে। অফিস স্মারকলিপি অনুযায়ী-
•       গ্রুপ বি এবং গ্রুপ সি -র ৫০ শতাংশ কর্মীকে প্রতিদিন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে এবং বাকী ৫০ শতাংশ কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
•       গ্রুপ বি এবং গ্রুপ সি কর্মীদের জন্য সাপ্তাহিক রোস্টার অফ ডিউটি তৈরি করতে হবে এবং তাদেরকে এক সপ্তাহ অন্তর  অফিসে আসতে হবে।
•       কোনও নির্দিষ্ট দিনে অফিসে উপস্থিত সকল কর্মচারীদের কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা বাঞ্ছনীয়।
কর্মচারী ও প্রশিক্ষণ দপ্তরের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যাবে -https://dopt.gov.in/sites/default/files/11013_9_2014_EsttAIII_19032020_English.PDF
এছাড়াও, রাজ্যগুলি অত্যাবশ্যক পরিষেবা বাদ দিয়ে সমস্ত পরিষেবায় সময় নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা জারি করবে। শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলির  বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক সময়সীমা নির্ধারণ করা বাঞ্ছনীয়।
রাজ্যগুলি বেসরকারী সংস্থাগুলির কর্মীদের (সম্ভব হলে) বাড়ি থেকে কাজের সুযোগের বিষয়টিতে নির্দেশিকা জারি করতে পারে ।
সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রেক্ষাগৃহ , সংগ্রহশালা, জিম, পরীক্ষা কেন্দ্র, ইত্যাদি অস্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে।
রাজ্যগুলি সমস্ত ক্রীড়া অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা এবং ধর্মীয় সমাবেশ স্থগিত করতে ব্যবস্থা নিতে পারে এবং ছোট ছোট সমাবেশেও প্রয়োজনীয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে ।
গণপরিবহনের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ মেট্রো, রেলপথ, বাস এবং বিমান,  সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে তাদের পরিষেবাগুলি কমিয়ে আনতে, বিকল্প আসনের ব্যবস্থা বিবেচনা করবে। রেলস্টেশন, মেট্রো স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড এবং বিমানবন্দরগুলির মতো জায়গায় পরিচ্ছন্নতা  এবং যাত্রিদের ভিড় সামলানো নিশ্চিত করবে।
রেলওয়ে ইতিমধ্যে নির্দেশ জারি করেছে, যে ২০ মার্চ ২০২০ এর 0000 ঘন্টা থেকে রোগী, শিক্ষার্থী ও দিব্যাজ্ঞন বিভাগ বাদে প্রবীণ নাগরিক এবং অন্যান্য সকলের জন্য যে ভ্রমণের ছাড় রয়েছে তা অস্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়া, আমাদের জনসংখ্যার সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণীর সুরক্ষার জন্য, সমস্ত রাজ্যগুলিতে উপযুক্ত নির্দেশিকা জারি করা বাঞ্ছনীয় যেখানে জনপ্রতিনিধি / সরকারী কর্মচারী / চিকিৎসক,  পেশাদার ছাড়া ৬৫ বছরের বেশি বয়সী সকল নাগরিককে চিকিৎসার কারণ ব্যতীত বাড়িতে থাকতে এবং সমাবেশ এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেওয়া উচিত এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি প্রদান প্রয়োজন। 
একইভাবে, ১০ বছরের কম বয়সের সমস্ত বাচ্চাদের বাড়িতে থাকতে এবং পাবলিক পার্ক, পিকনিক এবং অন্যান্য খেলাগুলিতে যেখানে  বিপুল সংখ্যক অংশগ্রহণকারী অংশ নেয় সেখানে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া উচিত।
খুব প্রয়োজন না হলে হাসপাতালে ভর্তি না হতে এবং অস্ত্রোপচার না করতে নির্দেশিকা জারি করা হতে পারে  । হাসপাতালে সম্পর্কিত সংক্রমণ এড়াতে এবং COVID-19  সংক্রমণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার করতে হাসপাতালগুলি প্রস্তুত করার জন্য এটি করা হচ্ছে। 
যুবা ও নাগরিকদের COVID-19 পরিচালনায় সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত লজিস্টিক উপাদানের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণের জন্য ফারমাসিউটিকালস এবং উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা আরও নির্দেশ দিয়েছে যে মাস্কগুলির যথাযথ ব্যবহার করা উচিত, প্রয়োজন হলেই ব্যবহার করা উচিত এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়া কর্তব্য। 
সরকার কর্তৃক গৃহীত সমস্ত পদক্ষেপ সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা কাম্য এবং COVID-19  মোকাবিলায় সরকারী প্রচেষ্টায় তাদের সমর্থন চাওয়া হচ্ছে । 

 



CG/TG



(Release ID: 1607268) Visitor Counter : 225


Read this release in: English