স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

কোভিড -১৯ এর সংক্রমণ রুখতে উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রীগোষ্ঠীর পর্যালোচনা বৈঠক


সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সার্বিক নির্দেশিকা

Posted On: 16 MAR 2020 10:48PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ১৬ মার্চ ২০২০

 

 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধনের পৌরহিত্যে কোভিড-১৯ এর  মোকাবিলায় আজ নতুনদিল্লির নির্মাণ ভবনে  উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী শ্রী হরদীপ সিং পুরী, বিদেশ মন্ত্রী ডঃ এস জয় শঙ্কর , স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রাই এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ শ্রী বিপিন রাওয়াত,  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব শ্রীমতী প্রীতি সুদান, অসামরিক বিমান চলাচল সচিব  শ্রী প্রদীপ সিং খারোলা, ফারমাসিউটিক্যালস দপ্তরের সচিব শ্রী পি ডি ভাগেলা, ডিজিএইচএস ডঃ রাজীব  গর্গ,আইসিএমআরের মহানির্দেশক ডঃ বলরাম ভার্গব, বস্ত্র সচিব শ্রী রবি কাপুর, স্বাস্থ্য  দপ্তরের বিশেষ সচিব শ্রী সঞ্জীব কুমার,  জাহাজ চলাচল দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব শ্রী সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, বিদেশ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শ্রী দাম্মু রবি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব শ্রী অনিল মালিক, আইটিবিপির ইনস্পেকটর জেনারেল শ্রী আনন্দ স্বরূপ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব শ্রী লব আগরওয়াল সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।    

মন্ত্রীগোষ্ঠীর সপ্তম বৈঠকে আজ কোভিড ১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করার ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এর অন্যতম কৌশল হিসেবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাব রাখা হয়। কোভিড-১৯কে আটকাতে এই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাটি সাময়িকভাবে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত কার্যকর করা হবে। যে সব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তার মধ্যে রয়েছেঃ

১। সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ( বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি) জিম, সংগ্রহশালা, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কেন্দ্র, সুইমিং পুল, থিয়েটার বন্ধ রাখা হবে। ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষাদানকে উৎসাহিত করা হবে।

২। অহেতুক ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে হবে। বাস, ট্রেন, বিমানের মত গণপরিবহনে  সর্বোচ্চ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া ওই বাহনগুলিকে নিয়মিত ও যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৩। বেসরকারী সংস্থাগুলির কর্মীদের সম্ভব হলে বাড়ি থেকে কাজের সুযোগ দিতে হবে।

৪। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করতে হবে। প্রয়োজন না হলে বড় বড় বৈঠকগুলির পিছিয়ে দিতে হবে।  

৫। রেস্তরাঁগুলিতে হাতধোয়ার নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে, যে সব জায়গায় ঘনঘন হাত রাখা হয়, সেখানে পরিচ্ছনতা বজায় রাখতে হবে। দুটি টেবিলের মধ্যে দূরত্ব ১ মিটার রাখতে হবে। সম্ভব হলে খোলা স্থানে খানিকটা দূরে দূরে বসার ব্যবস্থা করতে হবে।  

৬। যেসব ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রচুর লোকের ভিড় হবে, স্থানীয় কতৃপক্ষকে সেখানে আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। ওই প্রতিযোগিতা পেছানোর পরামর্শ দিতে হবে।

৭। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সমাজের বিশিষ্ট নেতা এবং ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে, যাতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা যায় কোথাও যেন ভীড় না হয় ও দুজনের মধ্যে কমপক্ষে ১ মিটার দূরত্ব বজায় থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।    

৮। স্থানীয় কতৃপক্ষ,  ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবসায়িক কাজের সময় নিয়ন্ত্রণ করবে এবং কি করা উচিত বা অনুচিত  তার তালিকা প্রকাশ করবে। সব্জীবাজার, বাস ডিপো,  রেল স্টেশন, পোষ্ট অফিসের মত জায়গা যেখানে জন পরিষেবা দেওয়া হয়, সেখানে জনচেতনতার প্রচার চালাতে হবে।   

৯। নিয়ম করে নিয়মিত ভাবে সকলকে সব বিষয়ে জানাতে হবে।   

 

ভ্রমণ সংক্রান্ত অতিরিক্ত পরামর্শঃ-  প্রচন্ড ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিহত করতে ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করা হয়েছে।

• সংযুক্ত আরব আমীরশাহী, কাতার, ওমান ও কুয়েত থেকে বা ওই সব দেশ দিয়ে যেসব যাত্রীরা ১৮ মার্চ মধ্যরাতের পর থেকে আসবেন, তাঁদের বাধ্যতামূলক পৃথক নজরদারী অর্থাৎ কোয়ারান্টাইনে ১৪ দিন থাকতে হবে। যে বন্দর দিয়ে তাঁরা দেশে ঢুকবেন, সেখানেই এই ব্যবস্থা থাকবে।

•  ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউরোপীয় মুক্ত বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য রাষ্ট্রগুলি ও তুরস্ক এবং বৃটেন থেকে ১৮ মার্চের পর থেকে কোন যাত্রী ভারতে ঢুকতে পারবেন না। কোন বিমান সংস্থাই ১৮ মার্চ মধ্যরাত থেকে এই সব দেশের থেকে ভারতে আসার জন্য যাত্রী তুলতে পারবে না

• এই নির্দেশিকাগুলি সাময়িকভাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর হবে এবং তারপর তা মূল্যায়ন করা হবে।

ইরান থেকে আজ ৫৩ জনকে নিয়ে চতুর্থ বিমানটি এসে পৌঁছেছে এবং প্রতিরক্ষাবাহিনীর জয়শলমীরের ক্যাম্পে তাঁদের কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত এদের কারো শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায় নি। নিয়ম অনুযায়ী এঁদের কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।

শেষ বৈঠকের পর আরো চারজনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। এরা ওড়িশা, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ ও কেরালার বাসিন্দা। আজ পর্যন্ত ভারতে ১১৪জনের দেহে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। এঁদের মধ্যে ১৩ জন সুস্থ হয়ে গেছেন। ২ জন মারা গেছেন। সংক্রমিতদের সংস্পর্শে যে ৫২০০ জন এসেছেন, তাদের নজরদারীতে রাখা হয়েছে।

  

 

CG/CB



(Release ID: 1606656) Visitor Counter : 209


Read this release in: English