স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
কোভিড-১৯-এর মোকাবিলায় ডঃ হর্ষ বর্ধনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা
Posted On:
16 MAR 2020 6:03PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৫ মার্চ, ২০২০
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন আজ নতুন দিল্লিতে কোভিড-১৯-এর মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ পর্যালোচনা করেছেন। মন্ত্রকের সচিব শ্রীমতী প্রীতি সুদান, আইজিসিএমআর-এর মহানির্দেশক ডঃ বলরাম ভার্গব, স্বাস্থ্য বিভাগের দুই বিশেষ সচিব শ্রী অরুণ সিংঘল ও শ্রী সঞ্জীব কুমার, এনডিএমএ-র সদস্য সচিব শ্রী জি ভি ভি শর্মা, এইম্স-এর নির্দেশক ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া, ডঃ আর এম এল হাসপাতালের ডঃ মীনাক্ষী ভরদ্বাজ, এনসিডিসি-র নির্দেশক ডঃ সুজিত সিং সহ মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
কোভিড-১৯-এর সংক্রমণের বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বিষয়ে ডঃ হর্ষ বর্ধনকে জানানো হয়। এই ভাইরাসের মোকাবিলায় কেন্দ্র, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানানো হয়। আইসোলেশন ওয়ার্ড, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের সরঞ্জাম, মাস্ক, স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিভিন্ন সরঞ্জামের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। কোভিড-১৯-এর মোকাবিলায় গৃহীত নিয়ম-নীতিগুলি ঠিকঠাক মেনে চলার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অনুরোধ জানান। সমস্ত হাসপাতালগুলি যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে ডঃ হর্ষ বর্ধন সেই পরামর্শও দেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, অহেতুক ভ্রমণ এবং জমায়েত এড়ানো সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
মন্ত্রী রাজ্যগুলির ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া, জনসচেতনতা গড়ে তুলতে গৃহীত পদক্ষেপ, বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা, পৃথকভাবে নজরদারি অর্থাৎ, কোয়ারান্টাইনে থাকার ব্যবস্থাপনা নিয়েও আলোচনা হয়। এই আলোচনাগুলি থেকে গৃহীত সিদ্ধান্ত নিয়ে আগামীকাল কোভিড-১৯-এর মন্ত্রীগোষ্ঠীর বৈঠকে আলোচনা হবে। ডঃ হর্ষ বর্ধন ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুমের হেল্পলাইন – (০১১) ২৩৯৭-৮০৪৬-এ আরও লাইনের ব্যবস্থা করা এবং মানবসম্পদ বৃদ্ধির নির্দেশ দেন যাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত প্রশ্নাবলীর উত্তর দেওয়ার সুবিধা হয়।
সরকার কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত দেশগুলি থেকে ভারতীয় নাগরিকদের নিয়ে আসছে। আজ সকালে ইতালির মিলান থেকে একটি বিমান ২১৮ জন যাত্রীকে নিয়ে দিল্লিতে এসে পৌঁছয়। নিয়ম অনুসারে এঁদের চাওলায় আইটিবিপি ক্যাম্পে কোয়ারান্টাইনের জন্য রাখা হয়েছে। এছাড়াও ইরান থেকে ২৩৬ জনের তৃতীয় দলটি দেশে এসে পৌঁছেছে। এঁদের জয়সলমীরে সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। ইরান ছাড়ার আগে এঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং কারোর শরীরেই এই ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। ত্রিবান্দ্রম, দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদে কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশ থেকে আসা ২৬৫ জন যাত্রীকে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৩ জনের দেহে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। এঁদের মধ্যে ১৭ জন মহারাষ্ট্রের, দু’জন তেলেঙ্গানার, একজন রাজস্থানের এবং তিনজন কেরলের। যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের শরীরে আগে থেকেই এই জীবাণু ছিল। এঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই ৪ হাজার জনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। গতকাল বুলদানায় যে রোগী একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন, তাঁর নমুনায় কোভিড-১৯-এর লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
CG/CB/DM
(Release ID: 1606604)
Visitor Counter : 138