জলশক্তি মন্ত্রক
‘প্রতিটি কাজ দেশের নামে’; গঙ্গা পুনরুজ্জীবনে কর্পোরেট সংস্থাগুলির যোগদান বড় পথ দেখিয়েছে
Posted On:
25 FEB 2020 5:31PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
বদ্রীনাথের গঙ্গার ঘাট ও গঙ্গোত্রীর ঘাট এবং শ্মশান ঘাট উন্নয়নের জন্য ত্রিপাক্ষিক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্বচ্ছ গঙ্গা জাতীয় কর্মসূচি (এনএমসিজি), উত্তরাখণ্ডের স্টেট প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ এবং ইন্ডোরামা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট (আইসিটি)-এর মধ্যে ত্রিপাক্ষিক এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। এর জন্য ২৬ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, জলসম্পদ, নদী উন্নয়ন ও গঙ্গা পুনরুজ্জীবন দপ্তরের সচিব শ্রী ইউ পি সিং, এনএমসিজি-র মহানির্দেশক শ্রী রাজীব রঞ্জন মিশ্র সহ মন্ত্রক এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ভারতে নদী বিশেষ করে, গঙ্গা পবিত্র নদী হিসেবে বিবেচ্য হয়ে থাকে। ধর্মীয় স্থান এবং গ্রামগুলি গড়ে উঠেছে নদীকে কেন্দ্র করে। ঘাট এবং শ্মশান ঘাটগুলি সাধারণ মানুষ এবং পুণ্যার্থীরা ব্যবহার করে থাকেন। তাই, এগুলি সাধারণ মানুষের কাছে জীবনের অন্যতম অঙ্গ। মানুষ এবং নদীর মধ্যে সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গঙ্গা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। চারধামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল গঙ্গোত্রী ও বদ্রীনাথ।
অনুষ্ঠানে, শ্রী শেখাওয়াত বলেন, ‘প্রতিটি কাজ দেশের নামে’ – এই কেন্দ্রীয় উদ্যোগের অন্যতম অংশ হল এই প্রকল্প। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর গঙ্গা পরিষ্কার প্রচার অভিযানকে একটি মিশন রূপে নেওয়া হয়েছে। ‘নমামি গঙ্গে’ মিশনের কাজ প্রায় ১০০ শতাংশ শেষের পথে বলেও তিনি জানান। ইন্ডোরামা গ্রুপ এই প্রকল্পে যেভাবে অর্থ সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে আগামীতে অন্যান্যরাও এই কাজে এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
২০২০-র মার্চ থেকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ১৫ মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ হবে। আগামী ৭ বছরের জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় স্নান ঘাট ও শ্মশান ঘাট নির্মাণ, আধুনিকীকরণ, সৌন্দর্যায়ন, গঙ্গা ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।
CG/SS/DM
(Release ID: 1604314)