কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা
দ্বিতীয় পর্যায়ের স্বচ্ছ ভারত মিশন (গ্রামীণ)-এ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন
Posted On:
19 FEB 2020 7:40PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আজ ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের স্বচ্ছ ভারত মিশন (গ্রামীণ) (এসবিএমজি)-এর প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। খোলা স্থানে শৌচকর্মমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা ছাড়াও কঠিন এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এই মিশনের অন্যতম লক্ষ্য।
এসবিএমজি-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্দেশ্য হল, কেউ যেন এই প্রকল্পের বাইরে না থাকেন এবং প্রত্যেকে যেন শৌচাগার ব্যবহার করেন। এই লক্ষ্যে ২০২০-২১ থেকে ২০২৪-২৫ পর্যন্ত ৫২,৪৯৭ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়েই টাকা যোগাবে। এছাড়া, পঞ্চদশ অর্থ কমিশন গ্রামাঞ্চলে জল সরবরাহের লক্ষ্যে এবং সেখানে পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ৩০,৩৭৫ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রকল্প আগামী অর্থ বছরে গ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে রূপায়িত হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় যে সমস্ত পরিবার শৌচালয় তৈরি করার জন্য আর্থিক অনুদানের সুযোগ পাবে, তারা ১২ হাজার টাকার উৎসাহ ভাতা পাবে। কঠিন এবং তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে আর্থিক সাহায্যের সংস্থান থাকবে। গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি গ্রামস্তরে যে সমাজ পরিচালিত শৌচালয়ের ব্যবস্থা গড়ে তোলে সেক্ষেত্রে আর্থিক অনুদানের পরিমাণ ২ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
এই প্রকল্পগুলিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এবং হিমালয় সংলগ্ন রাজ্যগুলি ও কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে কেন্দ্র ৯০ শতাংশ অর্থের যোগান দেবে। অন্য রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে ৪০ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করতে হবে। বাকি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পুরো টাকাটাই কেন্দ্র যোগাবে।
কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জৈব প্রক্রিয়ায় কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নোংরা জল এবং পাঁক নিঃসরণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এসবিএমজি-তে গ্রামস্তরে বাড়ি বাড়ি এবং সমাজ পরিচালিত শৌচালয়, কম্পোস্ট পিট্স, সোক পিট্স, বর্জ্য জমার পুকুর তৈরি করার সংস্থান থাকছে। এর ফলে, গ্রামীণ অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে এবং কর্মসংস্থান বাড়বে। ২০১৪-র ২ অক্টোবর প্রথম পর্যায়ে এসবিএমজি চালুর সময় গ্রামীণ এলাকায় পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা ছিল মাত্র ৩৮.৭ শতাংশ। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর ১০ কোটির বেশি শৌচাগার তৈরি হয়েছে যার ফলে, ২০২৯-এর ২ অক্টোবর প্রতিটি রাজ্য নিজেদের খোলা স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে। পানীয় জল ও পয়ঃনিষ্কাশন দপ্তর সমস্ত রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে এই তথ্য সঠিক কিনা তা পুনরায় একবার যাচাই করার জন্য।
CG/CB/DM
(Release ID: 1603756)
Visitor Counter : 223