সংখ্যালঘুবিষয়কমন্ত্রক
ভারতীয় মুসলিমদের ‘সহজে হজ করা’র স্বপ্নকে সরকার বাস্তবায়িত করেছে : শ্রী মুখতার আব্বাস নাকভি
प्रविष्टि तिथि:
17 FEB 2020 6:10PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী মুখতার আব্বাস নাকভি জানিয়েছেন, ভারতীয় মুসলিমদের ‘সহজে হজ করা’র স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে দেশে হজ প্রক্রিয়ায় ১০০ শতাংশ ডিজিটাল/অনলাইন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। তিনি আজ মুম্বাইতে হজ হাউসে ২০২০ সালের হজ যাত্রার জন্য প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শিবিরে বক্তব্য রাখছিলেন।
শ্রী নাকভি বলেন, মোদী সরকারের অভূতপূর্ব সংস্কারের ফলে একদিকে সম্পূর্ণ হজ প্রক্রিয়া যেমন ডিজিটাল ও স্বচ্ছ হয়েছে, অন্যদিকে হজ যাত্রা আর্থিক সঙ্গতির মধ্যে এসেছে। তিনি বলেন, গত কয়েক দশকের হজ যাত্রায় খরচের সঙ্গে তুলনা করে বলা যায়, এই প্রক্রিয়া থেকে দালালদের সরানোর ফলে খরচ আয়ত্তের মধ্যে এসেছে। এমনকি, হজের ভর্তুকি প্রত্যাহারের পরও অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা হজ যাত্রীদের উপর বর্তায়নি। মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে ২০২০ সালে হজ প্রক্রিয়াটি ভারতেই প্রথম ১০০ শতাংশ ডিজিটাল হয়েছে। অনলাইনে দরখাস্ত, ই-ভিসা, হজ মোবাইল অ্যাপ, ‘ই-মাহিসা’ স্বাস্থ্য পরিষেবা, ই-লাগেজ, প্রি-ট্যাগিং – এর মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, প্রথমবার ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় হজ যাত্রীদের মালপত্রের প্রি-ট্যাগিং – এর ব্যবস্থা করা হ’ল। এর ফলে, ভারতীয় হজ যাত্রীরা ভারতে বসেই সৌদি আরবের বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পর তাঁদের জন্য কোথায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং কোন বাসে তাঁরা যেতে পারবেন – সেসব তথ্য জানতে পারবেন।
শ্রী নাকভি বলেন, মক্কা, মদিনার সর্বশেষ তথ্য তাৎক্ষণিক পাওয়ার জন্য মোবাইল অ্যাপ যুক্ত সিমকার্ডও পাওয়া যাচ্ছে। ‘ই-মাহিসা’ (বিদেশে ভারতীয় তীর্থ যাত্রীদের জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত সহায়তার বৈদ্যুতিন ব্যবস্থাপনা) – এর আওতায় ভারতীয় হজ যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য মজুত থাকবে, যার ফলে মক্কা, মদিনায় কোনও রকমের জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যাবে। মন্ত্রী জানান, হজ গোষ্ঠীর আয়োজকরা (এইচজিও) ১০০ শতাংশ ডিজিটাল প্রক্রিয়ার আওতায় এসেছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা ভারতীয় হজ যাত্রীদের স্বচ্ছভাবে পরিষেবা দেবেন। এই প্রথমবার এইচজিও-দের জন্য একটি পোর্টাল http://haj.nic.in/pto/ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে এইচজিও-দের প্যাকেজ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
২০২০ সালে হজের সময়ে ভারতীয় মুসলমানদের নিরাপত্তা ও চিকিৎসা সহ বিভিন্ন পরিষেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভারত সরকার, সৌদি আরব সরকার এবং সেদেশের ভারতীয় দূতাবাস সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে চলবে। এ বছর ২ লক্ষ ভারতীয় মুসলমান কোনও ভর্তুকি ছাড়াই হজে যাবেন। ভারতের হজ কমিটির মাধ্যমে ১ লক্ষ ২৩ জন এবং বাকিরা এইচজিও-র মাধ্যমে যাবেন। এ বছর ২ হাজার ১০০-রও বেশি মুসলমান মহিলা পুরুষ সঙ্গী (মেহরম) ছাড়াই হজে যাবেন। এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ৬৫০ জন অংশগ্রহণ করেন। এরা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হজ যাত্রীদেরকে – মক্কা ও মদিনায় থাকার ব্যবস্থা, পরিবহণ, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। এই কর্মসূচিতে অনেক মহিলাও অংশগ্রহণ করেছেন। ভারতের হজ কমিটি, সীমাশুল্ক, এয়ার ইন্ডিয়া, বৃহন মুম্বাই পৌরসভা, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থাগুলির আধিকারিকরা যোগ দিয়েছেন। শ্রী নাকভি মুম্বাইয়ের হজ হাউসে সিভিল সার্ভিসেস লার্নিং সেন্টার, অতিথিশালা, প্রশিক্ষণ কক্ষেরও উদ্বোধন করেন।
CG/CB/SB
(रिलीज़ आईडी: 1603460)
आगंतुक पटल : 185
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English