স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক
নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা
Posted On:
11 FEB 2020 4:53PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
চিনে নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রকোপের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার দেশে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এখনও পর্যন্ত দেশে নোভেল করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হওয়ার তিনটি ঘটনা ঘটেছে। যে তিনজনের দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে, তাঁরা সকলেই কেরলের বাসিন্দা। সংক্রামিত এই তিন ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছেন।
দেশের ২১টি বিমানবন্দরে আগত বিমানযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড থেকে আসা বিমানগুলির পাশাপাশি, হংকং ও চিন থেকে আগত বিমানগুলির যাত্রীদের জন্য থার্মাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দরে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে চিন থেকে আগত নৌ-কর্মী ও যাত্রীদের চিহ্নিত করে তাঁদের পৃথক স্থানে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে।
সরকার নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ভারতে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ই জানুয়ারি প্রথম উপদেশনামা জারি করে। পরিস্থিতির পর্যালোচনার প্রেক্ষিতে ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শপত্র জারি করা ও তা সংশোধন করা হয়েছে। বর্তমানে চিন থেকে এ দেশে আসা যে কোন বিদেশি নাগরিকের বর্তমান ভিসার মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না। অত্যন্ত জরুরি কারণে ভারতে আসতে বাধ্য এমন ব্যক্তিদের বেজিং-এ ভারতীয় দূতাবাস অথবা সাংহাই ও গুয়াংঝাউ-এর বাণিজ্যিক দূতাবাসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে চিন সফরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই যাঁরা চিনে রয়েছেন দেশে ফিরলে তাঁদের সম্পূর্ণ পৃথক রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিমানবন্দরগুলিতে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত চিকিৎসক, নার্স ও আধা-চিকিৎসকদের মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, দেশের ২১টি বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা, ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নজরদারি সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশিকা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে দেওয়া হয়েছে। প্রাসঙ্গিক যাবতীয় তথ্য সম্বলিত ছোট পুস্তিকা যাত্রীদের দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, বিমানে সফররত যাত্রীদের সতর্ক থাকার জন্য নিয়মিত ঘোষণার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর ও বন্দরগুলিতে সংকেতবাহী ডিসপ্লে বোর্ড বসানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া সহ গণমাধ্যমে এই ভাইরাসের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করার কাজ চলছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীদের নিয়ে একটি মন্ত্রীগোষ্ঠী গঠন করা হয়েছে। গত ৩ তারিখ এই মন্ত্রীগোষ্ঠীর প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব অন্যান্য দপ্তরের সচিব সহ রাজ্যগুলির মুখ্য সচিবদের নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যালোচনা করছেন। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যগুলির মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্য সচিবদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
চিন, হংকং, তাইওয়ান ও সিঙ্গাপুর থেকে আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও নজরদারির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউফ অফ ভাইরোলজিতে নমুনা পরীক্ষার কাজ চলছে। এছাড়াও, আরও ১৪টি পরীক্ষাগারে নমুনায় এই ভাইরাসের উপস্থিতি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ২৪x৭ কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। সরকার পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে।
রাজ্যসভায় আজ এক লিখিত জবাবে একথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।
CG/BD/DM
(Release ID: 1602798)
Visitor Counter : 120