অর্থমন্ত্রক
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০-২১ : উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য
Posted On:
01 FEB 2020 7:54PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকের প্রথম বাজেট পেশ করেন। এই বাজেটে স্বল্প মেয়াদী, মাঝারি মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ভারতীয় অর্থনীতিতে আরও গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে একগুচ্ছ সুদূরপ্রসারী সংস্কারের প্রস্তাব রয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০-২১ – এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :
বাজেটের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
· উচ্চাকাঙ্খী ভারত – স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা আরও নাগালে এনে জীবনযাপনের মানোন্নয়ন এবং সমাজের সব শ্রেণীর জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান।
· সকলের জন্য আর্থিক উন্নয়ন – ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস’।
· যত্নশীল সমাজ – মানবিক ও সমব্যথী উভয়ই; আস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক অন্ত্যোদয়।
· তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে একত্রিত করা হয়েছে :
Ø দুর্নীতিমুক্ত, নীতি পরিচালিত সুপ্রশাসন
Ø স্বচ্ছ ও মজবুত আর্থিক ক্ষেত্র
· কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০-২১ – এর তিনটি বিষয়ের মধ্য দিয়ে সহজে জীবনযাপনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
উচ্চাকাঙ্খী ভারতের তিনটি দিক
· কৃষি, সেচ ও গ্রামোন্নয়ন
· সার্বিক কল্যাণ, জল ও স্বচ্ছতা
· শিক্ষা ও দক্ষতা
কৃষি, সেচ ও গ্রামোন্নয়নের জন্য ১৬ দফা কর্মপরিকল্পনা
· নিম্নলিখিত ১৬ দফা কর্মপরিকল্পনার জন্য ২ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।
Ø কৃষি, সেচ ও সহযোগী ক্ষেত্রের জন্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা।
Ø গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতের জন্য ১ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকা।
· কৃষিতে ঋণ
Ø ২০২০-২১ সালের জন্য ১৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ সহায়তার লক্ষ্য।
Ø কিষাণ ক্রেডিট কার্ড কর্মসূচির আওতায় পিএম-কিষাণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের নিয়ে আসা হবে।
Ø নাবার্ডের পুনঃঋণদান কর্মসূচির আরও সম্প্রসারণ।
· জলসঙ্কটগ্রস্থ ১০০টি জেলার জন্য সুসংবদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব।
· নীল অর্থনীতি
Ø ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে মৎস্য রপ্তানির পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকা অর্জন।
Ø ২০২২-২৩ সালের মধ্যে ২ কোটি টন মাছ উৎপাদন।
Ø মৎস্য চাষ ক্ষেত্রের সম্প্রসারণে ৩ হাজার ৪৭৭ সাগরমিত্র এবং ৫০০টি মৎস্য উৎপাদন সংগঠন যুবসমাজকে সামিল করবে।
Ø শ্যাওলা, সামুদ্রিক উদ্ভিদ চাষবাসের প্রসার ঘটানো।
Ø সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন পরিচালনা ও সংরক্ষণের জন্য পরিকাঠামো গঠন।
· সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ভারতীয় রেল কিষাণ রেল স্থাপন করবে।
Ø পচনশীল বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী, যেমন – দুগ্ধ, মাংস, মাছ প্রভৃতির জন্য জাতীয় স্তরে কোল্ড সাপ্লাই চেন বা হিমঘরের ব্যবস্থা।
Ø এক্সপ্রেস ও পণ্যবাহী ট্রেনে বাতানুকূল কামরা।
· কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক কৃষি উড়ান কর্মসূচির সূচনা করবে।
Ø আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় রুটই এই কর্মসূচির আওতায় আসবে।
Ø উত্তর-পূর্ব ও আদিবাসী জেলাগুলি কৃষিজ পণ্যের ক্ষেত্রে আরও বেশি মূল্য সুবিধা পাবে।
· উদ্যান পালন ক্ষেত্রে আরও ভালো বিপণন ও রপ্তানির জন্য এক পণ্য, এক জেলা।
· সব ধরণের সারের সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহার – পরম্পরাগত জৈব সার এবং কৃত্রিম সার।
· জৈব, প্রাকৃতিক ও সুসংবদ্ধ কৃষি কাজের জন্য একাধিক ব্যবস্থা।
Ø জৈবিক ক্ষেতি পোর্টাল – অনলাইন জাতীয় জৈব চাষাবাদগত পণ্য বাজারের আরও সংহতকরণ।
Ø জিরো বাজেট প্রাকৃতিক চাষাবাদকেও (২০১৯ – এর জুলাই মাসে পেশ করা বাজেট উল্লেখ করা হয়েছিল) অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
Ø বৃষ্টিধৌত এলাকাগুলিতেও সুসংবদ্ধ চাষাবাদ পদ্ধতির সম্প্রসারণ করা হবে।
Ø ফসল উৎপাদন হয় না এমন মরশুমে বিভিন্ন ধরণের শস্য, মৌ-পালন, সৌরবিদ্যুৎ চালিত জল পাম্প এবং সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
· কিএম-কুসুম কর্মসূচির আরও সম্প্রসারণ
Ø ২০ লক্ষ কৃষককে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্প দেওয়া হবে।
Ø আরও ১৫ লক্ষ কৃষককে তাঁদের গ্রিড সংযুক্ত জল পাম্পগুলিকে সৌরবিদ্যুৎ চালিত করার জন্য সাহায্য করা হবে।
Ø কৃষকদের তাঁদের খালি পড়ে থাকা জমিতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ও এই বিদ্যুৎ বিক্রিতে সাহায্যের জন্য কর্মসূচি চালু করা হবে।
· গ্রামে মজুত ভান্ডার কর্মসূচি
Ø কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের মজুত রাখার ব্যবস্থা বৃদ্ধিতে এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে অপচয় কমাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি এই কর্মসূচি পরিচালনা করবে।
Ø মহিলা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি ধান্য লক্ষ্মী হিসাবে তাঁদের মর্যাদা অর্জন করবে।
· নাবার্ড কৃষিজ পণ্যের মজুত ভান্ডার, হিমঘর প্রভৃতির মানচিত্র ও জিও ট্যাগ তৈরি করবে।
· ওয়্যার হাউস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির নিয়মাবলির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ওয়্যার হাউসিং গড়ে তোলা হবে।
Ø ব্লক স্তরে উপযুক্ত ওয়্যারহাউস স্থাপনের জন্য ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং – এর ব্যবস্থা।
Ø ভারতীয় খাদ্য নিগম ও কেন্দ্রীয় ওয়্যারহাউসিং কর্পোরেশন এই ওয়্যারহাউস ভবনগুলির দেখভাল করবে।
· ই-ন্যাম ব্যবস্থার সঙ্গে নেগোশিয়েবল ওয়্যারহাউসিং রিসিপ্ট সংক্রান্ত আর্থিক বিষয়গুলিকে যুক্ত করা হবে।
· কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা আদর্শ আইনগুলি রূপায়ণে রাজ্য সরকারগুলিকে উৎসাহিত করা হবে।
· গবাদি পশু
Ø দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ২০২৫ সালের মধ্যে ৫৩.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন থেকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১০৮ মিলিটয়ন মেট্রিক টন করা।
Ø কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন হার বর্তমানের ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭০ শতাংশ করা।
Ø পশুখাদ্য উৎপাদন কেন্দ্রগুলির অগ্রগতিতে এমজিএনআরইজিএস – এর সাহায্য নেওয়া হবে।
Ø ২০২৫ সালের মধ্যে গরুর মুখ ও পায়ের খুরের রোগ এবং ব্রুসেলোসিস সংক্রমণ ঠেকানো।
· দীন দয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা – দারিদ্র্য দূরীকরণে ৫৮ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করা হবে ৫০ কোটি পরিবারের জন্য।
সার্বিক কল্যাণ, জল ও স্বচ্ছতা
· সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রের জন্য ৬৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।
· প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার জন্য ৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
Ø প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতায় ইতিমধ্যেই ২০ হাজারেরও বেশি হাসপাতাল নথিভুক্ত।
Ø সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে হাসপাতাল স্থাপনের জন্য ভায়াবিলিটি গ্যাফ ফান্ডিং – এর প্রস্তাব।
Ø উন্নয়নে আগ্রহী যে সমস্ত জেলায় আয়ুষ্মান কর্মসূচির অধীনে নথিভুক্ত হাসপাতাল নেই, সেই সমস্ত জেলাগুলিকে প্রথম পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
· ২০২৪ সালের মধ্যে সমস্ত জেলায় জন ঔষধি কেন্দ্র কর্মসূচির মাধ্যমে ২ হাজার ওষুধ ও ৩০০টি সার্জিকাল সামগ্রী পাওয়া যাবে।
· ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা দূরীকরণে টিবি হারেগা দেশ জিতেগা অভিযানের সূচনা।
· জল জীবন মিশনের জন্য ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত।
Ø ২০২০-২১ সালের জন্য ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
Ø স্থানীয় জলের উৎস বাড়ানো, বর্তমান জল উৎসগুলির পুনরুজ্জীবন এবং জল সিঞ্চন প্রসার।
Ø চলতি বছরের মধ্যেই উক্ত উদ্দেশ্যগুলি অর্জনে ১০ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যাবিশিষ্ট শহরগুলিকে উৎসাহিত করা হবে।
· ২০২০-২১ – এ স্বচ্ছ ভারত মিশনের জন্য ১২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
Ø প্রকাশ্য স্থানে শৌচকর্ম বর্জনের অভ্যাস বজায় রাখতে ওডিএফ – প্লাস অঙ্গীকার।
Ø কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ, উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং প্রক্রিয়াকরণে গুরুত্ব।
শিক্ষা ও দক্ষতা
· ২০২০-২১ সালে শিক্ষা ক্ষেত্রের জন্য ৯৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা।
· নতুন শিক্ষা নীতি শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।
· জাতীয় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব।
· ন্যাশনাল ইন্সটিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কে অগ্রণী ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডিগ্রি পর্যায়ে সম্পূর্ণ অনলাইন শিক্ষা কর্মসূচি।
· শহরাঞ্চলীয় স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থাগুলিতে সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীদের জন্য এক বছর পর্যন্ত ইন্টার্নশিপের সুবিধা।
· সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বর্তমানে চালু একটি জেলা হাসপাতালের সঙ্গে একটি মেডিকেল কলেজকে জুড়ে দেবার প্রস্তাব।
· কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রক বিশেষ ব্রিজ কোর্স প্রণয়ন করবে।
· শিক্ষক-শিক্ষিকা, সেবিকা, আধা-চিকিৎসা কর্মী প্রভৃতি ক্ষেত্রে চাহিদা মেটাবে।
· ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ১৫০টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাপ্রেন্টিকশিপ এম্বেডেড ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা কোর্স চালু করবে।
· শিক্ষা ক্ষেত্রের জন্য বহির্বিভাগীয় বাণিজ্যিক ঋণ সহায়তা ও এফডিআই – এর সুবিধা।
· স্টাডি ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলির জন্য ইন্ড-স্যাট মহাকাশে প্রেরণের প্রস্তাব।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
শিল্প, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ
· শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের উন্নয়ন তথা প্রসারে ২০২০-২১ সালের জন্য ২৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
· বিনিয়োগ অনুমোদন সেল গঠনের প্রস্তাব।
· নতুন ৫টি স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার প্রস্তাব।
· মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম উৎপাদকদের উৎসাহিত করতে প্রকল্প।
· জাতীয় প্রযুক্তিগত বস্ত্র মিশন চালুর প্রস্তাব।
· ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে এই মিশনের রূপায়ণ।
· এই মিশন রূপায়ণে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা।
· প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বস্ত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতকে বিশ্বের অগ্রণী দেশ হিসাবে গড়ে তোলা।
· রপ্তানি ক্ষেত্রে আরও বেশি ঋণ সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি নির্ভীক চালু করা হবে।
· সরকারি ই-বাজার ব্যবস্থার লেনদেন পরিমাণ ৩ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব।
· রপ্তানি পণ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর সংশোধনের প্রকল্প চালু করা হবে।
Ø কেন্দ্র, রাজ্য ও স্থানীয় স্তরে ধার্য শুল্ক ও কর রাপ্তানিকারকরা ডিজিটাল উপায়ে রিফান্ড করতে পারবেন।
· উৎপাদন ক্ষেত্রে জিরো ডিফেক্ট – জিরো এফেক্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী সমস্ত মন্ত্রক গুণমান সংক্রান্ত মানক জারি করতে পারবে।
পরিকাঠামো
· আগামী পাঁচ বছরে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ।
· জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলাইন :
Ø ১০৩ লক্ষ কোটি টাকার একাধিক প্রকল্প; সূচনা ২০১৯ – এর ৩১শে ডিসেম্বর।
Ø বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৬ হাজার ৫০০-রও বেশি প্রকল্পকে তাদের পরিধি ও উন্নয়নে অগ্রগতির নিরিখে শ্রেণী বিভক্ত করা হয়েছে।
· শীঘ্রই একটি জাতীয় লজিস্টিক নীতি প্রকাশ করা হবে।
Ø এক জানালাবিশিষ্ট ই-লজিস্টিক বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
Ø কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন সহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিকে আরও প্রতিযোগিতামুখী করে তোলার ওপর গুরুত্ব।
· জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন এজেন্সি পরিকাঠামো-ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ-সুবিধার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবে।
· পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির জন্য প্রোজেক্ট প্রিপারেশন সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব।
· সরকারের পরিকাঠামো সংস্থাগুলি স্টার্ট আপ ক্ষেত্রে যুবশক্তিকে কাজে লাগাবে।
· ২০২০-২১ সালে পরিবহণ পরিকাঠামো ক্ষেত্রের জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব।
জাতীয় মহাসড়ক
· জাতীয় মহাসড়কগুলির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে। এই লক্ষ্যে
Ø ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার অ্যাকসেস কন্ট্রোল হাইওয়ে।
Ø ৯ হাজার কিলোমিটার অর্থনৈতিক করিডর।
Ø ২ হাজার কিলোমিটার উপকূল ও স্থলবন্দর সংক্রান্ত সড়ক।
Ø ২ হাজার কিলোমিটার স্ট্যাটেজিক হাইওয়ে।
· দিল্লি – মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে সহ আরও দুটি কর্মসূচির কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
· চেন্নাই – বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু করা হবে।
ভারতীয় রেলওয়ে
· ৫টি ব্যবস্থা :
Ø রেললাইন বরাবর রেলের জমিতে বৃহদায়তন সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা গড়ে তোলা হবে।
Ø চারটি স্টেশনের পুনরুন্নোয়ন প্রকল্প এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ১৫০টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু করা।
Ø জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে আরও বেশি সংখ্যায় তেজস শ্রেণীর ট্রেন পরিষেবা।
Ø মুম্বাই ও আমেদাবাদের মধ্যে উচ্চগতসম্পন্ন ট্রেন চালানোর বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে।
Ø ১৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠতে চলা ১৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বেঙ্গালুরু শহরতলী পরিবহণ প্রকল্পে মেট্রো পরিষেবার আদলে ভাড়া।
· ভারতীয় রেলের সাফল্য :
Ø ৫৫০টি স্টেশনে ওয়াইফাই ফেসিলিটি চালু করা হয়েছে।
Ø রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিং আর নেই।
Ø ২৭ হাজার কিলোমিটার রেললাইনের বৈদ্যুতিকীকরণ।
বন্দর ও জলপথ
Ø অন্তত একটি প্রধান বন্দরের কর্পোরেটাইজিং করা হবে এবং সেটিকে স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত করার ব্যাপারে নথিভুক্ত করা হবে।
Ø প্রধানমন্ত্রীর অর্থ গঙ্গা পরিকল্পনা অনুযায়ী, নদী তীরবর্তী এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে উৎসাহ দেওয়া হবে।
বিমানবন্দর
· উড়ান প্রকল্পের আরও সম্প্রসারণে ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ১০০টি বিমানবন্দর গড়ে তোলা হবে।
· আলোচ্য সময়ের মধ্যে বিমানের ওঠা-নামা বর্তমানে ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২০০ করা হবে।
বিদ্যুৎ
· ‘স্মার্ট’ মিটার ব্যবস্থা কার্যকর করতে উদ্যোগ
· বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থাগুলির সংস্কারে আরও ব্যবস্থা
শক্তি
· ২০২০-২১ সালে শক্তি ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রের জন্য ২২ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব।
· জাতীয় গ্যাস গ্রিডের পরিধি বর্তমান ১৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ২৭ হাজার কিলোমিটার করার প্রস্তাব।
নতুন অর্থনীতি
Ø বেসরকারি ক্ষেত্রকে দেশ জুড়ে ডেটা সেন্টার পার্ক গড়ে তোলার জন্য শীঘ্রই নীতি-পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে।
Ø চলতি বছরে ১ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতকে ভারত নেট ব্যবস্থার মাধ্যমে ফাইবার টু হোম ব্যবস্থার সঙ্গে জুড়ে ফেলা।
Ø ২০২০-২১ সালে ভারত নেট কর্মসূচির জন্য ৬ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব।
Ø মেধাস্বত্ত্ব অধিকারের প্রয়োগে সুবিধা দিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হবে।
Ø বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নলেজ ট্রান্সলেশন ক্লাস্টার গড়ে তোলা হবে।
Ø ভারতের জেনেটিক মানচিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় স্তরে নতুন দুটি বিজ্ঞান-ভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
Ø কোয়ান্টাম টেকলোলজি ও তার প্রয়োগ সংক্রান্ত জাতীয় মিশনের জন্য আগামী পাঁচ বছরে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব।
যত্নশীল সমাজ
· গুরুত্ব দেওয়া হবে –
Ø মহিলা ও শিশুদের ওপর
Ø সামাজিক কল্যাণ ক্ষেত্রে
Ø সংস্কৃতি ও পর্যটন ক্ষেত্রে
· ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য পুষ্টি সংক্রান্ত কর্মসূচিগুলিতে ৩৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
· মহিলা-কেন্দ্রীক কর্মসূচিগুলির জন্য ২৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকার প্রস্তাব।
· একটি মেয়ের মাতৃত্বের উপযুক্ত বয়সের বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়ার জন্য একটি কর্মগোষ্ঠী গঠনের প্রস্তাব। এই কর্মী ছ’মাসের মধ্যে তার প্রতিবেদন পেশ করবে।
· তপশিলি জাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর কল্যাণের জন্য ২০২০-২১ সালে ৮৫ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব।
· তপশিলি আদিবাসীদের উন্নয়ন ও কল্যাণে ৫৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
· প্রবীণ নাগরিক ও দিব্যাঙ্গদের জন্য ২০২০-২১ সালে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বর্ধিত বরাদ্দ মঞ্জুর করা হয়েছে।
সংস্কৃতি ও পর্যটন
· পর্যটন ক্ষেত্রের প্রসারে ২০২০-২১ সালে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
· সংস্কৃতি মন্ত্রকের জন্য ২০২০-২১ সালে ৩ হাজার ১৫০ কোটি টাকার প্রস্তাব।
· ডিমড্ বিশ্ববিদ্যালয় মর্যাদাসম্পন্ন সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনে একটি হেরিটেজ ও কনজারভেশন প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রস্তাব।
· ৫টি পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন স্থলকে সংগ্রহালয় সহ আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে। এগুলি হ’ল – হরিয়ানার রাখিগরহি, উত্তর প্রদেশের হস্তিনাপুর, আসামের শিবসাগর, গুজরাটের ঢোলাবীরা এবং তামিলনাডুর আদিচান্নালুর।
· প্রধানমন্ত্রী জানুয়ারি মাসে কলকাতায় ভারতীয় সংগ্রহালয়ের পুনঃসংস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন।
· কলকাতার ঐতিহাসিক ছাপাখানা ভবনে নিউমিসমেটিক্স অ্যান্ড ট্রেড মিউজিয়ামকে স্থানান্তরিত করা হবে।
· দেশের আরও চারটি সংগ্রহালয়ে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
· ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে আদিবাসী সংগ্রহালয় স্থাপনে সাহায্য করা হবে।
· আমেদাবাদের উপকন্ঠে লোথালে যেখানে হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে, সেখানে জাহাজ চলাচল মন্ত্রক একটি মেরিটাইম সংগ্রহালয় গড়ে তুলবে।
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন
· ২০২০-২১ সালে এই উদ্দেশ্যে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
· পুরনো তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি, যেখানে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ পূর্বনির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি, সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
· যে সমস্ত রাজ্য ১০ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যাবিশিষ্ট শহরগুলিতে বায়ু দূষণ হ্রাসের লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও রূপায়ণ করছে, তাদের উৎসাহিত করা হবে।
· প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো জোটের সূচনা করেছেন। আন্তর্জাতিক সৌরজোট গঠনের পর এই জোট গঠন দ্বিতীয় এ ধরণের উদ্যোগ।
সুপ্রশাসন
· স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, নীতি পরিচালিত এবং আস্থা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব।
· করদাতাদের সনদ কর প্রশাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিয়ে আসবে।
· কোম্পানি আইন সংশোধন করা হবে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফৌজদারির মতো বিষয়গুলিকে দায়েরা হিসাবে দেখা হবে।
· সরকারের নন-গেজেটেড পদগুলিতে এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের ব্যাঙ্কগুলিতে নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করা হবে।
· একটি নিরপেক্ষ পেশাদার ও বিশেষজ্ঞ জাতীয় নিয়োগ এজেন্সি সরকারি পদে নিয়োগের জন্য কম্প্যুটার-ভিত্তিক অনলাইন অভিন্ন যোগ্যতা যাচাই প্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে।
· প্রতিটি জেলায়, বিশেষ করে উন্নয়নে আগ্রহী জেলাগুলিতে একটি করে টেস্ট সেন্টার গড়ে তোলা হবে।
· মেধাবী ব্যক্তি ও পেশাদার বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন ট্রাইবুনাল ও বিশেষ কর্তৃপক্ষগুলিতে সরাসরি নিয়োগের জন্য এক মজবুত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
· চুক্তি-ভিত্তিক নিয়োগ সংক্রান্ত আইন আরও সুদৃঢ় করা হবে।
· সরকারি পরিসংখ্যান সংক্রান্ত নতুন জাতীয় নীতি।
· কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি।
· তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়নে সরকারি পরিসংখ্যান সংক্রান্ত নতুন জাতীয় নীতি।
· কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি।
· তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন।
· ২০২২ সালে ভারতে হতে চলা জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
· উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন। অনলাইন পোর্টাল ব্যবহারের মাধ্যমে তহবিল প্রবাহ আরও বৃদ্ধি।
· বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক তহবিলদাতা সংস্থাগুলির আর্থিক সহায়তা গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও সুযোগ-সুবিধা।
· কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের উন্নয়ন।
· ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৩০ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ।
· কেন্দ্রশাসিত লাদাখের জন্য বরাদ্দ ৫ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা।
আর্থিক ক্ষেত্র
· ১০টি ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে ৪টি ব্যাঙ্কে পরিণত করা হয়েছে।
· ৩ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা মূলধন যোগান।
· রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে আরও স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে আসতে প্রশাসনিক সংস্কার অব্যাহত থাকবে।
· সুনির্দিষ্ট কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহে মূলধনী বাজারে প্রবেশে উৎসাহিত করা হবে।
· ডিপসিট ইনস্যুরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন প্রত্যেক আমানতকারী ক্ষেত্রে ডিপোসিট ইনস্যুরেন্স কভারেজ ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করার অনুমতি দিয়েছে।
· তপশিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্যে এক উপযুক্ত ব্যবস্থার মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে, যাতে আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষিত থাকে।
· ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আইনে সংশোধন করে কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলিকে আরও মজবুত করা হবে।
· ব্যাঙ্ক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ঋণ পুনরুদ্ধারে প্রদেয় ক্ষমতা কমিয়ে সম্পদের পরিমাণ অনুযায়ী ৫০০ কোটি টাকা থেকে ১০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।
· ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বেসরকারি মূলধন – আইডিবিআই ব্যাঙ্কে সরকারের যে অংশ রয়েছে, তা বেসরকারি খুচরো ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিক্রি করে দেওয়া হবে।
· পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (পিএফআরডিএআই) আইন সংশোধন করা হবে।
· পিএফআরডিএআই – এর নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করা হবে।
· সরকারের পরিবর্তে কর্মচারীদের দিয়ে একটি পেনশন ট্রাস্ট গঠন করা হবে।
· ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে ছোট ও মাঝারি ক্ষেত্রের শিল্পোদ্যোগীদের জন্য সাব-অর্ডিনেট ঋণ সহায়তা প্রদানে নতুন কর্মসূচি।
· ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলির জন্য অ্যাপ-ভিত্তিক ইনভয়েস ফাইনান্সিং লোন প্রদান ব্যবস্থা শীঘ্রই চালু করা হবে।
আর্থিক ক্ষেত্র
· বন্ড বাজারের পরিধি আরও বাড়ানো।
· আর্থিক বরাত সংক্রান্ত বিষয়গুলির ক্ষেত্রে এক উপযুক্ত ব্যবস্থা প্রণয়নের জন্য নতুন নিয়মাবলী গ্রহণ করা হবে।
· ২০১৯-২০’র কেন্দ্রীয় বাজেট পরবর্তী সময়ে ব্যাঙ্ক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির লিক্যুইডিটি সংক্রান্ত সমস্যা দূরীকরণের জন্য একটি আংশিক ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু করা হয়।
পরিকাঠামো ক্ষেত্রে অর্থ সহায়তা
· ১০৩ লক্ষ কোটি টাকার একগুচ্ছ জাতীয় পরিকাঠামো প্রকল্পের কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে।
· পরিকাঠামো অর্থ সহায়তা সংস্থাগুলিকে ইক্যুয়িটি সহায়তা দিতে ২২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে।
বিলগ্নীকরণ
· ইনিশিয়াল পাবলিক অফার বা আইপিও-র মাধ্যমে সরকার ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের কিছু শেয়ার বিক্রি করে দেবে।
ফিসকাল ম্যানেজমেন্ট
· পঞ্চদশ অর্থ কমিশন ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য প্রথম রিপোর্ট জমা করেছে।
· কমিশনের প্রস্তাবগুলি গ্রহণ করা হয়েছে।
· কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদী চূড়ান্ত রিপোর্ট চলতি বছরের শেষের দিকে জমা পড়বে।
· জিএসটি ক্ষতি পূরণ তহবিল বাবদ ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ থেকে সংগৃহীত পাওনা তহবিলে দুই কিস্তিতে স্থানান্তরিত করা হবে।
· ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ব্যয়ের সংশোধিত হিসাব ২৬ লক্ষ ৯৯ হাজার কোটি টাকা।
· ২০২০-২১ সালের জন্য জিডিপি-র ন্যূনতম বিকাশ হার ১০ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে।
· ব্যয়ের হিসাব করা হয়েছে ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার কোটি টাকা।
· ২০১৯-২০’র সংশোধিত হিসাবে রাজস্ব ঘাটতি ৩.৮ শতাংশ হিসাব করা হয়েছে এবং ২০২০-২১ – এর বাজেট হিসাবে রাজস্ব ঘাটতি ৩.৫ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে।
· বাজার থেকে ঋণ সংগ্রহ – ২০১৯-২০’তে মোট ঋণ সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২০-২১ – এ হিসাব করা হয়েছে ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার কোটি টাকা।
প্রত্যক্ষ কর
প্রত্যক্ষ কর ক্ষেত্রে অগ্রগতি বজায় রাখতে, কর কাঠামোকে সরল করতে এবং নিয়মাবলী সরলীকরণের প্রস্তাব রয়েছে।
· ব্যক্তিগত আয়কর
Ø মধ্যবিত্ত শ্রেণীর করদাতাদের করছাড়ে রেহাই
প্রস্তাবিত কর কাঠামোর তালিকা নিম্নরূপ :
করযোগ্য আয়ের ধাপ (টাকায়)
|
বর্তমান কর কাঠামো
|
নতুন কর কাঠামো
|
২ লক্ষ ৫০ হাজার পর্যন্ত
|
কোন কর দিতে হবে না
|
কোন কর দিতে হবে না
|
২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ
|
৫ শতাংশ
|
৫ শতাংশ
|
৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার
|
২০ শতাংশ
|
১০ শতাংশ
|
৭ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ
|
২০ শতাংশ
|
১৫ শতাংশ
|
১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার
|
৩০ শতাংশ
|
২০ শতাংশ
|
১২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১৫ লক্ষ
|
৩০ শতাংশ
|
২৫ শতাংশ
|
১৫ লক্ষের ওপর
|
৩০ শতাংশ
|
৩০ শতাংশ
|
Ø বর্তমান হারে সারচার্জ ও সেস ধার্য অব্যাহত।
Ø নতুন এই কর ব্যবস্থায় প্রতি বছর ৪০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হবে।
· কর্পোরেট কর
Ø নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলির জন্য ১৫ শতাংশ করে ছাড়।
Ø ভারতীয় কর্পোরেট কর হার এখন বিশ্বে সবচেয়ে কম।
· ডিভিডেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন কর
Ø ভারতকে বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য করে তুলতে ডিভিডেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়েছে।
Ø এই কর প্রত্যাহারের ফলে বার্ষিক রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২৫ হাজার কোটি টাকা।
· স্টার্ট আপ
Ø ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনকারী স্টার্ট আপগুলি ১০ বছরের মধ্যে পর পর তিন বছর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধা পাবে।
· নগদবিহীন অর্থ বযবস্থার বিকাশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থা
Ø নগদে ৫ শতাংশের কম বাণিজ্যিক লেনদেন করার ক্ষেত্রে এ ধরণের সংস্থাগুলির জন্য লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়ে ১ কোটি টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা করা হয়েছে।
· কো-অপারেটিভ
Ø কো-অপারেটিভ বা সমবায় সংস্থা ও কর্পোরেট ক্ষেত্রের মধ্যে সাযুজ্য নিয়ে আসা হয়েছে।
Ø কোম্পানিগুলিকে ন্যূনতম বিকল্প কর থেকে যেমন ছাড় দেওয়া হয়েছে, তেমনই সমবায় সংস্থাগুলিকেও বিকল্প ন্যূনতম কর থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
· বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর ছাড়
Ø ২০২৪ সালের ৩১শে মার্চের পূর্বে পরিকাঠামো ও অগ্রাধিকারপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ থেকে আয়ের ক্ষেত্রে সুদ, লভ্যাংশ ও মূলধনে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর ছাড় রয়েছে। তবে, কর ছাড়ের এই সুবিধা তিন বছর পাওয়ায়া যাবে।
· সুলভ আবাসন
Ø সুলভ আবাসনের ক্ষেত্রে গৃহীত ঋণের ওপর প্রদেয় সুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দেড় লক্ষ টাকা ছাড় রয়েছে। কর ছাড়ের এই সুবিধা ২০২১ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত পাওয়া যাবে।
· আধারের মাধ্যমে অনলাইনে দ্রুত প্যান কার্ড দেওয়া হবে।
· প্রত্যক্ষ কর ক্ষেত্রে অমীমাংসিত মামলার সংখ্যা কমাতে বিবাদ সে বিসওয়াস প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
· আয়কর আইনের সংশোধন করে বিভাগীয় হস্তক্ষেপ কমানো হচ্ছে।
· কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ করদাতা সনদ গ্রহণ করবে।
অপ্রত্যক্ষ কর
Ø গ্রাহকদের ইনভয়েস বা রশিদ সংগ্রহে উৎসাহিত করতে নগদ পুরস্কার চালু হয়েছে।
Ø জিএসটি রিটার্ন ব্যবস্থা সরল করা হয়েছে। এসএমএস-ভিত্তিক জিএসটি রিটার্ন দাখিল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Ø গ্রাহকদের ইনভয়েস বা রশিদের জন্য ডায়নামিক কিউআর কোড ক্যাপচারিং ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হয়েছে।
· আদমানি শুল্ক
Ø জুতোর ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ এবং আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
Ø নিউজ প্রিন্ট এবং লাইট-ওয়েট কোটেড পেপার আমদানির ক্ষেত্রে বেসিক আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
Ø ইলেক্ট্রিক যানবাহন এবং মোবাইলের সরঞ্জামের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক হারে সংশোধন করা হয়েছে।
Ø কিছু কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে স্বাস্থ্য সেস্ আরোপ করা হবে।
Ø মোটরগাড়ির সরঞ্জাম, রাসায়নিক পদার্থ প্রভৃতির মতো কয়েকটি সামগ্রীর ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে।
Ø সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের ক্ষেত্রে অন্তঃশুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে। তবে, বিড়ির ক্ষেত্রে অন্তঃশুল্কে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না।
Ø বস্ত্র ক্ষেত্রের সুবিধার্থে পিটিএ সংক্রান্ত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক রদ করা হয়েছে।
ভারতীয় অর্থনীতির অভাবনীয় কিছু মাইলফলক ও সাফল্য
· ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি।
· ২০১৪-১৯ পর্যন্ত ৭.৪ শতাংশ হারে গড় অগ্রগতি হয়েছে। এই সময়ে মুদ্রাস্ফীতির গড় হার ছিল ৪.৫ শতাংশ।
· ২০০৬-১৬ পর্যন্ত সময়ে ২৭ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্য সীমার উপরে উঠে এসেছে।
· ২০১৪-১৯ পর্যন্ত সময়ে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯-১৪ পর্যন্ত সময়ে এই বিনিয়োগের পরিমাণ ১৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
· কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণের পরিমাণ ২০১৯ সালের মার্চে জিডিপি-র ৪৭.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০১৪’র মার্চে এই পরিমাণ ছিল ৫২.২ শতাংশ।
· জিএসটি চালু হওয়ার ফলে বহু সমস্যা দূর হয়েছে।
ডিজিটাল বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বে ভারতের অভিনব নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বজায় রাখতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
· ডিজিটাল প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সহজে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া।
· জাতীয় পরিকাঠামো কর্মসূচির মাধ্যমে পরিকাঠামোর বাস্তব পরিস্থিতির মানোন্নয়ন।
· বিপর্যয় প্রতিরোধী ব্যবস্থার মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস এবং
· পেনশন ও বিমার সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে সামাজিক নিরাপত্তা।
CG/BD/SB
(Release ID: 1601594)
Visitor Counter : 922