অর্থমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০-২১ : উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য

Posted On: 01 FEB 2020 7:54PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

 

 

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকের প্রথম বাজেট পেশ করেন। এই বাজেটে স্বল্প মেয়াদী, মাঝারি মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ভারতীয় অর্থনীতিতে আরও গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে একগুচ্ছ সুদূরপ্রসারী সংস্কারের প্রস্তাব রয়েছে।

 

কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০-২১ – এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :

 

বাজেটের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

 

·         উচ্চাকাঙ্খী ভারত – স্বাস্থ্য ও শিক্ষার সুযোগ-সুবিধা আরও নাগালে এনে জীবনযাপনের মানোন্নয়ন এবং সমাজের সব শ্রেণীর জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান।

·         সকলের জন্য আর্থিক উন্নয়ন – ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস’।

·         যত্নশীল সমাজ – মানবিক ও সমব্যথী উভয়ই; আস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক অন্ত্যোদয়।

·         তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে একত্রিত করা হয়েছে :

Ø  দুর্নীতিমুক্ত, নীতি পরিচালিত সুপ্রশাসন

Ø  স্বচ্ছ ও মজবুত আর্থিক ক্ষেত্র

·         কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০-২১ – এর তিনটি বিষয়ের মধ্য দিয়ে সহজে জীবনযাপনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

 

উচ্চাকাঙ্খী ভারতের তিনটি দিক

 

·         কৃষি, সেচ ও গ্রামোন্নয়ন

·         সার্বিক কল্যাণ, জল ও স্বচ্ছতা

·         শিক্ষা ও দক্ষতা

 

কৃষি, সেচ ও গ্রামোন্নয়নের জন্য ১৬ দফা কর্মপরিকল্পনা

 

·         নিম্নলিখিত ১৬ দফা কর্মপরিকল্পনার জন্য ২ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।

Ø  কৃষি, সেচ ও সহযোগী ক্ষেত্রের জন্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা।

Ø  গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতের জন্য ১ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকা।

 

·         কৃষিতে ঋণ

Ø  ২০২০-২১ সালের জন্য ১৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ সহায়তার লক্ষ্য।

Ø  কিষাণ ক্রেডিট কার্ড কর্মসূচির আওতায় পিএম-কিষাণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের নিয়ে আসা হবে।

Ø  নাবার্ডের পুনঃঋণদান কর্মসূচির আরও সম্প্রসারণ।

 

·         জলসঙ্কটগ্রস্থ ১০০টি জেলার জন্য সুসংবদ্ধ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব।

·         নীল অর্থনীতি

Ø  ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে মৎস্য রপ্তানির পরিমাণ ১ লক্ষ কোটি টাকা অর্জন।

Ø  ২০২২-২৩ সালের মধ্যে ২ কোটি টন মাছ উৎপাদন।

Ø  মৎস্য চাষ ক্ষেত্রের সম্প্রসারণে ৩ হাজার ৪৭৭ সাগরমিত্র এবং ৫০০টি মৎস্য উৎপাদন সংগঠন যুবসমাজকে সামিল করবে।

Ø  শ্যাওলা, সামুদ্রিক উদ্ভিদ চাষবাসের প্রসার ঘটানো।

Ø  সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের উন্নয়ন পরিচালনা ও সংরক্ষণের জন্য পরিকাঠামো গঠন।

 

·         সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ভারতীয় রেল কিষাণ রেল স্থাপন করবে।

Ø  পচনশীল বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী, যেমন – দুগ্ধ, মাংস, মাছ প্রভৃতির জন্য জাতীয় স্তরে কোল্ড সাপ্লাই চেন বা হিমঘরের ব্যবস্থা।

Ø  এক্সপ্রেস ও পণ্যবাহী ট্রেনে বাতানুকূল কামরা।

 

·         কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক কৃষি উড়ান কর্মসূচির সূচনা করবে।

Ø  আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় রুটই এই কর্মসূচির আওতায় আসবে।

Ø  উত্তর-পূর্ব ও আদিবাসী জেলাগুলি কৃষিজ পণ্যের ক্ষেত্রে আরও বেশি মূল্য সুবিধা পাবে।

 

·         উদ্যান পালন ক্ষেত্রে আরও ভালো বিপণন ও রপ্তানির জন্য এক পণ্য, এক জেলা।

·         সব ধরণের সারের সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহার – পরম্পরাগত জৈব সার এবং কৃত্রিম সার।

·         জৈব, প্রাকৃতিক ও সুসংবদ্ধ কৃষি কাজের জন্য একাধিক ব্যবস্থা।

Ø  জৈবিক ক্ষেতি পোর্টাল – অনলাইন জাতীয় জৈব চাষাবাদগত পণ্য বাজারের আরও সংহতকরণ।

Ø  জিরো বাজেট প্রাকৃতিক চাষাবাদকেও (২০১৯ – এর জুলাই মাসে পেশ করা বাজেট উল্লেখ করা হয়েছিল) অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

Ø  বৃষ্টিধৌত এলাকাগুলিতেও সুসংবদ্ধ চাষাবাদ পদ্ধতির সম্প্রসারণ করা হবে।

Ø  ফসল উৎপাদন হয় না এমন মরশুমে বিভিন্ন ধরণের শস্য, মৌ-পালন, সৌরবিদ্যুৎ চালিত জল পাম্প এবং সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়গুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

 

·         কিএম-কুসুম কর্মসূচির আরও সম্প্রসারণ

Ø  ২০ লক্ষ কৃষককে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পাম্প দেওয়া হবে।

Ø  আরও ১৫ লক্ষ কৃষককে তাঁদের গ্রিড সংযুক্ত জল পাম্পগুলিকে সৌরবিদ্যুৎ চালিত করার জন্য সাহায্য করা হবে।

Ø  কৃষকদের তাঁদের খালি পড়ে থাকা জমিতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ও এই বিদ্যুৎ বিক্রিতে সাহায্যের জন্য কর্মসূচি চালু করা হবে।

 

·         গ্রামে মজুত ভান্ডার কর্মসূচি

Ø  কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের মজুত রাখার ব্যবস্থা বৃদ্ধিতে এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে অপচয় কমাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি এই কর্মসূচি পরিচালনা করবে।

Ø  মহিলা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি ধান্য লক্ষ্মী হিসাবে তাঁদের মর্যাদা অর্জন করবে।

 

·         নাবার্ড কৃষিজ পণ্যের মজুত ভান্ডার, হিমঘর প্রভৃতির মানচিত্র ও জিও ট্যাগ তৈরি করবে।

·         ওয়্যার হাউস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির নিয়মাবলির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ওয়্যার হাউসিং গড়ে তোলা হবে।

Ø  ব্লক স্তরে উপযুক্ত ওয়্যারহাউস স্থাপনের জন্য ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং – এর ব্যবস্থা।

Ø  ভারতীয় খাদ্য নিগম ও কেন্দ্রীয় ওয়্যারহাউসিং কর্পোরেশন এই ওয়্যারহাউস ভবনগুলির দেখভাল করবে।

 

·         ই-ন্যাম ব্যবস্থার সঙ্গে নেগোশিয়েবল ওয়্যারহাউসিং রিসিপ্ট সংক্রান্ত আর্থিক বিষয়গুলিকে যুক্ত করা হবে।

·         কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা আদর্শ আইনগুলি রূপায়ণে রাজ্য সরকারগুলিকে উৎসাহিত করা হবে।

·         গবাদি পশু

Ø  দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ২০২৫ সালের মধ্যে ৫৩.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন থেকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১০৮ মিলিটয়ন মেট্রিক টন করা।

Ø  কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন হার বর্তমানের ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭০ শতাংশ করা।

Ø  পশুখাদ্য উৎপাদন কেন্দ্রগুলির অগ্রগতিতে এমজিএনআরইজিএস – এর সাহায্য নেওয়া হবে।

Ø  ২০২৫ সালের মধ্যে গরুর মুখ ও পায়ের খুরের রোগ এবং ব্রুসেলোসিস সংক্রমণ ঠেকানো।

 

·         দীন দয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা – দারিদ্র্য দূরীকরণে ৫৮ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করা হবে ৫০ কোটি পরিবারের জন্য।

সার্বিক কল্যাণ, জল ও স্বচ্ছতা

 

·         সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রের জন্য ৬৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ।

·         প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার জন্য ৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

Ø  প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতায় ইতিমধ্যেই ২০ হাজারেরও বেশি হাসপাতাল নথিভুক্ত।

Ø  সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে হাসপাতাল স্থাপনের জন্য ভায়াবিলিটি গ্যাফ ফান্ডিং – এর প্রস্তাব।

Ø  উন্নয়নে আগ্রহী যে সমস্ত জেলায় আয়ুষ্মান কর্মসূচির অধীনে নথিভুক্ত হাসপাতাল নেই, সেই সমস্ত জেলাগুলিকে প্রথম পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

 

·         ২০২৪ সালের মধ্যে সমস্ত জেলায় জন ঔষধি কেন্দ্র কর্মসূচির মাধ্যমে ২ হাজার ওষুধ ও ৩০০টি সার্জিকাল সামগ্রী পাওয়া যাবে।

·         ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা দূরীকরণে টিবি হারেগা দেশ জিতেগা অভিযানের সূচনা।

·         জল জীবন মিশনের জন্য ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত।

Ø  ২০২০-২১ সালের জন্য ১১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

Ø  স্থানীয় জলের উৎস বাড়ানো, বর্তমান জল উৎসগুলির পুনরুজ্জীবন এবং জল সিঞ্চন প্রসার।

Ø  চলতি বছরের মধ্যেই উক্ত উদ্দেশ্যগুলি অর্জনে ১০ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যাবিশিষ্ট শহরগুলিকে উৎসাহিত করা হবে।

 

·         ২০২০-২১ – এ স্বচ্ছ ভারত মিশনের জন্য ১২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।

Ø  প্রকাশ্য স্থানে শৌচকর্ম বর্জনের অভ্যাস বজায় রাখতে ওডিএফ – প্লাস অঙ্গীকার।

Ø  কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ, উৎস থেকে বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং প্রক্রিয়াকরণে গুরুত্ব।

 

শিক্ষা ও দক্ষতা

 

·         ২০২০-২১ সালে শিক্ষা ক্ষেত্রের জন্য ৯৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা।

·         নতুন শিক্ষা নীতি শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।

·         জাতীয় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাব।

·         ন্যাশনাল ইন্সটিটিউশনাল র‍্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কে অগ্রণী ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ডিগ্রি পর্যায়ে সম্পূর্ণ অনলাইন শিক্ষা কর্মসূচি।

·         শহরাঞ্চলীয় স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থাগুলিতে সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীদের জন্য এক বছর পর্যন্ত ইন্টার্নশিপের সুবিধা।

·         সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বর্তমানে চালু একটি জেলা হাসপাতালের সঙ্গে একটি মেডিকেল কলেজকে জুড়ে দেবার প্রস্তাব।

·         কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রক বিশেষ ব্রিজ কোর্স প্রণয়ন করবে।

·         শিক্ষক-শিক্ষিকা, সেবিকা, আধা-চিকিৎসা কর্মী প্রভৃতি ক্ষেত্রে চাহিদা মেটাবে।

·         ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ১৫০টি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যাপ্রেন্টিকশিপ এম্বেডেড ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা কোর্স চালু করবে।

·         শিক্ষা ক্ষেত্রের জন্য বহির্বিভাগীয় বাণিজ্যিক ঋণ সহায়তা ও এফডিআই – এর সুবিধা।

·         স্টাডি ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলির জন্য ইন্ড-স্যাট মহাকাশে প্রেরণের প্রস্তাব।

 

অর্থনৈতিক উন্নয়ন

 

শিল্প, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ

 

·         শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের উন্নয়ন তথা প্রসারে ২০২০-২১ সালের জন্য ২৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।

·         বিনিয়োগ অনুমোদন সেল গঠনের প্রস্তাব।

·         নতুন ৫টি স্মার্ট সিটি গড়ে তোলার প্রস্তাব।

·         মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম উৎপাদকদের উৎসাহিত করতে প্রকল্প।

·         জাতীয় প্রযুক্তিগত বস্ত্র মিশন চালুর প্রস্তাব।

·         ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে এই মিশনের রূপায়ণ।

·         এই মিশন রূপায়ণে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা।

·         প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বস্ত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতকে বিশ্বের অগ্রণী দেশ হিসাবে গড়ে তোলা।

·         রপ্তানি ক্ষেত্রে আরও বেশি ঋণ সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে নতুন কর্মসূচি নির্ভীক চালু করা হবে।

·         সরকারি ই-বাজার ব্যবস্থার লেনদেন পরিমাণ ৩ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব।

·         রপ্তানি পণ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর সংশোধনের প্রকল্প চালু করা হবে।

Ø  কেন্দ্র, রাজ্য ও স্থানীয় স্তরে ধার্য শুল্ক ও কর রাপ্তানিকারকরা ডিজিটাল উপায়ে রিফান্ড করতে পারবেন।

·         উৎপাদন ক্ষেত্রে জিরো ডিফেক্ট – জিরো এফেক্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী সমস্ত মন্ত্রক গুণমান সংক্রান্ত মানক জারি করতে পারবে।

 

পরিকাঠামো

 

·         আগামী পাঁচ বছরে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ।

·         জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলাইন :

Ø  ১০৩ লক্ষ কোটি টাকার একাধিক প্রকল্প; সূচনা ২০১৯ – এর ৩১শে ডিসেম্বর।

Ø  বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৬ হাজার ৫০০-রও বেশি প্রকল্পকে তাদের পরিধি ও উন্নয়নে অগ্রগতির নিরিখে শ্রেণী বিভক্ত করা হয়েছে।

·         শীঘ্রই একটি জাতীয় লজিস্টিক নীতি প্রকাশ করা হবে।

Ø  এক জানালাবিশিষ্ট ই-লজিস্টিক বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

Ø  কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন সহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলিকে আরও প্রতিযোগিতামুখী করে তোলার ওপর গুরুত্ব।

 

·         জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন এজেন্সি পরিকাঠামো-ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ-সুবিধার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেবে।

·         পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির জন্য প্রোজেক্ট প্রিপারেশন সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব।

·         সরকারের পরিকাঠামো সংস্থাগুলি স্টার্ট আপ ক্ষেত্রে যুবশক্তিকে কাজে লাগাবে।

·         ২০২০-২১ সালে পরিবহণ পরিকাঠামো ক্ষেত্রের জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব।

 

জাতীয় মহাসড়ক

 

·         জাতীয় মহাসড়কগুলির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে। এই লক্ষ্যে

Ø  ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার অ্যাকসেস কন্ট্রোল হাইওয়ে।

Ø  ৯ হাজার কিলোমিটার অর্থনৈতিক করিডর।

Ø  ২ হাজার কিলোমিটার উপকূল ও স্থলবন্দর সংক্রান্ত সড়ক।

Ø  ২ হাজার কিলোমিটার স্ট্যাটেজিক হাইওয়ে।

 

·         দিল্লি – মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে সহ আরও দুটি কর্মসূচির কাজ ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

·         চেন্নাই – বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু করা হবে।

 

ভারতীয় রেলওয়ে

 

·         ৫টি ব্যবস্থা :

 

Ø  রেললাইন বরাবর রেলের জমিতে বৃহদায়তন সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা গড়ে তোলা হবে।

Ø  চারটি স্টেশনের পুনরুন্নোয়ন প্রকল্প এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ১৫০টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু করা।

Ø  জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে আরও বেশি সংখ্যায় তেজস শ্রেণীর ট্রেন পরিষেবা।

Ø  মুম্বাই ও আমেদাবাদের মধ্যে উচ্চগতসম্পন্ন ট্রেন চালানোর বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে।

Ø  ১৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে উঠতে চলা ১৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বেঙ্গালুরু শহরতলী পরিবহণ প্রকল্পে মেট্রো পরিষেবার আদলে ভাড়া।

 

·         ভারতীয় রেলের সাফল্য :

Ø  ৫৫০টি স্টেশনে ওয়াইফাই ফেসিলিটি চালু করা হয়েছে।

Ø  রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিং আর নেই।

Ø  ২৭ হাজার কিলোমিটার রেললাইনের বৈদ্যুতিকীকরণ।

 

বন্দর ও জলপথ

 

Ø  অন্তত একটি প্রধান বন্দরের কর্পোরেটাইজিং করা হবে এবং সেটিকে স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত করার ব্যাপারে নথিভুক্ত করা হবে।

Ø  প্রধানমন্ত্রীর অর্থ গঙ্গা পরিকল্পনা অনুযায়ী, নদী তীরবর্তী এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে উৎসাহ দেওয়া হবে।

 

বিমানবন্দর

 

·         উড়ান প্রকল্পের আরও সম্প্রসারণে ২০২৪ সালের মধ্যে আরও ১০০টি বিমানবন্দর গড়ে তোলা হবে।

·         আলোচ্য সময়ের মধ্যে বিমানের ওঠা-নামা বর্তমানে ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২০০ করা হবে।

 

বিদ্যুৎ

 

·         ‘স্মার্ট’ মিটার ব্যবস্থা কার্যকর করতে উদ্যোগ

·         বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থাগুলির সংস্কারে আরও ব্যবস্থা

 

শক্তি

 

·         ২০২০-২১ সালে শক্তি ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রের জন্য ২২ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব।

·         জাতীয় গ্যাস গ্রিডের পরিধি বর্তমান ১৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ২৭ হাজার কিলোমিটার করার প্রস্তাব।

 

নতুন অর্থনীতি

 

Ø  বেসরকারি ক্ষেত্রকে দেশ জুড়ে ডেটা সেন্টার পার্ক গড়ে তোলার জন্য শীঘ্রই নীতি-পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে।

Ø  চলতি বছরে ১ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতকে ভারত নেট ব্যবস্থার মাধ্যমে ফাইবার টু হোম ব্যবস্থার সঙ্গে জুড়ে ফেলা।

Ø  ২০২০-২১ সালে ভারত নেট কর্মসূচির জন্য ৬ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব।

Ø  মেধাস্বত্ত্ব অধিকারের প্রয়োগে সুবিধা দিতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হবে।

Ø  বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নলেজ ট্রান্সলেশন ক্লাস্টার গড়ে তোলা হবে।

Ø  ভারতের জেনেটিক মানচিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় স্তরে নতুন দুটি বিজ্ঞান-ভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

Ø  কোয়ান্টাম টেকলোলজি ও তার প্রয়োগ সংক্রান্ত জাতীয় মিশনের জন্য আগামী পাঁচ বছরে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব।

 

যত্নশীল সমাজ

 

·         গুরুত্ব দেওয়া হবে –

Ø  মহিলা ও শিশুদের ওপর

Ø  সামাজিক কল্যাণ ক্ষেত্রে

Ø  সংস্কৃতি ও পর্যটন ক্ষেত্রে

 

·         ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য পুষ্টি সংক্রান্ত কর্মসূচিগুলিতে ৩৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।

·         মহিলা-কেন্দ্রীক কর্মসূচিগুলির জন্য ২৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকার প্রস্তাব।

·         একটি মেয়ের মাতৃত্বের উপযুক্ত বয়সের বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়ার জন্য একটি কর্মগোষ্ঠী গঠনের প্রস্তাব। এই কর্মী ছ’মাসের মধ্যে তার প্রতিবেদন পেশ করবে।

·         তপশিলি জাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর কল্যাণের জন্য ২০২০-২১ সালে ৮৫ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব।

·         তপশিলি আদিবাসীদের উন্নয়ন ও কল্যাণে ৫৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

·         প্রবীণ নাগরিক ও দিব্যাঙ্গদের জন্য ২০২০-২১ সালে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বর্ধিত বরাদ্দ মঞ্জুর করা হয়েছে।

 

সংস্কৃতি ও পর্যটন

 

·         পর্যটন ক্ষেত্রের প্রসারে ২০২০-২১ সালে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।

·         সংস্কৃতি মন্ত্রকের জন্য ২০২০-২১ সালে ৩ হাজার ১৫০ কোটি টাকার প্রস্তাব।

·         ডিমড্‌ বিশ্ববিদ্যালয় মর্যাদাসম্পন্ন সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনে একটি হেরিটেজ ও কনজারভেশন প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রস্তাব।

·         ৫টি পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন স্থলকে সংগ্রহালয় সহ আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে। এগুলি হ’ল – হরিয়ানার রাখিগরহি, উত্তর প্রদেশের হস্তিনাপুর, আসামের শিবসাগর, গুজরাটের ঢোলাবীরা এবং তামিলনাডুর আদিচান্নালুর।

·         প্রধানমন্ত্রী জানুয়ারি মাসে কলকাতায় ভারতীয় সংগ্রহালয়ের পুনঃসংস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন।

·         কলকাতার ঐতিহাসিক ছাপাখানা ভবনে নিউমিসমেটিক্স অ্যান্ড ট্রেড মিউজিয়ামকে স্থানান্তরিত করা হবে।

·         দেশের আরও চারটি সংগ্রহালয়ে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

·         ঝাড়খন্ডের রাঁচিতে আদিবাসী সংগ্রহালয় স্থাপনে সাহায্য করা হবে।

·         আমেদাবাদের উপকন্ঠে লোথালে যেখানে হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে, সেখানে জাহাজ চলাচল মন্ত্রক একটি মেরিটাইম সংগ্রহালয় গড়ে তুলবে।

 

পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন

 

·         ২০২০-২১ সালে এই উদ্দেশ্যে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।

·         পুরনো তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি, যেখানে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ পূর্বনির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি, সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে।

·         যে সমস্ত রাজ্য ১০ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যাবিশিষ্ট শহরগুলিতে বায়ু দূষণ হ্রাসের লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও রূপায়ণ করছে, তাদের উৎসাহিত করা হবে।

·         প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো জোটের সূচনা করেছেন। আন্তর্জাতিক সৌরজোট গঠনের পর এই জোট গঠন দ্বিতীয় এ ধরণের উদ্যোগ।

 

সুপ্রশাসন

 

·         স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, নীতি পরিচালিত এবং আস্থা বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব।

·         করদাতাদের সনদ কর প্রশাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিয়ে আসবে।

·         কোম্পানি আইন সংশোধন করা হবে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফৌজদারির মতো বিষয়গুলিকে দায়েরা হিসাবে দেখা হবে।

·         সরকারের নন-গেজেটেড পদগুলিতে এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের ব্যাঙ্কগুলিতে নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করা হবে।

·         একটি নিরপেক্ষ পেশাদার ও বিশেষজ্ঞ জাতীয় নিয়োগ এজেন্সি সরকারি পদে  নিয়োগের জন্য কম্প্যুটার-ভিত্তিক অনলাইন অভিন্ন যোগ্যতা যাচাই প্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে।

·         প্রতিটি জেলায়, বিশেষ করে উন্নয়নে আগ্রহী জেলাগুলিতে একটি করে টেস্ট সেন্টার গড়ে তোলা হবে।

·         মেধাবী ব্যক্তি ও পেশাদার বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন ট্রাইবুনাল ও বিশেষ কর্তৃপক্ষগুলিতে সরাসরি নিয়োগের জন্য এক মজবুত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

·         চুক্তি-ভিত্তিক নিয়োগ সংক্রান্ত আইন আরও সুদৃঢ় করা হবে।

·         সরকারি পরিসংখ্যান সংক্রান্ত নতুন জাতীয় নীতি।

·         কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি।

·         তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়নে সরকারি পরিসংখ্যান সংক্রান্ত নতুন জাতীয় নীতি।

·         কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি।

·         তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থায় আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন।

·         ২০২২ সালে ভারতে হতে চলা জি-২০ শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতি শুরু করতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।

·         উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন। অনলাইন পোর্টাল ব্যবহারের মাধ্যমে তহবিল প্রবাহ আরও বৃদ্ধি।

·         বহুপাক্ষিক ও দ্বিপাক্ষিক তহবিলদাতা সংস্থাগুলির আর্থিক সহায়তা গ্রহণের ক্ষেত্রে আরও সুযোগ-সুবিধা।

·         কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের উন্নয়ন।

·         ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৩০ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ।

·         কেন্দ্রশাসিত লাদাখের জন্য বরাদ্দ ৫ হাজার ৯৫৮ কোটি টাকা।

 

আর্থিক ক্ষেত্র

 

·         ১০টি ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে ৪টি ব্যাঙ্কে পরিণত করা হয়েছে।

·         ৩ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা মূলধন যোগান।

·         রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে আরও স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে আসতে প্রশাসনিক সংস্কার অব্যাহত থাকবে।

·         সুনির্দিষ্ট কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে অতিরিক্ত মূলধন সংগ্রহে মূলধনী বাজারে প্রবেশে উৎসাহিত করা হবে।

·         ডিপসিট ইনস্যুরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন প্রত্যেক আমানতকারী ক্ষেত্রে ডিপোসিট ইনস্যুরেন্স কভারেজ ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করার অনুমতি দিয়েছে।

·         তপশিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক স্বাস্থ্যে এক উপযুক্ত ব্যবস্থার মাধ্যমে নজর রাখা হচ্ছে, যাতে আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষিত থাকে।

·         ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন আইনে সংশোধন করে কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলিকে আরও মজবুত করা হবে।

·         ব্যাঙ্ক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ঋণ পুনরুদ্ধারে প্রদেয় ক্ষমতা কমিয়ে সম্পদের পরিমাণ অনুযায়ী ৫০০ কোটি টাকা থেকে ১০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

·         ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বেসরকারি মূলধন – আইডিবিআই ব্যাঙ্কে সরকারের যে অংশ রয়েছে, তা বেসরকারি খুচরো ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিক্রি করে দেওয়া হবে।

·         পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (পিএফআরডিএআই) আইন সংশোধন করা হবে।

·         পিএফআরডিএআই – এর নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করা হবে।

·         সরকারের পরিবর্তে কর্মচারীদের দিয়ে একটি পেনশন ট্রাস্ট গঠন করা হবে।

·         ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমে ছোট ও মাঝারি ক্ষেত্রের শিল্পোদ্যোগীদের জন্য সাব-অর্ডিনেট ঋণ সহায়তা প্রদানে নতুন কর্মসূচি।

·         ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলির জন্য অ্যাপ-ভিত্তিক ইনভয়েস ফাইনান্সিং লোন প্রদান ব্যবস্থা শীঘ্রই চালু করা হবে।

 

আর্থিক ক্ষেত্র

 

·         বন্ড বাজারের পরিধি আরও বাড়ানো।

·         আর্থিক বরাত সংক্রান্ত বিষয়গুলির ক্ষেত্রে এক উপযুক্ত ব্যবস্থা প্রণয়নের জন্য নতুন নিয়মাবলী গ্রহণ করা হবে।

·         ২০১৯-২০’র কেন্দ্রীয় বাজেট পরবর্তী সময়ে ব্যাঙ্ক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির লিক্যুইডিটি সংক্রান্ত সমস্যা দূরীকরণের জন্য একটি আংশিক ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম চালু করা হয়।

 

পরিকাঠামো ক্ষেত্রে অর্থ সহায়তা

 

·         ১০৩ লক্ষ কোটি টাকার একগুচ্ছ জাতীয় পরিকাঠামো প্রকল্পের কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে।

·         পরিকাঠামো অর্থ সহায়তা সংস্থাগুলিকে ইক্যুয়িটি সহায়তা দিতে ২২ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে।

 

বিলগ্নীকরণ

 

·         ইনিশিয়াল পাবলিক অফার বা আইপিও-র মাধ্যমে সরকার ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের কিছু শেয়ার বিক্রি করে দেবে।

 

ফিসকাল ম্যানেজমেন্ট

 

·         পঞ্চদশ অর্থ কমিশন ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য প্রথম রিপোর্ট জমা করেছে।

·         কমিশনের প্রস্তাবগুলি গ্রহণ করা হয়েছে।

·         কমিশনের পাঁচ বছর মেয়াদী চূড়ান্ত রিপোর্ট চলতি বছরের শেষের দিকে জমা পড়বে।

·         জিএসটি ক্ষতি পূরণ তহবিল বাবদ ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ থেকে সংগৃহীত পাওনা তহবিলে দুই কিস্তিতে স্থানান্তরিত করা হবে।

·         ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ব্যয়ের সংশোধিত হিসাব ২৬ লক্ষ ৯৯ হাজার কোটি টাকা।

·         ২০২০-২১ সালের জন্য জিডিপি-র ন্যূনতম বিকাশ হার ১০ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে।

·         ব্যয়ের হিসাব করা হয়েছে ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার কোটি টাকা।

·         ২০১৯-২০’র সংশোধিত হিসাবে রাজস্ব ঘাটতি ৩.৮ শতাংশ হিসাব করা হয়েছে এবং ২০২০-২১ – এর বাজেট হিসাবে রাজস্ব ঘাটতি ৩.৫ শতাংশ অনুমান করা হয়েছে।

·         বাজার থেকে ঋণ সংগ্রহ – ২০১৯-২০’তে মোট ঋণ সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২০-২১ – এ হিসাব করা হয়েছে ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার কোটি টাকা।

 

প্রত্যক্ষ কর

 

প্রত্যক্ষ কর ক্ষেত্রে অগ্রগতি বজায় রাখতে, কর কাঠামোকে সরল করতে এবং নিয়মাবলী সরলীকরণের প্রস্তাব রয়েছে।

 

·         ব্যক্তিগত আয়কর

Ø  মধ্যবিত্ত শ্রেণীর করদাতাদের করছাড়ে রেহাই

 

প্রস্তাবিত কর কাঠামোর তালিকা নিম্নরূপ :

করযোগ্য আয়ের ধাপ (টাকায়)

বর্তমান কর কাঠামো

নতুন কর কাঠামো

২ লক্ষ ৫০ হাজার পর্যন্ত

কোন কর দিতে হবে না

কোন কর দিতে হবে না

২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ

৫ শতাংশ

৫ শতাংশ

৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার

২০ শতাংশ

১০ শতাংশ

৭ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ

২০ শতাংশ

১৫ শতাংশ

১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার

৩০ শতাংশ

২০ শতাংশ

১২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১৫ লক্ষ

৩০ শতাংশ

২৫ শতাংশ

১৫ লক্ষের ওপর

৩০ শতাংশ

৩০ শতাংশ

 

Ø  বর্তমান হারে সারচার্জ ও সেস ধার্য অব্যাহত।

Ø  নতুন এই কর ব্যবস্থায় প্রতি বছর ৪০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হবে।

 

·         কর্পোরেট কর

Ø  নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলির জন্য ১৫ শতাংশ করে ছাড়।

Ø  ভারতীয় কর্পোরেট কর হার এখন বিশ্বে সবচেয়ে কম।

·         ডিভিডেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন কর

Ø  ভারতকে বিনিয়োগের অন্যতম গন্তব্য করে তুলতে ডিভিডেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়েছে।

Ø  এই কর প্রত্যাহারের ফলে বার্ষিক রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২৫ হাজার কোটি টাকা।

 

·         স্টার্ট আপ

Ø  ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনকারী স্টার্ট আপগুলি ১০ বছরের মধ্যে পর পর তিন বছর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর ছাড়ের সুবিধা পাবে।

 

·         নগদবিহীন অর্থ বযবস্থার বিকাশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থা

Ø  নগদে ৫ শতাংশের কম বাণিজ্যিক লেনদেন করার ক্ষেত্রে এ ধরণের সংস্থাগুলির জন্য লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়ে ১ কোটি টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা করা হয়েছে।

 

·         কো-অপারেটিভ

Ø  কো-অপারেটিভ বা সমবায় সংস্থা ও কর্পোরেট ক্ষেত্রের মধ্যে সাযুজ্য নিয়ে আসা হয়েছে।

Ø  কোম্পানিগুলিকে ন্যূনতম বিকল্প কর থেকে যেমন ছাড় দেওয়া হয়েছে, তেমনই সমবায় সংস্থাগুলিকেও বিকল্প ন্যূনতম কর থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।

 

·         বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর ছাড়

Ø  ২০২৪ সালের ৩১শে মার্চের পূর্বে পরিকাঠামো ও অগ্রাধিকারপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ থেকে আয়ের ক্ষেত্রে সুদ, লভ্যাংশ ও মূলধনে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত কর ছাড় রয়েছে। তবে, কর ছাড়ের এই সুবিধা তিন বছর পাওয়ায়া যাবে।

 

·         সুলভ আবাসন

Ø  সুলভ আবাসনের ক্ষেত্রে গৃহীত ঋণের ওপর প্রদেয় সুদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত দেড় লক্ষ টাকা ছাড় রয়েছে। কর ছাড়ের এই সুবিধা ২০২১ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত পাওয়া যাবে।

 

·         আধারের মাধ্যমে অনলাইনে দ্রুত প্যান কার্ড দেওয়া হবে।

·         প্রত্যক্ষ কর ক্ষেত্রে অমীমাংসিত মামলার সংখ্যা কমাতে বিবাদ সে বিসওয়াস প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

·         আয়কর আইনের সংশোধন করে বিভাগীয় হস্তক্ষেপ কমানো হচ্ছে।

·         কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ করদাতা সনদ গ্রহণ করবে।

অপ্রত্যক্ষ কর

Ø  গ্রাহকদের ইনভয়েস বা রশিদ সংগ্রহে উৎসাহিত করতে নগদ পুরস্কার চালু হয়েছে।

Ø  জিএসটি রিটার্ন ব্যবস্থা সরল করা হয়েছে। এসএমএস-ভিত্তিক জিএসটি রিটার্ন দাখিল করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

Ø  গ্রাহকদের ইনভয়েস বা রশিদের জন্য ডায়নামিক কিউআর কোড ক্যাপচারিং ব্যবস্থার প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

·         আদমানি শুল্ক

Ø  জুতোর ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ এবং আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।

Ø  নিউজ প্রিন্ট এবং লাইট-ওয়েট কোটেড পেপার আমদানির ক্ষেত্রে বেসিক আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

Ø  ইলেক্ট্রিক যানবাহন এবং মোবাইলের সরঞ্জামের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক হারে সংশোধন করা হয়েছে।

Ø  কিছু কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে স্বাস্থ্য সেস্‌ আরোপ করা হবে।

Ø  মোটরগাড়ির সরঞ্জাম, রাসায়নিক পদার্থ প্রভৃতির মতো কয়েকটি সামগ্রীর ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে।

Ø  সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের ক্ষেত্রে অন্তঃশুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব রয়েছে। তবে, বিড়ির ক্ষেত্রে অন্তঃশুল্কে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না।

Ø  বস্ত্র ক্ষেত্রের সুবিধার্থে পিটিএ সংক্রান্ত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক রদ করা হয়েছে।

 

ভারতীয় অর্থনীতির অভাবনীয় কিছু মাইলফলক ও সাফল্য

·         ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি।

·         ২০১৪-১৯ পর্যন্ত ৭.৪ শতাংশ হারে গড় অগ্রগতি হয়েছে। এই সময়ে মুদ্রাস্ফীতির গড় হার ছিল ৪.৫ শতাংশ।

·         ২০০৬-১৬ পর্যন্ত সময়ে ২৭ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ দারিদ্র্য সীমার উপরে উঠে এসেছে।

·         ২০১৪-১৯ পর্যন্ত সময়ে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৯-১৪ পর্যন্ত সময়ে এই বিনিয়োগের পরিমাণ ১৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

·         কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণের পরিমাণ ২০১৯ সালের মার্চে জিডিপি-র ৪৭.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০১৪’র মার্চে এই পরিমাণ ছিল ৫২.২ শতাংশ।

·         জিএসটি চালু হওয়ার ফলে বহু সমস্যা দূর হয়েছে।

 

ডিজিটাল বিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বে ভারতের অভিনব নেতৃত্বদানের ক্ষমতা বজায় রাখতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

·         ডিজিটাল প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে সহজে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া।

·         জাতীয় পরিকাঠামো কর্মসূচির মাধ্যমে পরিকাঠামোর বাস্তব পরিস্থিতির মানোন্নয়ন।

·         বিপর্যয় প্রতিরোধী ব্যবস্থার মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস এবং

·         পেনশন ও বিমার সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে সামাজিক নিরাপত্তা।

 

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1601594) Visitor Counter : 800


Read this release in: English