অর্থমন্ত্রক

২০২০-২১ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটের সারাংশ

Posted On: 01 FEB 2020 7:15PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

 

 

প্রথম ভাগ

একুশ শতকের তৃতীয় দশকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে প্রথম কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলেন। সুদূরপ্রসারী একগুচ্ছ সংস্কারের মাধ্যমে ভারতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এই বাজেটে বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি, মাঝারি মেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

‘ইজ অফ লিভিং’ – সহজে জীবনধারণের বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে এই বাজেট তৈরি হয়েছে। ২০২০-২১ সালে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা কৃষিঋণের জন্য বরাদ্দ করায় এই বাজেটটিকে কৃষক-বান্ধব বাজেট বলা চলে। ‘কিষাণ রেল’ এবং ‘কিষাণ উড়ান’-এর মতো প্রকল্পের মাধ্যমে পচনশীল সামগ্রীর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় দেশ জুড়ে সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। সৌরশক্তি চালিত পাম্প বসানোর জন্য ‘পিএম-কুসুম’ প্রকল্পের আওতায় ২০ লক্ষ কৃষককে সাহায্য করা হবে।

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দরিদ্র জনগণের জন্য ‘পিএম-জন আরোগ্য যোজনা’য় ২০ হাজারের বেশি তালিকাভুক্ত হাসপাতালকে অন্তর্ভুক্ত করা বাজেটের একটি প্রস্তাব। ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত জেলায় ২ হাজার ওষুধ এবং ৩০০ রকমের শল্য-চিকিৎসার সরঞ্জাম জন ঔষধি কেন্দ্রের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।

পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে ২০২৪ সালের মধ্যে ‘উড়ান’ প্রকল্পের আওতায় ১০০-র বেশি বিমানবন্দর তৈরি করা হবে এবং ১৫০টি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে ট্রেন চালানো হবে। ২০২১-এর মার্চের মধ্যে ১৫০টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশ কর্মসূচিযুক্ত পাঠ্যক্রম চালু করা হবে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হেরিটেজ অ্যান্ড কনজারভেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন কেন্দ্রীয় বাজেটের উদ্দেশ্য হল :

o   ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক কাজকর্মের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন পরিষেবা প্রদান অর্জন করা

o   জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলাইনের মাধ্যমে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন

o   বিপর্যয় প্রতিরোধে পরিকাঠামো গড়ে তোলা

o   পেনশন এবং বিমার মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

বাজেটের তিনটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল :

o   সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য জীবনযাত্রার মান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ভালো কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভারত গঠন।

o   প্রধানমন্ত্রীর ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ মন্ত্র বাস্তবায়নে সকলের জন্য আর্থিক উন্নয়ন

o   অন্ত্যোদয় বিশ্বাসটিকে পাথেয় করে মানবিক এবং সহায়ক একটি যত্নশীল সমাজ গঠন।

বাজেটের কিছু মুখ্য বিষয় :

o   দুর্নীতিমুক্ত সুপ্রশাসন নীতি

o   স্বচ্ছ এবং স্বাস্থ্যকর আর্থিক ক্ষেত্র।

উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভারতের তিনটি অঙ্গ হল – ক) কৃষি, সেচ এবং গ্রামোন্নয়ন, খ) সুস্বাস্থ্য, জল এবং স্বচ্ছতা ও গ) শিক্ষা ও দক্ষতা।

কৃষি, সেচ এবং গ্রামোন্নয়ন

অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষক এবং গ্রামের দরিদ্র মানুষদের সহায়তার জন্য কৃষি, সেচ ও গ্রামোন্নয়নে ২ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করার সরকারি অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শ্রীমতী সীতারমন জানান, পিএম-ফসল বিমা যোজনার আওতায় ৬ কোটি ১১ লক্ষ কৃষককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কৃষিঋণ বাবদ ১৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের আওতায় পিএম-কিষাণ যোজনার সমস্ত সুবিধাভোগীকে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও, ১ হাজার জল সঙ্কটে দীর্ণ জেলায় পিএম-কুসুম প্রকল্পের আওতায় ২০ লক্ষ কৃষককে সৌরশক্তি চালিত পাম্প সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, আরও ১৫ লক্ষ কৃষককে সৌরশক্তি চালিত পাম্প প্রদান করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ‘একটি পণ্য, একটি জেলা’ প্রকল্পের আওতায় উদ্যানপালন ক্ষেত্রে উৎসাহদানের উদ্দেশ্যে ব্লক পর্যায়ে গুদামঘর নির্মাণ করা হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে গবাদি পশুর ক্ষুরাচাল, ব্রুসেলোসিস-এর মতো রোগ দূরীকরণের লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গবাদি পশুর খাদ্য সরবরাহ এবং দুগ্ধ উৎপাদনের ক্ষমতা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্পের আওতায় বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে যার ফলে, ২০২৫ সালের মধ্যে দুগ্ধ উৎপাদনের পরিমাণ ৫ কোটি ৩৫ লক্ষ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ১০ কোটি ৮০ লক্ষ মেট্রিক টন করা হবে। সাগরমিত্র প্রকল্পের আওতায় মৎস্যচাষের উন্নয়ন ঘটানো হবে। ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে মাছ রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে ১ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনার আওতায় ৫৮ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আওতায় ৫০ লক্ষ বাড়ির সদস্যদের নিয়ে আসা হবে।

সুস্বাস্থ্য, জল এবং স্বচ্ছতা

সুস্বাস্থ্য, জল এবং স্বচ্ছতার বিষয়গুলিকে অগ্রাধিকার দিয়ে শ্রীমতী সীতারমন জানান, স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে ৬৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। এর মধ্যে ৬,৪০০ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনায় বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্তরের শহরগুলিতে দরিদ্র জনসাধারণের চিকিৎসার জন্য আরও ২০ হাজার হাসপাতালকে প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার (পিএমজেএওয়াই) আওতায় তালিকাভুক্ত করা হবে। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাগুলির জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে হাসপাতাল তৈরি করা হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মা রোগ দূরীকরণের কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। বাজেটে ২০২৪ সালের মধ্যে সমস্ত জেলায় জন ঔষধি কেন্দ্রের মাধ্যমে ২ হাজার রকমের ওষুধ এবং ৩০০ রকমের শল্য-চিকিৎসায় ব্যবহৃত সামগ্রী পাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।

স্বচ্ছতা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে খোলা স্থানে শৌচকর্ম বন্ধ করতে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় ১২,৩০০ কোটি টাকা জল জীবন মিশনের আওতায় ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

শিক্ষা ও দক্ষতা

অর্থমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ও দক্ষতার ক্ষেত্রে ২০২০-২১ সালে ৯৯,৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই নতুন শিক্ষানীতি ঘোষণা করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশে ১৫০টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্বলিত ডিগ্রি/ডিপ্লোমা পাঠ্যক্রম চালু করা হবে। ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আওতায় এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলির ছাত্রছাত্রীদের জন্য ‘ইন্ড-স্যাট’ কর্মসূচির প্রস্তাব করা হয়েছে। পুলিশি ব্যবস্থা, ফরেন্সিক সায়েন্স এবং সাইবার নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলির জন্য একটি জাতীয় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে।

আর্থিক উন্নয়ন

শিল্প, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ

অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে শিল্প ও বাণিজ্যের উন্নয়নে ২৭,৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যগুলির সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে পাঁচটি নতুন স্মার্ট সিটি তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। বস্ত্রশিল্পের উন্নতির লক্ষ্যে ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের মধ্যে একটি জাতীয় বস্ত্র বয়ন প্রকল্প গঠন করা হবে। এর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ১,৪৮০ কোটি টাকা।

পরিকাঠামো

আগামী পাঁচ বছরে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে ২০১৯-এর ৩১শে ডিসেম্বর ১০৩ লক্ষ কোটি টাকার জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলাইনের সূচনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৬,৫০০টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর ফলে ২,৫০০ কিলোমিটার মহাসড়ক, ৯ হাজার কিলোমিটার অর্থনৈতিক করিডর, উপকূল এবং স্থলবন্দরের জন্য ২ হাজার কিলোমিটার সড়ক ও ২ হাজার কিলোমিটার কৌশলগত মহাসড়কের উন্নয়ন ঘটানো হবে। তিনি জানান, ক্ষমতায় আসার ১০০ দিনের মধ্যে ৫৫০টি রেল স্টেশনে ওয়াই-ফাই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে চারটি স্টেশনের উন্নয়ন এবং ১৫০টি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ‘উড়ান’ প্রকল্পে সহায়তার জন্য ১০০টির বেশি বিমানবন্দর গড়ে তোলা হবে।

নতুন অর্থনীতি

নতুন অর্থনীতি প্রসঙ্গে শ্রীমতী সীতারমন বলেন, দেশ জুড়ে ডেটা সেন্টার পার্ক তৈরিতে বেসরকারি ক্ষেত্রকে অংশগ্রহণ করানোর লক্ষ্যে নতুন একটি নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এই বছরে ভারতনেট প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষ গ্রামে প্রতি বাড়িতে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এই খাতে ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। টেকনলজি ক্লাস্টার সহ প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য আগামী পাঁচ বছর কোয়ান্টাম টেকনলজিস অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশনস-এর জাতীয় কর্মসূচিতে ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

যত্নশীল সমাজ

মহিলা ও শিশু, সমাজ কল্যাণ

অর্থমন্ত্রী যত্নশীল সমাজের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে পুষ্টি সংক্রান্ত কর্মসূচির জন্য ৩৫,৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২৮,৬০০ কোটি টাকা মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ৮৫ হাজার কোটি টাকা তপশিলি জাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষের কল্যাণে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে বরাদ্দ করা হয়েছে। একইভাবে, তপশিলি উপজাতিভুক্ত মানুষদের কল্যাণে ৫৩,৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রবীণ নাগরিক এবং ভিন্নভাবে সক্ষমদের জন্য বাজেটে ৯,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

সংস্কৃতি এবং পর্যটন

সংস্কৃতি মন্ত্রকের আওতায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ হেরিটেজ অ্যান্ড কনজারভেশন তৈরি করা হবে। এই ডিম্‌ড ইউনিভার্সিটিতে সংস্কৃতি ও পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় পড়ানো হবে। হরিয়ানার রাখিগরহি, উত্তরপ্রদেশের হস্তিনাপুর, অসমের শিবসাগর, গুজরাটের ঢোলাভিরা এবং তামিলনাড়ুর আড়িচানাল্লুরে প্রত্নতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা তৈরি করা হবে। এ বছর জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কলকাতার ভারতীয় যাদুঘরের সংস্কার করা হবে। কলকাতার ঐতিহাসিক ওল্ড মিন্ট বিল্ডিং-এ সংখ্যাতত্ত্ব এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত সংগ্রহশালা তৈরি করা হবে। আরও চারটি সংগ্রহশালার সংস্কার করা হবে। ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে জনজাতি সংগ্রহশালা, জাহাজ চলাচল মন্ত্রকের আমেদাবাদের কাছে হরপ্পা যুগের সামুদ্রিক কেন্দ্র লোথালে একটি সামুদ্রিক বাণিজ্য সংক্রান্ত সংগ্রহশালা তৈরি করা হবে।

পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন

যেসব শহরে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ বসবাস করেন, সেখানে স্বচ্ছ পরিবেশের লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের নির্ধারিত মান অনুসারে এই খাতে ২০২০-২১ সালে ৪,৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রশাসন

স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত, নির্দিষ্ট নীতি সম্বলিত, আস্থাব্যাঞ্জক প্রশাসনের লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রক একটি জাতীয় নিয়োগ সংস্থা (এনআরএ) গঠন করবে। এই সংস্থাটি বিভিন্ন নন-গেজেটেড পদে কর্মী নিয়োগের জন্য নিরপেক্ষভাবে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কম্পিউটার-ভিত্তিক অনলাইনে চাকরির পরীক্ষা নেবে।

অর্থনৈতিক ক্ষেত্র

অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত কয়েক বছর কেন্দ্র রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে ৩,৫০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এইসব ব্যাঙ্কগুলিতে প্রশাসনিক সংস্কার বজায় রাখা হবে যাতে এই ব্যাঙ্কগুলি আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠতে পারে। সরকার ইতিমধ্যেই ১০টি ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে চারটি ব্যাঙ্কে পরিণত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের বিমার পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। আরও বেশি মূলধনের জন্য কেন্দ্র আইডিবিআই ব্যাঙ্কের শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিক্রির পরিকল্পনা করেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত বছর ৫ লক্ষের বেশি অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীকে ঋণ প্রদান করেছে। ওষুধ শিল্প, গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং অন্যান্য শিল্পের জন্য প্রযুক্তির উন্নয়ন, গবেষণা ও ব্যবসা ক্ষেত্রে কৌশলগত বিভিন্ন সাহায্যের লক্ষ্যে ১ হাজার কোটি টাকা এসআইডিবিআই-এর সঙ্গে এক্সিম ব্যাঙ্কের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।

আর্থিক বাজার

বন্ড বাজারে লগ্নিতে উৎসাহ দিতে বিশেষ কিছু শ্রেণীর গভর্নমেন্ট সিকিউরিটি দেশীয় ও বিদেশি লগ্নিকারীদের লগ্নির জন্য খুলে দেওয়া হবে। নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য এবারের বাজেটে ঋণের বোঝা কমাতে কেন্দ্র আংশিক ঋণ নিশ্চয়তা প্রকল্প ঘোষণা করেছে। গুজরাটের জিআইএফটি সিটিতে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিষেবা কেন্দ্রে ভারতীয় মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেনের জন্য সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

বিলগ্নিকরণ

অর্থমন্ত্রী জানান, শেয়ার বাজারে একটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে সেই কোম্পানির মূল্য সঠিকভাবে নির্ধারিত হয় এবং সেই কোম্পানি একটি নিয়ম-শৃঙ্খলায় আবদ্ধ হবে। এর ফলে খুচরো বিনিয়োগকারীরা সম্পদ সৃষ্টির সুযোগ পাবেন। ভারতীয় জীবন বিমা নিগমে সরকার তার শেয়ারের একটি অংশ বিক্রি করার প্রস্তাব করছে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও)-এর মাধ্যমে।

আর্থিক ব্যবস্থা

আর্থিক ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশন ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তার প্রথম প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছে। সাহায্যকারী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভাবধারাকে বজায় রেখে কমিশনের প্রস্তাবগুলি সরকার গ্রহণ করেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে এবং ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) ক্ষতিপূরণ তহবিলের অর্থ সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে হস্তান্তরিত করা হবে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ব্যয়বরাদ্দের সংশোধিত মূল্য ২৬ লক্ষ ৯৯ হাজার কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ১৯ লক্ষ ৩২ হাজার কোটি টাকা আয় হবে বলে বাজেটে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

শ্রীমতী সীতারমন বলেন, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) বৃদ্ধির হার ন্যূনতম থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। প্রাথমিক ধারণা অনুসারে, এই হার ১০ শতাংশে থাকবে। ২০২০-২১ বর্ষে আয় ধরা হয়েছে ২২ লক্ষ ৪৬ হাজার কোটি টাকা। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয়ের জন্য ৩০ লক্ষ ৪২ হাজার কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। তিনি বলেন, অর্থনীতির উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

দ্বিতীয় ভাগ

অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন বলেন, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার বজায় রাখার জন্য কেন্দ্র বিভিন্ন আর্থিক নীতি রূপায়ণ করছে। আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতা বজায় রাখা নিশ্চিত করতে এবং ভারতকে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য করে তুলতে সরকার নতুন কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে কর্পোরেট করের হার কমানোর মতো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর ফলে, বিশ্বে ভারতের কর্পোরেট করের হার সবথেকে কম।

ব্যক্তিগত আয়কর এবং কর ব্যবস্থাপনার সরলীকরণ

ব্যক্তিগত আয়কর দাতাদের করের বোঝা হ্রাস করতে অর্থমন্ত্রী নতুন কর কাঠামোর প্রস্তাব করেছেন যেখানে করদাতাদের কম হারে কর প্রদান করতে হবে।

প্রস্তাবিত কর কাঠামোর তালিকা নিম্নরূপ :

করযোগ্য আয়ের ধাপ (টাকায়)

বর্তমান কর কাঠামো

নতুন কর কাঠামো

২ লক্ষ ৫০ হাজার পর্যন্ত

কোন কর দিতে হবে না

কোন কর দিতে হবে না

২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৫ লক্ষ

৫ শতাংশ

৫ শতাংশ

৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার

২০ শতাংশ

১০ শতাংশ

৭ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ

২০ শতাংশ

১৫ শতাংশ

১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার

৩০ শতাংশ

২০ শতাংশ

১২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১৫ লক্ষ

৩০ শতাংশ

২৫ শতাংশ

১৫ লক্ষের ওপর

৩০ শতাংশ

৩০ শতাংশ

বর্তমান হারে সারচার্জ ও সেস ধার্য অব্যাহত

লভ্যাংশ বন্টন কর (ডিডিটি)

বর্তমানে কোম্পানিগুলিকে তাদের লভ্যাংশের ওপর কর প্রদান ছাড়াও লভ্যাংশ বন্টন কর (ডিডিটি) সারচার্জ এবং সেস সহ ১৫ শতাংশ হারে দিতে হয়। ভারতীয় শেয়ার বাজারকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী এই ডিডিটি-কে বিলোপ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এর ফলে, কোম্পানিগুলি তাদের শাখা সংগঠনগুলি থেকে যে লভ্যাংশ পায় তার ওপর ছাড়ের সুযোগ পাবে। এই ডিডিটি বিলোপ করার ফলে সরকারের ২৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্বের ক্ষতি হবে। এর ফলে, ভারত বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠবে।

বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলির জন্য করের হারে ছাড়

২০১৯-এর সেপ্টেম্বরে দেশীয় উৎপাদন শিল্পের জন্য কর ছাড়ের হার ১৫ শতাংশ করা হয়েছিল। এই কোম্পানিগুলি ২০২৩ সালের ৩১শে জানুয়ারির মধ্যে তাদের উৎপাদন শুরু করবে। বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য নতুন দেশীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলির জন্য কর্পোরেট কর ছাড়ের হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের করের সুবিধা

বিদেশি সরকারগুলিকে সভারিন ওয়েলথ ফান্ডে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে অর্থমন্ত্রী তাদের সুদ, লভ্যাংশ এবং মূলধনের ওপর ১০০ শতাংশ কর ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। এই সরকারগুলিকে ২০২৪ সালের ৩১শে মার্চের আগে বিনিয়োগ করতে হবে এবং তাদের বিনিয়োগের ন্যূনতম লক-ইন পিরিয়ড হবে তিন বছর।

স্টার্ট-আপ

অর্থমন্ত্রী জানান, স্টার্ট-আপ, অর্থাৎ নতুন উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে মেধাবি কর্মীদের আকৃষ্ট করতে এমপ্লয়িজ স্টক অপশন প্ল্যান (ইএসওপি) ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে এই ইএসওপি-গুলি করযুক্ত। নতুন উদ্যোগকে উৎসাহদানের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব দেন সংস্থাগুলি পাঁচ বছরের জন্য কর নাও দিতে পারে। তবে, এই পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের শেয়ার বিক্রি করে সেই কর মিটিয়ে দিতে হবে। যে সমস্ত স্টার্ট-আপ কোম্পানির বার্ষিক আয় ২৫ কোটি টাকা তারা সাত বছরের মধ্যে পরপর তিনবার এই পরিমাণ অর্থ আয় করলে তাদের ১০০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হত। এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করেন, এই পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে। আয়ের পরিমাণ এখন থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকা এবং সাত বছরের বদলে এই সময় সীমা ১০ বছর করা হবে।

সমবায় সংস্থাগুলির জন্য করের হারে ছাড়

সমবায় সংস্থাগুলি বর্তমানে সারচার্জ এবং সেস সহ করের হার ৩০ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব দেন এই করের হার কমিয়ে ২২ শতাংশ করা হবে। এর সঙ্গে ১০ শতাংশ সারচার্জ এবং ৪ শতাংশ সেস দিতে হবে। এর ফলে, সমবায়গুলির সঙ্গে কর্পোরেট সংস্থাগুলির করের হারে সমতা বজায় থাকবে।

অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যোগ

ছোট খুচরো ব্যবসায়ী, দোকানদার যারা অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যোগের আওতাভুক্ত, তাঁদের আর্থিক বোঝা কমাতে অর্থমন্ত্রী এইসব সংস্থাগুলির অডিটের জন্য বিশেষ সুবিধার প্রস্তাব করেছেন। এখন থেকে যেসব সংস্থার লেনদেনের পরিমাণ ৫ কোটি টাকা তাদেরকেই অডিট করতে হবে। আগে এই পরিমাণ ছিল ১ কোটি টাকা।

সহজে গৃহ নির্মাণ

গত বাজেটে অর্থমন্ত্রী একটি বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ঋণের ওপর অতিরিক্ত ছাড়ের পরিমাণ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করেছিলেন। নতুন প্রস্তাবে এই ছাড় আরও ১ বছর বাড়ানো হয়েছে।

দাতব্য সংস্থা

দাতব্য সংস্থাগুলির আয় পুরোটাই কর বহির্ভূত। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে যাঁরা আর্থিক সাহায্য দেন তাঁরাও তাঁদের আয়ের ওপর কর ছাড়ের সুবিধা পান। এখন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে বৈদ্যুতিন মাধ্যমে আয়কর দপ্তরের কাছে নিবন্ধীকরণ করতে হবে। এই নিবন্ধীকরণ প্রক্রিয়ায় এই সংস্থাগুলি একটি অনন্য নিবন্ধীকৃত সংখ্যা (ইউআরএন) পাবে।

যান্ত্রিক পদ্ধতিতে আবেদন

আয়কর নির্ধারণে আরও স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতার লক্ষ্যে যন্ত্র-নির্ভর প্রক্রিয়ায় কর সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ কারণে আয়কর আইনের সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছে।

‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ প্রকল্প

‘বিবাদ সে বিশ্বাস’ প্রকল্পের আওতায় একজন করদাতা শুধুমাত্র বিতর্কিত করই প্রদান করবেন। তিনি যদি চলতি বছরের ৩১শে মার্চের মধ্যে তাঁর কর প্রদান করেন, তাহলে সুদ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার থেকে সম্পূর্ণ রেহাই পাবেন। এই ব্যবস্থা ৩০শে জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

আধারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্যান

প্যান পাওয়ার পদ্ধতি আরও সরল করা হয়েছে। বর্তমানে আধারের ভিত্তিতে প্যান দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিস্তারিতভাবে কোন আবেদনপত্র পূরণ করতে হচ্ছে না।

অপ্রত্যক্ষ কর

পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি)

চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরল প্রক্রিয়া কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে এসএমএস-নির্ভর দরখাস্ত ছাড়াও ডায়নামিক কিউআর কোডের মাধ্যমে জিএসটি নির্ধারণ করা যাবে।

আমদানি শুল্ক

বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহজে ব্যবসা করার সূচকে আমদানি শুল্কের ক্ষেত্রে দেশের অনুসৃত নীতির ফলে ১৪৬ ধাপ থেকে উঠে এসে ৬৪তম স্থানে ভারত পৌঁছেছে। মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায় আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যোগ কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সস্তার নিম্নমানের জিনিস আমদানি করলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ে। এই লক্ষ্যে জুতো এবং আসবাবপত্রের মতো জিনিসগুলির ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। জুতোর ওপর আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ। জুতোর কোন অংশের ক্ষেত্রে আমদানি শুল্কের হার ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে এই হার ২০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য পরিষেবায় সম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু চিকিৎসা সংক্রান্ত সামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে সেসের পরিমাণ ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নিউজ প্রিন্ট এবং হালকা ওজনের কাগজ আমদানির ক্ষেত্রে এই শুল্কের পরিমাণ ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।

সিগারেট এবং তামাকজাত দ্রব্যের জন্য জাতীয় বিপর্যয় সংক্রান্ত শুল্কের (এনসিসিডি) পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে, বিড়ির ক্ষেত্রে এই পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকবে।

 

 

CG/CB/DM



(Release ID: 1601587) Visitor Counter : 442


Read this release in: English