প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
জাতির উদ্দেশ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত২’(৮ম পর্ব) অনুষ্ঠানের বাংলা অনুবাদ
Posted On:
26 JAN 2020 11:07PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৬.০১.২০২০
আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। আজ 26শে জানুয়ারি। গণতন্ত্র দিবসের অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আজ 2020-র প্রথম ‘মন কি বাত’। এই বছরের এবং এই দশকের প্রথম ‘মন কি বাত’ এ মিলিত হচ্ছি। বন্ধুরা, এবার 'সাধারনতন্ত্র দিবসের' অনুষ্ঠানের কারণে, 'মন কি বাতের' সময় পরিবর্তন করতে হল। আর সেই কারণেই, একটি আলাদা সময় নির্ধারণ করে, আমি আজ আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। বন্ধুরা, দিন বদলায়, সপ্তাহ বদলায়, মাসের পরিবর্তন হয়, বছরটাও পাল্টে যায়, কিন্তু ভারতের মানুষের উৎসাহে ভাটা পড়ে না। 'আমরাও কিছু কম নয়', 'আমরাও কিছু করে দেখাবো'। 'Can do', এই 'can do' র ভাবনাই সংকল্পের রূপ নেয়। দেশ আর সমাজের প্রতি কিছু করার অঙ্গীকার, প্রতিদিন দেশ আগের থেকে অধিক শক্তিশালী হচ্ছে। বন্ধুরা, 'মন কি বাত'-এর মঞ্চে, আমরা সবাই একবার ফের জড়ো হয়েছি, নতুন নতুন বিষয়ে আলোচনা করার জন্য, দেশবাসীর নতুন নতুন উপলব্ধি সেলিব্রেট করার জন্য, ভারতবর্ষকে সেলিব্রেট করার জন্য। 'মন কি বাত' - sharing, learning এবং growing together -এর, একটি ভালো এবং সহজ মঞ্চ হয়ে উঠেছে। প্রতি মাসে হাজার হাজার মানুষ তাদের পরামর্শ, প্রচেষ্টা এবং অনুভূতি ভাগ করে নেয়। তার মধ্যে থেকে,সমাজ অনুপ্রাণিত হবে, এরকম কিছু বিষয়, মানুষের অসাধারন প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাওয়া যায়।
'কেউ তো করে দেখিয়েছে' - তাহলে কি আমরাও করতে পারি? আমরা কি ওই প্রচেষ্টাকে পুরো দেশে পুনরাবৃত্তি করে এক বিশাল পরিবর্তন আনতে পারি? আমরা কি একে সমাজের এক সহজ অভ্যেসে রূপান্তরিত করে, ওই পরিবর্তনকে স্থায়ী করতে পারি? এরকমই কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে প্রতি মাসে, মন কি বাত, কিছু appeal, কিছু আহ্বান, কিছু করে দেখানোর সংকল্প নিয়ে পথ চলা শুরু করে। গত কয়েক বছরে আমরা বেশ কিছু ছোট ছোট সংকল্প নিয়েছি। যেমন, 'no to single use plastic', 'খাদি আর local দ্রব্য কেনার বিষয়টি, স্বচ্ছতার কথা, কন্যাদের সম্মান এবং গর্ব নিয়ে আলোচনা, less cash economy -র এই নতুন অধ্যায়, তার ওপর জোর দিয়েছি। এরকম অনেক সংকল্প জন্ম নিয়েছে আমাদের এই খোলামেলা 'মন কি বাত'-এর মাধ্যমে। এবং তাকে শক্তিও আপনারাই প্রদান করেছেন।
বিহারের শ্রীমান শৈলেশের থেকে আমি একটি দারুণ চিঠি পেয়েছি। উনি অবশ্য এখন বিহারে আর থাকেন না, উনি দিল্লিতে থেকে কোন এক এনজিও তে কাজ করছেন। শ্রীমান শৈলেশ-জি লিখছেন, "মোদীজি, আপনি প্রত্যেক 'মন কি বাতে' কিছুআবেদনকরে থাকেন। আমি তার মধ্যে অনেকগুলোই করেছি। এই শীতে আমি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বস্ত্র সংগ্রহ করেছি এবং দুস্থ মানুষের মধ্যে তা বিতরণ করেছি। আমি 'মন কি বাত' থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক রকমের কাজ শুরু করেছি, কিন্তু তারপর আস্তে আস্তে কিছু জিনিস ভুলে গিয়েছি আর কিছু কিছু করা হয়ে ওঠেনি। তাই আমি এই নতুন বছরে, 'মন কি বাত'-এর উপর, একটি charter বানিয়েছি, যেখানে এই সকল বিষয়কে নিয়ে একটা list বানানো হয়েছে।যেমন সকলে নতুন বছরে, 'new year resolutions' নেয়, তেমনি মোদীজি, এটা আমার নতুন বছরের 'social resolutions'। আমার মনে হয় যে এই সকল ছোট ছোট বিষয়ও কিন্তু খুব বড় পরিবর্তন আনতে পারে। আপনি কি অনুগ্রহ করে এই charter-এ স্বাক্ষর করে আমার কাছে ফিরিয়ে দেবেন?”
শৈলেশজী আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানাই। আপনার নতুন বছরের resolution হিসেবে এই 'মন কি বাত charter'-টি খুবই ইনোভেটিভ। আমি আমার শুভকামনার সাথে স্বাক্ষর করে অবশ্যই আপনাকে ফিরিয়ে দেব। বন্ধুরা, যখন আমি এই 'মন কি বাত' charter পড়ছিলাম, তখন আমিও আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম এটা দেখে যে, কত রকম বিষয় আছে ! এত রকম Hash Tags রয়েছে ! আর আমরা সবাই একসাথে অনেক প্রচেষ্টাও করেছি। কখনো আমরা 'সন্দেশ টু সোলজারস' এর মাধ্যমে, সহানুভূতি ও দৃঢ়তার সঙ্গে সেনাবাহিনীর পাশে থাকার অভিযান চালিয়েছি। 'khadi for nation- khadi for fashion' -এর মাধ্যমে খাদির বিক্রয়কে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছি। 'buy local' এর ভাবনাকে আপন করে নিয়েছি। 'হাম fit তো ইন্ডিয়া fit' এর মাধ্যমে ফিটনেসের প্রতি সচেতনতা বাড়িয়েছি। 'My Clean India' বা 'statue cleaning-র' প্রচেষ্টার মাধ্যমে, স্বচ্ছতাকে একটা mass মুভমেন্টে রূপান্তরিত করেছি। #NotoDrugs, #BharatkiLakshmi, #Self4Society, #StressfreeExams, #SurakshaBandhan, #DigitalEconomy, #RoadSafety, ও হো হো ! অগুন্তি রয়েছে।
শৈলেশ জি, আপনার 'মন কি বাত' এর charter দেখে উপলব্ধি করলাম যে সত্যিই লিস্টটা অনেক লম্বা। আসুন আমরা এই যাত্রা continue করি। এই 'মন কি বাত' charter-এর মাধ্যমে নিজের পছন্দ অনুযায়ী, যেকোন একটি cause এর সঙ্গে যুক্ত হোন। গর্বের সাথে হ্যাশট্যাগ use করে সকলের সঙ্গে নিজের contribution এর কথা share করুন। নিজের বন্ধুবান্ধবদের, পরিবার-পরিজনদের এবং বাকি সবাইকেও মোটিভেট করুন। যখন প্রত্যেক ভারতবাসী এক পা এগোয়, তখন সারাদেশ 130 কোটি পা এগিয়ে যায়। সেই জন্য চরৈবেতি চরৈবেতি চরৈবেতি, চলতে থাকো, চলতে থাকো, চলতে থাকার মন্ত্র নিয়ে নিজের প্রয়াস করতে থাকো।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আমরা 'মন কি বাত' charter -এর বিষয়ে কথা বললাম। স্বচ্ছতার পরে, জন অংশ গ্রহণের চেতনা, participative spirit, আজ যে ক্ষেত্রটিতে দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলেছে, তা হল 'জল সংরক্ষণ'। জল সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে, দেশের প্রতিটি কোণে, ব্যাপক হারে, প্রভূত উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা চলছে । আমি আনন্দের সঙ্গে বলছি যে গত বর্ষার সময় শুরু হওয়া, এই 'জল শক্তি অভিযান', জন অংশগ্রহণের মাধ্যমে অত্যধিক সাফল্যের পথে অগ্রসর হয়েছে। অনেক পুকুর, জলাশয়, ইত্যাদির নির্মাণ করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা এই যে, এই অভিযানে, সমাজের সব শ্রেণীর মানুষ যোগদান করেছে।এখন,রাজস্থানের ঝালর জেলাকেই দেখুন -ওখানের দুটি ঐতিহাসিক কুঁয়ো, নোংরা জলের ভাণ্ডারে পরিণত হয়েছিল। তারপর আর কি ! ভদ্রায়ু এবং থানওয়ালা পঞ্চায়েতের, শত শত মানুষ 'জল শক্তি' অভিযানের আওতায়, একে পুনরুজ্জীবিত করার দায়িত্ব নিয়েছিল। বর্ষার আগেই তারা নোংরা জল, আবর্জনা এবং কাদা পরিষ্কারের কাজ শুরু করে দিয়েছিল। এই অভিযানের জন্য কেউ শ্রম দান করেছিল আর কেউ অর্থ দান। এবং এর ফলস্বরূপ, এই কূঁয়োগুলি, আজ সেখানকার জীবন রেখায় পরিণত হয়েছে। ঠিক এরকমই আরেকটি ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকি- তে। ৪৩ একর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা, সারাহী হ্রদ, তার শেষ সময়ে এসে পৌঁছেছিল, কিন্তু গ্রামবাসীরা তাদের সংকল্প শক্তির দ্বারা হ্রদটিকে নতুন জীবন দান করেছে। এত বড় মিশনের পথে তারা কোন কিছুকেই বাধা হতে দেয়নি। একের পর এক গ্রাম একজোট হতে শুরু করে দিয়েছিল। তারা লেকের চারপাশে এক মিটার উঁচু বাঁধ তৈরি করে দেয়। এখন হ্রদটি জলে টই-টুম্বুর এবং ওখানকার পরিবেশ পাখির কূজনে মুখরিত হয়ে রয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া হালদ্বানি হাইওয়ে সংলগ্ন সুনিয়াকোট-এ গ্রামবাসীদের অংশগ্রহণের এক দারুণ নিদর্শন দেখতে পাই। গ্রামের জল সংকটের সমস্যা সমাধান করতে গ্রামবাসীরা সংকল্প নিল যে গ্রামে জল সরবরাহের ব্যবস্থা তারা নিজেরাই করবে। ব্যাস! নিজেরাই টাকা সংগ্রহ করলো, পরিকল্পনা তৈরি হলো, শ্রমদান করলো এবং প্রায় এক কিলোমিটার দূর থেকে একেবারে গ্রাম পর্যন্ত জলের পাইপ বসানো হলো। পাম্পিং স্টেশন স্থাপিত হল। দুই দশকের পুরনো জলের সমস্যা চিরতরে বিদায় নিল। আবার তামিলনাডুতে borewell কে rainwater harvesting এর জন্য ব্যবহার করার innovative idea সবার সামনে এলো। জল সংরক্ষণ কে কেন্দ্র করে অগণিত কাহিনী সারাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। তারাই new India গড়ে তোলার সংকল্পকে আরো দৃঢ় করে তোলে। আজ আমাদের জলশক্তি-champion দের কাহিনী জানতে সমগ্র দেশ উদগ্রীব। আমার অনুরোধ জল সঞ্চয় ও জল সংরক্ষণ সম্পর্কিত আপনার বা আপনার আশেপাশের প্রচেষ্টার কাহিনীকে, photo ও video সমেত #jalshakti4India তে অবশ্যই শেয়ার করুন।
আমার প্রিয় দেশবাসী ও বিশেষত আমার যুব বন্ধুরা, আজ মন কি বাত এর মাধ্যমে আমি অসম সরকার ও অসম বাসীদের খেলো ইন্ডিয়ার চমৎকার আয়োজনের জন্য জানাই অনেক অনেক অভিনন্দন। বন্ধুরা, গত 22 শে জানুয়ারি গুয়াহাটিতে তৃতীয় খেলো ইন্ডিয়া গেমস সমাপ্ত হলো। এখানে বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ছয় হাজার খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছেন। আপনারা আশ্চর্য হবেন জেনে যে খেলার এই মহোৎসবে আশিটা রেকর্ড ভেঙেছে। গর্ব হচ্ছে জানাতে পেরে যে, তার মধ্যে 56 টা রেকর্ড ভেঙেছে আমাদের মেয়েরা। এই অসাধ্য সাধন করেছে আমাদের মেয়েরা। আমি সমস্ত বিজয়ীদের এবং খেলায় অংশগ্রহণকারীদের জানাই অভিনন্দন। একইসঙ্গে খেলো ইন্ডিয়া গেমসের সফল আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে, প্রশিক্ষক ও কারিগরি কর্মকর্তাদের, জানাই ধন্যবাদ। আমাদের জন্য আরো সুসংবাদ যে প্রতিবছর খেলো ইন্ডিয়া গেমসে খেলোয়াড়দের সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। জানতে পারি যে স্কুলপর্যায়ে বাচ্চাদের স্পোর্টসের প্রতি আগ্রহ কতটা বেড়ছে। আমি আপনাদের জানাতে চাই যে 2018 তে যখন খেলো ইন্ডিয়া গেমস শুরু হয়েছিল তখন সাড়ে তিন হাজার খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছিলেন। মাত্র তিন বছরের মধ্যেই খেলোয়াড়দের সংখ্যা ছয় হাজারেরও বেশি, অর্থাৎ প্রায়প্রায় দ্বিগুন হয়েছে। শুধু তাই নয়, মাত্র তিন বছরের মধ্যে খেলো ইন্ডিয়া গেমস এর মাধ্যমে প্রায় বত্রিশ শো প্রতিভাবান বাচ্চা উঠে এসেছে। এদের মধ্যে এমন অনেক বাচ্চা রয়েছে যারা অভাব ও দারিদ্র্যের মাঝে বড় হয়েছে। খেলো ইন্ডিয়া গেমসের শামিল হওয়া বাচ্চারা ও তাদের পিতা-মাতাদের ধৈর্য এবং দৃঢ় সংকল্পের কাহিনী সমস্ত দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করবে। গুয়াহাটির পূর্ণিমা মন্ডল এর কথাই ধরুন। উনি গুয়াহাটি পৌরসভার একজন সাফাই কর্মচারী। ওঁর মেয়ে মালবিকা যেখানে ফুটবলের দারুন খেলা দেখিয়েছে, সেখানে ওঁর এক ছেলে সুজিত খো খো খেলায় আরো এক ছেলে প্রদীপ অসমের হকি দলের প্রতিনিধিত্ব করেছে।
তামিলনাড়ু-রযোগনাথনের গল্পটিও কিছুটা এরকমই গর্ব করার মত। উনি নিজের জীবিকা নির্বাহ করেন তামিলনাড়ুতে বিড়ি বানানোর কাজ করে, কিন্ত ওঁর মেয়ে পূর্ণাশ্রী weightlifting-এ গোল্ড মেডেল জিতে সবার হৃদয় জয় করে নিয়েছে। আমি ডেভিড বেকহ্যামের নাম নিলে আপনারা বলবেন বিখ্যাত international footballer. কিন্তু এখন আমাদের কাছেও আমাদের নিজস্ব একজন ডেভিড বেকহ্যাম আছে,এবং সে গুয়াহাটির ইয়ুথ গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছে। সেটাও সাইক্লিং-এর ২০০ মিটার স্প্রিন্ট ইভেন্টে এবং আমার কাছে দ্বিগুণ খুশির কারণ -কিছুদিন আগেই আমি আন্দামান নিকোবর দ্বিপপুঞ্জে গিয়েছিলাম, কার-নিকোবার দ্বীপের নিবাসী ডেভিড শৈশবেই মা-বাবাকে হারায়। কাকা চেয়েছিলেন ও ফুটবলার হোক, তাই বিখ্যাত ফুটবলারের নামে ওর নামকরণ করেছিলেন। কিন্তু ওর মন তো সাইক্লিং-এ পড়ে ছিল। খেলো ইন্ডিয়াস্কিম-এর অধীনে ও নির্বাচিত-ও হয়ে গেল, এবং আজ দেখুন ইনি সাইক্লিং-একীভাবে নতুন কীর্তি স্থাপন করল।
ভিওয়ানির প্রশান্ত সিংহ কানহাইয়া পোল ভল্ট ইভেন্টে নিজেরই national record ভেঙ্গে দিয়েছে। ১৯ বছর বয়সী প্রশান্ত-র জন্ম একটি কৃষক পরিবারে। আপনারাএটা জেনে অবাক হয়ে যাবেন যে প্রশান্ত মাটির ওপর পোল ভল্টের অনুশীলন করতেন। এই তথ্যটি জানার পর ক্রীড়া বিভাগ ওর কোচ-কে দিল্লির জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে একাডেমি খুলতে সাহায্য করেন এবং প্রশান্ত এখন ওখানেই প্রশিক্ষণ নেন। মুম্বইএর করিনা শাঙ্কতার গল্পটি কোনো পরিস্থিতিতেও হার না মানার শক্তির গাথা, যা আজসবাইকে প্রেরণা জোগায়। উনি ১০০ মিটার ব্রেস্ট-স্ট্রোকের আন্ডার-১৭ বিভাগে গোল্ড জেতেন এবং নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন। দশম শ্রেণীতে পড়া করিনাকে একসময় knee injury -র কারনে ট্রেনিং ছেড়ে দিতে হয় কিন্তু উনি এবং ওঁর মা হাল ছাড়েননি। তার ফল কী সেটা এখন আমরা সকলে জানি। আমি প্রত্যেক ক্রীড়াবিদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করি। এর পাশাপাশি আমি সকল দেশবাসীর সঙ্গে এদের পিতা-মাতাদেরও আমার প্রনাম জানাই যারা দারিদ্র্যকে এই ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের পথে অন্তরায় হতে দেননি। আমরা সকলেই জানি যে জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলি তে যেমন একদিকে ছেলে- মেয়েরা নিজেদের প্যাশন দেখানোর সুযোগ পায় তেমনই তারা অন্য রাজ্যের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওঠে। এই জন্যেই আমরা খেলো ইন্ডিয়া ইউথ গেমসের পাশাপাশি খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভারসিটি গেমস এর আয়োজন করার-ও সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বন্ধুরা, আগামী মাসের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১লা মার্চ অব্দি প্রথম খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমস কটক ও ভুবনেশ্বরে আয়োজিত হবে। এতে অংশগ্রহণ করার জন্যে ৩০০০এর বেশি খেলোয়াড় কোয়ালিফাই করে গেছেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, পরীক্ষারসিজন এসে গেছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেক পরীক্ষার্থী শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। দেশের কোটি কোটি ছাত্রছাত্রী বন্ধুদের সঙ্গে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’-য় কথা বলার অভিজ্ঞতা থেকে আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, এই দেশের তরুন-রা সকল বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হওয়ার জন্য তৈরি।
বন্ধুরা, একদিকে পরীক্ষা অন্যদিকে শীতের মরশুম। এই দুইয়ের মাঝে আমি চাই নিজেকেযেন অবশ্যই ফিট রাখেন । কিছুটা ব্যায়াম আপনারা অবশ্যই করবেন, কিছুটা খেলা-ধুলো করবেন। খেলাধুলো ফিট থাকার মূলমন্ত্র। আজকাল আমি দেখছি ফিট ইন্ডিয়া নিয়ে অনেক ইভেন্ট চারদিকে হচ্ছে। ১৮ জানুয়ারি দেশজুড়ে তরুণরা সাইক্লোথন-এর আয়োজন করেন। এতে অংশগ্রহণকারি লক্ষ-লক্ষ দেশবাসী ফিটনেস-এর বার্তা সবার কাছে পৌঁছে দেন। আমাদের নিউ ইন্ডিয়া যাতে পুরোপুরি ফিট থাকে তার জন্যে প্রতি স্তরে যে পরিমাণ প্রচেষ্টা চলছে তা খুবই উৎসাহব্যাঞ্জক এবং উৎসাহ উদ্রেককারী। গত বছর নভেম্বর মাসে শুরু হওয়া ফিট ইন্ডিয়া স্কুল প্রয়াসটিও এখন ফলপ্রসূ হয়ে উঠছে। আমাকে বলা হয়েছে, যে এখনো পর্যন্ত ৬৫০০০এরও বেশী স্কুল অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে ‘ফিট ইন্ডিয়া স্কুল সার্টিফিকেট’পেয়েছে। দেশের বাকি স্কুলগুলির কাছেও আমার আবেদন তারা যেন পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোর প্রশিক্ষণ প্রদান করে ‘ফিট স্কুল’– এর স্বীকৃতি অবশ্যইপায়। এর পাশাপাশি আমি প্রত্যেক দেশবাসীর কাছে আবেদন করছি যে তাঁরা তাঁদের দৈনিক দিনযাপনের মধ্যে শরীর চর্চা আরো বাড়ান। প্রতিদিন নিজেদের মনে করান ‘আমরা ফিট তো ইন্ডিয়া ফিট’।
আমার প্রিয় দেশবাসী, দু সপ্তাহ আগে, ভারতের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন উৎসব সাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছিল। তখন পাঞ্জাবে লোহড়ী,উৎসাহআর উদ্দীপনারউষ্ণতা বাড়াচ্ছিল। তামিলনাড়ুর ভাই বোনেরা পোঙ্গল উৎসব পালন করছিল,থিরুবল্লভর-এর জয়ন্তী পালন করছিল।অসমে বিহুর মনোরঞ্জক ছটা দেখা যাচ্ছিল , গুজরাতে ছিল চারদিকে উত্তরায়ণের বাহার আর আকাশ ভরা ঘুঁড়ি। এই সময়ে দিল্লী একটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল। দিল্লীতে এক গুরুত্বপুর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।এই সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ২৫ বছরের পুরানো ব্রু-রিয়াং উদ্বাস্তু সমস্যা, একটি করুণ চ্যাপ্টারের চিরতরে সমাধা হয়ে গেলো। আমাদের ব্যস্ত রুটিং ও উৎসবের মরশুমের জন্য, আপনি হয়তো এই ঐতিহাসিক চুক্তি সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পারেননি, সেইজন্য আমার মনে হয় ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে আপনাদের সঙ্গে অবশ্যই এই বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করি। এই সমস্যাটা ৯০-এর দশকের। ১৯৯৭ সালে জাতিগত উত্তেজনার জন্য ব্রু রিয়াং আদিবাসীদের মিজোরাম ছেড়ে ত্রিপুরাতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। এই উদ্বাস্তুদের উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল। ব্রু রিয়াং জনগোষ্ঠীর লোকেরা উদ্বাস্তু হয়ে নিজেদের জীবনের অনেকটা মুল্যবান অংশ হারিয়ে ফেলেছিল, এটা সত্যিই কষ্টদায়ক। ওঁদের জন্য ক্যম্পে জীবন কাটানোর মানে হলো সমস্তরকম মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া। ২৩ বছর পর্যন্ত না ঘর, না জমি জায়গা, না পরিবারের জন্য, বা চিকিৎসার সুবিধা না পাওয়া, না বাচ্চাদের শিক্ষার সুযোগ বা ওঁদের নিজের জন্য সুবিধা কিছুই ছিল না। একটু ভাবুন ২৩ বছর পর্যন্ত ক্যাম্পের কঠিন পরিস্থিতিতে জীবন যাপন করা ওঁদের জন্য কতটা কষ্টদায়ক ছিল। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিদিনের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সঙ্গে জীবন কাটানো কতই না কষ্টের ছিল। সরকার এলো আর চলে গেলো, কিন্তু এঁদের দুঃখ দুর্দশার সমাধান হলো না। কিন্তু এত কষ্টের মধ্যে এঁদের ভারতীয় সংবিধান ও সংস্কৃতির প্রতি আস্থা অটুট ছিল। এই বিশ্বাসের ফলে ওঁদের জীবনে নতুন প্রভাতের উদয় হলো। চুক্তির ফলে ওঁদের মাথা উঁচু করে বাঁচার রাস্তা তৈরি হলো। সবশেষে ২০২০-র নতুন দশক, ব্রু-রিয়াং জনগোষ্ঠীদের জীবনে এক নতুন আশা ও প্রত্যাশার কিরণ নিয়ে এলো।প্রায় ৩৪০০০ ব্রু-উদ্বাস্তুদের ত্রিপুরার বাসিন্দা করা হবে। শুধু এইটুকুই নয়, ওঁদের পুনর্বাসন এবং সর্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য কেন্দ্র সরকার প্রায় ৬০০ কোটি টাকা সাহায্যও করবে। প্রত্যেক উদ্বাস্তু পরিবারকে প্লট দেওয়া হবে। ঘর তৈরি করতে ওঁদের সাহায্য করা হবে। এর সঙ্গে রেশনের ব্যবস্থাও করা হবে। ওঁরা এখন থেকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের জন-কল্যাণকারী যোজনার সুবিধা পাবেন। এই চুক্তি অনেক দিক থেকে গুরুত্বপুর্ণ। এটা cooperative federalism এর ভাবনার প্রতিফলন। চুক্তির জন্য মিজোরাম ও ত্রিপুরা দুই রাজ্যের-ই মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তি দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের সম্মতি ও শুভকামনাতে সম্পাদিত হয়েছে। এর জন্য দুই রাজ্যের জনগন ও মুখ্যমন্ত্রীদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই।এই চুক্তি ভারতীয় সংস্কৃতিতে যে করুণা ও সহৃদয়তা রয়েছে সেই পরিচয়ও প্রকট করে। সবাইকে আত্মীয় মেনে চলা এবং এক জোট ভাবে বেঁচে থাকা, এটাই এই পবিত্র ভূমির সংস্কারে রচিত এবং বিদ্যমান আছে। আরেকবার দুই রাজ্যের নিবাসীদের আর ব্রু-রিয়াং জনগোষ্ঠীর লোকেদের অভিনন্দন জানাই।
আমার প্রিয় দেশবাসী, এত বড় খেলো ইন্ডিয়া গেমসের সফল আয়োজক অসমে আর একটি বড় কাজ হয়েছে। আপনারাও হয়তো খবরে দেখেছেন কিছুদিন আগে অসমে আটটি আলাদা আলাদা মিলিটেন্ট গ্রুপের ৬৪৪ জন সদস্য নিজেদের হাতিয়ারসহ আত্মসমপর্ণ করেছেন। যাঁরা হিংসার রাস্তায় চলে গিয়েছিল, তাঁরা নিজেদের বিশ্বাস শান্তির প্রতি আস্থা রাখার ও দেশের উন্নতিতে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। গত বছর ত্রিপুরাতেও ৮০ জনের বেশি লোক হিংসার রাস্তা ছেড়ে মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। যাঁরা এটা ভেবে হাতিয়ার তুলে নিয়েছিলেন যে হিংসার দ্বারা সমস্যার সমাধান হতে পারে, ওঁদের এই বিশ্বাসটা দৃঢ় হল যে শান্তি আর এক জোট হওয়াই যে কোনো বিবাদ মেটানোর একমাত্র উপায়। দেশবাসীরা এটা জেনে প্রসন্ন হবেন যে উত্তর-পুর্ব ভারতের উগ্রপন্থা অনেকটা কমে গেছে, এর সবথেকে বড় কারণ হলো এই অঞ্চলের সমস্ত বিষয়কে শান্তির রাস্তায়, নিঃস্বার্থ ভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হচ্ছে। দেশের যে কোনো ভাগে এখনও হিংসা এবং হাতিয়ারের বলে সমস্যার সমাধান খোঁজার লোকেদের, আজ সাধারণতন্ত্র দিবসের পবিত্র উৎসব উপলক্ষে অনুরোধ করতে চাই যে ফিরে আসুন। বিভিন্ন বিষয়কে শান্তিপুর্ণভাবে মিটিয়ে আপনার এবং এইদেশের ক্ষমতার উপর ভরসা রাখুন। এই একবিংশতাব্দী হলো জ্ঞানবিজ্ঞান ও গণতন্ত্রের যুগ। আপনারা কি এমন কোন জায়গার কথা শুনেছেন, যেখানে হিংসার মাধ্যমে জীবন উন্নততর হয়েছে? এমন কোন স্থানের কথা শুনেছেন কি, যেখানে শান্তি ও সুচিন্তা সুস্থ জীবনের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে দাঁড়িয়েছে? হিংসা কোন সমস্যারই সমাধান করে না । পৃথিবীর কোন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, আরেকটি সমস্যা সৃষ্টি করার মাধ্যমে।আসুন, আমরা সকলে মিলে এমন এক নতুন ভারত গঠনে সামিল হই, যেখানে সব প্রশ্নেরই উত্তর মিলবে শান্তির ভিত্তিতে।সমস্ত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ সব ধরনের বিভাজনের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আজ, সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভ লগ্নে "গগনযান"-এর কথা বলতে গিয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। এই লক্ষ্যে দেশ আরো এক পা এগিয়ে গেছে । ২০২২ সালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ৭৫-তম জয়ন্তী উদযাপিত হবে। এই উপলক্ষে "গগনযান মিশন"-এর মাধ্যমে একজন ভারতবাসীকে মহাকাশে পাঠানোর অভীষ্ট আমাদের সিদ্ধ করতে হবে। একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে ভারতের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হবে “গগনযান মিশন”। এটি হবে নতুন ভারত গঠনের এক ভিত্তিপ্রস্তর।
বন্ধুরা, আপনারা জানেন, এই মিশনের যাত্রী হিসেবে চারজনকে এর মধ্যেই বেছে নেওয়া হয়েছে। এঁরা সকলেই ভারতীয় বায়ুসেনার তরুণ পাইলট। তাঁরা ভারতের প্রযুক্তি, প্রতিভা, দক্ষতা ,সাহস এবং স্বপ্নের প্রতীক। আমাদের এই চারজন বন্ধু আর কিছুদিনের মধ্যেই প্রশিক্ষণ নিতে রাশিয়ায় যাবেন। আমার বিশ্বাস, এই ঘটনাটি হবে ভারত-রাশিয়া মৈত্রী ও সহযোগিতার আরেকটি সোনালী অধ্যায়। এঁদের প্রশিক্ষণ চলবে এক বছরেরও বেশী । তারপর, তাঁদের মধ্যে একজন ভাগ্যবান পাবেন ভারতের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে অন্তরীক্ষে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব। আজ সাধারনতন্ত্র দিবসে এই চারজন যুবক পাইলট, এবং এই মিশনের দায়িত্বে থাকা সব ভারতীয় রুশ বিজ্ঞানী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমার প্রিয় দেশবাসী, গত বছরের মার্চ মাসে একটি video, প্রচারমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল। এই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন ১০৭-বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মহিলা , যিনি রাষ্ট্রপতি ভবনে পদ্ম-সম্মান বিতরণ অনুষ্ঠানে নিয়ম-নিষেধের বেড়াজাল ভেঙে মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে তাঁর আশীর্বাদ জানিয়েছিলেন। তাঁর নাম সালুমরদা থিমক্কা। তিনি কর্নাটকে "বৃক্ষমাতা" নামেই পরিচিত। খুবই সাধারণ প্রেক্ষাপট থেকে উঠে আসা থিমক্কার অসাধারণ কর্মকাণ্ডের কথা সারা দেশ জেনেছে, বুঝেছে এবং তাঁকে সম্মান দিয়েছে। তিনি লাভ করেছেন ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান।
বন্ধুরা, আজ ভারতবর্ষ তার এই মহান সন্তানদের নিয়ে গর্ববোধ করে। মাটির কাছাকাছি থাকা মানুষজনদের সম্মান দিয়ে আমরা গৌরবান্বিত হই। প্রত্যেক বছরের মতো এবছরও গতকাল সন্ধ্যায় পদ্ম-সম্মান প্রাপকদের তালিকা ঘোষিত হয়েছে। আমি চাই, আপনারা প্রত্যেকেই এঁদের বিষয়ে পড়ুন ও জানুন। এঁদের পরিবারের কথা এবং কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আলোচনা করুন। ২০২০ সালের পদ্ম- পুরস্কারের জন্য ৪৬০০০-এরও বেশী মনোনয়ন জমা পড়েছিল। এই সংখ্যাটি ২০১৪ সালের মনোনয়নের সংখ্যার কুড়ি গুণেরও বেশী। এই পরিসংখ্যান মানুষের মনে তৈরী হওয়া এই বিশ্বাসের প্রতিফলন যে, ‘পদ্ম-সম্মান এখন জনসম্মান’- এ পরিণত হয়েছে। বর্তমানে পদ্ম পুরষ্কার এর সমগ্র প্রক্রিয়া অন-লাইনে হচ্ছে। আগে পুরস্কার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন অল্প কিছু ব্যক্তি। কিন্তু এখন তা পুরোপুরি গণতন্ত্রের মাধ্যমে পরিচালিত। একদিক থেকে বলতে গেলে, পদ্ম-সম্মানকে ঘিরে দেশে এক নতুন বিশ্বাস ও মর্যাদা জন্মগ্রহণ করেছে। বর্তমানে পদ্ম-সম্মান প্রাপকদের মধ্যে এমন অনেকেই থাকেন, যাঁরা তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে মাটির কাছাকাছি থেকে উঠে এসেছেন। সীমিত সম্পদের বাঁধা এবং নিজেদের চারপাশে নিরাশার ঘন অন্ধকারকে দূরে ঠেলে তাঁরা নিজেদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেছেন। এঁদের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি আমাদের প্রেরণা যোগায় এবং নিঃস্বার্থ সেবার ভাবনায় অনুপ্রাণিত করে। আপনাদের সবাইকে আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করবো এঁদের বিষয়ে জানতে। এঁদের অসাধারণ জীবনকাহিনী সমাজকে সঠিক দিশায় পরিচালিত করবে এবং অনুপ্রেরণা দেবে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের সবাইকে আরো একবার গণতন্ত্র- উৎসবের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আগামী দশক আপনাদের তথা, ভারতবর্ষের জীবনে নতুন সংকল্প এবং সিদ্ধির বার্তা নিয়ে আসুক। সারা বিশ্ব ভারতের কাছে যা প্রত্যাশা করে, তা পূরণ করার শক্তি যেন আমরা লাভ করি। আসুন, এই বিশ্বাসকে বুকে নিয়ে আমরা নতুন দশক শুরু করি। ভারতমাতার জন্য নতুন সংকল্পে সবাই একজোট হই। অনেক অনেক ধন্যবাদ। নমস্কার।
CG
(Release ID: 1600621)
Visitor Counter : 281