গ্রামোন্নয়নমন্ত্রক
বর্ষশেষ পর্যালোচনা ২০১৯ : গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক
Posted On:
09 JAN 2020 6:17PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৯ জানুয়ারি, ২০২০
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জীবন-জীবিকার সুযোগ বাড়িয়ে, সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে এবং গ্রামীণ পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটিয়ে ভারতের গ্রামাঞ্চলের সুস্থায়ী ও সার্বিক উন্নয়নের গুরুদায়িত্ব পালন করে চলেছে। গ্রামোন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ যে পাঁচটি বিষয়কে কেন্দ্রীভূত করে মন্ত্রকের বর্তমান ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচিগুলি রূপায়িত হচ্ছে, সেগুলি হ’ল –
গ্রামীণ আবাসন (প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা – গ্রামীণ কর্মসূচির মাধ্যমে)
গ্রামীণ কর্মসংস্থান (মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ কর্মসূচির মাধ্যমে)
গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা (প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার মাধ্যমে)
গ্রামীণ জীবন জীবিকা (দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা – জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশনের মাধ্যমে)।
গ্রামীণ দক্ষতা বিকাশ (দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল্যা যোজনা এবং গ্রামীণ স্বনিযুক্তি কর্মসংস্থান প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে)
উপরোক্ত কর্মসূচি ছাড়াও মন্ত্রক জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্প, শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী রারবান মিশন এবং সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনার মতো কর্মসূচির রূপায়ণ করে থাকে। কৃষি ও অকৃষি কাজ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে জীবন জীবিকার সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ব্যাপারে মন্ত্রক অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, গ্রামীণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, যাবতীয় সরবরাহ প্রক্রিয়ায় মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো, গ্রামাঞ্চলে সকলের জন্য আবাসন, শৌচালয় ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের কাজেও মন্ত্রক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রামীণ ভারতে আর্থিক কর্মকান্ড বাড়াতে গ্রামাঞ্চলীয় ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগ স্থাপনে মহিলাদের আরও বেশি করে সামিল করার ওপর জোর দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা (পিএমজিএসওয়াই)
এই যোজনার সূচনা হয় ২০০০ সালের ২৫শে ডিসেম্বর। উদ্দেশ্য ছিল, সমতল এলাকায় ৫০০ জনসংখ্যাবিশিষ্ট এবং পার্বত্য এলাকায় ২৫০ জনসংখ্যাবিশিষ্ট যে সমস্ত গ্রাম ও জনপদে উপযুক্ত সড়ক নেই, সেগুলিকে মূল বা প্রধান সড়কের সঙ্গে যুক্ত করা এবং সব মরশুমের উপযোগী সড়ক নির্মাণ করা। এই কর্মসূচির তৃতীয় পর্যায়ে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে অনুমতি পাওয়া গেছে। সড়কগুলি নির্মিত হলে গ্রামীণ কৃষি বাজার, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও হাসপাতালের সঙ্গে জনপদগুলির যোগাযোগ আরও বাড়বে। চলতি বছরে কর্মসূচির আওতায় ৩৬ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সড়ক নির্মিত হয়েছে এবং প্রায় ৬ হাজার জনপদকে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল্যা যোজনা (ডিডিইউ – জিকেওয়াই) এবং গ্রামীণ স্বনিযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (আরএসইটিআই)
গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশনের আওতায় গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র যুবাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুটি কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। প্রথমটি হ’ল – দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল্যা যোজনা। এই যোজনায় দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি, কর্মসংস্থানের সুযোগও রয়েছে। দ্বিতীয়টি হ’ল – গ্রামীণ স্বনিযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে দক্ষতার বিকাশ ঘটানো, যাতে তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে ছোট উদ্যোগ গড়ে তুলতে পারেন।
দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রামীণ কৌশল্যা যোজনা ২৭টি রাজ্য ও ৩টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপায়িত হচ্ছে। এই যোজনায় প্রশিক্ষণ দাতা সংস্থার সংখ্যা ৬৪১ এবং কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৬২৪। গত বছরের ২০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার যুবক-যুবতী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এবং প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার প্রশিক্ষিত যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হয়েছে।
বর্তমানে দেশে চালু গ্রামীণ স্বনিযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৮৫। এই প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে কৃষি, প্রক্রিয়াকরণ, পণ্যসামগ্রী উৎপাদন সহ ৬১টি ক্ষেত্রে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। গত বছরের ২০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে ২ লক্ষ ৬২ হাজারেরও বেশি যুবক-যুবতী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এবং এদের মধ্যে ১ লক্ষ ৪৩ হাজারেরও বেশি যুবার কর্মসংস্থান হয়েছে।
দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা – জাতীয় গ্রামীণ জীবন-জীবিকা মিশন (ডিএওয়াই – এনআরএলএম)
দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা – জাতীয় জীবন-জীবিকা মিশনের সূচনা হয় ২০১১-তে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ৯ কোটি দরিদ্র গ্রামীণ পরিবার নিয়ে পর্যায়ক্রমে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল। স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তুলে দরিদ্র মানুষের উপার্জন এবং জীবনযাপনের মান আরও বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়াও, এই কর্মসূচির মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি বিভিন্ন আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। কৃষি ও অকৃষি ক্ষেত্রে দরিদ্র মানুষের জীবন-জীবিকার সুযোগ বাড়ে। দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সর্বোপরি সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকরণ, উন্নয়ন ও মানবসম্পদের প্রসার ঘটে।
সামাজিক উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে ৬ কোটি ৪৭ লক্ষেরও বেশি গ্রামীণ মহিলাকে নিয়ে গত অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৫৮ লক্ষ ৭০ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলা হয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলিকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে অক্টোবর পর্যন্ত ৭৪৩ কোটি টাকার বেশি মূলধনী সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ২০১৩-১৪ থেকে ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া হয়েছে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষে বকেয়া ব্যাঙ্ক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা।
মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্প (এমজিএনআরইজিএস)
মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পের আওতায় মন্ত্রক গ্রামাঞ্চলে জল সংরক্ষণে একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিগত ছয় মাসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি – জল শক্তি অভিযান এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনার কাজ সম্পন্ন করতে ১০০ দিনের কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়সীমা ভিত্তিক মিশন মোড এই কর্মসূচিতে জল সংরক্ষণে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিতকরণ প্রকল্পে পয়লা জানুয়ারি থেকে ১৭ই ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ২৪৯ কোটি ৬৫ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৬৫ হাজার ৯৬১ কোটি টাকা তহবিল দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচিতে মহিলাদের অংশগ্রহণের হার ছিল ৫৬ শতাংশ এবং ৫৩ লক্ষ ১৮ হাজার জব কার্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)
সরকার ২০২২ সালের মধ্যে ‘সকলের জন্য আবাসন’ সুনিশ্চিত করার ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই লক্ষ্যে পূর্বতন গ্রামীণ আবাসন প্রকল্পটি পুনর্গঠন করে নতুন নামকরণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) ২০১৬’র পয়লা এপ্রিল থেকে নতুন এই কর্মসূচি কার্যকর হয়েছে।
এই কর্মসূচির আওতায় মৌলিক সুযোগ-সুবিধা সহ গৃহহীনদের পাকা বাড়ি এবং যাঁরা কাঁচা বাড়িতে বসবাস করছেন, তাঁদের জন্য ২০২২ সালের মধ্যে পাকা বাড়ি তৈরির সংস্থান রয়েছে। ২০২১-২২ সালের মধ্যে সকলের জন্য আবাসনের লক্ষ্যে ২ কোটি ৯৫ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে ২০১৬-১৭ থেকে ২০১৮-১৯ পর্যন্ত তিন বছরে ১ কোটি বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৯-২০ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত আরও ১ কোটি ৯৫ লক্ষ বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি বাড়ি তৈরির জন্য সমতল ভূমির ক্ষেত্রে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং পার্বত্য ও দুর্গম এলাকাগুলিতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে দেয়ার কর্মসংস্থান রয়েছে। এছাড়াও, প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণে ১২ হাজার টাকা দেওয়া হয়ে থাকে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের অর্থ সাহায্য বৈদ্যুতিন উপায়ে সরাসরি অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যায়। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের ১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৯ লক্ষ ৭৮ হাজার সুফলভোগীর অ্যাকাউন্টে ২৯ হাজার ৭৬ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। কর্মসূচির আওতায় বাড়ি নির্মাণের কাজকর্মে অগ্রগতির ওপর নজরদারি করার জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ‘আবাসঅ্যাপ’ চালু করা হয়েছে। এই অ্যাপ ব্যবহার করে গত ১৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ কোটি ৩৩ লক্ষ ছবি তোলা হয়েছে এবং প্রাপ্ত ছবিগুলি যথাযথভাবে খতিয়ে দেখার পর ৫ কোটি ৩২ লক্ষ ছবির ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (গ্রামীণ) সুফলভোগীরা প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে নিখরচায় রান্নার গ্যাসের সংযোগ পেয়ে থাকেন। আবাস যোজনার আওতায় যে সমস্ত সুফলভোগীর বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে বা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে, তাঁরাও আবেদন করলে উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৬ সালের ২০শে নভেম্বর উত্তর প্রদেশের আগ্রায় এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-র রূপায়ণ পদ্ধতি প্রকাশ করেন। তখন থেকে প্রতি বছর ২০শে নভেম্বর দেশ জুড়ে আবাস দিবস হিসাবে উদযাপন করা হয়ে আসছে। এই দিবস উদযাপনের অঙ্গ হিসাবে ভূমি পূজা, গৃহ প্রবেশ প্রভৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
কর্মসূচির আওতায় নির্মিত বাড়িগুলির গুণগত মান পর্যালোচনার জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন চালু করা হয়েছে। ‘আবাসসফট্’ অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে নির্মীয়মান বাড়িগুলির ছবি তুলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয় এবং তাঁরা ছবি থেকে বাড়িগুলির গুণগত মান যাচাই করে থাকেন।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) সহ মন্ত্রকের বিভিন্ন কর্মসূচি সফলভাবে রূপায়ণের স্বীকৃতি-স্বরূপ বছর শেষে রাজ্য, জেলা ও ব্লকগুলিকে জাতীয় পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়। গত বছরও বিভিন্ন শ্রেণীতে রাজ্য, জেলা, ব্লক ও পঞ্চায়েতগুলিকে গত ১৯শে ডিসেম্বর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক অঞ্চল-ভিত্তিতে বাড়ির নক্শা নির্ধারণের জন্য রাষ্ট্রসংঘ আইআইটি দিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা গড়ে তুলেছে। সহযোগিতা অনুযায়ী, বাড়ির ১০৬টি নক্শার নমুনা চূড়ান্ত হয়েছে। এই নমুনা অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন এলাকায় সেখানকার ভৌগোলিক পরিবেশ অনুযায়ী, গ্রামীণ আবাস যোজনার আওতায় বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়াও, আঞ্চলিক স্তরে বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে সেরা পন্থাপদ্ধতিগুলি নিয়ে আলাপ-আলোচনা ও পারস্পরিক মতবিনিময়ের জন্য কর্মশিবিরের আয়োজন করা হয়।
শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি রারবান মিশন (এসপিএমআরএম)
দেশের ২৯টি জেলা ও ৬টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা ৩০০টি ক্লাস্টারের সুসংবদ্ধ উন্নয়নের লক্ষ্যে এই মিশনের আওতায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে চিহ্নিত এই ক্লাস্টারগুলিকে আর্থিক অগ্রগতির সম্ভাবনা, জীবন-জীবিকার সুযোগ-সুবিধা, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং অকৃষি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এই কর্মসূচির আওতায় মন্ত্রকের যুগ্মসচিবের পৌরহিত্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির ৯টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৬টি সুসংহত ক্লাস্টার কর্মপরিকল্পনা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির কাছে খতিয়ে দেখার জন্য পেশ করা হলে মন্ত্রক তাতে অনুমোদন দিয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিট অঞ্চলগুলি থেকে ১১৩টি ক্ষেত্রে বিস্তারিত প্রকল্প প্রতিবেদন জমা পড়েছে। এই কর্মসূচির প্রথম কিস্তিতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ১৯৭ কোটি ৯১ লক্ষ টাকা এবং দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৮৭ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।
সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা (এসএজিওয়াই)
গ্রামোন্নয়নের লক্ষ্যে এক যুগান্তকারী উদ্যোগের অঙ্গ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪’র ১১ই অক্টোবর সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনার সূচনা করেন। এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিল – প্রত্যেক সাংসদ ২০১৬’র মধ্যে সংসদীয় এলাকার একটি গ্রামকে বেছে নিয়ে তাঁকে আদর্শ গ্রামে পরিণত করবে। কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৯ সালের মধ্যে একজন সাংসদ কমপক্ষে পাঁচটি গ্রামকে বেছে নিয়ে সেগুলিকে আদর্শ গ্রামের রূপ দেবেন বলে স্থির হয়। তবে, আদর্শ গ্রামে পরিণত করার সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২৪ করা হয়েছে। সাংসদরা গত ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায় ১ হাজার ৭৩৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে অধিগ্রহণ করেছেন।
জাতীয় সামাজিক সহায়তা কর্মসূচি (এনএসএপি)
এই কর্মসূচির আওতায় সেই সমস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করা হয়, যাঁদের অর্থ উপার্জনের কোনও উৎস নেই বা পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পান না। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এই কর্মসূচির সুফলভোগীদের চিহ্নিত করার দায়িত্বে রয়েছে। কর্মসূচির আওতায় এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ৮৪ লক্ষ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৩ হাজার ৬৩৩ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলির কাছ থেকে মোট ১৩ কোটি ডিজিটাল লেনদেনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এই কর্মসূচির সকল সুফলভোগীর তথ্য এনএসএপি পোর্টালে আপলোড করা হয়েছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আধার যাচাই এবং অ্যানুয়াল লাইফ সাট্রিফিকেট পদ্ধতি ‘ই-প্রমাণ’ চালু হয়েছে। সামাজিক অডিট এমন এক ব্যবস্থা, যা অত্যন্ত কার্যকর এবং সুপ্রশাসনিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। সামাজিক অডিটের নীতি-নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫টি রাজ্যে সামাজিক অডিটের কাজ শেষ হয়েছে এবং আরও ১০টি রাজ্যে অডিটের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
CG/BD/SB
(Release ID: 1598957)