উপ-রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ খরচ এবং সরকারের জনমুখী ব্যয়ের বিরুদ্ধে কার্যকর আইন তৈরির আহ্বান জানালেন উপ-রাষ্ট্রপতি

Posted On: 09 JAN 2020 6:05PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৯ জানুয়ারি, ২০২০

 

 

দেশের রাজনীতিতে ক্রমবর্ধমান অর্থ শক্তির ব্যবহারে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন উপ-রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যান শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু। রাজনীতিতে অর্থ শক্তি বৃদ্ধি হ্রাসের বিষয় এবং রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনে বিপুল পরিমাণ খরচের ওপর লাগাম টানতে দ্রুত আইন তৈরির আহ্বান জানালেন শ্রী নাইডু। এ বিষয়ে সংসদকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি। হায়দরাবাদে আজ হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারত ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘রাজনীতিতে অর্থ শক্তি’ শীর্ষক সম্মেলনে একথা বলেন উপ-রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ভোটারদের প্ররোচিত করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সরকার অর্থের অপব্যবহার করে থাকে। তিনি বলেন, নিম্ন আয়ের ভারতবাসীর সাংসদ এবং বিধায়ক হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে লোকসভা এবং রাজ্যসভার ৮৮ শতাংশ সাংসদই যে সম্পত্তির খতিয়ান দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই কোটিপতি। শ্রী নাইডু বলেন, নির্বাচনের সময় বহু রাজনৈতিক দল বেআইনিভাবে প্রচুর অর্থ খরচ করে থাকে। এমনকি, ভোটারদের প্ররোচিত করতে পরিকাঠামো, ভালো শিক্ষা, ভালো স্বাস্থ্য ও চাকরির সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শুধু রাজনৈতিক দলগুলিই নয়, অনেক সময় সরকারও ভোটারদের অল্প সময়ে বেশি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানান উপ-রাষ্ট্রপতি। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলির খরচ, দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ, যাতায়াত, অন্যান্য কাজকর্ম এবং প্রার্থী পিছু খরচের বিষয়ে কঠোর আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি থাকা প্রয়োজন বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন।

শ্রী নাইডু বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের রাজনৈতিক দলগুলির গণতন্ত্রের স্বচ্ছতা বজায় রাখার প্রতি আর্থিক দায়বদ্ধতা থাকা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সংসদের আইন প্রণয়নের চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন যাতে রাজনীতিতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে এবং রাজনৈতিক দলগুলির আয়-ব্যয়ের হিসাব জনসমক্ষে আনা যায়।

সরকারগুলি স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী সুযোগ-সুবিধা নেওয়ায় তাদের মূল কাজকর্মে থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। এর ফলে, গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ দীর্ঘমেয়াদি সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই সমস্যার সমাধানে তিনি অর্থনীতিবিদ, সমাজ-বিজ্ঞানী, সংবাদমাধ্যমে এবং অন্যান্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি একসঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্বাচনী খরচ বাঁচানোর বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির সহমতে এসে ভাবনাচিন্তা করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, কোন কোন রাজনৈতিক দলের ধারণা একসঙ্গে নির্বাচন সম্পন্ন হলে বিশেষ রাজনৈতিক দলের সুবিধা হতে পারে। কিন্তু তাদের মনে রাখা প্রয়োজন যে এ দেশের ভোটাররা সরকার নির্বাচিত করার ব্যাপারে যথেষ্ট প্রাপ্তমনস্ক। তিনি শিক্ষিত ভোটারদের অর্থের বিনিময় ভোটদান করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। তাঁর মতে, এতে নৈতিকতার সঙ্গে সমঝোতা করা হয় এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পবিত্রতা নষ্ট হয়।

২০২২ সালের মধ্যে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে দেশে অর্থ শক্তি নির্ভর রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। চরিত্র, ব্যবহার, দক্ষতা এবং সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে জনগণকে তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচন করার আহ্বান জানান তিনি। নগদ অর্থ, শ্রেণী, জাতি এবং অপরাধীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করার পরামর্শ দেন উপ-রাষ্ট্রপতি।

অনুষ্ঠানে, ফাউন্ডেশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম-এর সাধারণ সচিব শ্রী জয়প্রকাশ নারায়ণ, ভারত ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক পলিসির প্রতিনিধি এবং হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

CG/SS/DM


(Release ID: 1598952) Visitor Counter : 154
Read this release in: English