কৃষিমন্ত্রক

বর্ষশেষ পর্যালোচনা ২০১৯ : কৃষি, সহযোগিতা ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক

Posted On: 08 JAN 2020 12:55PM by PIB Kolkata

 নয়াদিল্লি, ০৭ জানুয়ারী, ২০১৯

 

 

     ২০১৯ সালে কৃষি, সহযোগিতা ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের উল্লেখযোগ্য সাফল্য নিম্নরূপ :

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মান-ধন যোজনার (পিএম-কেএমওয়াই) সূচনা

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছরের ১২ই সেপ্টেম্বর কিষাণ মান-ধন যোজনার (পিএম-কেএমওয়াই)সূচনা করেন। এই কর্মসূচিতে যোগ্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হলে মাসিক ৩ হাজার টাকা ন্যূনতম পেনশন দেওয়া হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছামূলক এই কর্মসূচিতে ১৮-৪০ বছর বয়সী যেকোন কৃষক যোগ দিতে পারেন। একজন কৃষক মাসিক ৫৫-২০০ টাকা পর্যন্ত প্রিমিয়াম হিসেবে জমা করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট কৃষক মাসিক যে পরিমাণ টাকা প্রিমিয়াম হিসেবে জমা দেবেন, সম-পরিমাণ অর্থ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জমা করা হবে। এখনও পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে উপকৃত কৃষকের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ১৯ হাজার ৮০২।

 

প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির (পিএম-কিষাণ) সূচনা

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছরের ২৪শে ফেব্রুয়ারী কিষাণ সম্মান নিধির (পিএম-কিষাণ) সূচনা করেন। এই কর্মসূচিতে উপভোক্তাদের তিনটি কিস্তিতে ২ হাজার টাকা করে বার্ষিক মোট ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে কর্মসূচিতে ২ হেক্টর জমি রয়েছে এমন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক পরিবারগুলিকে সামিল করা হয়। সরকার গত বছরের পয়লা এপ্রিল এই কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধা জমির পরিমাণ নির্বিশেষে সকল কৃষক পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৮ কোটি ১২ লক্ষ কৃষক পরিবার উপকৃত হয়েছেন এবং এদেরকে ৪৮ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকার বেশি দেওয়া হয়েছে। পিএম কিষাণ ওয়েব পোর্টালে কৃষকদের নাম নথিভুক্তিকরণ, প্রয়োজনীয় তথ্য সংশোধন এবং সংযোজনের জন্য একটি লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে। এই লিঙ্কে ক্লিক করে কৃষকদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য সংযোজন বা সংশোধন করা সম্ভব হবে। অভিন্ন পরিষেবা প্রদান কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে তথ্য সংযোজন বা সংশোধন করা যাবে।

 

ভারতীয় কৃষি ব্যবস্হায় আমূল পরিবর্তনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন

ভারতীয় কৃষি ব্যবস্হায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন হয়েছে। ইতিমধ্যেই কমিটির গত বছরের ১৮ই জুলাই ও ১৬ই আগস্ট দুটি বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

২০১৯-২০র খরিফ ও রবি ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে বৃদ্ধি

কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৯-২০র খরিফ মরশুমের ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। সেই অনুযায়ী ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ৬৫ টাকা, বাজরার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ৫০ টাকা, রাগির ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ২৫৩ টাকা, ভুট্টার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ৬০ টাকা, মুগ ডালের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ৭৫ টাকা, চীনাবাদামের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ২০০ টাকা, সয়াবিনের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ৩১১ টাকা এবং তিলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ২৩৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

একইভাবে সরকার ২০১৯-২০র রবি ফসলের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ২০২০-২১র রবি বিপণন মরশুমে গম ও বার্লির ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ৮৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও ছোলার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ২৫৫ টাকা, সরষে বীজ ও রাই সরষের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্ট্যাল প্রতি ২২৫ টাকা করে বেড়েছে।

 

ই-জাতীয় কৃষি বাজার (ই-ন্যাম)-এক দেশ এক বাজার

ই-জাতীয় কৃষি বাজার (ই-ন্যাম)উদ্যোগের আওতায় ৪২১টি নতুন কৃষি বাজার গড়ে তোলার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কৃষি বাজারগুলির পাশাপাশি ফারমার্স প্রোডিউসার্স অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকেও ই-ন্যাম পোর্টালে বিভিন্ন ফসল বিপণনের তথ্য আপলোডের কাজ শুরু হয়েছে।

 

অন্যান্য উদ্যোগ ও সাফল্য

পুষ্টি সমৃদ্ধ উৎকৃষ্ট মানের বীজের যোগান বাড়াতে দেশে ২৫টি সিড হাব সেন্টার গড়ে তোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রথম কিস্তিতে ৭ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।

আদর্শ গ্রাম কর্মসূচির আওতায় ২০১৯-২০ বছরে কৃষকদের ১২ লক্ষ ৪০ হাজার সয়েল হেল্থ কার্ড বন্টন করা হয়েছে। এছাড়াও আলোচ্য বছরে কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে ১ লক্ষ ৪৪ হাজারের বেশি মেশিন বন্টন করা হয়েছে এবং সারা দেশজুড়ে ২ হাজার ৩০০ কাস্টম হায়ারিং সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে।

কৃষকদের সুবিধার্থে ভাড়ায় কৃষিকাজের যন্ত্রপাতি পাওয়ার জন্য বহু ভাষা ভিত্তিক মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। গত বছরের শেষ পর্যন্ত এই মোবাইল অ্যাপে ভাড়ায় দেওয়ার জন্য ১ লক্ষ ৩৩ হাজারের বেশি কৃষি যন্ত্রপাতির তথ্য আপলোড করা হয়েছে। প্রায় ১ লক্ষ ১২ হাজার কৃষক এই মোবাইল অ্যাপে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন।

২০১৯-২০ বর্ষে উদ্যানজাত ফসল কর্মসূচির আওতায় অতিরিক্ত ৭৩ হাজার ৬৫৮ হেক্টর এলাকাতে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও সারা দেশে ৫৯টি নার্সারি স্হাপন করা হয়েছে।

 

 

CG/BD/NS 



(Release ID: 1598695) Visitor Counter : 164


Read this release in: English