ভারী শিল্প মন্ত্রক

বর্ষশেষ পর্যালোচনা ২০১৯ : ভারি শিল্পমন্ত্রক

Posted On: 08 JAN 2020 12:52PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৭ জানুয়ারী, ২০১৯

 

 

     মোটরগাড়ি শিল্প ভারতের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। ১৯৯১ সালে মোটরগাড়ি শিল্পে উদারীকরণের পর এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের অনুমতি রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের ফলে এই শিল্প ভারতে বিগত বছরগুলিতে বহু পথ অতিক্রম করেছে। ভারতে সব ধরণের যানবাহন- দু চাকা, তিন চাকা, চার চাকা, যাত্রীবাহি গাড়ি, হাল্কা ওজনের বাণিজ্যিক যানবাহন, লরি, বাস, ট্র্যাক্টর এবং ভারী যানবাহনও তৈরি হয়ে থাকে। দু-চাকা, তিন চাকার যানবাহন নির্মাণে ভারত বিশ্বের প্রথম এবং যাত্রীবাহি যানবাহন নির্মাণে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম। ২০১৮-১৯এ ভারতীয় মোটরগাড়ি শিল্পে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের জিডিপি-র ৭.১ শতাংশ, শিল্প সংক্রান্ত জিডিপি-র ২৭ শতাংশ এবং উৎপাদন ক্ষেত্রের জিডিপি-র ৪৯ শতাংশ। এই ক্ষেত্রটিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্হান হয়েছে। ২০১৮-১৯এ সব ধরণের যানবাহনের বিক্রির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৬০ লক্ষ। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতে যানবাহন বিক্রির পরিমাণ ২০৩০ নাগাদ বর্তমান সময়ের ৩ গুনেরও বেশি বেড়ে ৮ কোটি ৪৫ লক্ষে পৌঁছাবে।

     প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন টন অপরিশোধিত তেল আমদানি এবং এই জ্বালানী ব্যবহারের ফলে মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের ফলে দেশ প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনের সঙ্গে মোটরগাড়ি শিল্পের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় প্রকাশ বিশ্বের ২০টি সর্বাধিক বায়ুদূষিত শহরের মধ্যে ভারতেরই ১৪টি শহর রয়েছে।

     উপরোক্ত এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর একাধিক নিয়ম-নীতি চালু করেছে। এরমধ্যে রয়েছে ভারত স্টেজ-৬ চালু করার মতো উদ্যোগও। ভারত স্টেজ-৬ হল জ্বালানী সাশ্রয়কারী এমন এক ব্যবস্হা যা কার্যকর হলে জ্বালানীর পাশাপাশি যানবাহন থেকে কার্বন নির্গমনের পরিমাণও কমবে।

     দেশে ইলেক্ট্রিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে সরকার ২০১১ সালে ন্যাশনাল মিশন ফর ইলেক্ট্রিক মবিলিটি চালু করে। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালে ন্যাশনাল ইলেক্ট্রিক মবিলিটি মিশন পরিকল্পনা ২০২০ শুরু করেন। ন্যাশনাল ইলেক্ট্রিক মবিলিটি মিশন হল এমন এক পরিকল্পনা যার সাহায্যে দেশে ইলেক্ট্রিক যানবাহন উৎপাদন ও তার ব্যবহার বাড়ানোর ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় স্তরে জ্বালানী নিরাপত্তা বাড়ানো, সুলভ ও পরিবেশ বান্ধব পরিবহন ব্যবস্হার প্রসার এবং ভারতীয় মোটরগাড়ি শিল্পকে বিশ্বের অগ্রণী মর্যাদায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

     ন্যাশনাল ইলেক্ট্রিক মবিলিটি মিশন পরিকল্পনা ২০২০তে দেশে ৬০-৭০ লক্ষ ইলেক্ট্রিক যানবাহনের ব্যবহার করার কথা রয়েছে। একইসঙ্গে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এ ধরণের যানবাহন নির্মাণ এবং এ ধরণের যানবাহনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাটারি চার্জের পরিকাঠামো গঠনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে সরকার ২০১৫র মার্চে দেশে ইলেক্ট্রিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানো, জ্বালানীর ওপর নির্ভরশীলতা কমানো এবং যানবাহন থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণ হ্রাস করার লক্ষ্যে দু বছর ব্যাপি এক কর্মসূচি গ্রহণ করে। প্রয়োজন সাপেক্ষে এই কর্মসূচির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই কর্মসূচি রূপায়ণে গত বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৮৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে ইলেক্ট্রিক যানবাহনের চাহিদা বাড়ানো, প্রযুক্তিগত সংস্হান এবং চার্জিং পরিকাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে ২ লক্ষ ৮০ হাজার ইলেক্ট্রিক যানবাহন উৎপাদনে চাহিদা ভিত্তিক উৎসাহভাতা হিসেবে ৩৫৯ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়। এরফল স্বরূপ ৫ কোটি লিটার জ্বালানী সাশ্রয় হয়েছে এবং ১২ কোটি ৪০ লক্ষ কেজি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন রোধ করা গেছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন খাতে ১৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই অর্থ বৈদ্যুতিক যানবাহনের কার্যকারিতা যাচাই পরিকাঠামো, সর্বাধুনিক গবেষণার জন্য উৎকর্ষ কেন্দ্র স্হাপন, ব্যাটারি সংক্রান্ত ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি ক্ষেত্রে খরচ করা হচ্ছে। গবেষণামূলক কাজকর্মের জন্য আইআইটি মাদ্রাজ, আইআইটি কানপুর, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সামিল করা হয়েছে।

ভারি শিল্পমন্ত্রক কর্মসূচির আওতায় দেশের বিভিন্ন শহরে যাত্রী পরিবহণের জন্য ৪২৫টি ইলেক্ট্রিক বাস সরবরাহ মঞ্জুর করেছে। এজন্য মন্ত্রকের খরচ হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এই ৪২৫টি বাসের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪০০টি বাস ইন্দোর, লক্ষ্মৌ, গুয়াহাটি, কলকাতা, হায়দ্রাবাদ প্রভৃতি শহরে পরিবহনের কাজে লাগানো হয়েছে। বাকি ২৫টি বাস মুম্বাইয়ে পরিবহনের কাজে লাগানো হবে।

ব্যাটারি চার্জের পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য সরকার ব্যাঙ্গালোর, চন্ডীগড়, জয়পুর, জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লীর মতো একাধিক শহরে প্রায় ৫০০টি চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার অনুমতি দিয়েছে। এছাড়াও ৩টি এক্সপ্রেসওয়েকে সম্পূর্ণরূপে ইলেক্ট্রিক যানবাহনের উপযোগী করে তোলার দায়িত্ব মন্ত্রককে দেওয়া হয়েছে। এই এক্সপ্রেসওয়েগুলিকে ইলেক্ট্রিক যানবাহনের উপযোগী করে তুলতে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ভেল সংস্হার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। যে তিনটি এক্সপ্রেসওয়েকে ইলেক্ট্রিক যানবাহনের উপযোগী করে তোলার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলি হল- দিল্লী-চন্ডীগড় এক্সপ্রেসওয়ে, দিল্লী-জয়পুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং মুম্বাই-পুণে এক্সপ্রেসওয়ে। ইতিমধ্যে দিল্লী-চন্ডীগড় এক্সপ্রেসওয়েকে দেশের প্রথম ইলেক্ট্রিক যানবাহন উপযোগী এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

বৈদ্যুতিন যানবাহন নির্মাণ ও তার ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা খরচের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত বছরের পয়লা এপ্রিল থেকে এই কর্মসূচি রূপায়ণ শুরু হয়েছে। কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭ হাজার ৯০টি ইলেক্ট্রিক বাস, ৫ লক্ষ তিন চাকার ইলেক্ট্রিক যান, ৫৫ হাজার চার চাকার যাত্রীবাহি ই-গাড়ি এবং ১০ লক্ষ দুই চাকার ইলেক্ট্রিক যান উৎপাদনে সহায়তা দিয়ে চাহিদা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ই-বাস বাদ দিয়ে সমস্ত ইলেক্ট্রিক যানবাহনের জন্য প্রতি কিলোওয়াট ব্যাটারি ক্যাপাসিটির জন্য ১০ হাজার টাকার উৎসাহ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। ই-যানবাহনে ব্যবহৃত ব্যাটারির বাজার পরিস্হিতি ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে এ ধরণের ব্যাটারি ব্যবহারের ক্ষেত্রে চাহিদা বাড়াতে যে উৎসাহ ভাতা দেওয়া হয় তা প্রয়োজন সাপেক্ষে সংশোধন করা হয়ে থাকে।

এই কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৩টি ইলেক্ট্রিক যানবাহন উৎপাদন সংস্হা মোট ৩৯টি ইলেক্ট্রিক যানবাহনের মডেল নথিভুক্ত করেছে। এরমধ্যে দু-চাকার ১৪টি, তিন চাকার ১১টি এবং চার চাকার ১৪টি মডেল রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ৫০০টি ইলেক্ট্রিক যানবাহন বিক্রি করা হয়েছে।

গণ-পরিবহন ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে ভারি শিল্পমন্ত্রক শহরাঞ্চলীয় ও রাজ্য পরিবহন কর্তৃপক্ষগুলির কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের প্রস্তাব খতিয়ে দেখার পর মন্ত্রক ২৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আন্তঃশহর যোগাযাগ স্হাপনে ৬৪টি শহরের জন্য ৫ হাজার ৫৯৫টি ইলেক্ট্রিক বাস চালানোর অনুমতি দিয়েছে। এই বাসগুলি ৪ লক্ষ কোটি কিলোমিটার দূরত্বে যাওয়া-আসা করবে এবং ১২০ কোটি লিটার জ্বালানী সাশ্রয় হবে। এমনকি, ২৬ লক্ষ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণ হ্রাস করা সম্ভব হবে।

ইলেক্ট্রিক যানবাহনে ব্যবহৃত ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য শহরাঞ্চলীয় স্হানীয় সংস্হা, পুর নিগম, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্হা, সরকারি ও বেসরকারি সংস্হার কাছ থেকে ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার স্টেশন গড়ে তোলার প্রস্তাব আহ্বান করেছে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন শহরে ৭ হাজার ব্যাটারি চার্জিং স্টেশন পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে প্রায় ১০০টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে। মন্ত্রক প্রস্তাবগুলি খতিয়ে দেখছে এবং শীঘ্রই চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার অনুমতি জারি করা হবে।

দেশে ইলেক্ট্রিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করছে। এ ধরণের যানবাহনের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়াতে জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ইলেক্ট্রিক যানবাহন ক্রয় করার জন্য ক্রেতাদের ঋণ বাবদ প্রদেয় সুদের ক্ষেত্রে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত আয়কর ছাড়ের সুবিধা রয়েছে। কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক ইলেক্ট্রিক যানবাহনের ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ বিক্রির বিষয়টিকে সার্ভিস হিসাবে গণ্য করেছে। এরফলে ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিনিয়োগে উৎসাহ বাড়বে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক ব্যাটারি চালিত বাণিজ্যিক যানবাহনের ক্ষেত্রে পারমিটে ছাড় দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এছাড়াও সড়ক পরিবহন মন্ত্রক ইলেক্ট্রিক যানবাহন ব্যবহারের ক্ষেত্রে গ্রীন নাম্বার প্লেট লাগানোর অনুমতি দিয়েছে। এমনকি অর্থ মন্ত্রক ইলেক্ট্রিক যানবাহনের বিভিন্ন উপকরণ স্হানীয় ভিত্তিতে নির্মাণের ক্ষেত্রে উৎপাদনশুল্ক সংশোধন করেছে।

সরকারের এই সমস্ত উদ্যোগের পরেও জনমানসে সচেতনতার অভাবের জন্য ইলেক্ট্রিক যানবাহনের ব্যবহার প্রত্যাশা অনুযায়ী বৃদ্ধি পায়নি। ইলেক্ট্রিক যানবাহনের মূল্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হওয়া আর একটি কারণ। যন্ত্রচালিত যানবাহনের পরিবর্তে ইলেক্ট্রিক যানবাহনের নিত্য-নৈমিত্তিক পরিষেবার হার তুলনামূলক কম। এমনকি ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার বিষয়টিও ইলেক্ট্রিক যানবাহন ব্যবহারের প্রসারে বাধাস্বরূপ হয়ে উঠেছে। এই সমস্ত সমস্যাগুলিকে বিবেচনায় রেখে সরকার ইলেক্ট্রিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে ১ হাজারের বেশি ব্যাটারি চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলা, চিহ্নিত মহাসড়কগুলিতে ব্যাটারি চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বিভিন্ন সংস্হার পক্ষ থেকে দরপত্র আহ্বান, ব্যাপক বিজ্ঞাপন প্রচার এবং বর্তমানে চালু ইলেক্ট্রিক যানবাহনগুলিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাওয়ার গ্রীড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং হিন্দুস্হান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডকে মহারত্ন মর্যাদা প্রদান করেছে। এই মর্যাদা প্রাপ্তির ফলে সংস্হা দুটির পরিচালন পর্ষদ আর্থিক ক্ষেত্রে আরও বেশি ক্ষমতা পাবে। এর প্রভাব পড়বে সংস্হাগুলির কাজকর্ম সম্প্রসারণ এবং বিশ্ব বাজারে নিজেদের অস্তিত্ব আরও মজবুত করার ওপর।

     মহারত্ন মর্যাদা প্রাপ্ত ভারত হেভি ইলেক্ট্রিক্যাল্স লিমিডেট বা ভেল ভারতের প্রথম লিথিয়াম-আয়ন ভিত্তিক স্পেশ গ্রেড ব্যাটারি উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ইসরোর প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভেলের বেঙ্গালুরুর কারখানায় উন্নতমানের এই ব্যাটারি উৎপাদন করা হবে। উল্লেখ করা যেতে পারে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্হা ভেল দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরোর চন্দ্রযান অভিযানে সংস্হাটি বিশেষ ট্যাঙ্ক, ব্যাটারি ও সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্যানেল ইসরোকে সরবরাহ করেছে। এই প্রথম ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে ভেলকে ৫ হাজার অশ্বশক্তি সম্পন্ন ২৫টি ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিন নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছে।

     রাষ্ট্রায়ত্ত্ব উদ্যোগ দপ্তরের মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের প্রথম ৬ মাসের পূর্ববর্তী অর্থবর্ষের প্রথম ৬ মাসের ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা থেকে প্রায় ৫.৬৯ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৫ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। এছাড়াও ১৬টি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্হার মূলধনী ব্যয় সংক্রান্ত দুটি পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে।

 

 

CG/BD/NS


(Release ID: 1598694) Visitor Counter : 786


Read this release in: English