জলশক্তি মন্ত্রক

জলশক্তি মন্ত্রকের ২০১৯-এর বর্ষশেষ পর্যালোচনা

Posted On: 06 JAN 2020 10:49PM by PIB Kolkata

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছর দোসরা অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে গুজরাটের আমেদাবাদে এক জনসভা থেকে ‘স্বচ্ছ ভারত’ প্রকল্পটি জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী এবং দেশবাসীর উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। ঐ জনসভায় ২০ হাজারেরও বেশি স্বচ্ছাগ্রহী এবং পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষকে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম থেকে আটকানো সম্ভব হয়েছে। এই সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে ভারত উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে বলেও তিনি জানান।

গত বছর দোসরা অক্টোবর ভারতকে পরিচ্ছন্ন এবং উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে এটিই তাঁর প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদান। তিনি এর জন্য লক্ষ লক্ষ স্বচ্ছাগ্রহীকে অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতা জন-আন্দোলনের রূপ নেওয়ার ফলেই এটা সম্ভবপর হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছর ১১ই সেপ্টেম্বর মথুরা থেকে দেশ জুড়ে ‘স্বচ্ছতাহি সেবা’ সচেতনতা প্রচারাভিযানের সূচনা করেছিলেন। এই প্রচারাভিযানের মূল ভাবনা ছিল ‘প্লাস্টিক বর্জ্য সম্পর্কে সচেতনতা এবং ব্যবস্থাপনা’।

গত বছর ১৪ই ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের কানপুরে জাতীয় গঙ্গা পর্ষদের প্রথম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকে গঙ্গা দূষণ রোধ এবং গঙ্গার পুনরুজ্জীবনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ‘স্বচ্ছতা’, ‘অবিরলতা’ ও ‘নির্মলতা’র ওপর লক্ষ্য রেখে স্বচ্ছ গঙ্গার প্রেক্ষাপটে কাজের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করেন।

রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দ গত বছর ৬ই সেপ্টেম্বর নতুন দিল্লিতে ‘স্বচ্ছতা মহোৎসব’ অনুষ্ঠানে বলেন, স্বচ্ছ ভারত মিশন দেশের মানুষের আচার-আচরণে এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। এই মডেলটি সারা বিশ্বের কাছে এক উদাহরণ হয়ে উঠেছে বলেও তিনি জানান। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি স্বচ্ছ ভারত পুরস্কার প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দ গত বছর ২৪শে সেপ্টেম্বর নতুন দিল্লিতে ষষ্ঠ ‘জল সপ্তাহ, ২০১৯’-এর সূচনা করেন। এই জল সপ্তাহে থিম ছিল ‘জল সহযোগিতা – একুশ শতকের প্রতিবন্ধকতা’।

বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় দেশের জলসঙ্কট প্রবণ ব্লক ও জেলাগুলিতে জল সঞ্চয়ের কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে জলশক্তি অভিযানের সূচনা করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় জল সংরক্ষণ, সংগ্রহ এবং চিরাচরিত জল সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলির পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ১ হাজার জন আধিকারিক রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে চলেছে।

নির্মল গঙ্গা কর্মসূচিতে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। গত বছর ১৭ই ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বিহারের কারমালিচক, বঢ়, সুলতানগঞ্জ এবং নৌগুছিয়ার পয়ঃপ্রণালী পরিকাঠামোর উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এমনকি, পাটনায় গঙ্গা তীরবর্তী, ১৬টি ঘাট, একটি শ্মশান ঘাট, ৪.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নৌ-বিহার পথ, কমিউনিটি-কাম-কালচার সেন্টার, ইকো সেন্টার জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন। এগুলি তৈরিতে খরচ হবে ২৪৩.২৭ কোটি টাকা।

জল সংরক্ষণের বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে বর্ষার সময় গ্রামীণ এলাকায় বৃষ্টির জল সংরক্ষণে এগিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী সমস্ত গ্রামসভার প্রতিনিধিদের চিঠি লিখেছেন। গ্রামসভার প্রতিনিধিরা প্রতি বছর ২২শে জুন প্রধানমন্ত্রীর সেই চিঠি গ্রামে গ্রামে সকলের জনসমক্ষে পাঠ করে শোনান। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী জল সংরক্ষণের সকলের শ্রমদানের কথা উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে, বৃষ্টির জল সংরক্ষণের জন্য ছোট পুকুর খনন, বৃক্ষরোপন, জলের ট্যাঙ্ক তৈরি করার কথাও চিঠিতে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। জল সংরক্ষণকে জন-আন্দোলনের রূপ দিতে জল সংরক্ষণ বিষয়ে শ্রমদানের উদ্দেশ্যে এক কর্মসূচিরও সূচনা করেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।

কুম্ভমেলায় স্বচ্ছতা অভিযানের সঙ্গে যুক্ত সাফাই কর্মচারীদের সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছর ২৫শে ফেব্রুয়ারি পাঁচজন সাফাই কর্মচারীকে সংবর্ধনা জানান।

গত বছর ৫ই ডিসেম্বর হরিদ্বারের সরাইয়ে প্রতিদিন ১৪ মিলিয়ন লিটার ড্রেনের ময়লা উত্তোলনে সক্ষম প্ল্যান্টের সূচনা করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ৪১.৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই এই প্ল্যান্টের নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে।

স্বচ্ছ গঙ্গা অভিযানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘অবিরল ধারা’, ‘নির্মল ধারা’ এবং ‘স্বচ্ছ কিনারা’র স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে।

স্বচ্ছ ভারত অভিযান সফল করতে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত ‘স্বচ্ছ মহোৎসব, ২০১৯’-এর সূচনা করেছেন।

জলশক্তি মন্ত্রী গত বছরের ১৮ই জুন বারাণসী সফরের সময় ‘নমামী গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। তিনি দিনাপুরে প্রতিদিন ১৪ মিলিয়ন লিটার ড্রেনের ময়লা উত্তোলনে সক্ষম প্ল্যান্ট ঘুরে দেখেন। এমনকি, রামান্নায় গড়ে ওঠা প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন লিটার ড্রেনের ময়লা উত্তোলনে প্ল্যান্ট এবং নৌকায় বারাণসীর ৮৪টি গঙ্গা ঘাটও পরিদর্শন করেন।

গত বছর ১৩ই জুন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত ঋষিকেশ এবং হরিদ্বারে ‘নমামী গঙ্গে’ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন।

জল সংরক্ষণ, গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ এবং স্বচ্ছ ভারত মিশন ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সমস্ত রাজ্যের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এবং মুখ্য সচিবদের সঙ্গে গত বছরের ১১ই জুন নতুন দিল্লিতে পর্যবেক্ষণ বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী। এই বৈঠকে ২৪টি রাজ্যের মন্ত্রীরা যোগ দিয়েছিলেন।

শ্রী শেখাওয়াত গত বছর ২৭শে জুলাই ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে জলশক্তি মন্ত্রকের আওতায় পানীয় জল এবং পয়ঃপ্রণালী দপ্তরের দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সূচনা করেছেন। এই কর্মসূচির আওতায় ২,৮০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই প্রশিক্ষকরা পরবর্তী সময়ে দেশের ২ লক্ষ ৫০ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রশিক্ষণের কাজ চালাবে।

জল সংরক্ষণে জলশক্তি অভিযানের সূচনা করা হয়েছে। জল সংরক্ষণ এবং জল নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে প্রচারাভিযানের জন্য গত বছর পয়লা জুলাই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী এই জলশক্তি অভিযানের সূচনা করেছিলেন। সাধারণ মানুষ যাতে এই প্রচারাভিযানে অংশ নিতে পারেন তার জন্য বর্ষার সময় ১ জুলাই থেকে ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের এই প্রচারাভিযান চালানো হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই প্রচারাভিযান চলেছিল ১ অক্টোবর থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত।

২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি প্রান্তে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘জল জীবন মিশন’ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী।

গত বছর ১৪ই আগস্ট কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী ‘গ্রামীণ এলাকায় স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ, ২০১৯’-এর সূচনা করেন। দেশের ৬৯৮টি জেলার ১৭,৪৫০টি গ্রামীণ এলাকায় এই সমীক্ষা চালানো হয়। এই স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ চালানোর সময় প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তাঁদের মতামত নেওয়া হয়েছিল।

জলশক্তি মন্ত্রকের পানীয় জল এবং পয়ঃপ্রণালী দপ্তর আগামী ১০ বছরের জন্য গ্রামীণ এলাকায় পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নীতি-নির্দেশিকা নির্ধারণের কৌশল স্থির করেছে। গ্রামীণ এলাকায় স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় শৌচকর্মের আচার-আচরণ পরিবর্তনের লক্ষ্যেই এই কৌশল স্থির করা হয়েছে।

জল সংরক্ষণ এবং সঠিকভাবে জলের ব্যবহারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে জলশক্তি মন্ত্রক। গত বছর ২৫শে সেপ্টেম্বর নতুন দিল্লিতে জাতীয় জল মিশন পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে জলের ব্যবহার নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।

কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক গত বছর ১০ই অক্টোবর থেকে ১১ই নভেম্বর পর্যন্ত ‘গঙ্গা আমন্ত্রণ অভিযান’-এর আয়োজন করেছিল। দেবপ্রয়াগ থেকে গঙ্গসাগর পর্যন্ত এই অভিযান চলে। এই অভিযান চালানোর সময় অভিযাত্রীরা গঙ্গা পরিষ্কারের কাজে হাত লাগিয়েছিলেন। পাশাপাশি, তাঁরা প্রচারাভিযানের কাজও চালিয়েছিলেন।

কেন্দ্রীয় ভূ-জল পর্ষদ গত বছর ২২শে নভেম্বর নতুন দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়ার ম্যানেজিং অ্যাকুইফার রিচার্জ অ্যান্ড সাসটেনিং গ্রাউন্ড ওয়াটার ইউজ থ্রু ভিলেজ লেভেল ইন্টারভেনশন (মারভি)-র সঙ্গে এক সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করে। এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী শ্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত, কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী ও জলশক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী রতন লাল কাটারিয়া, ভারতে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত মিস আইভেন ম্যাকে সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আগ্রা ও মথুরায় ষষ্ঠ ‘নমামী গঙ্গে’ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক, জাহাজ চলাচল, জলসম্পদ, নদী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি।

স্বচ্ছ গঙ্গা জাতীয় মিশনের আওতায় সমস্ত অংশীদার ও আধিকারিকদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে স্বচ্ছ গঙ্গা তহবিলে কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় অর্থদান করতে পারেন।

যমুনার উঁচু অববাহিকায় রেণুকাজি মাল্টিপারপাস বাঁধ নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক, জাহাজ চলাচল, জলসম্পদ, নদী উন্নয়ন দপ্তর গত বছরের ১১ই জানুয়ারি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, দিল্লি এবং হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে।

কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক, জাহাজ চলাচল, জলসম্পদ, নদী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি গত বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারি হরিদ্বারের চাঁদনি ঘাটে ৫,৮৯৪ কোটি টাকার প্রকল্পের সূচনা করেছেন।

কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক, জাহাজ চলাচল, জলসম্পদ, নদী উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি বিহারের ছাপরায় ২,৭৮৫ কোটি ২৩ লক্ষ টাকার নিকাশি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী সুশীল কুমার মোদী।

জলশক্তি অভিযানকে জন-আন্দোলনের রূপ দিতে মন্ত্রকের সচিব শ্রী প্রদীপ কুমার সিনহা গত বছর ২৬শে আগস্ট এক পর্যালোচনা বৈঠক করেন। দেশের ২৫৬টি জলসঙ্কট প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করেন ১,১০০ জন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিনিধি।

উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম বন্ধ এবং জল সংরক্ষণের ওপর জাতীয় পরিকল্পনা রূপায়ণের বিষয়ে গত বছর ১২ এবং ১৩ই জুলাই দু’দিনের এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় ৩০টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬২২টি জেলার ৫ লক্ষ ৬০ হাজার গ্রামকে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গত ৭ই মার্চ ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ‘ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বর্ডার এরিয়া প্রোগ্রাম’ (এফএমবিএপি)-এর জন্য ৩,৩৪২ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দে মঞ্জুরি দিয়েছে। এই অর্থের ৫০ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার এবং বাকি ৫০ শতাংশ রাজ্য সরকার দেবে। তবে, উত্তর-পূর্ব রাজ্য যেমন সিকিম, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের জন্য ৭০ শতাংশ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বাকি ৩০ শতাংশ সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার দেবে।

‘নমামী গঙ্গে’ প্রকল্পে যমুনা সংলগ্ন শহরগুলির নিকাশি, পরিকাঠামো এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ১,৩৮৭ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এনএমজিসি-র সহযোগিতায় কানপুর-উন্নাও লেদার ক্লাস্টারের উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জলশক্তি অভিযানের অঙ্গ হিসেবে এক মাসেই দেশের ২৫৬টি জেলায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি জল সংরক্ষণের ওপর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

‘স্বচ্ছ সুন্দর শৌচালয়’ প্রচারাভিযানের অঙ্গ হিসেবে পয়লা জানুয়ারি থেকে বছরভর শৌচালয় রং করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর গত বছর ৩০ ও ৩১শে জানুয়ারি এক জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করা হয়। নতুন দিল্লিতে আয়োজিত এই কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, সিইও, সিডিও, একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। গ্রামীণ স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় গত বছর ৬ই ফেব্রুয়ারি ‘দ্বিতীয় দফার দরজা বন্ধ’ প্রচার অভিযানের সূচনা করা হয়। সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রী অমিতাভ বচ্চন। বিশ্ব ব্যাঙ্ক এই প্রচারাভিযানে সাহায্য করেছে।

২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে জাতীয় বার্ষিক গ্রামীণ অনাময় সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের সহায়তায় একটি স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে এই সমীক্ষার কাজ চালানো হয়। এই সমীক্ষায় দেখা গেছে গ্রামীণ স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় ৯৬.৫ শতাংশ গ্রামের মানুষ শৌচালয় ব্যবহার করছেন।

 

 

CG/SS/DM


(Release ID: 1598587) Visitor Counter : 204


Read this release in: English