বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক

বর্ষশেষ পর্যালোচনা ২০১৯ : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক

Posted On: 06 JAN 2020 5:34PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০১ জানুয়ারি, ২০২০

 

 

জলন্ধরে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস ২০১৯

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছরের তেসরা জানুয়ারি জলন্ধরে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস ২০১৯ উদ্বোধন করেন। এই বিজ্ঞান কংগ্রেসে ৩ জন নোবেলজয়ী ছাড়াও ডিআরডিও, ইসরো, আইসিএআর, সিএসআইআর, ইউজিসি-র মতো প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা সহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩০ হাজার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। কংগ্রেসের ২০টি পূর্ণাঙ্গ সভায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

 

ডিএনএ প্রযুক্তি (ব্যবহার ও প্রয়োগ) নিয়ন্ত্রণ বিল, ২০১৯ লোকসভায় অনুমোদিত

 

এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসাবে লোকসভায় গত বছরের ৮ই জানুয়ারি ডিএনএ প্রযুক্তি (ব্যবহার ও প্রয়োগ) নিয়ন্ত্রণ বিল, ২০১৯ অনুমোদিত হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তি, অভিযুক্ত ব্যক্তি, বিচার-বিভাগীয় হেফাজতে থাকা ব্যক্তি এবং অজানা ব্যক্তির পরিচিতি যাচাই করার জন্য ডিএনএ প্রযুক্তির ব্যবহার ও প্রয়োগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এই বিল আনা হয়।

 

কৃষি জৈব প্রযুক্তি গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রের প্রসারে আন্তঃমন্ত্রক সহযোগিতার জন্য সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর

 

কৃষি জৈব প্রযুক্তি গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রের প্রসারে বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কাজকর্মের পাশাপাশি, উদ্ভাবনে উৎসাহ দিতে গত বছরের ১৫ই জানুয়ারি জৈব প্রযুক্তি দপ্তর এবং ভারতীয় কৃষি গবেষণা পর্ষদের মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়।

 

প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিষয়ক পরামর্শদাতা পরিষদে গ্রেট ব্রিটেনের গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ক মুখ্য আধিকারিকের ভাষণ

 

কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা অধ্যাপক কে বিজয় রাঘবনের আমন্ত্রণে গ্রেট ব্রিটেনের গবেষণা ও উদ্ভাবন বিষয়ক মুখ্য আধিকারিক অধ্যাপক মার্ক ওয়ালপোর্ট গত বছরের ১৬ই জানুয়ারি দু’দিনের সফরে দিল্লিতে এসে প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন বিষয়ক পরামর্শদাতা পরিষদে ভাষণ দেন। এই পরিষদ ভারতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের প্রসারে ভবিষ্যৎ রূপরেখা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে থাকে।

 

ওয়ান হেলথ ইন্ডিয়া কনফারেন্স ২০১৯ আয়োজিত

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের জৈব প্রযুক্তি দপ্তর একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সহযোগিতায় গত বছরের ১৮ই ফেব্রুয়ারি নতুন দিল্লিতে দু’দিনের ওয়ান হেলথ ইন্ডিয়া কনফারেন্স ২০১৯ – এর আয়োজন করে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিভিন্ন মন্ত্রক ও দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়সাধনের লক্ষ্যে এ ধরনের সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

 

জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের ৩৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীন জৈব প্রযুক্তি দপ্তর গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ৩৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করে। প্রতিষ্ঠা দিবসের মূল ভাবনা ছিল জৈব প্রযুক্তি ক্ষেত্রের সাফল্য উদযাপন : ভারতকে এক অগ্রণী উদ্ভাবনমূলক দেশে পরিণত করা। দপ্তরের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন জৈব প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গবেষণা, উদ্ভাবন ও কারিগরি উৎকর্ষতার নিদর্শন-স্বরূপ পুরস্কার প্রদান করেন। এই উপলক্ষে তিনি অটল জয় অনুসন্ধান বায়োটেক মিশন – এর সূচনা করেন। উদ্দেশ্য – আগামী পাঁচ বছরে দেশে স্বাস্থ্য, কৃষি ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনা। এই মিশনের সঙ্গে মাতৃত্বকালীন ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচি ‘গর্ভ’ উদ্যোগকেও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে, রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সস্তায় ভ্যাকসিন সরবরাহ, পোষণ অভিযানকে কার্যকর করতে পুষ্টিসমৃদ্ধ গম উৎপাদন প্রভৃতি কর্মসূচি রয়েছে।

 

ক্যান্সার গবেষণা ক্ষেত্রে ভারত ও গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরে মন্ত্রিসভার অনুমোদন

 

ক্যান্সার গবেষণা ক্ষেত্রে ভারত ও গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত বছরের ৭ই মার্চ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গত বছরের ২৭শে মার্চ বায়োমেডিকেল রিসার্চ কেরিয়ার প্রোগ্রাম চালু রাখার প্রস্তাব অনুমোদন করে। এই কর্মসূচি ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত কার্যকর করার মেয়াদ ছিল। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে মন্ত্রিসভা ২০১৯-২০ থেকে ২০২৩-২৪ পর্যন্ত কর্মসূচি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী পাঁচ বছরে এই কর্মসূচি রূপায়ণে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯২ কোটি টাকা।

 

ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে যৌথভাবে গবেষণামূলক কর্মসূচিতে পারস্পরিক সহায়তার জন্য জৈব প্রযুক্তি দপ্তর এবং আনবিক শক্তি দপ্তর গত বছরের ২২শে মে একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করে।

 

ভারত ও থাইল্যান্ডের মধ্যে জ্যোতির্বিজ্ঞান ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে ২০১৮-র নভেম্বরে স্বাক্ষরিত সমঝোতাপত্র সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবগত করা হয়েছে। এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের ফলে দুই দেশের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আদান-প্রদান, প্রশিক্ষণ ও বিজ্ঞান পরিকাঠামো যৌথভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন নতুন গবেষণার তথ্য উঠে আসবে এবং মানবসম্পদের উন্নয়নেও তা কার্যকর ভূমিকা নেবে।

 

জৈব প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারত ও কোস্টারিকার মধ্যে স্বাক্ষরিত ইচ্ছাপত্র সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।

 

এছাড়াও, মন্ত্রিসভা গত বছরের ১৭ই জুলাই রিজেনারেটিভ মেডিসিন, থ্রিডি বায়োপ্রিন্টিং, বৈজ্ঞানিক ধ্যান-ধারণা ও তথ্যের আদান-প্রদান সহ বিজ্ঞান পরিকাঠামো যৌথভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রস্তাবে কর্মপরবর্তী অনুমোদন দিয়েছে।

 

জৈব প্রযুক্তি মন্ত্রক গত বছরের ৭ই মার্চ নতুন দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে বিজ্ঞান ক্ষেত্রে ভারতীয় মহিলাদের অবদান : এক অসাধারণ যাত্রাপথ শীর্ষক প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এই প্রদর্শনীতে বিজ্ঞান ক্ষেত্রে ভারতীয় মহিলাদের সাফল্যের কাহিনীগুলিকে তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে।

 

বর্জ্য থেকে সম্পদ তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য উৎকর্ষ কেন্দ্র স্থাপনে সরকার ও আইআইটি দিল্লি সহমত হয়েছে। এই লক্ষ্যে গত বছরের দোসরা মে এক সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়।

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীন জাতীয় মানচিত্র প্রণয়ন প্রতিষ্ঠান সার্ভে অফ ইন্ডিয়া দ্রোণ ব্যবহার করে মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামের মানচিত্র প্রণয়নে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে।

 

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন গত বছরের ১৬ই সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স প্রতিষ্ঠানে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লিন কোল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সূচনা করেছেন। ডঃ হর্ষ বর্ধন গত বছরের ২৩শে সেপ্টেম্বর নবজাতকদের জিনগত রোগের মোকাবিলায় ‘উম্মিদ’ কর্মসূচির সূচনা করেছেন

 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা গত বছরের ২৩শে অক্টোবর ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে উচ্চ গুণমানবিশিষ্ট অত্যন্ত কার্যকরি গবেষণা ও উদ্ভাবনমূলক বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার সুযোগ বাড়বে।

 

পঞ্চম ভারত আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসব গত বছরের ৫ থেকে ৮ই নভেম্বর কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৫ই নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উৎসবের সূচনা করেন। এই উপলক্ষে তিনি বলেন, উৎসবের মূল ভাবনা ‘রাইসন’ – একবিংশ শতাব্দীর ভারতের প্রত্যাশাগুলিকেই প্রতিফলিত করে। তিনি আরও বলেন, সামজিক ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। এই বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই সরকার আবিষ্কার ও উদ্ভাবন উভয় ক্ষেত্রেই প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা দিচ্ছে।

ভারতের প্রথম মেগা বিজ্ঞান প্রদর্শনী ‘বিজ্ঞান সঙ্গম’ কলকাতার সায়েন্স সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সায়েন্স মিউজিয়ামের সহযোগিতায় গত বছরের ৪ঠা নভেম্বর থেকে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই মেগা বিজ্ঞান প্রদর্শনী কলকাতার সায়েন্সসিটিতে আয়োজন করা হয়। এর আগে মুম্বাই ও বেঙ্গালুরুতে সাফল্যের সঙ্গে এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন এবং পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান যৌথভাবে গত বছরের ২১শে নভেম্বর গ্লোবাল বায়ো-ইন্ডিয়া সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। জৈব প্রযুক্তি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নিয়ে এ ধরণের সম্মেলন ভারতে এই প্রথমবার আয়োজিত হয়। এই সম্মেলনে বিশ্বের ২৫টি দেশ এবং ভারতের ১৫টি রাজ্য থেকে ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিনিধি যোগ দেন।

 

রেলমন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল গত ২২শে নভেম্বর গ্লোবাল বায়ো-ইন্ডিয়া পুরস্কার প্রদান করেন। এই উপলক্ষে তিনি বলেন, স্টার্ট আপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির পেটেন্ট বা স্বত্ত্ব প্রদান ব্যবস্থায় সরলীকরণ করা হয়েছে। জৈব প্রযুক্তি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকেও যাবতীয় সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গত বছরের ২৮শে ফেব্রুয়ারি নতুন দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে  ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮’র শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার প্রদান করেন। মনুষ্য ব্যবহৃত জ্ঞান ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি-স্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।

 

কয়েক দশক জুড়ে অক্লান্ত প্রচেষ্টার সাফল্য হিসাবে বিশ্ব বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তি মহল গত বছরের ১৬ই নভেম্বর ওজন ও পরিমাপক সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক সভায় কিলোগ্রাম, কেলভিন, পদার্থের পরিমাণ এবং অ্যাম্পিয়ারের ক্ষেত্রে নতুন সংজ্ঞা চূড়ান্ত করার প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। গত বছরের ২০শে মে থেকে সারা বিশ্ব জুড়ে নতুন এই পরিমাপক ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে।

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডঃ হর্ষবর্ধন গত ২০ জুলাই হায়দরাবাদে সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি প্রতিষ্ঠানে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং ব্যবস্থার সূচনা করেছেন। এই ব্যবস্থার ফলে পিতামাতার জিনের গঠনের ধাঁচ নিরূপণ করা সম্ভব হবে, যার ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে জিনগত তথ্যের বিশ্লেষণ করা যাবে।

 

রাষ্ট্রপতি শ্রী রাম নাথ কোবিন্দ গত বছরের ২৬শে নভেম্বর বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পর্ষদ সিএসআইআর – এর পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি উচ্চ তাপ সংবেদনশীল জ্বালানি সেল বা ব্যাটারি প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে সিএসআইআর – এর প্রযুক্তিগত প্রয়োগগুলির প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি এই প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের কারিগরি পুরস্কার এবং অধ্যাপক অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়কে জিএন রামচন্দ্রণ স্বর্ণপদক পুরস্কার প্রদান করেন।

 

বায়ু দূষণ কমাতে সিএসআইআর একাধিক পরিবেশ-বান্ধব আতশবাজি আবিষ্কার করেছে। এছাড়াও, জাল আতশবাজির উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ করতে প্রতিষ্ঠানটি লোগো এবং কিউআর কোড চালু করেছে।

 

খাদি ও গ্রামোদ্যোগ কমিশন এবং সিএসআইআর – এর মধ্যে খাদি বিক্রয় কেন্দ্রগুলিতে সিএসআইআর – এর উৎপাদিত সামগ্রী ও গ্রামোদ্যোগ কমিশনের উৎপাদিত মধু বিক্রয়ের জন্য গত বছরের ৫ই ডিসেম্বর সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছিল। পরম্পরাগত চিকিৎসা-পদ্ধতি এবং আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে এই পদ্ধতির মেলবন্ধনের জন্য সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে গবেষণা ও শিক্ষামূলক কাজে সহযোগিতার লক্ষ্যে আয়ুষ মন্ত্রক এবং সিএসআইআর – এর মধ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত বছরের ২২শে এপ্রিল এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।

 

ভারতীয় নৌ-বাহিনীর জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যৌথ গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি পরিচালনার জন্য নৌ-বাহিনী এবং সিএসআইআর – এর মধ্যে গত বছরের ৫ই এপ্রিল সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়সিএসআইআর – এর পাঁচটি অগ্রণী পরীক্ষাগারের সঙ্গে আইআইটি দিল্লির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, আইআইটি দিল্লি যৌথ উদ্যোগে গবেষণা, জ্ঞানের আদান-প্রদান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে।

 

ডঃ হর্ষ বর্ধন প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে ডিজেল উৎপাদনের একটি কারখানার উদ্বোধন করেছেনসিএসআইআর – এর উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে প্লাস্টিক থেকে ডিজেল উৎপাদন করা হচ্ছে। কারখানাতে ১ টন বর্জ্য প্লাস্টিক থেকে প্রতিদিন ৮০০ লিটার ডিজেল উৎপাদন সম্ভব। বায়ুর গুণমানে নজরদারির জন্য যে সমস্ত যন্ত্রপাতির ব্যবহার করা হয়, তার কার্যকরিতা যাচাই করে দেখতে সিএসআইআর-কে প্রধান দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিএসআইআর এই সমস্ত যন্ত্রপাতির সঠিক গুণমান বজায় রাখতে এবং বায়ুর গুণমান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে সাহায্য করবে।

 

এছাড়াও, সিএসআইআর বেসরকারি সান ফার্মা সংস্থার সঙ্গে ত্বক, চক্ষু এবং ক্যান্সার চিকিৎসা ক্ষেত্রে সত্ত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, সান ফার্মা অর্থ খরচ করবে এবং সিএসআইআর প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাবদ রয়্যালটি পাবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত অধ্যয়ন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও উপকরণ নির্মাণের জন্য সিএসআইআর – এর উদ্যোগে তৈরি একটি বিশেষ প্রযুক্তি সহায়তা কেন্দ্রের সূচনা হয়েছিল।

 

সিএসআইআর ফ্রান্সের সিএনআরএস সংস্থার সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত গবেষণার ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে। এই সমঝোতার ফলে মেরিন বায়োটেকনোলজি, স্বাস্থ্য, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, ধাতব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং জল গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে উঠবে।

 

হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, লেহ্‌, উত্তর-পূর্ব এবং তামিলনাডুর পার্বত্য এলাকায় টিস্যু কালচার প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুণগত মানের ও রোগমুক্ত জাফরান উৎপাদনের জন্য সিএসআইআর – এর সঙ্গে লাদাখের কৃষক ও উৎপাদক সমবায় গোষ্ঠীর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

 

সিএসআইআর – এর বিজ্ঞানীরা এমন এক প্রযুক্তির আবিষ্কার করেছেন, যার মাধ্যমে মূল্যবান পটাশ সংগ্রহ করা সম্ভব। অভিনব এই পদ্ধতিতে পটাশ সংগ্রহের ফলে দেশের বহু বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এই পদ্ধতির জন্য প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।

 

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1598544) Visitor Counter : 114


Read this release in: English