কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক

কর্মী, জন-অভিযোগ ও পেনশন মন্ত্রকের ২০১৯ বর্ষশেষ পর্যালোচনা

Posted On: 06 JAN 2020 12:49PM by PIB Kolkata

 কর্মী, জন-অভিযোগ ও পেনশন মন্ত্রক ২০১৯ সালে যে উদ্যোগগুলি গ্রহণ করেছিল সেগুলি হল – সুপ্রশাসন দিবসে সুপ্রশাসন সূচক চালু করা হয়। দপ্তরের মন্ত্রী ২৫শে ডিসেম্বর সুপ্রশাসন দিবসে এই সূচক চালু করেন। এর মাধ্যমে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বিভিন্ন প্রকল্পের মূল্যায়ন এবং তার প্রভাব পর্যালোচনা করা সম্ভব। এই সূচক ১) কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র, ২) শিল্প ও বাণিজ্য, ৩) মানবসম্পদ উন্নয়ন, ৪) জনস্বাস্থ্য, ৫) পরিকাঠামো ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র, ৬) আর্থিক প্রশাসন, ৭) সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন, ৮) বিচারব্যবস্থা ও জন-নিরাপত্তা, ৯) পরিবেশ এবং ১০) নাগরিক-কেন্দ্রিক প্রশাসন বিবেচনা করে তৈরি করা হয়। মন্ত্রী এই উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত একটি ক্যাবিনেট সচিবের নীতি-নির্দেশিকার পঞ্চদশ সংস্করণ প্রকাশ করেন।

জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ঐ এলাকার সুপ্রশাসনের বিষয়ে ১৫ ও ১৬ই নভেম্বর একটি আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সম্মেলনে ‘সুশাসন সঙ্কল্প : জম্মু ঘোষণা’ গৃহীত হয়। ১৯টি রাজ্য এবং চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এঁরা ছাড়াও, জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের ৪৫০ জন আধিকারিক এই সম্মেলনে যোগ দেন।

জম্মুতে ‘জলশক্তি এবং বিপর্যয় মোকাবিলা’ শীর্ষক দু’দিনের একটি আঞ্চলিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ উদ্যোগের আওতায় ৩০শে নভেম্বর থেকে পয়লা ডিসেম্বর এই সম্মেলনে কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীর এবং ভগিনী রাজ্য তামিলনাড়ুর প্রতিনিধিরা ঝিলম ও কাবেরী নদীর সংস্কার নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি, কৃষিক্ষেত্রে জলের ব্যবহার হ্রাস, শহরাঞ্চলে বন্যা মোকাবিলা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সহায়তায় প্রশাসনিক সংস্কার ও জন-অভিযোগ দপ্তর ৮ এবং ৯ অগাস্ট মেঘালয়ের শিলং-এ ই-গভর্ন্যান্সের ওপর ২২তম জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করে। এই সম্মেলন আয়োজনে মেঘালয় সরকারও সহযোগিতা করেছে। এবারের সম্মেলনের থিম ছিল ‘ডিজিটাল ভারত : সাফল্য থেকে উৎকর্ষতা’। সম্মেলনের শেষ দিনে ই-গভর্ন্যান্সের ওপর ‘শিলং ঘোষণাপত্র’ প্রকাশিত হয়েছে।

নাগরিকদের সর্বাঙ্গীণ ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ২২শে ডিসেম্বর মন্ত্রক আয়োজিত একটি সম্মেলনে ‘নাগপুর ঘোষণা’ গৃহীত হয়েছে। এই সম্মেলনের বিষয় ছিল ‘উন্নত জন-পরিষেবা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারের ভূমিকা’।

লোকপালের চেয়ারপার্সন বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষ এবং লোকপালের আট সদস্য এ বছরই শপথ পাঠ করে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। লোকপালের লোগো, উদ্দেশ্য ও ওয়েবসাইটটিও এ বছরই চালু করা হয়েছে।

পয়লা জানুয়ারি মুখ্য তথ্য কমিশনার শ্রী সুধীর ভার্গব চারজন তথ্য কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করান। এঁরা হলেন, শ্রী যশোবর্ধন কুমার সিনহা, শ্রীমতী বনজা এন সারনা, শ্রী নীরজ কুমার গুপ্তা এবং শ্রী সুরেশ চন্দ্র।

তথ্যের অধিকার সংশোধন বিল, ২০১৯ লোকসভায় ২২শে জুলাই অনুমোদিত হওয়ার পর ২৫শে জুলাই তা রাজ্যসভায় পাশ হয়। এই সংশোধনীর ফলে মুখ্য তথ্য কমিশনার ও অন্যান্য তথ্য কমিশনারদের এবং রাজ্যস্তরের মুখ্য তথ্য কমিশনার ও অন্যান্য তথ্য কমিশনারদের বেতন ও দায়িত্ব নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়েছে। জন-অভিযোগ নিষ্পত্তি ও নজরদারির জন্য ৫ই নভেম্বর একটি জাতীয় কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ভারতের প্রথম সারির সিভিল সার্ভিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র দ্য ন্যাশনাল সেন্টার ফর গুড গভর্ন্যান্স মালদ্বীপের সিভিল সার্ভিস কমিশনের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এর ফলে, আগামী পাঁচ বছর মালদ্বীপের ১ হাজার জন সিভিল সার্ভেন্টকে প্রশিক্ষিত করা হবে। ৬ থেকে ১৩ই ডিসেম্বর এই সংস্থাটি ক্ষমতা নির্মাণ কর্মসূচির আওতায় একটি কর্মশালার আয়োজন করে।

৩ জুলাই ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন মঙ্গোলিয়ার সিভিল সার্ভিস কাউন্সিলের সঙ্গে সহযোগিতার লক্ষ্যে একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ ১২ই অক্টোবর কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের চতুর্দশ বার্ষিক কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন। শ্রী শাহ তথ্যের অধিকার আইনের প্রশংসা করে বলেন, এর মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থা এবং সুবিচার নিশ্চিত করা সম্ভব।

সাইবার অপরাধের তদন্ত ও ফরেন্সিকের ওপর প্রথম জাতীয় সম্মেলন সেপ্টেম্বরের ৪ ও ৫ তারিখ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) আয়োজিত এই সম্মেলনে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রক ও বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫০ জন আধিকারিক অংশগ্রহণ করেন।

কর্মী, জন-অভিযোগ ও পেনশন মন্ত্রক ২৭শে ফেব্রুয়ারি জাতীয় ই-গভর্ন্যান্স পুরস্কার প্রদান করে। উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য ছয়টি বিভাগে মোট ১৪টি পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৭ ব্যাচের ১৬০ জন আইএএস আধিকারিকের সঙ্গে ২রা জুলাই মতবিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী এই আধিকারিকদের নতুন নতুন ধারণা গড়ে তুলতে উৎসাহিত করেন। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের অবসরকালীন ভাতা সংক্রান্ত নানা অভাব-অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে ২০শে জুন একটি সুসংহত অভিযোগ সেল ও কল সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়। মন্ত্রক ২৩শে আগস্ট নিখিল ভারত পেনশন আদালতের আয়োজন করে। এই আদালতে ৪ হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর নানা সমস্যার সমাধান ঐদিন করা হয়।

১৯৬৪ সালের ফ্যামিলি পেনশন নিয়মের ৫৪(৩) ধারার সংশোধন করা হয়। এর ফলে যেসব কর্মী তাঁদের কর্মজীবন শুরুর সাত বছরের মধ্যে মারা যাবেন তাঁদের পরিবার বর্ধিত অবসরভাতা পাবেন। বয়স্ক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সহায়তার লক্ষ্যে ১৭ই জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সময়সীমা পয়লা নভেম্বরের পরিবর্তে পয়লা অক্টোবর থেকে করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সুপ্রশাসনের লক্ষ্যে জম্মুতে ‘ভবিষ্য’ নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঐ অনুষ্ঠানে সীমা সুরক্ষা বলের কর্মীদের জন্য একটি কর্মশালারও আয়োজন করা হয়েছিল।

 

 

CG/CB/DM

  



(Release ID: 1598500) Visitor Counter : 147


Read this release in: English