সামাজিকন্যায়ওক্ষমতায়নমন্ত্রক
সামাজিক ন্যায় এবং স্বশক্তিকরণ ও অন্যভাবে সক্ষম ব্যক্তি মন্ত্রকের বার্ষিক পর্যালোচনা
Posted On:
26 DEC 2019 10:20PM by PIB Kolkata
সামাজিক ন্যায় এবং স্বশক্তিকরণ দপ্তরের লক্ষ্য এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা যেখানে সকলে সুরক্ষিত থাকবে এবং মর্যাদা নিয়ে বসবাস করতে পারবে। যেখানে থাকবে উন্নতির সুযোগ, শিক্ষা, অর্থ, সামাজিক উন্নয়ন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পুর্নবাসনের বন্দোবস্ত করাও হবে এই দপ্তরের লক্ষ্য। তফশিলী জাতি, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী, বয়স্ক নাগরিক, মদ এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তি, তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক, ভিক্ষুক, যাযাবর শ্রেণী, শিক্ষাগত এবং অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণী এবং আর্থিকভাবে দুস্হ শ্রেণী এই সকলেরই ক্ষমতায়ণ করার লক্ষ্য রয়েছে এই মন্ত্রকের।
২০১৯এর ৫ই ডিসেম্বর তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের অধিকার সংক্রান্ত বিধেয়কটি সংসদে পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাভ করেছে। এই আইনের মাধ্যমে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে আরও মনোযোগ দেবে। বিপুল সংখ্যায় এই শ্রেণীর মানুষ তাদের মর্যাদা ফিরে পাবেন, সমাজের মূল স্রোতে ফেরা সহজ হবে। বৈষম্য দূর হয়ে তাঁরা সমাজে উৎপাদনশীল সদস্য হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দ ২০১৯এর তেশরা অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীন ব্যক্তি দিবসে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য পরিষেবার স্বীকৃতি হিসেবে বিশিষ্ট প্রবীন ব্যক্তি ও সংগঠনকে ‘বয়ঃশ্রেষ্ঠ সম্মান’ প্রদান করেন। ২০১৩ সালে এই পুরস্কারটি জাতীয় পুরস্কারের মর্যাদা লাভ করে।
দেশের মাদকাসক্তদের বিষয়ে সমীক্ষা করিয়েছে সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ দপ্তর। এর মোকাবিলায় ৭ বছরের একটি জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৪-১৫ থেকে এই কর্মসূচিতে ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৪৭-জন উপকৃত হয়েছেন। দলিত সম্প্রদায়ভুক্তদের শিল্পোদ্যোগের ওপর গবেষণার মাধ্যমে তপশীলি জাতি উপজাতি সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ণের লক্ষ্যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে মন্ত্রকের অধীন ডঃ আম্বেদনকর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার এবং দলিত ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে এই সমঝোতাপত্রের সার্বিক লক্ষ্য হল তপশীলি জাতি উপজাতি মানুষদের ক্ষমতায়ন ও তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। ডঃ আম্বেদকর কর্মসূচির লক্ষ্য অসবর্ণ বিবাহের মাধ্যমে সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলা। সামাজিক বিষয়ে জনসচেতনতা গড়তে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সামাজিক ন্যায়, অস্পৃশ্যতা দূরীকরণ, বৈষম্য দূরীকরণ, সামাজিক গণতন্ত্র, জাতীয় ঐক্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিষয়ে ডঃ আম্বেদকরের ভাবনা সম্পর্কে যুব সমাজকে অবহিত করাই এর লক্ষ্য।
কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ মন্ত্রী থওয়ার চাঁদ গেহলট ২০১৯এর ২৬ জুন নতুন দিল্লীতে আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে সপ্তদশ মাদক বিরোধী দৌড়ে অংশ নেন। মাদকাসক্তি দূর করতে মন্ত্রক ২১০ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা খরচ করেছে। সারা ভারতে ১ হাজার ৮২টি অসরকারি সংস্হার ১ হাজার ৭৭৭ টি প্রকল্পকে সহায়তা দিয়েছে মন্ত্রক।
অন্যভাবে সক্ষম মানুষের ক্ষমতায়ণ দপ্তর তৈরি করা হয়েছে যাতে এই ধরণের ব্যক্তির কল্যাণ ও ক্ষমতায়ণ অর্জন সম্ভব হয়। এই দপ্তর একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার, অসরকারি সংস্হা ইত্যাদির মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলাই এর লক্ষ্য।
মন্ত্রকের লক্ষ্য হল এই ধরণের ব্যক্তিদের সমান সুযোগ দেওয়া। এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যাতে তাদের অধিকার সুরক্ষিত হয় এবং তারা স্বাধীনভাবে যেকোন কাজে অংশ নিতে পারেন।
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ রিহ্যাবিলিটেশন গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এটি মধ্যপ্রদেশের সিহরে স্হাপন করা হবে।
অন্যভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অবস্হা এবং রাষ্ট্রসংঘের সনদ অনুযায়ী প্রস্তাব রূপায়ণ নিয়ে ভারতের প্রথম প্রতিবেদনটি ২০১৯র নভেম্বরে পেশ করা হয় যা এবছর ৩রা সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘে কয়েকটি সুপারিশ সহ গৃহিত হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে অন্যভাবে সক্ষমদের জন্য ক্রীড়া কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দিব্যাঙ্গ ক্রীড়াবিদদের আধুনিক মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
২০১৯এর ২৩ জুলাই একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সেখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অন্যভাবে সক্ষম শিশু ও তরুণ-তরুণীরা তাঁদের নৈপুন্য প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার অধ্যক্ষ এবং মন্ত্রিসভার সদস্য ও সংসদ সদস্যরা উপস্হিত ছিলেন।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অবস্হিত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ এমপাওয়ারমেন্ট অফ পারসন্স উইথ মাল্টিপল ডিজএবিলিজ সম্প্রসারণ কেন্দ্রটিকে কম্পোজিট আঞ্চলিক কেন্দ্রে উন্নীত করা হয়েছে।
এই দপ্তর একটি পোর্টাল তৈরি করেছে। মন্ত্রকের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী থওয়ার চাঁদ গেহলট গত ১৮ সেপ্টেম্বর এর সূচনা করেন। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এক মঞ্চে নিয়ে আসাই এর লক্ষ্য যাতে দ্রুত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়।
দপ্তরের সচিব ৯ই সেপ্টেম্বর জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত একটি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। অন্যভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অধিকার সংক্রান্ত রাষ্ট্রসংঘের ঘোষণাপত্রে অন্যতম স্বাক্ষরকারী ভারত। এই বৈঠকে ভারতের প্রথম প্রতিবেদনটি নিয়ে আলোচনা হয়।
১০ই অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্হ্য দিবস পালন করা হয়। বিভিন্ন জাতীয় প্রতিষ্ঠানে মানসিক স্বাস্হ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়।
উপরাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নায়ডু আন্তর্জাতিক অন্যভাবে সক্ষম ব্যক্তি দিবসে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্হার পাশাপাশি রাজ্য ও মনোনীত জেলাকে পুরস্কৃত করেন। এই পুরস্কার দেওয়া হয় অন্যভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী থওয়ার চাঁদ গেহলট।
CG/AP/NS
(Release ID: 1597764)
Visitor Counter : 4328