প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

প্রধানমন্ত্রীর পৌরহিত্য জাতীয় গঙ্গা পর্ষদের প্রথম বৈঠক

Posted On: 15 DEC 2019 8:24PM by PIB Kolkata

নতুনদিল্লি, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯

 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর প্রদেশের কানপুরে আজ  জাতীয় গঙ্গা পর্ষদের প্রথম বৈঠকের পৌরহিত্য করেন।

 

গঙ্গা নদী, এর উপনদীগুলি  এবং অববাহিকার পুণরুজ্জীবন ও দূষণ প্রতিরোধের সার্বিক দায়িত্ব এই পর্ষদকে দেওয়া হয়েছে। প্রথম বৈঠকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সব দপ্তর এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলির গঙ্গা-কেন্দ্রিক  দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। 

আজকের বৈঠকে কেন্দ্রীয় জলশক্তি, পরিবেশ, কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন, স্বাস্থ্য, নগরোন্নয়ন, বিদ্যুৎ, পর্যটন, জাহাজ চলাচল মন্ত্রীরা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী,  বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী, নীতি আয়োগের উপাধ্যক্ষ এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের কোন প্রতিনিধি-ই উপস্থিত ছিলেন না। নির্বাচনের কারণে আদর্শ আচরণবিধি বলবত হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের কোন প্রতিনিধি-ও অংশগ্রহণ করতে পারেন নি।

 

প্রধানমন্ত্রী, বৈঠকে ‘স্বচ্ছতা’, ‘অবিরলতা’ এবং ‘নির্মলতা’-র লক্ষ্যে গঙ্গানদী পরিষ্কার করার নানা বিষয়ে কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং তাঁর সুচিন্তিত মতামত দেন। তিনি বলেন, উপমহাদেশের পবিত্রতম নদী হলেন মা গঙ্গা। এর পুনরুজ্জীবনে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আদর্শ উদাহরণ হতে পারে। দেশের কাছে গঙ্গা পুনরুজ্জীবনের চ্যালেঞ্জ দীর্ঘদিনের। তিনি আর-ও বলেন, সরকার ২০১৪ সালে ‘নমামী গঙ্গে’ উদ্যোগ গ্রহণ করার পর অনেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দূষণ হ্রাস, গঙ্গার সংরক্ষণ ও পুনরুজ্জীবন, কাগজের কলগুলির বর্জ্য নিঃসরণ বন্ধ করা, চামড়ার কারখানাগুলির থেকে দূষিত পদার্থ ফেলার পরিমাণ হ্রাস করা । যদিও আরো অনেক কাজ বাকি আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।      

গঙ্গার জলপ্রবাহ পর্যাপ্ত ও বন্ধনহীন রাখার লক্ষ্যে যে পাঁচটি রাজ্যর মধ্য দিয়ে গঙ্গা প্রবাহিত হয়েছে, সেখানে প্রথমবারের মত কেন্দ্র ২০১৫-২০ সময়কালে ২০ হাজার কোটি টাকা অর্থবরাদ্দর অঙ্গীকার করেছে। নতুন নতুন পয়ঃনিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ইতোমধ্যেই ৭৭০০কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। জাতীয় নদীগুলির তীরবর্তী শহরগুলিতে প্রয়োজনীয় প্রচার গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন যার মাধ্যমে নির্মল গঙ্গা প্রকল্প বাস্তবায়নে জনসাধারণের থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা পাওয়া যাবে। বিভিন্ন পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলাস্তরে গঙ্গা কমিটিগুলির দক্ষতা বৃদ্ধির উপর-ও গুরুত্ব দেওয়া হয়। 

 

গঙ্গা পুনরুজ্জীবন প্রকল্পে অর্থের জন্য সরকার স্বচ্ছ গঙ্গা তহবিল গঠন করেছে, যেখানে ব্যক্তিগতভাবে যে কেউ অর্থ দিতে পারেন। এছাড়াও, প্রবাসী ভারতীয়রা এবং বিভিন্ন সংস্থার কর্পোরেট দায়বদ্ধতার আওতায় এখানে অর্থ প্রদান সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই ২০১৪ সাল থেকে পাওয়া নানা উপহারসামগ্রী নিলাম করে প্রাপ্ত অর্থ এবং সিওল শান্তি পুরষ্কারের টাকা এই তহবিলে দান করেছেন, যার পরিমাণ ১৬কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা।  

গঙ্গাকে কেন্দ্র করে নানা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য একটি স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী সর্বাঙ্গীণ ভাবনার উপর গুরুত্ব দেন, যার মাধ্যমে ‘নমামী গঙ্গে’ ‘অর্থ গঙ্গে’-য় উন্নীত হতে পারে। এই লক্ষ্যে কৃষকদের স্থায়ী কৃষি পদ্ধতিতে উৎসাহ দিতে হবে। যেখানে গঙ্গার তীরে চারাগাছ নার্সারি তৈরি, ফলের গাছ পোঁতা সহ নানা উদ্যোগ নেওয়া যাবে। এই কাজে মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাজওয়ানদের সংগঠনগুলিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এছাড়া, ধর্মীয় ও আডভেঞ্চার ট্যুরিজম বিকাশে এবং মিশ্র পর্যটনের লক্ষ্যে সাইকেল চালানো, হাঁটার জন্য রাস্তা সহ জলের মধ্যে খেলা যায় এধরণের নানান খেলার পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। গঙ্গা পরিষ্কারের জন্য পরিবেশ-পর্যটন ও গঙ্গা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ , নৌকাবিহারের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের বিষয় নিয়ে-ও আলোচনা হয়েছে।    

নমামী গঙ্গা এবং অর্থ গঙ্গা প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ড্যাশবোর্ড তৈরির নির্দেশ দেন। এই ড্যাশবোর্ডে গ্রাম ও শহর থেকে প্রাপ্ত তথ্য নীতি আয়োগ ও জলশক্তি মন্ত্রক নজরে রাখবে। তিনি আর-ও বলেন, উচ্চাকাঙ্খী জেলার মত নমামী গঙ্গে প্রকল্পের আওতায় গঙ্গা তীরবর্তী জেলাগুলিকেও নজরদারির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।   

বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর আজাদ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ নিবেদন করেন। নমামী গঙ্গে প্রকল্পের ওপর একটি প্রদর্শনীও ঘুরে দেখেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী অটল ঘাটে যান। সেখানে সিসামাউ মেলা সফল ভাবে পরিষ্কার করার কাজটি তিনি ঘুরে দেখেন।   

 

 

SSS/CB



(Release ID: 1596544) Visitor Counter : 148


Read this release in: English