Posted On:
25 NOV 2019 11:05AM by PIB Kolkata
আমার প্রিয় দেশবাসীরা, আমাদের সবার এটা কখনও ভোলা উচিত নয় যে, ৭ ডিসেম্বরে Armed Forces Flag Day পালন করা হয়। এইদিনে আমরা আমাদের বীর সৈনিকদের, তাদের পরাক্রমকে, তাদের আত্মবলিদানকে স্মরণ তো করিই, আর স্মরণে অংশ নিই। শুধু সম্মানভাবই যথেষ্ট নয়, সক্রিয় অংশগ্রহণও প্রয়োজন। আর, ৭ ডিসেম্বরে প্রত্যেক নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকের কাছে সেদিন Armed Forces-এর Flagথাকাই উচিত, আর উদযাপনও করতে হবে। আসুন এই উপলক্ষ্যে আমরা আমাদের armed forces-এর অদম্য সাহস, শৌর্য এবং সমর্পন-ভাবের প্রতি কৃতিজ্ঞতা জানাই এবিং বীর সৈনিকদের স্মরণ করি।
আমার প্রিয় দেশবাসীরা, ভারতে Fit India Movementএর সঙ্গে তো আপনারা সম্ভবত পরিচিত হয়েছেন। CBSE একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে - Fit Indiaসপ্তাহ পালন। Schools, Fit Indiaসপ্তাহ ডিসেম্বর মাসে যে কোনও সপ্তাহে পালন করতে পারে। এতে fitness নিয়ে অনেক ধরণের আয়োজন করা হবে। এতে quiz, প্রবন্ধ রচনা, ছবি আঁকা, পারম্পরিক এবং স্থানীয় ক্রীড়া, যোগাসন, dance এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন হনে। Fit India সপ্তাহে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি তাদের শিক্ষক এবং অবিভাবকরাও অংশগ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু এটা ভুললে চলবে না যে, Fit India মানে শুধুই মস্তিস্কের কসরৎ, কাগজের কসরত বা laptop কিংবা computer-এ কিংবা mobilephone-এ fitness-এর appদেখে যাওয়া। মোটেই না। ঘাম ঝরাতে হবে। খাদ্যাভ্যাস বদলাতে হবে। অধিকতম focus activity করার স্বভাব গড়তে হবে। আমি দেশের সব রাজ্যের school board এবং school প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই যে, প্রত্যেক school-এ ডিসেম্বর মাসে Fit Indiaসপ্তাহ পালন করুন। এতে fitness এর স্বভাব আমাদের সকলের দিনযাপনে রপ্ত হবে। Fit India Movement-এfitness নিয়ে স্কুলগুলির ranking এর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এই ranking অর্জনকারী সমস্ত school, Fit Indialogo আর flag এর ব্যবহার করতে পারবে। Fit Indiaportal এ গিয়ে school নিজেকে Fit করতে পারবে। Fit Indiathree star আর Fit India five star ratings-ও দেওয়া হবে। আমি অনুরোধ জানাই যে সব school,Fit Indiaranking-এ যোগ দিন আর Fit India সহজ স্বভাবে পরিণত হোক। একটি গণআন্দোলন গড়ে উঠুক, সচেতনয়া বাড়ুক, এর জন্য চেষ্টা করতে হবে।
আমার প্রিয় দেশবাসীরা, আমাদের দেশ এত বিশাল, এত বৈচিত্র্যপূর্ণ, এত পুরাতন যে, অনেক বিষয় আমাদের মনেই থাকে না, আর এটাই স্বাভাবিক। এমনি একটি বিষয় আমি আপনাদের সাথে share করতে চাই। কিছু দিন আগে MyGov-এ একটি comment আমার চোখে পড়েছে। এই comment আসামের নওগাঁ-র শ্রীযুক রমেশ শর্মা জী লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, ব্রহ্মপুত্র নদে একটি উৎসব চলছে। এরনাম ব্রহ্মপুত্র পুষ্কর। ৪ নভেম্বর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত এই উৎসব ছিল। আর এই ব্রহ্মপুত্র পুষ্করে যোগ দেওয়ার জন্য দেশের ভিন্ন ভিন্ন অংশ থেকে অনেক মানুষ সেখানে হাজির হয়েছিলেন। একথা শুনে আপনিও আশ্চর্য হলেন তো! হ্যাঁ, এটাই কথা যে, এটি এমনই গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। আর, আমাদের পূর্বজরা এটি এমনভাবে রচনা করেছেন যে, গোটা বিষয়টা শুনলে আপনারা অবাক হবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এর যতটা ব্যাপক প্রচার হওয়া উচিত, যতটা দেশের কোনায় কোনায় ছড়িয়ে যাওয়া উচিত, সেই পরিমাণে হয় না। আর, এটাও সত্যি যে, এই সমগ্র আয়োজন এক প্রকারে এক দেশ, এক বার্তা আর আমরা সবাই এক, এই মনোভাবকে পুষ্ট করে, শক্তি যোগায়।
সবার আগে রমেশ জী, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি ‘মনের কথা’-র মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে একথা শেয়ার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপনি যন্ত্রণার কথাও বলেছেন, এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কোনও চর্চা হয় না, ব্যাপক প্রচার হয় না। আপনার ব্যাথা আমি বুঝতে পারি। দেশের অধিকাংশ মানুষ এই বিষয়ে জানেন না। হ্যাঁ, যদি কেউ একে International River festival বলে দিতেন, কিছু চটকদার শব্দ ব্যবহার করতেন, তাহলে হয়তো আমাদের দেশের কিছু মানুষ তা নিয়ে আলাপ আলোচনা করতেন, আর প্রচারও হয়ে যেত।
আমার প্রিয় দেশবাসীরা, ‘পুষ্করম, পুষ্করালু, পুষ্করঃ’ আপনারা কখনও কি এই শব্দগুলি শুনেছেন? আপনারা কি জানেন? আপনারা জানেন এগুলি কী? আমি বলছি। এগুলি দেশের ১২টি ভিন্ন ভিন্ন নদীতে যে উৎসবের আয়জন হয়, তাদের ভিন্ন ভিন্ন নাম। প্রতি বছর একটি নদীতে ... অর্থাৎ, সেই নদীতে আবার ১২ বছর পর উৎসব হবে, আর এই উৎসব দেশের আলাদা আলাদা প্রান্তের ১২টি নদীতে উদযাপিত হয়। পালা করে হয় আর ১২ দিন ধরে চলে। কুম্ভের মতোই এই উৎসবও জাতীয় একতাকে প্রেরণা যোগায়, আর ‘এক-ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-কে তুলে ধরে। পুষ্করম এমনই একটি উৎসব, যাতে নদীর মাহাত্ম্য নদীর গৌরব, জীবনে নদীর গুরুত্ব অত্যন্ত সহজভাবে ভাবে পরিস্ফুট হয়।
আমাদের পূর্বজরা প্রকৃতিকে, পরিবেশকে, জলকে, জমিকে, জঙ্গলকে অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁরা নদীগুলির গুরুত্ব বুঝেছেন এবং সমাজে নদীগুলির প্রতি ইতিবাচক ভাব কিভাবে জন্ম নেবে, একটি সংস্কার কিভাবে রচিত হবে, নদীর সঙ্গে সংস্কৃতির ধারা, নদীর সঙ্গে সংস্কারের ধারা, নদীর সঙ্গে সমাজকে যুক্ত করার প্রয়াস নিরন্তর চলে আসছে। আর মজার কথা হল এই যে, সমাজ নদীর সঙ্গে যুক্ত আর পরস্পরের সঙ্গেও যুক্ত। গত বছর তামিলনাডুর তামীরবরনী নদীতে পুষ্করম হয়েছিল। এ বছর এটি ব্রহ্মপুত্র নদে উদযাপিত হয়েছে আর আগামী বছর তুঙ্গভদ্রা নদীতে –অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও কর্ণাটকে আয়োজিত হবে। এভাবে আপনারা এই ১২টি স্থানের যাত্রাকে একটি Tourist circuit রূপের করতে পারেন। এখানে আমি আসামবাসীদের উদ্দীপনা, তাদের আতিথেয়তার প্রশংসা করতে চাই, যাঁরা গোটা দেশ থেকে আগত তীর্থযাত্রীদের সাদর আপ্যায়ন করেছেন। আয়োজকরা স্বচ্ছতার দিকে পূর্ণ নজর দিয়েছেন। plastic free zone-এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। জায়গায় জায়গায় Bio Toilets-এর ব্যবস্থা করেছেন। আমি আশা করি নদীগুলির প্রতি এমন মনোভাব জাগানোর এই হাজার হাজার বছরের প্রাচীন উৎসব আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে জুড়বে। প্রকৃতি, পরিবেশ, জল – এই সব কিছু আমাদের পর্যটনের অঙ্গ হোক, জীবনেরও অঙ্গ হোক।
আমার প্রিয় দেশবাসীরা, Namo App নিয়ে মধ্যপ্রদেশের মেয়ে শ্বেতা লিখছেন, আর তিনি লিখেছেন, স্যার, আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি, আমার বোর্ডের পরীক্ষার এখনও এক বছর বাকি। কিন্তু আমি students এবং exam warriors দের সঙ্গে আপনার বার্তালাপ নিয়মিত শুনি। আমি এইজন্য আপনাকে লিখছি কারণ, আপনি আমাদের এখনও এটা বলেননি যে, পরের পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা কবে হবে। অনুগ্রহ করে আপনি এটা তাড়াতাড়ি করুন। যদি সম্ভব হয়, তাহলে জানুয়ারিতেই এই কর্মসুচির আয়োজন করুন। বন্ধুরা, মনের কথা অনুষ্ঠানের এই ব্যাপারটাই আমার খুব ভালো লাগে – আমার নবীন বন্ধু, আমাকে যে অধিকার আর ভালোবাসা নিয়ে আপনারা অভিযোগ করেন, আদেশ দেন, পরামর্শ দেন – এসব দেখে আমি খুব আনন্দ পাই। শ্বেতা জী, আপনি অত্যন্ত সঠিক সময়ে এই বিষয়টি তুলেছেন। পরীক্ষাগুলি আসছে, তাই, প্রতিবছরের মতো আমাদের পরীক্ষা নিয়ে আলোচনাও করতে হবে। আপনার কথা ঠিক, এই কর্মসুচিটি একটু আগেই আয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে।
গত কর্মসূচির পর অনেক মানুষ একে প্রভাবশালী করার জন্য নিজেদের পরামর্শ পাঠিয়েছেনার অভিযোগও জানিয়েছেন যে, গতবার দেরিতে হয়েছে। পরীক্ষা একদম কাছে এসে গিয়েছিল। আর শ্বেতার অভিযোগ সঠিক যে, আমার এটা জানুয়ারিতে করা উচিত। HRD Ministry এবং MyGov-এর টিম মিলে এর প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু আমি চেষ্টা করব, এবার পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা যাতে জানুয়ারির গোরায় কিংবা মাঝামাঝি হয়। সারা দেশে ছাত্রছাত্রী বন্ধুদের সামনে দুটো সুযোগ থাকবে। প্রথমত, নিজের স্কুল থেকেই এই কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ, দ্বিতীয়ত, এখানে দিল্লিতে আয়োজিত কর্মসুচিতে অংশগ্রহণ। দিল্লির জন্য সারা দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীদের নির্বাচন MyGov এর মাধ্যমে করা হবে। বন্ধুরা, আমাদের সবাই মিলে পরীক্ষার ভীতিকে দূর করতে হবে। আমার নবীন বন্ধুদের পরীক্ষার সময় যাতে হাশিখুশি দেখা যায়, Parents উত্তেজনা মুক্ত থাকেন, Teachers আশ্বস্ত থাকেন, এই উদ্দেশ্য নিয়েই গত কয়েকবছর ধরে আমরা মনের কথার মাধ্যমে ‘পরীকসা পর চর্চা’ Town Hall-এর মাধ্যমে অথবা Exam Warrior’s Book-এর মাধ্যমে লাগাতর চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই মিশনকে সারা দেশের ছাত্রছাত্রীরা, Parents আর Teachers গতি দিয়েছেন। সেই জন্য আমি এদের সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আর, আগামী পরীক্ষা নিয়ে আলোচনার কর্মসুচি আমরা সবাই মিলে পালন করব। আপনাদের সকলকে আমন্ত্রণ জানাই।
সাথীরা, আগের ‘মনের কথা’-য় আমি ২০১০-এ অযোধ্যা মামলায় এলাহাবাদ হাই কোর্টের Judgement নিয়ে চর্চা করেছিলাম, আর আমি বলেছিলাম যে, দেশ সেই সময় কিভাবে শান্তি আর ভ্রাতৃত্ব বজায় রেখেছিল। রায় আসার আগেও আর রায় আসার পরেও। এই বারেও, ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের Judgement এসেছে, আর ১৩০ কোটি ভারতীয় আবার এটা প্রমাণ করেছে যে, তাদের জন্য দেশের হিতের চেয়ে বড় কিছু নেই। দেশে শান্তি, একতা আর সদ্ভাবনার মূল্য সবার উপরে। রাম মন্দিরের বিষয়ে যখন রায় এল, তখন সারা দেশ মন খুলে আলিঙ্গন করল। পূর্ণ সহজতা আর শান্তির সঙ্গে স্বীকার করেছে। আজ, ‘মনের কথা’-র মাধ্যমে দেশবাসীদের সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা, যেরকমের ধৈর্য, সংযম আর প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন, আমি তার জন্য বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। একদিকে যেখানে দীর্ঘ সময়ের আইনী লড়াই সমাপ্ত হয়েছে, সেখানেই, দ্বিতীয় দিকে, আদালতের প্রতি দেশের সম্মান আরও বেড়েছে। প্রকৃত অর্থে, এই রায় আমাদের বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই ঐতিহাসিক রায়ের পর, এখন দেশ, নতুন আশার সঙ্গে নতুন আকাঙ্খার সাথে, নতুন রাস্তায়, নতুন ইচ্ছা নিয়ে চলতে শুরু করেছে। New India, এই ভাবনাকে আপন করে শান্তি, একতা আর সদ্ভাবনার সঙ্গে এগিয়ে যাক – এই আমার কামনা, আমাদের সকলের কামনা।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আমাদের সভ্যতা, সংস্কৃতি আর ভাষাগুলি গোটা বিশ্বে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দেয়। ১৩০ কোটি ভারতীয়ের এই দেশ, যেখানে বলা হয় ‘প্রতি ক্রোশে জল বদলায়, চার ক্রোশে ভাষা’। আমাদের ভারতভূমিতে শত শত ভাষা সহস্র সহস্র বছর ধরে পুষ্পিত পল্লবিত হয়ে চলেছে। যদিও, আমাদের এই কথাও চিন্তা হয় যে, কখনও ভাষা বা বুলি শেষ হয়ে যাবে না তো! অতীতে উত্তরাখণ্ডের ধারচুলার কাহিনী আমি পড়েছিলাম। আমার খুব আনন্দ হয়েছিল। এই কাহিনী থেকে জেনেছিলাম, কিভাবে মানুষ নিজের ভাষাকে উন্নত করার জন্য এগিয়ে আসছেন। Innvovative কিছু করছেন। ধারচুলার খবর আমার দৃষ্টি এইজন্য আকর্ষণ করেছিল যে, কখনও আমি আসা যাওয়ার পথে ধারচুলায় থেকে যেতাম। ওদিকে নেপাল, এদিকে কালীগঙ্গা – তাই, স্বাভাবিকভাবে ধারচুলা শুনতেই, সেই খবরের দিকে আমার দৃষ্টি গেছে। পিথোরাগড়ের ধারচুলায়, ‘রং’ সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ বাস করেন, যাদের নিজেদের কথাবলার ভাষা হল ‘রঙ্গলো’। এই মানুষেরা একথা ভেবে খুবই ব্যথিত হতেন যে, এদের ভাষায় কথা বলার লোক ক্রমেই কমে যাচ্ছে। তখন একদিন, এরা সবাই, নিজেদের ভাষাকে বাচানোর প্রতিজ্ঞা করেন। দেখতে দেখতে এই মিশনে রং সম্প্রদায়ের লোকের যুক্ত হতে লাগলো। আপনি অবাক হবেন, এই সম্প্রদায়ের লোকসংখ্যা ছিল গুনতির মধ্যে। মোটা দাগের হিসাবে হয়তো হাজার দশেক হবেন। কিন্তু রং ভাষা বাঁচাতে সবাই একজোট হয়ে গেল। তা সে, চুরাশি বছরের প্রবীণ দিওয়ান সিং হোন বা বাইশ বছরের যুবতী বৈশালী গারোয়াল, অধ্যাপক বা ব্যাপারী, সকলেই, যথাসাধ্য চেষ্টা শুরু করলেন। এই মিশনে সোস্যাল মিডিয়াকে সবরকমভাবে ব্যবহার করা হল। অনেক Whatsapp group তৈরি হল। শত শত লোককে এর মধ্যে যুক্ত করা হল। এই ভাষার কোনও লিপি নেই, শুধু কথা বলার মধ্যেই এক রকমভাবে এর চলন। এভাবেই, লোকেরা গল্প, কবিতা, গান পোস্ট করতে লাগলেন। একজন আরেকজনের ভাষা ঠিক করে দিতে থাকলেন। এক অর্থে, Whatsapp এরclassroom তৈরি হয়ে গেল, যেখানে প্রত্যেকেই ছাত্রও, আবার শিক্ষকও! রঙ্গলোক ভাষাকে রক্ষা করার জন্য এটা একটা চেষ্টা। নানা রকমের কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে, পত্রিকা প্রকাশ করা হচ্ছে, আর এতে সামাজিক সংস্থাগুলিরও সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে।
সাথীরা, মূল কথা হল এই যে, রাষ্ট্রসঙ্ঘ ২০১৯-কে, অর্থাৎ এই বছরকে, ‘International Year of Indigenous Languages’ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ, এমন ভাষাগুলিকে সংরক্ষণ করার উপর জোর দিয়েছে, যেগুলি বিলুপ্ত হওয়ার পথে। দেড়শো বছর আগে, আধুনিক হিন্দির জনক ভারতেন্দু হরিশচন্দ্র জী বলেছিলেন:-
“নিজ ভাষা উন্নতি অহে, সব উন্নতি কো মূল
বিন নিজ ভাষা-জ্ঞান কে , মিটত না হিয়ে কো সূল”।
অর্থাৎ, মাতৃভাষার জ্ঞান ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় রং সম্প্রদায়ের এই প্রচেষ্টা গোটা বিশ্বের জন্য পথ প্রদর্শক হতে পারে। আপনি যদি এই কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হন, তাহলে, আজ থেকেই, নিজের মাতৃভাষার বুলিকে নিজে ব্যবহার করুন। পরিবারকে, সমাজকে প্রাণিত করুন।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে মহাকবি সুব্রহ্মণ্যম ভারতী জী বলেছিলেন, আর তামিলে বলেছিলেন। তিনি আমাদের জন্য খুবই প্রেরণাদায়ক।
সুব্রহ্মণ্যম ভারতী তামিল ভাষায় বলেছিলেন –
मुप्पदुकोडीमुगमुडैयाळ
उयिर्मोइम्बुरओंद्दुडैयाळ
इवळसेप्पुमोळीपधिनेट्टूडैयाळ
एनिर्सिन्दनैओंद्दुडैयाळ
(Muppadhu kodi mugamudayal, enil maipuram ondrudayal
Ival seppumozhi padhinetudayal, enil sindhanai ondrudayal)
আর সেই সময় থেকে ১৯ শতাব্দীর এই শেষ ভাগের কথা। আর তিনি বলেছিলেন, ভারত মাতার ৩০ কোটি চেহারা হতে পারে, কিন্তু শরীর একটাই। তারা ১৮টি ভাষা বলতে পারেন, কিন্তু ভাবনা একটাই।
আমার প্রিয় দেশবাসী, কখনও কখনও জীবনে ছোট ছোট বিষয়ও আমাদের অনেক বড় বড় বার্তা দেয়। এখন দেখুন না, Media তে Scuba Drivers দের একটি story পড়ছিলাম। এমন একটি কাহিনী, যা ভারতবাসীদের প্রেরণা দিতে পারে। বিশাখাপত্তনমে ডাইভিং-য়ের প্রশিক্ষণ দেন যেসব scuba Divers একদিন mangamaripeta beach-এ সমুদ্র থেকে ফিরে আসছিলেন। সমুদ্রে ভাসমান কিছু প্লাস্টিকের বোতল আর pouch তাদের গায়ের কাছে আসছিল। সেগুলি পরিস্কার করতে করতে বিষয়টা তাদের খুব গুরুতর মনে হয়। আমাদের সমুদ্র কিভাবে আবর্জনায় ভরতি করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন এই ডুবুরিরা তীর থেকে ১০০ মিটার ভিতরে গিয়ে গিয়ে গভীর সমুদ্রে ডুব দিচ্ছেন আর সেখানে জমে থাকা আবর্জনা বাইরে নিয়ে আসছেন। আমাকে বলা হয়েছে, গত ১৩ দিনে, অর্থাৎ দু সপ্তাহে, ৪০০ কিলোর বেশি plastic waste তারা সমুদ্র থেকে তুলে এনেছেন। এই scuba divers দের ছোট একটা সূত্রপাত একটা বড় বড় অভিযানের রূপ নিতে যাচ্ছে। এখন তারা স্থানীয় লোকেদের সহায়তাও পাচ্ছেন। আশেপাশের মৎস্যজীবীরাও তাদের সব রকম সাহায্য দিচ্ছেন। একবার ভাবুন, এই scuba divers-দের থেকে প্রেরণা নিয়ে যদি আমরা, শুধু নিজেদের আশেপাশের এলাকাকে প্লাস্টিকের আবর্জনা থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে ‘প্লাস্টিক-মুক্ত ভারত’ পুরো বিশ্বের জন্য একটা উদাহরণ তৈরি করতে পারে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, দু দিন পরেই ২৬ নভেম্বর। এই দিনটি সমগ্র দেশের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। আমাদের গণতন্ত্রের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ, সেই দিনটি আমরা ‘সংবিধান দিবস’ হিসবে পালন করি। আর, এবার সংবিধান দিবস’ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সংবিধানকে স্বীকার করার এবার ৭০ তম বর্ষ পূর্ণ হচ্ছে। এবার এই উপলক্ষ্যে সংসদে বিশেষ অনুষ্ঠান হবে আর তারপর বর্ষব্যাপী দেশ জুড়ে আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালিত হবে। আসুন এই উপলক্ষ্যে আমরা সংবিধান সভার সব সদস্যকে সমাদরে নমস্কার করি, নিজেদের শ্রদ্ধা জানাই। ভারতের সংবিধান এমনই যা, প্রত্যেক নাগরিকের অধিকারগুলি আস সম্মান রক্ষা করে। আর, আমাদের সংবিধান রচয়িতাদের দূরদর্শিতা কারণেই এটা সুনিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। আমি কামনা করি, সংবিধান দিবস আমাদের সংবিধানের আদর্শগুলি বজায় রাখতে আর দেশ গঠনে যোগদান দেওয়ার আমাদের সিদ্ধান্তকে শক্তি দেবে। এই স্বপ্নই তো আমাদের সংবিধান রচয়িতারা দেখেছিলেন।
আমার প্রিয় দেশবাসী, শীতের মরশুম শুরু হচ্ছে। হাল্কা হাল্কা ঠাণ্ডা এখনই অনুভব করছি। হিমালয়ের কিছু অংশ বরফের চাদরে ঢাকতে শুরু করেছে। কিন্তু এটাই Fit India Movement-এর সময়। আপনি, আপনার পরিবার, আত্মীয়-পরিজন, আপনার সাথীরা এই সুযোগ ছাড়বেন না। ‘Fit India Moment’কে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই মরশুমের পূর্ণ সুযোগ নিন।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা। অনেক অনেক ধন্যবাদ।