পরিসংখ্যানএবংকর্মসূচিরূপায়ণমন্ত্রক

কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউট এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ‘জয়েন্ট রিসার্চ ক্লাস্টার’এর উদ্বোধন

Posted On: 14 NOV 2019 4:36PM by PIB Kolkata

কলকাতা, ১৪ নভেম্বর, ২০১৯

 

 

 

      কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রকের অধীন কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউট বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কম্পিউটার বিজ্ঞান, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে চলেছে। এরই অঙ্গ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির সহায়তায় আজ বরানগরে আইএসআই প্রাঙ্গণে জয়েন্ট রিসার্চ ক্লাস্টারএর সূচনা হল। কলকাতায় অবস্হিত অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যদূত মিঃ অ্যান্ড্রু ফোর্ড এবং আইএসআই-এর অধিকর্তা অধ্যাপিকা সঙ্ঘমিত্রা বন্দোপাধ্যায় এর উদ্বোধন করেন। এর পাশাপাশি মেশিন লার্নিং অ্যান্ড ইটস অ্যাপ্লিকেশন টু প্যাটার্ন রিকগনিশন(আইডাব্লুএমএলএপিআর) বিষয়ের ওপর একটি আন্তর্জাতিক মানের আলোচনাসভারও আয়োজন করা হয়।

 

     কুমির এবং হাঙরের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্য ড্রোনের ব্যবহার, উদ্ভাবনী প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কি-বোর্ড ছাড়া মোবাইল এবং কম্পিউটারে লেখা, গাড়ি চালানোর সময় গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়লে ইলেকট্রোইনসেফালোগ্রাম (ইইজি)র মাধ্যমে অ্যালার্মের ব্যবস্হাপনার মতো বিষয় নিয়ে গবেষণামূলক কাজ চালানো হবে এই জয়েন্ট রিসার্চ ক্লাস্টারে।

 

     আলোচনাসভার সূচনায় আইএসআই-এর অধিকর্তা সঙ্ঘমিত্রা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ভারত প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যথেষ্টই উন্নতি লাভ করেছে। নতুন প্রজন্মকে প্রযুক্তিগতভাবে আরও বেশি দক্ষ করে তোলা প্রয়োজন বলে তিনি জানান। শ্রীমতি বন্দোপাধ্যায় বলেন, এই জয়েন্ট রিসার্চ ক্লাস্টারের মাধ্যমে দুই দেশের বিজ্ঞানীদের মধ্যে গবেষণামূলক তথ্যের আদান-প্রদান সম্ভবপর হবে। তিনি আরও বলেন, ১৯৫৯ সালে আইএসআই এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে কম্পিউটার তৈরি করেছিল। সেই কম্পিউটারের অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। পাওয়া গেলে সেটি আইএসআই-তে সংরক্ষণ করে রাখা হবে।

 

অনুষ্ঠানে উপস্হিত সিভিপিআর বিভাগের প্রধান অধ্যাপক উমাপদ পাল বলেন, কি-প্যাড ছাড়া কম্পিউটার বা মোবাইলে শুধুমাত্র আঙুলের সাহায্যে কিভাবে অক্ষর বা সংখ্যা লেখা যায় তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে আইএসআই। ২০১৮ থেকে এই গবেষণার কাজ শুরু হয়েছে। এখনও এটি পরীক্ষামূলক স্তরে রয়েছে। আগামীদিনে যেকোন পরীক্ষায় সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত উত্তর কম্পিউটারের মাধ্যমেই কিভাবে পরীক্ষা করা যায় তার গবেষণা চলছে বলেও তিনি জানান।

 

কলকাতায় অবস্হিত অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যদূত মিঃ অ্যান্ড্রু ফোর্ড বলেন, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া সরকার শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করে চলেছে। এরফলে দুই দেশের ছাত্রছাত্রী এবং বিজ্ঞানীদের জ্ঞানের আদান-প্রদান সম্ভব হচ্ছে বলেও তিনি জানান। সিডনি ইউনির্ভাসিটি অফ টেকনোলজির সহকারী ডিন প্রফেসার মাইকেল ব্লুমেনস্টিয়ান বলেন, জল সংরক্ষণ এবং দূষিত জলকে শোধন করে পানীয় জলে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আর্সেনিক যুক্ত জেলাগুলিকে চিহ্নিত করে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্হা করার ক্ষেত্রে সিডনির ইউনির্ভাসিটি অফ টেকনোলজি উদ্যোগ নিয়েছে বলেও তিনি জানান।

 

 

 

CG/SS/NS


(Release ID: 1591594) Visitor Counter : 64


Read this release in: English