প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

জার্মানির চ্যান্সেলরের ভারত সফরকালে যৌথ বিবৃতি

Posted On: 03 NOV 2019 11:01PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০১ নভেম্বর, ২০১৯

 

 

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে পঞ্চম পর্যায়ে আন্তঃসরকারি আলাপ-আলোচনায় অংশ নিতে জার্মানির চ্যান্সেলর ডঃ আঙ্গেলা মেয়ারকেল গত ৩১শে অক্টোবর থেকে পয়লা নভেম্বর পর্যন্ত ভারত সফর করছেন। তাঁর সঙ্গে এসেছেন এক উচ্চ পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধি দল। এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন - সেদেশের বিদেশ মন্ত্রী, বিজ্ঞান ও শিক্ষা মন্ত্রী, খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রী-সহ সেদেশের একাধিক কোম্পানির প্রতিনিধিরা। ভারত সফরকালে চ্যান্সেলর ডঃ মেয়ারকেল রাষ্ট্রপতি শ্রী রাম নাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

 

চ্যান্সেলর মেয়ারকেল এবং প্রধানমন্ত্রী মোদী উভয়ই পুনরায় বলেছেন, ভারত – জার্মানি কৌশলগত অংশীদারিত্ব, অভিন্ন মূল্যবোধ ও গণতান্ত্রিক নীতি, অবাধ ও সুষ্ঠু বাণিজ্য, আইনের শাসন-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা-সহ পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। বৈঠকে যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে – উদ্ভাবন ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল পরিবর্তনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক বিকাশকে স্থিতিশীল করা, মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ বাড়ানো এবং বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে মজবুত করা ও তার সংস্কার-সাধনের ওপর।

 

কৃত্রিম মেধা ও ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে আরও মজবুত করা

 

বিশ্ব জুড়ে আগামী বছরগুলিতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন ও কাজকর্মে কৃত্রিম মেধার মৌলিক প্রভাবের বিষয়গুলিকে স্বীকার করে নিয়ে উভয় পক্ষই কৃত্রিম মেধা সংক্রান্ত প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করার ব্যাপারে এবং উদ্ভাবন ও সুস্থায়ী উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।

 

আগামী প্রজন্মের প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং নিয়মিত আলাপ-আলোচনা আরও নিবিড়তর করতে উভয় পক্ষই ডিজিটাল অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার বিষয়টি পুনরায় জোর দিয়ে উল্লেখ করেছে।

উভয় পক্ষই কৃত্রিম মেধার ক্ষেত্রে নিজ নিজ দেশের কৌশল প্রণয়ন করেছে। সেই সঙ্গে, গবেষণা ও উদ্ভাবন তথা সামাজিক ক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধার বিপুল সম্ভাবনাকে মেনে নিয়েছে। উভয় দেশই স্বাস্থ্য, গতিময়তা, পরিবেশ ও কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিপুল সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়ে পারস্পরিক ভারসাম্য বজায় রাখার কথা বলেছে। জার্মানির শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রক এবং ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর ইন্দো – জার্মান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের সহায়তায় পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য আগামী বছর বার্লিনে দ্বিপাক্ষিক কর্মশিবির আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

আধুনিক গবেষণামূলক প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগিতার বিষয়টির গুরুত্ব স্বীকার করে নিয়ে জার্মানি ও ভারত কৃত্রিম মেধার আরও অগ্রগতি ও তার প্রয়োগের ক্ষেত্রে যৌথভাবে দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কাজকর্ম পরিচালনার ব্যাপারে একযোগে এগিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। এই উদ্যোগে দুই দেশের কোম্পানিগুলিকেও সামিল করার কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধাকে আরও বেশি কাজে লাগিয়ে ভারত – জার্মান সহযোগিতা নিবিড়তর করতে প্রয়োজনীয় পন্থা-পদ্ধতি খুঁজে বের করার ওপর উভয় পক্ষই জোর দিয়েছে। উভয় পক্ষই গত সেপ্টেম্বর মাসে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের এ সংক্রান্ত প্রথম বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে ভারতেও এ ধরনের একটি বৈঠক আয়োজন করা হবে।

 

কৃষি ক্ষেত্রে কৃত্রিম মেধার প্রয়োগে সহযোগিতা বাড়াতে উভয় নেতাই একমত হয়েছেন। উদ্দেশ্য – কৃষিকাজে দক্ষতার বিকাশ ঘটিয়ে সম্পদ সাশ্রয় এবং খাদ্যের অপচয় রোধ করা। এছাড়াও, দুই দেশের কৃষি মন্ত্রক কৃত্রিম মেধার প্রয়োগের জন্য প্রশিক্ষণমূলক তথ্যের আদান-প্রদানে সম্মত হয়েছে, উদ্দেশ্য, আইনি জটিলতাগুলি দূর করা। ভারতের নীতি আয়োগ ও জার্মান কোম্পানিগুলির মধ্যে গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠককে উভয় নেতাই স্বাগত জানিয়েছেন। এই বৈঠক আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল ভারতে কৃষি ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি তথা কৃত্রিম মেধার প্রয়োগ ও প্রসার ঘটানো। কৃত্রিম মেধার প্রয়োগের সময় উদ্ভূত জটিলতাগুলি নিয়ে গবেষণামূলক তথ্য আদান-প্রদানেও ভারত – জার্মানি সহমত হয়েছে।

 

জার্মানি ও ভারত উভয় পক্ষই ডিজিটাল ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই প্রেক্ষিতে জার্মান ও ভারতীয় ডিজিটাল কোম্পানিগুলি বিপণনের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে এবং একে অপরের দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করবে।

 

বার্লিনে ২০১৭’র ৩০ মে ডিজিটাইজেশন - এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ইকনোমিক ইমপ্যাক্ট সংক্রান্ত ক্ষেত্রে স্বাক্ষরিত চুক্তি সম্পর্কে যৌথ ঘোষণাপত্রের কথা উল্লেখ করে জার্মানি ও ভারত ডিজিটাল সম্পর্কিত বিষয়ে আলাপ-আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে সহমত হয়েছে। উভয় পক্ষই ডিজিটাল এক্সপার্ট গ্রুপ গঠনের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে। এই এক্সপার্ট বা বিশেষজ্ঞ গোষ্ঠী পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেবে।

 

উভয় পক্ষই সহযোগিতা ও তথ্যের আদান-প্রদানের জন্য চতুর্থ প্রজন্মের জার্মান শিল্প এবং আসন্ন সিআইআই স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যাটফর্ম ক্ষেত্রে যোগসূত্র স্থাপনের বিষয়ে সহমত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এ ধরনের সহযোগিতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্য হ’ল স্টার্ট আপ ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য গড়ে তোলার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া। এই প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষই স্টার্ট আপ উপযোগী কর্মশিবির আয়োজনের প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, দায়িত্বের সঙ্গে মানব-কেন্দ্রিক উন্নয়নে কৃত্রিম মেধার ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক ফোরাম গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর উভয় পক্ষই নিজেদের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছে। কৃত্রিম মেধার ক্ষেত্রে বিশ্ব অংশীদারিত্বে সামিল হওয়ার সুযোগকে জার্মানি ও ভারত স্বাগত জানিয়েছে।

 

সাইবার নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে সম্ভাব্য সেরা পন্থা-পদ্ধতিগুলিকে চিহ্নিত করতে জার্মানি ও ভারত একমত হয়েছে।

 

উদ্ভাবন ও জ্ঞান আদান-প্রদানের মাধ্যমে বাণিজ্যের সাম্প্রসারণ

 

উভয় নেতাই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে তাঁদের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় উল্লেখ করেছেন। উভয় পক্ষই ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে এক ভারসাম্যযুক্ত অবাধ বাণিজ্য চুক্তির গুরুত্বের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তির ক্ষেত্রে পারস্পরিক বোঝাপড়ার বিষয়গুলি নিয়ে পুনরায় আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু হবে।

 

বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে আইন-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য উভয় পক্ষই তাঁদের জোরালো সমর্থনের কথা পুনরায় জানিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনের কাজকর্ম পুনরায় স্বাভাবিক করতে যাবতীয় প্রয়াস গ্রহণ করা হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনের বিবাদ নিষ্পত্তি ব্যবস্থাকে কার্যকর করে তুলতে এবং এই সংগঠনের সংস্কারের লক্ষ্যে কাজাখস্তানের নুরসুলতানে এই সংগঠনের মন্ত্রী পর্যায়ের যে বৈঠক আয়োজিত হতে চলেছে, তাকে সর্বতোভাবে সফল করার জন্য ভারত ও জার্মানি ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

 

উভয় নেতাই দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, দুই নেতা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া মিট্টলস্ট্যান্ড’ কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়েছেন। এই কর্মসূচির ফলে ১৩৫টি মাঝারি মানের জার্মান সংস্থা উপকৃত হয়েছে। এই সংস্থাগুলি ভারতে ১.২ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তি দ্রুত সম্পাদনের জন্য যাবতীয় প্রচেষ্টাকে আরও নিবিড় করার ব্যাপারেও উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।

 

উভয় নেতাই জার্মান – ইন্ডিয়ান স্টার্ট আপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এমনকি, এই কর্মসূচিকে আরও মজবুত করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ওপরও জোর দিয়েছেন।

 

যুবসম্প্রদায়ের জন্য উন্নত জীবনযাপন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধা গড়ে তুলতে উভয় নেতাই দক্ষ মানবসম্পদের একটি পুল গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। উভয় পক্ষই দক্ষ কর্মীবাহিনীর চাহিদা ও ঘাটতির মধ্যে যে ফারাক রয়েছে, তা পূরণে গৃহীত প্রচেষ্টাগুলিকে আরও নিবিড়তর করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, উভয় পক্ষই পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, ই-মবিলিটি এবং শক্তি সাশ্রয়ের মতো ক্ষেত্রে উদ্ভাবনমূলক ও সুস্থায়ী প্রযুক্তির বিকাশে পারস্পরিক সহয়তা দেওয়ার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়েছে।

 

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পারস্পরিক সহায়তায় চালু থাকা ‘ফিট ফর পার্টনারশিপ উইথ জার্মানি’ সংক্রান্ত ম্যানেজার ট্রেনিং প্রোগ্রামের সফলতায় উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এখনও পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে ৮০০-রও বেশি ভারতীয় ম্যানেজার অংশগ্রহণ করেছেন। এমনকি, এই কর্মসূচিকে চালু রাখার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছেন।

 

উভয় নেতাই উদীয়মান প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন পদ্ধতিতে জাতীয় উদ্যোগগুলির রূপায়ণ সংক্রান্ত তথ্যের আদান-প্রদানে সম্মত হয়েছেন। এছাড়াও, সারা বিশ্ব থেকে শিশু শ্রম এবং বলপূর্বক শ্রমদান প্রথা চিরতরে নির্মূল করার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

 

উভয় পক্ষই মানবিক অধিকারগুলিকে সম্মান জানিয়ে ব্যবসায়িক মহলের দায়িত্বের কথা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেছে। বাণিজ্য ও মানবাধিকার সংক্রান্ত রাষ্ট্রসংঘের যে নীতি রয়েছে, তা মেনে চলার ব্যাপারেও দুই পক্ষই নিজেদের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছে। সুস্থায়ী উন্নয়নের উদ্দেশ্যগুলি পূরণের ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে বলে উভয় পক্ষ স্বীকার করে নিয়েছে। ভারত ও জার্মানির জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার রূপায়ণের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ তথা অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যাপারেও উভয় পক্ষ একমত হয়েছে

 

পেশাগত অসুখ, প্রতিবন্ধকতাযুক্ত বিমাকৃত ব্যক্তির পুনর্বাসন ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে জার্মান সোশ্যাল অ্যাক্সিডেন্ট ইনস্যুরেন্স এবং কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের অধীন কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগম - এর মধ্যে যে সমঝোতাপত্র স্বাক্ষিরত হয়েছে, উভয় নেতাই তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের ফলে প্রতিবন্ধকতা যুক্ত বিমাকৃত ব্যক্তির দক্ষতার বিকাশ ঘটানো সম্ভব হবে এবং সামাজিক পুনর্বাসনের সুবিধা বাড়বে।

 

কর আরোপ ক্ষেত্রে উভয় নেতা কর সংক্রান্ত ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমস্যাগুলির মোকাবিলায় সাম্প্রতিক সময়ে যে অগ্রগতি হয়েছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

 

উভয় নেতাই ভারত ও জার্মানির অর্থ মন্ত্রকের উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক পুনরায় চালু হওয়ার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিকদের নিয়ে আয়োজিত এ ধরনের বৈঠক তথ্য ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অর্থনৈতিক বিষয়গুলি নিয়ে আলাপ-আলোচনা ও মতবিনিময়ের এক উপযুক্ত মঞ্চ।

 

পরিবহণ ক্ষেত্রে উভয় নেতাই অসামরিক বিমান চলাচল ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরের ফলে বিমান চলাচল ক্ষেত্রের সেরা পন্থা-পদ্ধতি সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান করা যাবে। পাশাপাশি, কারিগরি ও কারিগরি বহির্ভূত প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে উঠবে।

 

ভারত ও জার্মানির মধ্যে রেল সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক দীর্ঘমেয়াদী তথা সাফল্যের ইতিহাস রয়েছে। বিগত বছরগুলিতে রেলকর্মীদের প্রশিক্ষণ তথা কারিগরি তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে, তাতে উভয় নেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেন। রেল ক্ষেত্রে এ ধরনের সহযোগিতা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতে উচ্চগতি-সম্পন্ন এবং মাঝারি গতিসম্পন্ন রেল প্রকল্প রূপায়ণে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার জন্য অভিন্ন বোঝাপড়ায় পৌঁছনোর ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আগ্রহের ব্যাপারে দুই নেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেন।

 

২০১৩’র আন্তঃসরকারি আলাপ-আলোচনার প্রেক্ষিতে স্বাক্ষরিত যৌথ ঘোষণাপত্রের ভিত্তিতে কোয়ালিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার সংক্রান্ত ভারত – জার্মান কর্মী গোষ্ঠীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠায় উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

 

উভয় নেতাই মহাকাশ সহযোগিতার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বর্তমান অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, ভূ-নজরদারী ও বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার মতো ক্ষেত্রে বর্তমান সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছেন। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো এবং জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টারের মধ্যে বিশেষজ্ঞ বিনিময়ের জন্য যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, দুই নেতা তাতেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জ্ঞান-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ে গড়ে ওঠা বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো জোট গঠনকে স্বাগত জানিয়ে উভয় নেতাই সুস্থায়ী উন্নয়নের উদ্দেশ্যগুলি পূরণে, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি রূপায়ণে এবং বিপর্যয় ঝুঁকি হ্রাস সংক্রান্ত সেন্ডাই কাঠামো অনুসরণের মাধ্যমে বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো গড়ে তোলার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। জার্মানি বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো জোটে সামিল হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে, ভারতের সঙ্গে কাজ করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

 

জলবায়ু পরিবর্তন ও সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ

 

পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা হ্রাস করে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা তথা এই বিশ্বের সুরক্ষায় যৌথ দায়িত্ব পালনের কথা উভয় নেতাই স্বীকার করে নিয়েছেন। উভয় দেশের কাছেই সুস্থায়ী উন্নয়নের উদ্দেশ্য এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উপযুক্ত মাধ্যম হিসাবে কাজ করছে।

 

বিশ্ব জুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গৃহীত না হওয়ার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে উভয় নেতাই সমস্ত দেশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

 

ভারত ও জার্মানি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড গঠনের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে উন্নত ও অন্যান্য দেশগুলিকে এই তহবিলে যোগান দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সিওপি-২৫ শীর্ষক বৈঠককে সফল করে তুলতে অংশীদার সকল দেশের সঙ্গে গঠনমূলক প্রয়াস গ্রহণে ভারত ও জার্মানি উভয়ই নিজেদের অঙ্গীকারের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছে।

 

ভারত ও জার্মানির মধ্যে ছয় দশকের বেশি পুরনো দীর্ঘস্থায়ী ও সাফল্যমণ্ডিত উন্নয়নমূলক সহযোগিতা রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উভয় দেশ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে লাভবান হওয়ায় উভয় নেতাই সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুই দেশই শক্তি, সুস্থায়ী ও পরিবেশ-বান্ধব শহরাঞ্চলের উন্নয়ন ও পরিবহণ ব্যবস্থা, পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের সুদক্ষ ব্যবহার তথা জৈব বৈচিত্র্যের সুরক্ষায় একযোগে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

 

উভয় পক্ষই স্বীকার করে নিয়েছে যে, মানুষের চাহিদা পূরণে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ হ্রাস এবং পরিবেশ-বান্ধব পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা বর্তমান সময়ের প্রধান চ্যালেঞ্জ। জার্মানি ও ভারত উভয় দেশই একাধিক জাতীয় নীতি কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবহার-বান্ধব ও পরিবেশ উপযোগী পরিবহণ ব্যবস্থা রূপায়ণে প্রয়াসী হয়েছে। উভয় দেশই কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমাতেও সম্মত হয়েছে। এই লক্ষ্যে গ্রিন আর্বান মবিলিটি সংক্রান্ত ভারত – জার্মান অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে যৌথ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারতে দূষণমুক্ত শহরাঞ্চলীয় যান চলাচল পরিকাঠামো ব্যবস্থা গড়ে তুলতে জার্মানি সহজ শর্তে ১ লক্ষ বিলিয়ন ইউরো ঋণ দিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে। এছাড়াও, উভয় নেতাই ই-মবিলিটি বা বৈদ্যুতিক যানবাহনকে সহযোগিতার এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

 

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সুস্থায়ী উন্নয়নের উদ্দেশ্যগুলি পূরণে উভয় দেশই বিশ্ব জুড়ে চিরাচরিত শক্তি ক্ষেত্রে রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। উভয় নেতাই পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্র ও শক্তি সাশ্রয় ক্ষেত্রে যে সহযোগিতা গড়ে উঠেছে, তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

 

কয়লা-সহ জীবাশ্ম জ্বালানি পরিবর্তে এক সুস্থায়ী বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গড়ে তোলার ব্যাপারেও উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে। এছাড়াও, দুই নেতা আরও একাধিক এমন উপায় রয়েছে, যার মাধ্যমে, বিশেষ করে, সৌর প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, মহিলাদেরও দৈনন্দিন জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনাগুলি খুঁজে বের করার ব্যাপারেও উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।

 

উভয় নেতাই ২০১৫ সালে ভারত – জার্মান সৌর শক্তি অংশীদারিত্ব এবং ২০১৩ সালে গ্রিন এনার্জি করিডর স্থাপনে সহযোগিতার ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, এই উদ্যোগগুলির ফলে ২০২২ সালের মধ্যে ভারতে ১৭৫ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং পরবর্তী বছরগুলিতে ৪৫০ গিগাওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। এছাড়াও, জার্মানিতে ২০৫০ সালের মধ্যে মোট শক্তি উৎপাদনের ৮০ শতাংশই পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি থেকে উৎপাদনের যে লক্ষ্য রয়েছে, তা পূরণ করাও সম্ভব হবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। দুই নেতাই ভারত ও জার্মানিতে পরিবেশ-বান্ধব বিদ্যুৎ বাজারের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে তোলার ব্যাপারেও সম্মত হয়েছেন।

 

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুস্থায়ী পরিবেশ-বান্ধব এবং দক্ষ জ্বালানি সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সৌর জোটে জার্মানির অংশগ্রহণের ইচ্ছাকে ভারত স্বাগত জানিয়েছে।

 

২০১৯-এর নভেম্বরে ভারত-জার্মান পরিবেশ ফোরামের বৈঠকে গুরুত্বের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং চ্যান্সেলর মেয়ারকেল সহমত হয়েছেন। উভয় দেশের রাজ্য এবং পৌরসভাগুলিকে এক্ষেত্রে অংশগ্রহণের ওপর উৎসাহ দিতে ঐক্যমতে পৌঁছনো গেছে।

 

জল ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর বৈঠককে উভয় নেতা স্বাগত জানিয়েছেন। ‘ক্লোজিং দ্য লু্প অফ মেরিন লিটার ইন ইকোসিস্টেম’ কর্মসূচির সূচনাকে তাঁরা স্বাগত জানান।

পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির সঞ্চয় এবং গ্রিড ব্যবস্থাপনা প্রসারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জলবায়ু উদ্যোগে উভয় পক্ষ ৩ কোটি ৫০ লক্ষ ইউরো ব্যয় করার সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছে। ‘বন চ্যালেঞ্জ গোল’-এর মাধ্যমে নতুন বনসৃজনের লক্ষ্যে ভারতের অবদান এবং দেশে ৩৩ শতাংশ বনাঞ্চল গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরওদ্রঢ় করে তুলতে এবং ২০২০-র পরে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য কাঠামোর আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পে সহযোগিতার বিষয়ে উভয় নেতা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ওষধি গাছের সংরক্ষণ এবং স্থানীয় উদ্ভিদ প্রজাতির বহু ব্যবহারের উদ্যোগ।

 

২০১৭-র মে মাসে শহরাঞ্চলের স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে যৌথ বিবৃতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা আন্তর্জাতিক স্মার্ট সিটিজ নেটওয়ার্কের আওতায় ভারতের অংশগ্রহণের বিষয়ে চুক্তিপত্রে যৌথ বিবৃতিতে স্বাগত জানিয়েছেন। ২০২০-তে জার্মানিতে শহরাঞ্চলীয় বিকাশের লক্ষ্যে যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর বৈঠকের বিষয়ে উভয় পক্ষই উৎসাহ প্রকাশ করেছে।

 

২০১৬ সালে হ্যাবিট্যাট-৩ সম্মেলনে নতুন শহর এজেন্ডা বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষ তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। উভয় নেতা কোচি, কোয়েম্বাতুর এবং ভুবনেশ্বরে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাস্তবায়নের বিষয়ের প্রশংসা করেছেন। ভারতের আরও শহরকে এই সহযোগিতার আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাঁরা সম্মত হয়েছেন।

 

ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যে পরিবেশগত বিভিন্ন উদ্যোগ একযোগে গ্রহণ করার বিষয়টিকে জার্মানি স্বাগত জানিয়েছে। আরও ভারতীয় শহর এবং রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও কেন্দ্রীয় সরকারকে এই উদ্যোগে সামিল হতে উৎসাহ দিচ্ছে।

 

দিল্লিতে গত মার্চ মাসে কৃষি, খাদ্যশিল্প এবং উপভোক্তা সুরক্ষা বিষয়ে যৌথ কর্মীগোষ্ঠীর সর্বশেষ বৈঠকে উভয় পক্ষ যে গঠনমূলক ভূমিকা নিয়েছিল তা নিয়ে আলোচনা হয়। খাদ্য সুরক্ষা, কৃষিক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা, ফসল তোলার পরবর্তী পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা ও কৃষিজাত লজিস্টিকের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বর্তমান সমঝোতাপত্রটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

 

কৃষি ও পশুপালন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সরবরাহ সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার লক্ষ্যে ভারতে জার্মান সংস্থাগুলির সুযোগের বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করে। তারা নতুন দিল্লিতে ফসল কাটার পরবর্তী ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি সংক্রান্ত লজিস্টিকের বিষয়ে একটি কর্মশালার সাফল্যের বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেছে।

 

কৃষকদের উন্নতমানের বীজ সরবরাহের লক্ষ্যে গত জুন মাসে যে যৌথ চুক্তিপত্রটি নবায়ন হয়েছে, তার ফলে বীজের মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ সহযোগিতার দুই নেতাই প্রশংসা করেছেন। ভারতে কৃষিজাত পণ্যকে বাজারজাত করার ব্যবস্থাপনায় সাহায্যের জন্য একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রসঙ্গে উভয় পক্ষই স্বাগত জানিয়েছে।

 

মূলত মাটি এবং জল-সহ প্রাকৃতিক সম্পদের স্থায়ী ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা বজায় রাখার বিষয়ে উভয় নেতা সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন।

 

জনগণের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি

 

সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নিবিড় সহযোগিতায় উভয় নেতাই সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। সংগ্রহশালাগুলির সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা এবং যাদুঘরের পুনর্গঠনের লক্ষ্যে জার্মানি ও ভারতের মিউজিয়ামগুলির মধ্যে সহযোগিতার পরিকল্পনাকে তাঁরা স্বাগত জানিয়েছেন।

 

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন এবং ডয়েশের ফুসবল-বুন্ড-এর মধ্যে কোচেদের প্রশিক্ষণ, সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় খুঁজে বের করা এবং প্রযুক্তির উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা গড়ে তোলা সংক্রান্ত চুক্তির বিষয়টিকে উভয় পক্ষই স্বাগত জানিয়েছে।

 

জার্মান দূতাবাসের বিদ্যালয় এবং দূতাবাসের বাণিজ্যিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও বিজ্ঞান দপ্তরের প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য নতুন দিল্লির ২, ন্যায় মার্গ-এ নতুন জার্মান ভবন গড়ে তোলার পরিকল্পনায় উভয় নেতা সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন।

 

শিক্ষাক্ষেত্রে আদানপ্রদান বৃদ্ধিতে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা ‘ইন্দো-জার্মান পার্টনারশিপ অন হায়ার এডুকেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে জার্মানিতে ভারতীয় পড়ুয়ার সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। একইসঙ্গে, ভারতে জার্মান ছাত্রছাত্রীদের ‘আ নিউ প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আওতায় সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উভয় পক্ষই জার্মান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে আধুনিক ভারতীয় ভাষা পড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করেছে।

 

‘ইন্দো-জার্মান সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি সেন্টার’-এর ২০২০ সালে দশম বার্ষিকী উদযাপিত হবে। উভয় পক্ষই এই প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা সংক্রান্ত অংশীদারিত্বের বিষয়ে প্রশংসা করেছে। ‘ইন্দো-জার্মান সেন্টার ফর সাস্টেনেবিলিটি’-সহ টিইউ-৯ এবং আইআইটি-র মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে উভয় নেতৃবৃন্দ সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন।

 

‘ফ্র্যাঙ্কফুর্টার ইনোভেশন্‌সজেন্ট্রুম বায়োটেকনোলোগি জিএমবিএইচ’ এবং আয়ুষ মন্ত্রকের অধীনস্থ স্বয়ংশাসিত সংস্থা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদের মধ্যে প্রথাগত ওষুধ নিয়ে গবেষণায় সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে, আধুনিক ওষুধে আয়ুর্বেদিক বৈশিষ্ট্য অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে গবেষণা এবং উন্নয়নে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে।

 

জনগণের স্বাস্থ্য পরিষেবায় আয়ুর্বেদ এবং যোগ-এর মাধ্যমে প্রথাগত ওষুধের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন প্রকল্পে প্রশিক্ষণ, গবেষণা এবং প্রথাগত ওষুধের ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্র চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

দূতাবাস সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে দূতাবাস স্তরে আলোচনার ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উভয় পক্ষই অতি সত্বর প্রথম ভারত-জার্মান দূতাবাস সংলাপ আয়োজন করার ক্ষেত্রে সহমত পোষণ করেছে।

 

ফৌজদারি ক্ষেত্রে পারস্পরিক আইনি সহযোগিতার লক্ষ্যে অগ্রগতির বিষয়ে উভয় নেতা সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা ভারত-জার্মান অভিবাসন এবং যোগাযোগ সংক্রান্ত অংশীদারিত্ব চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সহমত পোষণ করেছেন।

 

২০২০-র আগস্টে মুম্বাইয়ে জার্মান কনস্যুলেট জেনারেলের অফিসে জার্মানির বিদেশ দপ্তরের উদ্যোগে একটি শেংগেন ভিসা কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্তকে ভারত স্বাগত জানিয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতার অংশীদারিত্ব

 

উভয় দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব ২০২০ সালে ২০ বছরে পদার্পণ করবে। দুই পক্ষই প্রতি বছর ভারত এবং জার্মানির বিদেশ সচিব পর্যায়ের আলোচনাটিকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সম্মত হয়েছে। দু’দেশের সংবাদমাধ্যম জগতের প্রতিনিধিদের সফরের মাধ্যমে তথ্যের আদানপ্রদান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আলোচনার মাধ্যমে জার্মান রাজনৈতিক ব্যবস্থা এক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে বলে তারা মনে করে।

 

সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে স্বচ্ছ ও স্থায়ী আর্থিক ব্যবস্থার মাধ্যমে উন্নয়নশীল এবং স্বল্প আয় গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির জন্য ঋণ গ্রহণ এবং ঋণদানের বিষয়টিকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে একটি তহবিল গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল, বিশ্বব্যাঙ্ক, প্যারিস ক্লাবের মাধ্যমে স্বল্প আয় গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে ঋণদানের বিষয়টি ভারত ও জার্মানি স্বাগত জানিয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক স্তরে বিভিন্ন নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ভারত ও জার্মানি দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্মত হয়েছে। ভারত সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আওতায় দুই দেশের প্রতিরক্ষা শিল্পকে উৎসাহদান এবং তামিলনাড়ু ও উত্তরপ্রদেশে প্রতিরক্ষা করিডরের সুযোগের সদ্ব্যবহার করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। উভয় পক্ষই অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগকে বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত করে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে সম্মত হয়েছে।

 

ভারত এবং জার্মানির বিদেশ মন্ত্রীদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আলোচনা সংগঠিত করার সিদ্ধান্তকে উভয় নেতা স্বাগত জানিয়েছেন। চলতি বছরের গোড়ায় দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির বাস্তবায়ন ছাড়াও আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক স্তরে সামুদ্রিক ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে একযোগে কাজ করার লক্ষ্যে তাঁরা সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন।

 

মহাত্মা গান্ধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে দুই নেতাই গান্ধীজির অহিংসা এবং সম্প্রীতির দর্শনকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাঁরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শাসন ব্যবস্থা, আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারকে শ্রদ্ধা জানানো, বহুস্তরীয় সহযোগিতা, রাষ্ট্রসঙ্ঘের চার্টার মেনে সকল দেশের সাম্য, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। জি-২০, রাষ্ট্রসঙ্ঘ-সহ বিভিন্ন বহুস্তরীয় মঞ্চে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে উভয় দেশ একযোগে সহযোগিতার ক্ষেত্রে তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। ২০২০ সালে জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশে ভারতের এবং জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশে জার্মানির সভাপতির দায়িত্ব পালনের সময় উভয় দেশ নিবিড় সহযোগিতা বজায় রাখার বিষয়ে আশা ব্যক্ত করেছে।

 

সমুদ্র আইনের রাষ্ট্রসঙ্ঘের ১৯৮২ সালের কনভেনশন (ইউএনসিএলওএস) অনুযায়ী, উভয় পক্ষ নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য এবং কোনরকমের বিধি-নিষেধ ছাড়া নৌ-পরিবহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে।

 

স্থায়ী, ঐক্যবদ্ধ, সমৃদ্ধশালী, শান্তিপূর্ণ আফগানিস্তান গড়ার লক্ষ্যে উভয় পক্ষ তাদের অঙ্গীকার পুনরায় ব্যক্ত করেছে। আফগান নেতৃত্বাধীন শান্তি এবং পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় আন্তঃআফগান আলোচনার লক্ষ্যে জার্মানির উদ্যোগকে ভারত স্বাগত জানিয়েছে। উভয় পক্ষই হিংসা বন্ধ করে, সমস্ত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় ধ্বংস করে আফগান নাগরিকদের সংবিধান অনুযায়ী মানবাধিকার রক্ষার প্রতি সম্মান জানাতে সম্মত হয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে ভয়ঙ্কর বিপদ বলে চিহ্নিত করে উভয় নেতা এর মোকাবিলা করার জন্য যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে ও সন্ত্রাসবাদী ব্যবস্থাগুলিকে ধ্বংস করতে এবং জঙ্গিদের এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত ও আর্থিক সাহায্য বন্ধ করতে তাঁরা সমস্ত রাষ্ট্রকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

উভয় নেতা সমস্ত দেশকে নিশ্চিত করতে জোর দিয়েছে যাতে তাদের ভূখণ্ড থেকে অন্য দেশের ওপর জঙ্গিরা কোন আক্রমণ না চালাতে পারে। এই আন্তর্জাতিক বিপদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে সংগ্রাম চালানোর লক্ষ্যে উভয় নেতা ২০২০-র মার্চ মাসে ‘কম্প্রিহেন্সিভ কনভেনশন অন ইন্টারন্যাশনাল টেরোরিজম’-এ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

 

বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী সম্পর্কে তথ্য এবং গোয়েন্দা রিপোর্ট আদানপ্রদান-সহ জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় ভারত-জার্মানি যৌথ কর্মীগোষ্ঠী সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রশ্নে উভয় নেতা সম্মত হয়েছেন। তাঁরা এই কর্মীগোষ্ঠীর পরবর্তী বৈঠক আয়োজনের ক্ষেত্রে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

ভারত এবং জার্মানি ইরান ও ‘ই৩+৩’-এর মধ্যে ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেন্সিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ) বাস্তবায়নের বিষয়ে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। ভারত এবং জার্মানি মনে করে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি জেসিপিওসি এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চালাতে হবে। এই সমস্যার সমাধান শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনার মাধ্যমে করার ক্ষেত্রে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে।

 

উভয় পক্ষ সামরিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে সংযম বজায় রাখার প্রশ্নে তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা, অস্ট্রেলিয়া গোষ্ঠী এবং ওয়াসেনার চুক্তিতে ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে জার্মানি সমর্থন জানানোয় ভারত ধন্যবাদ জানিয়েছে। জার্মানি পারমাণবিক সরবরাহ গোষ্ঠী এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিতে তার সমর্থন আবারও ব্যক্ত করেছে।

 

রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার ৭৪তম অধিবেশনেনিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের বিষয়ে উভয় নেতা গুরুত্ব আরোপ করেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ প্রাপ্তির লক্ষ্যে দুই দেশই একে অন্যকে তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। বিশ্ব জুড়ে যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে তার মোকাবিলায় শক্তিশালী, আইনসম্মত রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওপর উভয় দেশ গুরুত্ব আরোপ করেছে।

 

শান্তি, স্থিতিশীল এবং সমৃদ্ধির নিশ্চিত করতে বহুস্তরীয় সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে উভয় দেশ মনে করে বর্তমান যুগের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলি আলাদা আলাদাভাবে মোকাবিলা না করে তা যৌথভাবে করা প্রয়োজন।

 

পঞ্চম ভারত-জার্মান কাউন্সিলের বৈঠকের বিষয়ে উভয় নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলায় কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিষয়ে তাঁরা তাঁদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। জার্মান চ্যান্সেলর ডঃ আঙ্গেলা মেয়ারকেল ভারত-জার্মান কাউন্সিলের বৈঠক আয়োজন করার জন্য এবং উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

 

 

SSS/BD/CB/DM/SB



(Release ID: 1590208) Visitor Counter : 195


Read this release in: English