রেলমন্ত্রক
ভারতীয় রেলের সময়ানুবর্তিতা ২০১৮-১৯-এর তুলনায় ২০১৯-২০-তে বেড়েছে
Posted On:
24 OCT 2019 2:56PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯
ট্রেন পরিষেবার ক্ষেত্রে ভারতীয় রেল সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছে। রেলের ধারাবাহিক এই প্রয়াসের ফলে সময়সূচি মেনে ট্রেন পরিষেবায় উন্নতি ঘটেছে। সময়ানুবর্তিতার ক্ষেত্রে ২০১৮-১৯-এর তুলনায় ২০১৯-২০-তে মেল/এক্সপ্রেস ট্রেন এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলির পরিষেবা উন্নত হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের এপ্রিল-সেপ্টেম্বর সময়ে মেল/এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচলে সময়ানুবর্তিতা ২০১৮-১৯-এর ঐ একই সময়ের ৬৭.০৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৪.২১ শতাংশ হয়েছে। একইভাবে, প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিষেবায় সময়ানুবর্তিতা ২০১৮-১৯-এর ৬৬.৫৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৯-২০-তে ৭০.৫৪ শতাংশে পৌঁছেছে।
ট্রেন চলাচলে সময়ানুবর্তিতা বজায় রাখতে রেল কর্তৃপক্ষ একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এই সমস্ত পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে :
· ডিভিশনাল, জোনাল এবং রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
· সুপরিকল্পিত উপায়ে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের বাধা-বিপত্তিগুলি দূর করা হচ্ছে।
· যাত্রা সূচনা থেকে গন্তব্য পর্যন্ত কিছু ট্রেনের পরিষেবায় ডিজেলচালিত ইঞ্জিনের ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে। উদ্দেশ্য, যাত্রাপথের মাঝখানে ডিজেল ইঞ্জিনের পরিবর্তে ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনের ব্যবহার এড়ানো যায়।
· বর্তমানে চালু মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরাগুলিকে এলএইচবি (লিঙ্ক হফম্যান বুশ) কামরায় পালটে ফেলা হচ্ছে।
· একই গতিসম্পন্ন ট্রেনগুলির ক্ষেত্রে যাত্রার সময়সূচি আরও যুক্তিসঙ্গত করে তোলা হচ্ছে।
· গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনালগুলিতে ট্রেনগুলির থামার সময় হ্রাস করা হচ্ছে।
· ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডরের প্রথম পর্যায়ের সূচনা হতে চলেছে।
· সময় বাঁচাতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জলের পাম্প ব্যবহার করা হচ্ছে যাতে প্রয়োজনের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট স্টেশন থেকেই প্রয়োজনীয় জল পাওয়া যায়।
· সময়ানুবর্তিতা মেনে ট্রেন চলাচল করছে কিনা সে সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত পর্যালোচনা করা হচ্ছে। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যাত্রা সূচনা এবং গন্তব্য স্টেশনে পৌঁছনোর পর সেখান থেকে সঠিক সময়ে ট্রেনের পুনরায় যাত্রা শুরু হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষ ‘রেল দৃষ্টি’ নামে একটি ড্যাশবোর্ড তৈরি করেছে।
CG/BD/DM
(Release ID: 1589038)
Visitor Counter : 82