উপ-রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়

জম্মু-কাশ্মীরের পুনর্গঠন সীমান্ত পারের সন্ত্রাস দমন করে সার্বিক অগ্রগতিতে সহায়ক হবে : উপ-রাষ্ট্রপতি

प्रविष्टि तिथि: 14 OCT 2019 5:51PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৪ অক্টোবর, ২০১৯

 

 

 

উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্গঠন এই অঞ্চলের সার্বিক অগ্রগতিতে সহায়ক হবে এবং সীমান্ত পারের সন্ত্রাসের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় সাহায্য করবে। সিয়েরা লিওন-এর রাজধানী ফ্রিটাউনে আজ সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে ভাষণে উপ-রাষ্ট্রপতি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ভারতের এক নিকট প্রতিবেশী এই অঞ্চলে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে সমর্থন, মদত ও তহবিল যোগান দিয়ে অশান্তি সৃষ্টিতে প্ররোচনা দিয়েছে। সন্ত্রাসমূলক ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ বলি হয়েছেন বলে উল্লেখ করে শ্রী নাইডু সব ধরনের সন্ত্রাসকে মানবতাবাদের শত্রু হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসের কোন ধর্ম নেই। তিনি সমগ্র বিশ্ববাসীকে সন্ত্রাসবাদে মদতদাতাদের বিচ্ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়ে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে তহবিল যোগান বন্ধ করার পরামর্শ দেন।

 

শ্রী নাইডু আরও বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্গঠন সংক্রান্ত সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত ঐ অঞ্চলের উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগুলির সুফল এবং বিভিন্ন আইনের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিয়ে সার্বিক অগ্রগতির বিকাশের পথ সুগম করবে। সংসদের উভয় কক্ষে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিল পাশ হওয়া সত্ত্বেও এক শ্রেণীর সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে বিভ্রান্তিকর খবর প্রচার করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে বর্ণনা করে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, ঐ রাজ্যের মানুষ ১৯৫২ সাল থেকে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচন করে আসছে। অবশ্য, সংবিধানের ৩৭০ নং ধারার একাধিক সংস্থান বলবৎ থাকার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছয়নি। “সংসদীয় অনুমোদনের বাধ্যবাধকতার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের পক্ষে এক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে” বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

 

শ্রী নাইডু সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ভারত বিশ্বের এক অন্যতম সহনশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যেখানে সংখ্যালঘু সহ সমস্ত গোষ্ঠীর মানুষের প্রতি সমান মনোভাব ও সহমর্মিতা দেখানো হয়। তিনি বলেন, ভারত এমন একটি দেশ যার রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সেনাবাহিনীর প্রধানরাও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব পালন করেছেন। “ভারত এমন দেশ যেখানে বহুত্ববাদ, বহু জাতি, বহু ভাষা, বিভিন্ন মত, ধারণা ও আচার-আচরণের সহাবস্থান ঘটেছে” বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

 

ভারতের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ দ্রুতগতিতে ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতি হয়ে ওঠার পথে অগ্রসর হচ্ছে। ২০২৫ নাগাদ ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ক্রেতা-বাজারে পরিণত হবে। গণতন্ত্র, চাহিদা ও জনসংখ্যাগত বৈশিষ্ট্য ছাড়াও আপনারা অর্থাৎ, অনাবাসী ভারতীয়রা ভারতের অগ্রগতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছেন। ভারত দ্রুত বিশ্বের অন্যতম বিনিয়োগের গন্তব্য হয়ে উঠছে মন্তব্য করে উপ-রাষ্ট্রপতি অনাবাসী ভারতীয়দের মাতৃভূমির সঙ্গে বর্তমানে তাঁরা যে দেশে বসবাস করছেন, তার সঙ্গে সেতুবন্ধনের আহ্বান জানান। সিয়েরা লিওনে ভারতীয় সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা অল্প হলেও তাঁরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতির পাশাপাশি অর্থনীতির ক্ষেত্রেও সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। “আজ এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে সারা বিশ্ব জুড়েই অনাবাসী ভারতীয় ব্যবসায়ীরা যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন। আজ ভারতীয় দক্ষ পেশাদারদের চাহিদা সারা বিশ্ব জুড়ে।” ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পরম্পরা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অনাবাসী ভারতীয়দের ভূমিকার প্রশংসা করে উপ-রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন দেশে ভারতীয় উৎসব উদযাপনের কথা উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট দেশের আইনকানুন মেনে চলারও পরামর্শ দেন।

 

শ্রী নাইডু জানান, ভারত ও সিয়েরা লিওনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে ভারত সরকার ফ্রিটাউনে হাইকমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে, অনাবাসী ভারতীয়রাও উপকৃত হবেন। আফ্রিকার দেশগুলির জন্য ভারত সরকার এক বিশেষ নীতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে শ্রী নাইডু বলেন, এর ফলে ভারতের সঙ্গে এই মহাদেশের দেশগুলির সম্পর্ক আরও নিবিড়তর হয়ে উঠবে।

 

দিল্লি ফেরার পূর্বে শ্রী নাইডু কমোরস ও সিয়েরা লিওন সফরের মধ্যে দিয়ে তাঁর আফ্রিকা সফর শেষ করেন। সিয়েরা লিওনের জাতীয় আইনসভার স্পিকার মিঃ আব্বাস চেরনর বান্ডির সঙ্গেও শ্রী নাইডু এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে তিনি দুই দেশের মধ্যে সাংসদদের সফর এবং তাঁদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর জোর দেন।

 

এই উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলও উপ-রাষ্ট্রপতির সফর সঙ্গী ছিলেন। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন, ডেয়ারি ও মৎস্যচাষ প্রতিমন্ত্রী শ্রী সঞ্জীব কুমার বালিয়ান, রাজ্যসভার সদস্য শ্রী রামবিচার নিতম সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

 

 

CG/BD/DM


(रिलीज़ आईडी: 1588056) आगंतुक पटल : 135
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English