পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক

ভারত ২০২২ সালের মধ্যে অজৈব জ্বালানির পরিমাণ ১৭৫ গিগাওয়াট এবং পরে ৪৫০ গিগাওয়াট পর্যন্ত বাড়াতে চলেছে : প্রধানমন্ত্রী


বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামোর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী

Posted On: 26 SEP 2019 6:31PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

 

 

বিশ্ব নেতারা সোমবার নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের ক্লাইমেট অ্যাকশন শিখর সম্মেলনে যোগ দেন। বিশ্ব জুড়ে জলবায়ু সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব শ্রী আন্তনিয় গুতেরেস এই শিখর সম্মেলন আহ্বান করেন এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘আমাদের একটা স্বীকার করতেই হবে যে, যদি আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান করতে চাই, তা হলে আমরা এই মুহূর্তে যা করছি, তা যথেষ্ট নয়’। এখন যেটা প্রয়োজন, সেটি হ’ল একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গী, যার আওতায় থাকবে শিক্ষা থেকে মূল্যবোধ এবং জীবনশৈলী থেকে উন্নয়নের দর্শন - সবকিছুই।

উন্নয়নের নীতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে ভারতের উদ্যোগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে শ্রী মোদী বলেন, লোভ নয়, প্রয়োজন আমাদের নীতি-নির্দেশিকা হয়েছে। এক টন প্রচারের থেকে এক অ্যাউন্স কাজে দেখানো অনেক বেশি মূল্যবান। ভারতে আমরা ২০২২ সালের মধ্যে অজৈব জ্বালানির পরিমাণ ১৭৫ গিগাওয়াট এবং পরে ৪৫০ গিগাওয়াট পর্যন্ত বাড়াবো – এই ঘোষণাটি করেন প্রধানমন্ত্রী।

সমাবেশে উপস্থিত সকলকে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘জল সংরক্ষণের জন্য আমরা জল জীবন মিশন শুরু করেছি। আগামী কয়েক বছরে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে চলেছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ‘ভারতে ৭৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জনের জনআন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়েছি আমরা’ ।

‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রায় ৮০টি দেশ আমাদের আন্তর্জাতিক সৌর সহযোগী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে। বিপর্যয় প্রতিরোধী পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ভারত একটি সহযোগিতার সূচনা করছে’। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলিকে এতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

 

 

 

এর আগে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব শ্রী আন্তনিয় গুতেরেস তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে চিন্তাশীল বক্তব্য রাখেন। মহাসচিব, অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলি চিহ্নিত করেন, যেমন সরকারি ও বেসরকারি অর্থ বিনিয়োগ করে কার্বন নিঃসরণ বন্ধ করা, জৈব জ্বালানি থেকে পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরিত করা, তৈল ও গ্যাস, ইস্পাত, সিমেন্ট, রাসায়নিক ও তথ্য প্রযুক্তি শিল্পগুলির রূপান্তর ঘটানো, প্রাকৃতিক ভিত্তিতে সমাধান, শহর ও স্থানীয় স্তরে কার্বন নিঃসরণ কমানো, জলবায়ু পরিবর্তন, বিশেষ করে যেসব সম্প্রদায় ও দেশের ওপর প্রভাব ফেলছে, তার মোকাবিলা এবং প্যারিস চুক্তির উদ্দেশ্য সফল করতে দীর্ঘস্থায়ী নীতি গ্রহণ করা। এই অভিযান যুবসম্প্রদায় ও জনসাধারণকে যুক্ত করার কথাও বলেন তিনি। সামাজিক ও রাজনৈতিক স্তরে এর মোকাবিলার ওপর জোর দেন তিনি।

এটা করা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ভারত সুইডেনের সঙ্গে একযোগে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামকে সমর্থন জানিয়েছে, যাতে শিল্পের রূপান্তর ঘটানো যায়।

 

 

CG/AP/SB


(Release ID: 1586320)
Read this release in: English