অর্থমন্ত্রক

দেশীয় কোম্পানিগুলির জন্য ২২ শতাংশ এবং নবগঠিত দেশীয় উৎপাদন কোম্পানিগুলির জন্য ১৫ শতাংশ হারে কর্পোরেট কর ছাড়

Posted On: 20 SEP 2019 9:51PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

 

 

 

১৯৬১’র আয়কর আইন এবং ২০১৯ – এর অর্থ (২ নম্বর) আইনে নির্দিষ্ট কয়েকটি সংশোধন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কর আরোপ আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১৯ নিয়ে এসেছে। কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ গোয়ায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান। নতুন সংশোধনগুলির বৈশিষ্টগুলি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন : -

 

সার্বিক বিকাশ ও বিনিয়োগের প্রসারে আয়কর আইনে একটি নতুন সংস্থান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৯ – ২০ অর্থবর্ষ থেকেই এই সংস্থানটি কার্যকর হচ্ছে। নতুন এই ব্যবস্থার ফলে যে কোনও দেশীয় কোম্পানি কর ছাড় বা উৎসাহ ভাতার সুবিধা গ্রহণ না করলে ২২ শতাংশ হারে আয়কর জমা দেওয়ার সুযোগ পাবে। এ ধরনের কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে সারচার্জ এবং সেস সহ কার্যকর কর হার দাঁড়াবে ২৫.১৭ শতাংশ। এছাড়াও, এ ধরনের সংস্থাগুলির ন্যূনতম বিকল্প কর দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

 

উৎপাদন ক্ষেত্রে নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আরও প্রসারে আয়কর আইনে আরও একটি নতুন সংস্থান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ থেকেই এই সংস্থানটি কার্যকর হচ্ছে। নতুন এই সংস্থান অনুযায়ী ২০১৯ – এর পয়লা অক্টোবর বা তার পরে গড়ে ওঠা যে কোনও দেশীয় কোম্পানি উৎপাদন ক্ষেত্রে নতুন বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে তাদের ১৫ শতাংশ হারে আয়কর প্রদানের সুবিধা থাকছে। সেই সমস্ত কোম্পানিগুলি কর প্রদানের ক্ষেত্রে এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে, যারা কর ছাড় অথবা উৎসাহ ভাতার সুবিধা গ্রহণ করে না এবং ২০২৩ সালের ৩১শে মার্চের আগেই উৎপাদন শুরু করবে। এ ধরনের কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে সারচার্জ ও সেস সহ কার্যকর কর হার দাঁড়াবে ১৭.০১ শতাংশ। এছাড়াও, এই কোম্পানিগুলির ন্যূনতম বিকল্প কর দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

 

 

যেসব সংস্থা কর ক্ষেত্রের সুবিধা নেয় না, তবে কর ছাড় বা উৎসাহ ভাতার সুবিধা গ্রহণ করে থাকে, তারা প্রাক্‌-সংশোধিত হারেই কর প্রদান করতে পারবে। অবশ্য, এ ধরনের সংস্থাগুলি তাদের কর ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই কর ক্ষেত্রের সুবিধা গ্রহণের সুযোগ পাবে। কর ক্ষেত্রে সুবিধা একবার গ্রহণ করার পর, তাদেরকে ২২ শতাংশ হারে কর প্রদান করতে হবে। কর ক্ষেত্রে সুবিধা গ্রহণ করলে, তা আর প্রত্যাহার করা যাবে না। যে সমস্ত কোম্পানি কর ছাড় বা উৎসাহ ভাতার সুবিধা গ্রহণ করে চলেছে, তাদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বিকল্প করের পরিমাণ বর্তমানের ১৮.৫ শতাংশ থেকে কিছুটা শিথিল করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।

 

মূলধন বাজারে তহবিল যোগানের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ২০১৯ – এর অর্থ (২ নম্বর) আইন অনুযায়ী যে বর্ধিত সারচার্জের সংস্থান রয়েছে, তা একটি কোম্পানির ইক্যুইটি শেয়ার বিক্রি বা ইক্যুইটি তহবিলের একটি ইউনিট বিক্রি অথবা একটি বিজনেস ট্রাস্টের ইউনিট বিক্রি বাবদ পাওয়া মূলধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

 

এই বর্ধিত সারচার্জ বিদেশি পোর্টফোলিও ইনভেস্টারের কাছে বিক্রি করা কোনও সিকিউরিটি বাবদ প্রাপ্ত মূলধনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে না।

 

যে সমস্ত সংস্থা তাদের বিক্রি করা শেয়ার গত ৫ই জুলাইয়ের আগে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে, তাদের কিছুটা সুবিধা দিতে প্রস্তাব করা হয়েছে যে, বিক্রি হওয়া শেয়ার ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রকম মাশুল দিতে হবে না।

 

কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) তহবিলে সঞ্চিত অর্থের ২ শতাংশ খরচের ক্ষেত্রে সরকার বেশ কিছু সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে সিএসআর – এর ২ শতাংশ অর্থ কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তহবিল সহায়তা পেয়ে থাকে, এমন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও খরচ করা যেতে পারে। এ ধরনের সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র, সরকারি তহবিল-প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি, জাতীয় স্তরের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও স্বশাসিত সংস্থা (আইসিএআর, আইসিএমআর, সিএসআইআর, ডিআরডিও প্রভৃতি) রয়েছে।

 

কর্পোরেট কর ক্ষেত্রে ছাড় ও অন্যান্য আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ফলে আনুমানিক ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

 

CG/BD/SB


(Release ID: 1585713) Visitor Counter : 308


Read this release in: English