স্বাস্থ্যওপরিবারকল্যাণমন্ত্রক

বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কমিটি ৭২তম অধিবেশনে ডঃ হর্ষ বর্ধনের ভাষণ

Posted On: 03 SEP 2019 5:04PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

 

 

 

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নতুন ভারত গঠনের লক্ষ্যে সকলের জন্য সুস্বাস্হ্য, রোগমুক্ত ভারত এবং বিশ্ব মানের স্বাস্হ্য পরিষেবা প্রদান সরকারের প্রধান দায়িত্ব। বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কমিটির ৭২তম অধিবেশনে একথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যই হল দেশে স্বাস্হ্য ক্ষেত্রে বিপ্লব এনে আমূল পরিবর্তন ঘটানো। দেশের প্রতিটি নাগরিককে উন্নত মানের স্বাস্হ্য পরিষেবা প্রদানকে সরকার সব সময় গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানান ডঃ হর্ষ বর্ধন।

 

    ডঃ হর্ষ বর্ধন বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কমিটি ৭২তম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতিত্ব করেন।

 

    এই অধিবেশনে বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হার দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ১১টি দেশের ৮ জন স্বাস্হ্যমন্ত্রী, এইচএফডাব্লু-র সচিব শ্রীমতি প্রীতি সুদান, বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হার দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক অধিকর্তা ডঃ পুনম ক্ষেত্রপাল সিং উপস্হিত ছিলেন। ভারত দ্বিতীয়বার এই ধরণের অধিবেশনের আয়োজন করেছে।

 

    সঠিক এবং স্বাস্হ্যকর পুষ্টির কথা উল্লেখ করে ডঃ হর্ষ বর্ধন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে পোষণ মাস পালন করছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্হ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা, রক্তাল্পতা ও অপুষ্টির মতো সমস্যার দূরীকরণ এবং অপুষ্টিমুক্ত ভারত গঠনের উদ্দেশ্যে জনসচেতনতা গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দৈনন্দিন জীবনে অস্বাস্হ্যকর খাবার এবং অপরিমিত আহারের ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে একাধিক রোগ ও অপুষ্টির সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এরফলে দেশে উচ্চ রক্তচাপের মতো অসংক্রামক ব্যাধির প্রাদুর্ভাব ঘটছে। এরজন্য সরকার খাদ্য শৃঙ্খলা পদ্ধতি নীতি গ্রহণ করেছে বলেও জানান তিনি। সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলতে সকলের জন্য সঠিক খাবার আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর স্লোগান হল- সঠিক খাবার, আরও সুস্হ জীবন। তিনি বলেন, সঠিক খাবার খান, সুস্হ থাকুন তবেই ভারত সুস্হ থাকবে’- এই প্রচারে ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি এগিয়ে এসেছেন। জাতীয় ক্রীড়া দিবসে প্রধানমন্ত্রী ফিট ইন্ডিয়া আন্দোলনের সূচনা করেছেন বলেও তিনি জানান। এর লক্ষ্যই হল, সাধারণ মানুষের মধ্যে শারীরিক পরিশ্রমের বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তোলা এবং দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হিসেবে খেলাধুলাকে গ্রহণ করা। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্হ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে দেশে ১ লক্ষ ৫০ হাজার স্বাস্হ্য এবং শুশ্রুষা কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই ২০ হাজার শুশ্রুষা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার কথা তুলে ধরে শ্রী বর্ধন বলেন, দেশের ১ কোটি গরিব এবং দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারকে এই যোজনার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রতিটি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে স্বাস্হ্য বিমার আওতায় আনা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৭ হাজার হাসপাতালে এই প্রকল্পের পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্হ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ইন্দ্রধনুষ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষকে পুরোপুরি টিকাকরণের আওতায় আনা সম্বব হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রোটা ভাইরাস, রুবেলা ভ্যাকসিনের মতো টিকা প্রদান করা হচ্ছে।

 

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ভাষণ দেন বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হার দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক অধিকর্তা ডঃ পুনম ক্ষেত্রপাল সিং। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলিতে সরকারের স্বাস্হ্য ক্ষেত্রে নেওয়া একাধিক পদক্ষেপের কথা তিনি তুলে ধরেন। শ্রীমতি সিং বলেন, এই ধরণের কর্মসূচির ফলে স্বাস্হ্য ক্ষেত্রে একাধিক সাফল্য এসেছে। যক্ষা, এনসিডিপি, এনটিডি-এর মতে রোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি জানান।

 

 

 

CG/SS/NS


(Release ID: 1583978) Visitor Counter : 106


Read this release in: English