পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক
ভারত চিনের কাছ থেকে আগামী দু’বছরের জন্য সিওপি-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করল
Posted On:
03 SEP 2019 4:19PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘ কনভেনশনের মরু অঞ্চলের প্রসার রোধ সংক্রান্ত কার্যনির্বাহী সভাপতি মিঃ ইব্রাহিম থিয়াও সোমবার গ্রেটার নয়ডার ইন্ডিয়া এক্সপো সেন্টারে চতুর্দশ কনফারেন্স অফ পার্টিজ বা সিওপি-১৪-র ১২ দিনব্যাপী সম্মেলন যৌথভাবে সূচনা করেন। সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে শ্রী জাভড়েকর আগামী দু’বছরের জন্য সিওপি-র সভাপতি নির্বাচিত হন। সভাপতির পদ গ্রহণ করে শ্রী জাভড়েকর মরু অঞ্চলের প্রসার রোধ ও ভূমিগত চারিত্রিক পরিবর্তনজনিত প্রভাব রোধে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার ব্যাপারে ভারতের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এ বছর ভারত সিওপি-১৪ সংক্রান্ত সম্মেলন আয়োজন করছে এবং ভারত চিনের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করে আগামী দু’বছর, অর্থাৎ ২০২১ পর্যন্ত সিওপি-র সভাপতি হিসেবে কাজ করবে।” জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য এবং ভূমি সংক্রান্ত রিও কনভনশনের তিনটি সম্মেলন আয়োজন করার যে দায়িত্ব নির্দিষ্ট কয়েকটি সিওপি গোষ্ঠীভুক্ত দেশ পেয়েছে, ভারত তাদের মধ্যে অন্যতম। সিওপি-১৪ আয়োজনের মাধ্যমে ভারত ভূমির সুদক্ষ পরিচালনার মতো বিষয়গুলিকে বিশ্ব মঞ্চে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নেবে। এ ধরনের সম্মেলন দেশের জাতীয় উন্নয়নমূলক নীতিতে সুদক্ষভাবে ভূমি পরিচালনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে আলোচনার এক উপযুক্ত মঞ্চ প্রদান করে বলেও শ্রী জাভড়েকর জানান।
তৃণমূলস্তরে ভূমির চারিত্রিক পরিবর্তন সম্বন্ধে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, এ ধরনের সমস্যার সুষ্ঠু ও স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, সিওপি-১৪ সম্মেলন থেকে যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি উঠে আসবে তা কৃষিকাজ, বনসৃজন, জলসম্পদ পরিচালনা ও দারিদ্র্য দূরীকরণের মতো সমস্যাগুলির ক্ষেত্রে সমন্বয় নিয়ে আসতে সাহায্য করবে। ২০২২ সালের মধ্যে ভারতে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার যে লক্ষ্যমাত্রা প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী স্থির করেছেন, তা বাস্তবায়নে সুস্থায়ী উন্নয়নের উদ্দেশ্যগুলি পূরণ করা অত্যন্ত জরুরি বলেও তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
সবুজায়নের প্রসারে গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে সকলের আশাবাদী হওয়া প্রয়োজন। প্রত্যেক পরিকল্পনায় আস্থা থাকা জরুরি। “ভবিষ্যতের ব্যাপারে আমি আশাবাদী এবং দৃঢ়বিশ্বাসী যে যদি মানুষের কাজকর্মে কোন ক্ষতিসাধন হয়ে থাকে, তাহলে তা প্রতিরোধে মানুষকেই প্রয়াস নিতে হবে।”
অনুষ্ঠানে মিঃ থিয়াও বলেন, পৃথিবীর মোট ভূখণ্ডের তিন-চতুর্থাংশ জমির চারিত্রিক পরিবর্তনের ফলে ৩৫০ কোটিরও বেশি মানুষের জীবনে যে প্রভাব পড়ছে তা প্রতিহত করে জীবনকে আরও সহজ-সরল করে তুলতে এই সম্মেলনে আগামী দু’সপ্তাহ ধরে আমাদের ৬ হাজারেরও বেশি বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে।
ভারতকে এই সম্মেলনের আয়োজক দেশের দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, ভারত সর্বদাই জমির চারিত্রিক পরিবর্তন, মরু অঞ্চলের প্রসার রোধ এবং খরাজনিত প্রভাব মোকাবিলায় সক্রিয় থেকেছে। বিগত পাঁচ বছরে ভারতে বনাঞ্চলের অভ্যন্তরে ও বাইরে ১৫ হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি অঞ্চল জুড়ে গাছ লাগানো হয়েছে। এই সমস্ত প্রয়াস ভূমিক্ষয় ও জমির চারিত্রিক পরিবর্তন রোধে এক বড় সাফল্য বলেও প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
CG/BD/DM
(Release ID: 1583965)
Visitor Counter : 122