পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক

বনসৃজনের জন্য রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ৪৭,৪৩৬ কোটি টাকা প্রদান

Posted On: 29 AUG 2019 10:05PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৯ অগাস্ট, ২০১৯

 

 

 

দেশে বনসৃজনের প্রসারে এবং সবুজায়নের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শ্রী প্রকাশ জাভড়েকর আজ নতুন দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজ্যকে ‘কম্পেনসেটরি অ্যাফরেস্টেশন ফান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং অথরিটি’ (ক্যাম্পা)-র মাধ্যমে ৪৭,৪৩৬ কোটি টাকা প্রদান করেন। রাজ্য বনমন্ত্রী ও বন কর্তৃপক্ষগুলির সঙ্গে দিল্লিতে এক বৈঠকে শ্রী জাভড়েকর বলেন, অরণ্য খাতে রাজ্যগুলির জন্য বাজেট বরাদ্দ অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না এবং যে তহবিল আজ বরাদ্দ করা হচ্ছে তা রাজ্য বাজেটের অতিরিক্ত। অরণ্য অঞ্চলের পরিধি বাড়াতে এই অর্থ খরচ করা হবে বলেই তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, দেশে বন ও বৃক্ষ আচ্ছাদিত অঞ্চলের পরিমাণ বাড়লে ২০৩০ সাল নাগাদ আড়াই-তিন বিলিয়ন টনের সমতুল কার্বন ডাইঅক্সাইড শুষে নেওয়া সম্ভব হবে। শ্রী জাভড়েকর স্পষ্ট জানান, ক্যাম্পা তহবিলের মাধ্যমে প্রদেয় অর্থ বেতন, ভ্রমণ ভাতা, চিকিৎসা খরচ বা অন্যান্য খাতে ব্যয় করা যাবে না।

 

অরণ্য অঞ্চলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ও মানোন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ঐ তহবিলের আওতায় প্রদেয় অর্থ, ক্ষয়প্রাপ্ত বনাঞ্চলে পুনরায় বনসৃজন, অরণ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদী বা খালের সংস্কার, বন্যপ্রাণ সুরক্ষা, প্রকৃতির পুনরুজ্জীবন, দাবানল প্রতিরোধ, বন্যপ্রাণী বাসস্থানের উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও সুরক্ষা, অরণ্য সংক্রান্ত গবেষণার মতো কাজে সদ্ব্যবহার করা যাবে। ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বনসৃজনমূলক কাজকর্ম পরিচালনার জন্য প্রতি বছর ১ কোটি টাকা দেওয়ার অনুমতি দেয়। মন্ত্রী আরও জানান, কেন্দ্রের এই তহবিল গ্রহণের জন্য এখনও পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অ্যাকাউন্ট চালু করেছে। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী বাবুল সুপ্রিয় উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

SSS/BD/DM


(Release ID: 1583566) Visitor Counter : 328


Read this release in: English