কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা
বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ পর্যালোচনার প্রস্তাব অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা
प्रविष्टि तिथि:
29 AUG 2019 2:55PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৮ অগাস্ট, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ পর্যালোচনার প্রস্তাব অনুমোদন করল।
প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতি সংস্কারের প্রধান প্রভাব ও সুবিধা :
i. প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিতে পরিবর্তনের ফলে ভারত আকর্ষণীয় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের গন্তব্য হয়ে উঠবে। ফলে বাড়বে লগ্নি, কর্মসংস্থান এবং বৃদ্ধি।
ii. কয়লা ক্ষেত্রে কয়লা বিক্রির জন্য ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ হবে স্বয়ংক্রিয় পথেই। এর মধ্যে রয়েছে খনন ও প্রক্রিয়াকরণ। এতে আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি অংশ নেবে এবং কয়লা বাজারকে আরও দক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
iii. এছাড়াও, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র উদ্দেশ্য পূরণ করতে চুক্তির মাধ্যমে উৎপাদন সমানভাবে কার্যকর হবে। স্বয়ংক্রিয় পথে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে অনুমতি মেলায় ভারতে উৎপাদন শিল্পক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি ঘটবে।
iv. অর্থমন্ত্রীর কেন্দ্রীয় বাজেট বক্তৃতায় ঘোষিত ‘সিঙ্গল ব্র্যান্ড’ খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের বিধিও সরল করা হয়েছে। এর ফলে, আরও বেশি নমনীয়তা এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করা যাবে। এর পাশাপাশি, প্রতিটি সংস্থাই সমান সুযোগ পাবে ভিত্তি বছরে রপ্তানি ক্ষেত্রে। এছাড়াও, বর্তমান বাজারের চালু প্রথা অনুযায়ী অনলাইন বিক্রিতেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনলাইন বিক্রির ফলে লজিস্টিক্স, ডিজিটাল পেমেন্টস, গ্রাহক পরিষেবা, প্রশিক্ষণ এবং পণ্য ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।
v. প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিতে উপরোক্ত সংশোধনগুলির অর্থ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতিকে আরও উদার ও সরল করা যাতে দেশে সহজে ব্যবসা করা যায়। এর ফলে আরও বেশি করে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আসবে এবং বাড়বে লগ্নি, আয় এবং কর্মসংস্থান।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়ে সরকার বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে অনেকগুলি ক্ষেত্রেই ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতকে লগ্নি করার উপযুক্ত গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতির উদারীকরণ করা হয়েছে যেমন প্রতিরক্ষা, নির্মাণ শিল্প, খুচরো ব্যবসা, ওষুধ শিল্প, বিদ্যুৎ, বিমা, অবসরভাতা এবং অন্যান্য আর্থিক পরিষেবা।
এই সংস্কারগুলির ফলে গত পাঁচ বছরে দেশে রেকর্ড পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। ২০০৯-১০ থেকে ২০১৩-১৪ পর্যন্ত যার মূল্য ছিল ১৮,৯০০ কোটি ডলার, সেই জায়গায় ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯-এ ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ২৮,৬০০ কোটি ডলার। বস্তুত, ২০১৮-১৯-এ ৬,৪৩৭ কোটি ডলার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে যা যে কোন একটি অর্থ বছরে রেকর্ড। বিশ্ব বাজারে মন্দা সত্ত্বেও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত অনেকটাই সুবিধা ভোগ করছে এবং আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। তবে এটাও ঠিক যে এ দেশে আরও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা আছে যদি এই সংক্রান্ত নীতির আরও উদারীকরণ ও সরলীকরণ করা যায়।
কয়লা খননে বর্তমানে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ নীতি কার্যকর। সেইসঙ্গে কয়লা শোধন, কয়লা প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রেও ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, এক্ষেত্রে ২০১৫-র কয়লা খনি আইন এবং ১৯৫৭-র খনি এবং খনিজসম্পদ আইনের শর্তগুলি প্রযোজ্য হবে। উৎপাদন শিল্পক্ষেত্রে ১০০ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নীতিতে বিশেষ করে জোর দেওয়া হয়েছে চুক্তিতে উৎপাদনে। এই বিষয়টি স্পষ্ট করতে ভারতে চুক্তি উৎপাদন শিল্পে স্বয়ংক্রিয় পথে ১০০ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নীতিতে আছে খুচরো ব্যবসা ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ পণ্য ভারত থেকেই সংগ্রহ করতে হবে যদি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৫১ শতাংশের বেশি হয়। প্রথম পাঁচ বছরের গড় হিসেবেও এটি করা যেতে পারে। এরপর এটি প্রতি বছর করতে হবে। ভারতেই বিক্রি হোক বা রপ্তানি হোক, সেটা ধর্তব্যের ভেতর থাকবে না। এছাড়া, বর্তমানে মাত্র পাঁচ বছর রপ্তানি করার যে নিয়ম আছে, সেটি আর থাকছে না। ফলে, রপ্তানি বাড়বে। বর্তমানে বাজারে চালু প্রথা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হয়েছে যে বিশ্ব বাজারের জন্য ভারত থেকে যে পণ্য সংগ্রহ করা হবে তা সংস্থাটি সরাসরি বা তাদের গোষ্ঠী অথবা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আইনত চুক্তির বলে এটি করা যাবে।
বর্তমানে যে নীতি চালু আছে তাতে ‘সিঙ্গল ব্র্যান্ড’ খুচরো ব্যবসার ক্ষেত্রে ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা করার আগে দোকান খুলতে হয়। এতে একটি প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে দোকান খোলার আগেই অনলাইনে বাণিজ্য করা যাবে। তবে অনলাইন ব্যবসা শুরু করার দু’বছরের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে দোকান খুলতে হবে।
প্রিন্ট মিডিয়ার মতোই ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিউজ এবং কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের ক্ষেত্রে সরকারি পথে ২৬ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
SSS/AP/DM
(रिलीज़ आईडी: 1583438)
आगंतुक पटल : 690
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें:
English