পেট্রোলিয়ামওপ্রাকৃতিকগ্যাসমন্ত্রক

শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ১২৪টি জেলায় ৫০টি ভৌগলিক অঞ্চলে দশম নগরকেন্দ্রিক গ্যাস বন্টন প্রক্রিয়ার কাজকর্মের সূচনা করলেন

Posted On: 26 AUG 2019 5:42PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৬ অগাস্ট, ২০১৯

 

 

 

    কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আজ এক অনুষ্ঠানে ১২৪টি জেলায় ৫০টি ভৌগলিক অঞ্চলে নগরকেন্দ্রিক গ্যাস বন্টন কর্মসূচির সূচনা করেন। দশম পর্যায়ে নগরকেন্দ্রিক গ্যাস বন্টন প্রক্রিয়ায় দরপত্র আহ্বানের পর ১২টি দরপত্র আহ্বানকারী সফল হয়েছিলেন। সফল এই দরপত্র আহ্বানকারীদের শ্রী প্রধান গত পয়লা মার্চ কাজকর্ম রূপায়ণের সম্মতিপত্র প্রদান করেন। নগরকেন্দ্রিক গ্যাস বন্টন প্রক্রিয়ার দশম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে দেশের ৭০ শতাংশ জনগণ এবং মোট ভৌগলিক এলাকার ৫২.৩ শতাংশ গ্যাস বন্টন ব্যবস্হার আওতায় এসে যাবে। দশম পর্যায়ের গ্যাস বন্টন প্রক্রিয়ায় ২ কোটি ২ লক্ষ পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হবে। এইজন্য ৩ হাজার ৫৭৮টি সিএনজি স্টেশন চালু করা হবে এবং গ্যাস বন্টনের জন্য ৫৮ লক্ষ ইঞ্জি-কিলোমিটার দীর্ঘ ইস্পাতের পাইপলাইন বসানো হবে।

 

    এই উপলক্ষ্যে শ্রী প্রধান বলেন, নবম ও দশম পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে নগরকেন্দ্রিক গ্যাস বন্টন ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি ঘটবে। তিনি আরও জানান, বিগত ৫ বছরে দেশে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সংযোগ, সিএনজি চালিত যানবাহন এবং সিএনজি স্টেশনের সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে। ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে শ্রী প্রধান বলেন, আগামী এক দশকে দেশ শক্তি ক্ষেত্রে বিশ্বের অগ্রণী গ্রাহক হয়ে উঠবে। সরকারের উদ্দেশ্য হল সকলের কাছে সুলভে ও নিরবচ্ছিন্নভাবে বিশ্বাসযোগ্য পরিশ্রুত জ্বালানী পৌঁছে দেওয়া। শ্রী প্রধান আরও জানান, দেশে শক্তি ব্যবহারের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে, সিএনজি-র ব্যবহারও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে ইতিমধ্যেই হাইড্রোজেন জ্বালানী চালিত যানবাহনের ব্যবহার শুরু হয়েছে। একাধিক মোটরগাড়ি উৎপাদক সংস্হাও নতুন সিএনজি মডেল বাজারে এনেছে।

 

    শ্রী প্রধান জানান, গ্যাস পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হচ্ছে। গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নতুন গ্যাস ভান্ডারের অনুসন্ধান, গ্যাস বন্টন, বিতরণ, পাইপলাইন স্হাপন প্রভৃতির ওপর। এক পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯এ দেশে গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩২.৮৭ বিলিয়ন কিউবিক মিটার। ২০২০-২১ নাগাদ উৎপাদন পরিমাণ ৩৯.৩ বিনিয়ন কিউবিক মিটারের পৌঁছাবে। দেশে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস শোধনাগারগুলির ক্ষমতা বর্তমানে বার্ষিক ৩৮.৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন থেকে আগামী তিন-চার বছরে বাড়িয়ে বার্ষিক ৫২.৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একইভাবে গ্যাস গ্রীডে বর্তমান দৈর্ঘ্য ১৬ হাজার ৭৮৮ কিলোমিটার। অতিরিক্ত ১৪ হাজার ৭৮৮ কিলোমিটার গ্রীড তৈরির কাজ চলছে বলেও শ্রী প্রধান জানান।

 

 

 

CG/BD/NS



(Release ID: 1583065) Visitor Counter : 163


Read this release in: English