রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়

রাষ্ট্রপতি পরোপকারিতা সংক্রান্ত প্রথম বিশ্ব যুব সম্মেলন উদ্বোধন করলেন

Posted On: 23 AUG 2019 11:43PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৩ অগাস্ট, ২০১৯

 

 

 

রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দ আজ নতুন দিল্লিতে পরোপকারিতা সংক্রান্ত প্রথম বিশ্ব যুব সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

 

এই উপলক্ষে এক সমাবেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, মহাত্মা গান্ধী কেবল একজন মহান নেতা ও দূরদর্শীসম্পন্ন ব্যক্তিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন এমন এক ব্যক্তিত্ব যিনি নিজেকে চিরন্তন মূল্যবোধ ও আদর্শের মূর্ত প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গান্ধীজিকে টাইম মেশিনে বসিয়ে মানবসভ্যতার যে কোন যুগে নিয়ে গেলে তিনি সেখানে বর্তমান সময়ের মতো সমান প্রাসঙ্গিক থাকবেন। গান্ধীজির আদর্শ ও মূল্যবোধ আমাদের এই সময়েও সমান সত্য। আমাদের বর্তমান সময়ে শান্তি ও সহনশীলতা তথা সন্ত্রাসবাদ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রেও গান্ধীজি সমান প্রাসঙ্গিক।

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্ব জুড়ে আমরা যে হিংসা ও শত্রুতার ঘটনা দেখতে পাচ্ছি, তার শেকড় কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতার গভীরে প্রোথিত। এ ধরনের কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতাই ‘আমাদের বিরুদ্ধে তারা’ মনোবৃত্তির ধারণা গড়ে দিচ্ছে। গান্ধীজির দেখানো পথ অনুসরণ করলেই আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের শেখাতে পারব, আমরা যাদের ‘তারা’ বলে গণ্য করে থাকি, আসলে তারা সকলে আমাদেরই অঙ্গ। শ্রী কোবিন্দ বলেন, সহানুভূতিশীল বোঝাপড়া গড়ে তোলার সেরা উপায় হল পারস্পরিক মতবিনিময় ও কথোপকথন। এভাবেই আমরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে পারি।

 

কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাব ত্যাগে শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য ও কাঠামোতে পরিবর্তনের প্রয়োজন। শিক্ষাকে সাক্ষরতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রাখলে চলবে না, শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যা যুবাদের গভীর আত্মঅনুসন্ধান ও আন্তরিক বিশ্লেষণে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে, অন্যদের দুঃখ-কষ্টে নিজেদের সহানুভূতি প্রকাশের তাঁদের সংবেদনশীল করে তুলবে। তরুণ সমাজকে এমনভাবে শিক্ষিত করতে হবে যাতে তারা জাতি ও ধর্মের ভেদাভেদ পেরিয়ে নিজেদের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সমস্ত কিছু বিশ্লেষণ করতে পারে। সামাজিক অসমতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুব সম্প্রদায়কে এমনভাবে শিক্ষিত করে তুলতে হবে যাতে তাঁরা সৃজনশীল ও স্থায়ী সমাধানসূত্র খুঁজে পান। আমাদের এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন যা আমাদের আবেগ ও মানসিকতাকে প্রভাবিত করে।

 

সম্মেলনে সারা বিশ্ব থেকে আসা যুবাদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের বিশ্বকে সমবেদনাময় ও শান্তিপূর্ণ করে গড়ে তুলতে এঁদের মতো লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীর বড় ভূমিকা রয়েছে। এই সম্মেলন থেকে যুবারা যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন তা তাঁদের বাকি জীবনে পরোপকারিতার দূত হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে শ্রী কোবিন্দ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

 

উল্লেখ করা যেতে পারে, এই সম্মেলনে ২৭টি দেশের যুবক-যুবতীরা অংশ নিয়েছেন। শান্তি ও সুস্থায়ী উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কোর মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক যৌথভাবে সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

 

 

 

CG/BD/DM



(Release ID: 1582816) Visitor Counter : 192


Read this release in: English