প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

থিম্পুর রয়াল ইউনিভার্সিটি অফ ভুটানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

प्रविष्टि तिथि: 19 AUG 2019 7:20AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১৮ আগস্ট, ২০১৯

 

 

 

ভূটানের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ডঃ লোটে শেরিং, ন্যাশনাল এসেম্বলির এবং ভুটানের ন্যাশনাল কাউন্সিলের মাননীয় সদস্যবৃন্দ, রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অফ ভুটানের শ্রদ্ধেয় উপাচার্য ও অধ্যাপকরা,

আমার তরুণ বন্ধুরা,

কুজো জাঙ্গপো লা, নমস্কার। আজ এই সকালে আপনাদের মধ্যে আসতে পেরে দারুণ এক অনুভূতি হচ্ছে। আমি নিশ্চিত, আপনারা ভাবছেন আজ রবিবার, অথচ আপনাদের একটি বক্তৃতা শুনতে হবে। না, আমি অল্পকথাই বলব, আর যেটা বলব, তা প্রাসঙ্গিক।
বন্ধুরা,

যখনই কেউ ভুটান সফর করেন, তিনি  প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ছাড়াও এখানকার মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনা, দয়ামায়া, আর সারল্যে মোহিত হয়ে যান। গতকাল আমি সেমটোখা জঙ্গ এ গিয়েছিলাম। এই জায়গা ভূটানের ঐতিহ্যশালী ইতিহাসের নিদর্শনই নয়, এটি আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য বহনকারী জায়গাও। আমার এবারের সফরে ভুটানের বর্তমান নেতৃবৃন্দর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতার সৌভাগ্য হয়েছে। ভারত-ভুটান সম্পর্কের বিষয়ে আমি আবারো তাঁদের পরামর্শ পেয়েছি। তাঁদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই সম্পর্ক খুবই লাভবান হয়েছে।

 

 

 

আর আজ আমি এসেছি ভুটানের ভবিষ্যতের মধ্যে। আমি এখানে প্রগতি দেখতে পাচ্ছি, শক্তি অনুভব করতে পারছি। আমি নিশ্চিত এঁরা এই মহান দেশ এবং তার নাগরিকদের ভবিষ্যৎ গড়বে। আমি যখন ভুটানের অতীত ও  বর্তমান দেখি বা ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করি, তখন একটি জিনিষ সবসময় মনে পরে, তা হল আধ্যাত্মিকতা ও তারুণ্যের সংমিশ্রণ। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যা অন্যতম উপাদান।

বন্ধুরা,

 

এটা স্বাভাবিক যে ভুটান ও ভারতের জনগণ পরস্পরের প্রতি টান অনুভব করেন। এর কারণ শুধু ভৌগলিক অবস্থানই নয়, আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং আধ্যাত্ম সাধনাও দুটি দেশের নাগরিকদের নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে। ভারতভূমি ভাগ্যবান, কারণ এখানে যুবরাজ সিদ্ধার্থ এসে হয়েছিলেন গৌতম বুদ্ধ। সেখান থেকেই তাঁর আধ্যাত্মিক বাণী, বৌদ্ধধর্ম সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পরেছিল। যুগ যুগ ধরে সন্ন্যাসী, আধ্যাত্মিক গুরু, প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের উজ্জ্বল উপস্থিতি রয়েছে এই ভুটানে। তাঁরা ভারত ও ভুটানের নিবিড় সম্পর্ককে লালিত করেছেন।

আমাদের মূল্যবোধকে ভাগ করে নেওয়ায় তা আজ বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত। এটা আপনারা বারাণসী, বৌদ্ধগয়ায় যেমন পাবেন, আবার তা পাবেন জঙ্গ এবং চোর্তেনেও। এই ঐতিহ্যে বাস করে আমরা তাই অত্যন্ত ভাগ্যবান। পৃথিবীর অন্য কোথাও ২টি দেশের মধ্যে এত ভাল বোঝাপড়া নজরে আসবে না। অন্য কোথাও ২টি দেশের মধ্যে এভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ ভাগ করে সমৃদ্ধ হবার উদাহরণ পাওয়া যাবে না।

বন্ধুরা,

আজ ভারতে সবক্ষেত্রে ঐতিহাসিক পরিবর্তন হচ্ছে।

ভারতে আগের থেকেও দ্রুতহারে দারিদ্র দূর হচ্ছে। গত ৫ বছরে পরিকাঠামো নির্মাণের হার দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৫শো কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু হয়েছে আয়ুস্মান ভারত। এর আওতায় ৫০ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন।

বিশ্বে সবথেকে সস্তায় ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা পাওয়া যায় ভারতে। এর ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ লাভবান হয়েছেন। ভারতে পরিবেশের জন্য সর্ববৃহৎ নতুন উদ্যোগ- স্টার্ট আপ চালু হয়েছে। ভারত জুড়ে পরিবর্তনের এটাই আসল সময়। এরকম পরিবর্তনগুলিই  ভারতের যুব সম্প্রদায়ের চাহিদা ও স্বপ্ন ছিল।

বন্ধুরা,

আজ আমি রয়েছি ভুটানের সবথেকে উজ্জ্বল দৃপ্ত তরুণদের মধ্যে। মাননীয় ভুটান নরেশ আমাকে গতকাল জানিয়েছেন, আপনাদের সঙ্গে ওঁর নিয়মিত মতবিনিময় হয়। উনি শেষ সমাবর্তনে ভাষণও দিয়েছেন। আপনাদের মধ্যে থেকেই তো ভুটানের ভবিষ্যত নেতা, উদ্ভাবক, ব্যবসায়ী, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, বিজ্ঞানীরা আসবেন।

 

দিন কয়েক আগে আমার প্রিয় বন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ডঃ শেরিং ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন, যা আমার মনে নাড়া দিয়েছে। সেখানে উনি ‘এক্সাম ওয়ারিয়র’ এর বিষয়ে লিখেছিলেন। এই মাত্র একজন ছাত্রও ওই বইটির উল্লেখ করলেন। ‘এক্সাম ওয়ারিয়র’ বইটিতে আমি লিখেছি কিভাবে চিন্তামুক্ত ভাবে পরীক্ষায় বসতে হয়। স্কুল-কলেজে সবাইকে পরীক্ষা দিতে হয়। জীবনের শ্রেণিকক্ষেও এর মুখোমুখি হতে হয়। আজ আমি একটি বিষয় আপনাদের জানাতে চাই। ভগবান বুদ্ধের শিক্ষার অনুপ্রেরণায় আমি অনেক কিছুই ওই বইতে লিখেছি। বিশেষ করে সঠিক পথে চিন্তা ভাবনা, ভয়কে অতিক্রম করা এবং সংঘবদ্ধ হয়ে বাঁচার ক্ষেত্রে। যে কোন সময়, তা এখনো হতে পারে আবার প্রকৃতি মা এর কাছেও থাকার সময় তা প্রযোজ্য।

আপনারা এই মহান দেশে জন্মেছেন। তাই এই বৈশিষ্টগুলি আপনাদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই আসবে যার মাধ্যমে আপনাদের চরিত্র গঠন হবে। আমার যখন বয়স কম ছিল তখন এই সব বৈশিষ্টের খোঁজে আমি হিমালয়েও গিয়েছিলাম। আমি নিশ্চিত যে,এই পূণ্যভুমির সন্তান হিসেবে আপনারা আমাদের বিশ্বের নানা সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।

হ্যাঁ , আমাদের নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে তরুণ মন। তাই আমরা কোন বিপত্তির সম্মুখিন হই না।

আমি আপনাদের সবাইকে বলতে চাই যে তরুনদের জন্য এই সময়টাই সবথেকে ভাল। পৃথিবী এখন অনেক বেশি সুযোগ দিচ্ছে, যা আগে পাওয়া যেত না। আপনাদের অসাধারণ শক্তি ও ক্ষমতা রয়েছে, যার প্রভাব ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনাদের অন্তর্নিহিত ক্ষমতার পুরো ব্যবহার করুণ।

 

বন্ধুরা,

জলবিদ্যুৎ ও শক্তিক্ষেত্রে ভারত-ভুটানের সহযোগিতার সম্পর্ক আজ উদাহরণস্বরূপ। কিন্তু এই সম্পর্কের শক্তির মূল উৎস আমাদের জনগণ। তাই জনগণকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। আর এই সম্পর্কের মূলে জনগণই থাকবেন। আমার এই সফরের মাধ্যমে সেই নীতিই প্রতিফলিত হবে। আজ সহযোগিতার চিরাচরিত ক্ষেত্রগুলি থেকে বেড়িয়ে এসে আমরা নতুন নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয় শিক্ষা থেকে মহাকাশ, ডিজিট্যাল লেনদেন থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থা। আমাদের এই সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলিতে আপনাদের মতন তরুণরা সবথেকে লাভবান হবেন। আমি কয়েকটা উদাহরণ দিচ্ছি। আজকের দিনে শিক্ষাবিদ ও পন্ডিত ব্যক্তিদের মধ্যে সীমানা ছাড়িয়ে যোগাযোগ রাখতে হয়। তাই আমাদের ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীলতা ও মেধা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠদের সঙ্গে একই মানের হয়। আর এই কাজটি করবে ভারতের ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্ক ও ভুটানের ড্রুকরেন। যে কাজ শুরু হয়েছে গতকাল থেকেই।

এর ফলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, গ্রন্থাগার, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, এবং কৃষি প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে নিরাপদ ও দ্রুত যোগাযোগ সম্ভব হবে।

বন্ধুরা, মহাকাশ ক্ষেত্র হল আরেকটি উদাহরণ। এই মুহূর্তে ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্র মিশন ‘চন্দ্রযান-২’ চাঁদের দিকে এগিয়ে চলেছে। আমাদের ইচ্ছে ২০২২ সালের মধ্যে ভারতীয় মহাকাশযানে আমরা কোন ভারতীয়কে মহাকাশে পাঠাবো। এগুলিই হল ভারতের স্বাফল্য। আমাদের কাছেহাকাশ কর্মসূচী শুধুমাত্র একটি জাতীয় গর্বের বিষয় নয়, এটি জাতীয় উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও।

 

বন্ধুরা,

আমাদের মহাকাশ কর্মসূচীর সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেরিং এবং আমি দক্ষিণ এশিয়া কৃত্রিম উপগ্রহের জন্য থিম্পু গ্রাউন্ড স্টেশনের উদ্বোধন করেছি। কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলি মেডিসিন, দুর-শিক্ষা, সম্পদ চিন্হিতকরণ, আবহাওয়ার পূর্বাভাষ এমনকি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সতর্কীকরণ বার্তাও পৌছে দেওয়া যাবে। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে ভূটানের তরুণ বিজ্ঞানীরা ভারতে গিয়ে দেশের জন্য ছোট কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করে উতক্ষেপন করবেন। আমি আশা করব, আপনাদের মধ্যে অনেকেই খুব শীঘ্রই বিজ্ঞানী, ইঞ্জিনিয়ার, উদ্ভাবক হবেন।

বন্ধুরা,

যুগ যুগ ধরে ভারত ও ভুটানের যোগসুত্রের কারণ ছিল শিক্ষা ও বিদ্যাচর্চা। আমাদের জনগণের মধ্যে বৌদ্ধ শিক্ষক ও চিন্তাবিদরা যোগসুত্র রচনা করেছেন। এই মূল্যবান ঐতিহ্যকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। তাই বৌদ্ধশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনার জন্য আমরা ভুটান থেকে আরো ছাত্রছাত্রীদের স্বাগত জানাচ্ছি। ১৫০০ বছর আগের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে একই জায়গায় আবারো গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা চাই, ভুটান থেকে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে ছাত্রছাত্রী আসুন। প্রাচীন যুগের মতন বর্তমানেও শিক্ষা আমাদের যোগসুত্র। বিংশ শতকে অনেক ভারতীয় ভুটানে শিক্ষক হিসেবে গেছেন। ভুটানের বেশিরভাগ প্রবীণ নাগরিকই তাঁদের শিক্ষাগ্রহণের সময় অন্তত একজন ভারতীয় শিক্ষককে পেয়েছেন। মহামান্য ভুটান নরেশ গতবছর তাঁদের কয়েকজনকে সম্মানিতও করেছেন। আমরা তাঁর এই পদক্ষেপে কৃতজ্ঞ।

 

বন্ধুরা,

ভারতে সবসময়ই ভুটানের চারহাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করেন। এই সংখ্যা বাড়ানো উচিৎ। আমরা আমাদের দেশের উন্নয়নে কাজ করে চলেছি। তাই আমাদের পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির বিষয়ে অবগত থাকতে হবে। তাই এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের সহযোহিতা বজায় রাখতে হবে।

আমি আনন্দিত যে গতকাল ভারতের প্রথম সারির আইআইটি গুলির সঙ্গে এই বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা হয়েছে। এর ফলে আমরা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারব। আমাদের আশা এর মাধ্যমে জ্ঞানচর্চা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আরো সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে।                                

বন্ধুরা,

বিশ্বের যে কোন প্রান্তে যদি আমরা কাউকে জিজ্ঞেস করি , ভুটান বললেই আপনার মনে কি ভাবনা আসে, তার উত্তর পাওয়া যায় মোট জাতীয় সুখ। আমি এতে অবাক হই না। ভুটান সুখের মর্ম বোঝে। ভুটান সম্প্রীতি, একসঙ্গে চলা এবং দয়ামায়া  বোঝে। আর এর জন্যই গতকাল একদল মিষ্টি ছোট্ট বাচ্চা আমাকে রাস্তায় লাইন করে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানিয়েছিল। আমি ওদের হাসি চিরকাল মনে রাখব।

বন্ধুরা,

স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন, “ সব জাতিরই জানাবার বার্তা আছে, উদ্দেশ্য পূরণ ও লক্ষ্যে পৌছাবার কর্মসূচী রয়েছে।“ মানবসভ্যতার কাছে ভূটানের বার্তা হল সুখ। সুখী হবার মাধ্যমেই ঘৃণার মানসিকতা মনে ঠাই পায় না। মানুষ সুখী হলেই সম্প্রীতি বজায় থাকবে। সম্প্রীতি থাকলেই শান্তি থাকবে। আর এই শান্তির মাধ্যমেই সমাজে স্থিতিশীল উন্নয়ন সম্ভব। যখন উন্নয়নের সঙ্গে চিরাচরিত রীতিনীতির সংঘাত হয়, পরিবেশের সঙ্গে বিরোধ বাঁধে তখন পৃথিবীর ভুটানের থেকে শেখা উচিৎ। এখানে উন্নয়ন, পরিবেশ, সংস্কৃতির মধ্যে দ্বন্দ্ব নেই, মিলমিশ রয়েছে। আমাদের যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে এই সৃষ্টিশীলতা, শক্তি এবং প্রতিশ্রুতির কারণেই আমাদের রাষ্ট্র দুটি স্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে। যেখানে জল সংরক্ষন, স্থিতিশীল কৃষি ব্যবস্থা থাকবে, একবার ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাস্টিক বর্জন করা হবে।

 

বন্ধুরা ,

আমার আগের বার ভুটান সফরের সময় আমি গনতন্ত্রের মন্দিরে গিয়েছিলাম ভুটানের সংসদে। আজ আমার সৌভাগ্য হল শিক্ষার মন্দিরে আসার। আমরা আজ শ্রোতাদের মধ্যে পেয়েছি ভুটানের মাননীয় সংসদ সদস্যদের। তাঁদের উজ্জ্বল উপস্থিতির জন্য আমি বিশেষভাবে তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গণতন্ত্র ও শিক্ষা আমাদের মুক্ত চিন্তায় সাহায্য করে। একটি অন্যটির পরিপূরক। এই দুটিই আমাদের ভেতরের ক্ষমতার উন্মেষ ঘটায়। শিক্ষা আমাদের জানার ইচ্ছেকে জাগ্রত করে, আমাদের ছাত্রসত্ত্বাকে বাচিয়ে রাখে।

ভুটানের উন্নতির এই উদ্যমকে আপনাদের ১৩০কোটি ভারতীয় বন্ধুরা শুধু চুপচাপ দেখবে না, আপনাদের গর্ব ও আনন্দের সঙ্গে উতসাহও দেবে। তাঁরা আপনাদের অংশীদার, আপনাদের থেকে শিখবেও। আর এর সঙ্গে আমি আবারো রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অফ ভুটানের আচার্য, মাননীয় ভুটান নরেশ, উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সঙ্গে আপনাদের, মানে আমার তরুণ বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 

আপনারা আমাকে এই যে আমন্ত্রণ জানিয়ে এত সময় দিলেন, আপনাদের ভালোবাসায় আমি সম্মানিত বোধ করছি। আপনাদের সকলের থেকে অনেক আনন্দ ও শক্তি নিয়ে আমি ফিরে যাবো।

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

তাশি দেলেক ! 

 

 

 

CG/CB


(रिलीज़ आईडी: 1582279) आगंतुक पटल : 744
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English