ক্রেতা, খাদ্যএবংগণবন্টনমন্ত্রক
উপভোক্তা সুরক্ষা বিল, ২০১৯ লোকসভায় পাশ
Posted On:
31 JUL 2019 4:57PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৩০ জুলাই, ২০১৯
বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা ও যথাযথ বিবেচনার পর লোকসভায় মঙ্গলবার উপভোক্তা সুরক্ষা বিল, ২০১৯ পাশ হয়েছে। কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী শ্রী রামবিলাস পাসোয়ান বলেছেন, এই বিলে গ্রাহকদের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন বিবাদের কার্যকর ও সময়ানুগ নিষ্পত্তির জন্য একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের মাধ্যমে উপভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টিতে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। বিলটি সভায় পেশ করে বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী রাওসাহেব পাটিল দানভে বলেন, একাধিক নিয়মকানুনের সরলীকরণ করাই এই বিলের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় গ্রাহকদের অভিযোগগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি হয় না। তবে, এই বিল পাশ হওয়ায় গ্রাহকরা দ্রুত ন্যায়বিচার পাবেন। গ্রাহক অভাব-অভিযোগের সমগ্র নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও সরল করে তোলাই সরকারের উদ্দেশ্য।
এই বিলে একটি কেন্দ্রীয় উপভোক্তা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। উদ্দেশ্য, গ্রাহক অধিকারগুলির সুরক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট নিয়মনীতি কার্যকরভাবে বলবৎ করা। এমনকি, এই কর্তৃপক্ষকে অভাব-অভিযোগের তদন্ত, পণ্য বা পরিষেবা ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ, টাকা ফেরৎ এবং জরিমানা আরোপের মতো ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। গ্রাহক অধিকার লঙ্ঘন, বেআইনি বাণিজ্য অনুশীলন এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনগুলির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্বও কর্তৃপক্ষের এক্তিয়ারে থাকছে। পণ্য উৎপাদক সংস্থা বা স্বত্ত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে বিধি ভঙ্গের দায়ে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা তথা ভুয়ো বা বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের জন্য দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের ক্ষমতাও কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে।
এই বিলের উল্লেখযোগ্য কিছু বৈশিষ্ট্য :
কেন্দ্রীয় উপভোক্তা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ : এক শ্রেণীর গ্রাহকদের সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে এক কার্যনির্বাহী এজেন্সি। কর্তৃপক্ষকে প্রদেয় ক্ষমতাগুলির মধ্যে রয়েছে –
i. গ্রাহক অধিকার সুরক্ষা বিধি লঙ্ঘনে তদন্ত চালানো এবং অভিযোগ দাখিল বা মামলা দায়ের।
ii. অসুরক্ষিত পণ্য ও পরিষেবা ফিরিয়ে নেওয়ার আদেশ।
iii. বেআইনি বাণিজ্য অনুশীলন ও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনগুলি বর্জন করার নির্দেশ।
iv. উৎপাদক বা স্বত্ত্বাধিকারী অথবা বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের প্রকাশকদের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপ।
বিবাদ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার সরলীকরণ : আর্থিক-আইনি পরিধি বাড়ানো হয়েছে –
i. জেলা কমিশন – ১ কোটি টাকা পর্যন্ত
ii. রাজ্য কমিশন - ১ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত
iii. জাতীয় কমিশন – ১০ কোটি টাকার বেশি
উপভোক্তা কমিশনকে তাদের নির্দেশগুলি বলবৎ করার ক্ষমতা,
দ্বিতীয় পর্বের পর কেবল আইনি সওয়াল-জবাবের ক্ষেত্রে আবেদন করা যাবে,
উপভোক্তা সুরক্ষা কমিশনগুলির সঙ্গে আরও সহজে যোগাযোগ,
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার শুনানি।
মধ্যস্থতা :
· বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য বিকল্প ব্যবস্থা
· গ্রাহক ফোরামের মাধ্যমে মধ্যস্থতার সম্ভাবনা রয়েছে এমন বিবাদ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার আগাম সুযোগ খুঁজে বের করা এবং উভয় পক্ষকেই এ বিষয়ে সম্মত করা
· উপভোক্তা ফোরামগুলির সঙ্গে মধ্যস্থতা কেন্দ্রগুলিকে সামিল করা
· মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিবাদ নিষ্পত্তি হওয়ার পর আর আবেদন করা যাবে না
পণ্যসামগ্রীর দায় :
ত্রুটিপূর্ণ পণ্যসামগ্রী বা পরিষেবায় ঘাটতির দরুণ কোন পণ্য বা পরিষেবার ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দায়িত্ব উৎপাদক সংস্থা বা পণ্য পরিষেবাদাতা বা পণ্য বিক্রেতার।
পণ্য দায়বদ্ধতার বিষয়টি কার্যকর হবে :
· উৎপাদনগত ত্রুটি
· ডিজাইন বা নকশা প্রণয়নে ত্রুটি
· প্রকৃত উৎপাদন যদি ঘোষিত বিশেষত্বের থেকে পৃথক হয়
· যথাযথ ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী দিতে ব্যর্থ হলে
· প্রদেয় পরিষেবায় ত্রুটি বা যথাযথ না হওয়া অথবা পরিষেবায় ঘাটতি থাকলে
নতুন বিলে উপভোক্তাদের সুবিধা :
বর্তমানে ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের একটিমাত্র পথ খোলা রয়েছে। ফলে, গ্রাহকদের ন্যায়বিচার পাওয়া সময়সাপেক্ষ। এই বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখেই বিলে কেন্দ্রীয় উপভোক্তা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ গঠনের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে ন্যায়বিচার প্রদানের সংস্থান রাখা হয়েছে।
বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন এবং পণ্যের ভেজাল নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির কথাও উল্লেখ রয়েছে।
পণ্য বা পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে উৎপাদক সংস্থা বা পরিষেবা প্রদানকারীর তরফে কোন ঘাটতি থাকলে তার দায় সংশ্লিষ্ট উৎপাদক সংস্থা বা পরিষেবা প্রদানকারীকে নিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উপভোক্তা কমিশনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়ার সরলীকরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মধ্যস্থতার মাধ্যমে মামলার আগাম নিষ্পত্তির সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ রয়েছে এই বিলে।
CG/BD/DM
(Release ID: 1580873)
Visitor Counter : 3395