স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

লোকসভায় পাশ হল বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী (সংশোধনী) বিল, ২০১৯

Posted On: 25 JUL 2019 4:15PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৪ জুলাই, ২০১৯

 

 

লোকসভায় পাশ হল বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধী (সংশোধনী) বিল, ২০১৯। বিলটি নিয়ে বিতর্কের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেন, তিনি এই বিল নিয়ে সকলের সংশয় দূর করার চেষ্টা করবেন এবং তাঁর আশা লোকসভায় সর্বসম্মতভাবে বিলটি পাশ হবে। দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে হবে। এর জন্য একটি কড়া আইন অত্যন্ত জরুরি যাতে তদন্তকারী সংস্থাগুলি শক্তিশালী হয়। এই বিষয়টি সকলকে বুঝতে হবে।

 

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের অনমনীয় মনোভাবের পুনরুক্তি করে করে শ্রী শাহ বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলির লক্ষ্য দ্রুত তদন্ত করা এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ঘটনায় দ্রুত শাস্তি দেওয়া যায় ও আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি মেনে কোন এক ব্যক্তিকে জঙ্গি বলে চিহ্নিত করা যায়।

 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এদিন সকলকে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার ঊর্ধ্বে উঠে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই আইনকে সমর্থনের আহ্বান জানান।

 

মন্ত্রী বলেন, মূল আইনটি তৈরি হয়েছিল ১৯৬৭ সালে। এরপর অনেকবারই সংশোধিত হয়েছে এই আইনটি। তখন এই সরকার ক্ষমতায় ছিল না। শ্রী শাহ বলেন, কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এর অপব্যবহার হবে না। কিন্তু শহুরে মাওবাদী সহ দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাবে, তারা ছাড় পাবে না।

 

কোন ব্যক্তির মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে না জানিয়ে শ্রী শাহ বলেন, তদন্তকারী সংস্থার ওপরই প্রমাণ করার দায় বর্তাবে, অভিযুক্তের ওপর নয়।

 

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) ডিজিকে ক্ষমতা দেওয়া সংক্রান্ত প্রস্তাবিত সংশোধনীর পক্ষে বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে এনআইএ-কে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ডিজিপি-র কাছে সন্ত্রাসবাদী মামলায় তদন্ত শুরু করার অনুমতি চাইতে হয়। তাতে দেরি হয়। কিন্তু এই সংশোধনীর ফলে এনআইএ-র ডিজি অভিযুক্তের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন।

 

লোকসভায় শ্রী অমিত শাহ আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদের উৎস মানুষের মনস্তত্ত্ব। কোন সংস্থার নয়। সেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি যদি নিজের সন্ত্রাসবাদী ভাবধারায় অপরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে অথবা তাকে অর্থ সাহায্য করে, তবে তাকে তা থেকে বিরত রাখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে জঙ্গি তৎপরতার অঙ্কুরেই বিনাশ সম্ভব।

 

এর আগে লোকসভায় বিলটি পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেছিলেন যে গত পাঁচ বছরে সরকার দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদকে উৎখাত করতে লাগাতার চেষ্টা চালিয়েছে। পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোশকতায় যে সন্ত্রাসবাদ বিশেষ করে, জম্মু-কাশ্মীরে, তা মোকাবিলা করা হয়েছে কড়া হাতে। এছাড়াও, দেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে অনেকটা।

 

এযাবৎ বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) বা এ ধরনের অন্য আইনে কোন ব্যক্তিকে জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করার সংস্থান ছিল না। ফলে, কোন জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করলে তার সদস্যরা নতুন সংগঠন গড়ে তোলে। মন্ত্রী বলেন, একজন দোষী ব্যক্তিকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করা জরুরি। রাষ্ট্রসঙ্ঘ এবং অন্য অনেক দেশেই সেই ব্যবস্থা আছে।

 

ইউএপিএ-র ৪৩ নং ধারা অনুযায়ী, ডিএসপি বা সমমর্যাদা সম্পন্ন পদের আধিকারিই একমাত্র সন্ত্রাসবাদী ঘটনার তদন্ত করার যোগ্য। জাতীয় তদন্ত সংস্থায় ডিএসপি-র সংখ্যা কম। কিন্তু মামলার সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে এনআইএ-তে ৫৭টি পদের জায়গায় ২৯ জন ডিএসপি আছেন এবং ১০৬টি ইন্সপেক্টরের স্থানে ৯০ জন ইন্সপেক্টর আছেন।

 

এনআইএ-র ইন্সপেক্টরদের এই ধরনের তদন্ত করার দক্ষতা আছে এবং বরিষ্ঠ আধিকারিকদের প্রয়োজন এই তদন্তের দেখভাল করা। তাই শ্রী রেড্ডি জানান, যে সংশোধনী আনা হয়েছে তাতে এনআইএ-র ইন্সপেক্টরদের এই তদন্ত করার ক্ষমতা থাকবে। মন্ত্রী এই বলে সভাকে আশ্বস্ত করেন যে এনআইএ-র বরিষ্ঠ আধিকারিকরাই আইন মেনে দ্রুত তদন্তের স্বার্থে মামলাগুলির দেখভাল করবে।

 

এছাড়া, এই সংশোধনের মাধ্যমে দ্বিতীয় সারণীতে ২০০৫-এর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর সাপ্রেশন অফ অ্যাক্টস অফ নিউক্লিয়ার টেরোরিজম-কেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

 

 

CG/AP/DM



(Release ID: 1580271) Visitor Counter : 92


Read this release in: English