স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

লোকসভায় মানবাধিকার রক্ষা (সংশোধন) বিল, ২০১৯ পাশ হয়েছে

Posted On: 19 JUL 2019 9:02PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৯ জুলাই, ২০১৯

 

 

লোকসভায় আজ মানবাধিকার রক্ষা (সংশোধন) বিল, ২০১৯ পাশ হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি)-কে আরও সুসংহত এবং দক্ষ করে তোলার উদ্দেশ্যে সরকারের উদ্যোগকে সব সাংসদদের একযোগে সমর্থন করা উচিৎ। লোকসভায় আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রাই মানবাধিকার রক্ষা (সংশোধন) বিল, ২০১৯ বিবেচনা এবং পাশ করানোর সময় এ কথা বলেন।

 

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন (এসএইচআরসি) এবং মানবাধিকার রক্ষায় আদালত গঠনের উদ্দেশ্যে ১৯৯৩ সালে মানবাধিকার রক্ষা আইন পাশ হয়েছিল। আন্তর্জাতিক স্তরে নতুন কিছু সমস্যার সমাধানের জন্য এনএইচআরসি এই আইনে কিছু সংশোধনের প্রস্তাব করেছিল। এছাড়া, বিভিন্ন রাজ্য সরকার এই আইন প্রয়োগ করার সময় বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়। এর মধ্যে অন্যতম এসএইচআরসি-তে চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হওয়া। এই সমস্যা সমাধানের জন্য ঐ আইনে কিছু সংশোধনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। মানবাধিকার কমিশনের স্বায়ত্তশাসন, স্বাধীনভাবে কাজ করা, বহুত্ববাদ বজায় রাখার মতো বিষয়ে প্যারিস নীতি মেনে চলার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য স্তরের কমিশনগুলির এই সংশোধনীর ফলে সুবিধা হবে।

 

এই বিলে কমিশনের চেয়ারপার্সন হওয়ার জন্য এখন থেকে ভারতের প্রধান বিচারপতিরা ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের যে কোন বিচারপতি যোগ্য হবেন। কমিশনের সদস্য সংখ্যা দুই থেকে বাড়িয়ে তিন করা হবে যার মধ্যে একজন মহিলা সদস্য থাকবেন। অনগ্রসর শ্রেণী, শিশুদের অধিকার রক্ষা এবং ভিন্নভাবে সক্ষমদের জন্য যে জাতীয় কমিশনগুলি রয়েছে তার চেয়ারম্যানরাও এই কমিশনের সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। রাজ্য স্তরের কমিশনগুলির চেয়ারপার্সন এবং সদস্যদের মেয়াদ পাঁচ বছরের থেকে কমিয়ে তিন বছর করা হয়েছে এবং এঁদের পুনর্নিয়োগেরও সংস্থান থাকছে। রাজ্য স্তরের কমিশনগুলি চেয়ারপার্সন হওয়ার জন্য এখন থেকে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছাড়াও যে কোন বিচারপতি যোগ্য হবেন। দিল্লি ছাড়া, অন্যান্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় এনএইচআরসি বিবেচনা করবে।

 

 

CG/CB/DM


(Release ID: 1579627)
Read this release in: English