অর্থমন্ত্রক

বাজেট ভাষণের সারাংশ

Posted On: 06 JUL 2019 7:00PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৫ জুলাই, ২০১৯

 

 

ভারতের অর্থনীতি ৩ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থনীতি হতে চলেছে। ক্রয়ক্ষমতার নিরিখে যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন সংসদে যে বাজেট পেশ করেন, সেই বাজেটের কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় হল – আগামী পাঁচ বছরে পরিকাঠামো খাতে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। বিলগ্নিকরণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তা ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে ৭০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে। গত পাঁচ বছরে খাদ্য সুরক্ষা খাতে অর্থ বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। আফ্রিকায় ১৮টি ভারতীয় কূটনৈতিক মিশন খোলা হবে। দেশে ১৭টি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্রে উন্নীত করা হবে। উপজাতিদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা, লোকগীতি, ছবি এবং ভিডিও-র মাধ্যমে সেগুলির প্রচার ও প্রসারের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ১, ২, ৫, ১০ ও ২০ টাকার নতুন কয়েন বাজারে ছাড়া হবে।

 

তাঁর প্রথম বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, জল জীবন মিশনের আওতায় ২০২৪ সালের মধ্যে গ্রামে সবার বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া হবে। সরকার, দেশের ২৫৬টি জেলায় ১,৫৯২টি ব্লককে জল শক্তি অভিযানের জন্য চিহ্নিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ)-এর আওতায় ২০২২ সালের মধ্যে সকলের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। পিএমজিএসওয়াই-৩ যোজনার আওতায় ৫ বছরে গ্রামে ১,২৫,০০০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে। সব আবহাওয়ায় যোগাযোগ অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য ৯৭ শতাংশ বসতি এলাকায় এই খাতে ৮০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বাঁশ, মধু, খাদি ক্লাস্টারে এসএফইউআরটিআই প্রকল্পের আওতায় কমন ফেসিলিটি সেন্টার গড়া হবে। এই অর্থবর্ষে ৮০টি প্রাণীপালন ব্যবস্থা সহায়ক কেন্দ্র এবং ২০টি প্রযুক্তি ব্যবস্থা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। গ্রামীণ কৃষিজ শিল্পের জন্য ৭৫ হাজার দক্ষ শিল্পোদ্যোগী তৈরি করা হবে।

 

শ্রীমতী সীতারমন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে প্রথম এনডিএ সরকার ছিল প্রতিশ্রুতি পূরণের উদাহরণ। ২০১৪-১৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ককে সক্রিয়, সহযোগিতামূলক ফেডারেল পরিকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করেছে। জিএসটি পর্ষদ গঠন ও আর্থিক শৃঙ্খলার জন্য কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। নীতি আয়োগের তত্ত্বাবধানে নতুন ভারত গঠনের লক্ষ্যে সংস্কার-কর্মসম্পাদন-রূপান্তর – এই নীতিতে নানা পরিকল্পনা রূপায়ণের কাজ চলছে।

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে যেসব কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে সেগুলি শেষ করার লক্ষ্যে আগামীতে আরও গতি আনা হবে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার সরলীকরণ, কর্মসম্পাদনে উৎসাহদান, লাল ফিতের ফাঁস কমানো এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।

 

অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমান বছরে দেশের অর্থনীতি ৩ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুল অর্থনীতিতে পৌঁছবে। যা আগামী পাঁচ বছরে ভারতের অর্থনীতিকে ৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের সমতুলে নিয়ে যাওয়ার প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণ করবে। ২০১৪ সালে বিশ্বে ভারতের অর্থনীতির স্থান ছিল একাদশ। যা এখন ষষ্ঠ বৃহৎ অর্থনীতিতে পৌঁছেছে। ক্রয়ক্ষমতার নিরিখে ভারতীয় অর্থনীতি তৃতীয় স্থানে -  চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই। তিনি বলেন, অপ্রত্যক্ষ কর, দেউলিয়া ব্যবস্থা, রিয়েল এস্টেটের মতো ক্ষেত্র সহ বিভিন্ন বিষয়ে বৃহৎ সংস্কার গত পাঁচ বছরে বাস্তবায়িত হয়েছে। এই ধরনের সংস্কারের কাজ অব্যাহত থাকবে। মুদ্রা ঋণের মাধ্যমে সহজে ব্যবসা করার সুযোগ, ধোঁয়াহীন রান্নাঘর, বিদ্যুৎ সংযোগ, বাড়িতে শৌচাগারের মাধ্যমে মহিলাদের সম্ভ্রম রক্ষা – এই সব বিষয় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এনেছে।  

 

নীতি পঙ্গুত্ব এবং কোটা-ভিত্তিক লাইসেন্স ব্যবস্থার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করার দিন শেষ হয়েছে। শ্রীমতী সীতারমন জানান, ভারতীয় শিল্পপতিরা এখন দেশে কর্মসংস্থান ও সম্পদ সৃষ্টি করছেন। একসঙ্গে পারস্পরিক বিশ্বাস বজায় রাখলে আমরা যেমন লাভবান হব, সেরকমই স্থিতিশীল জাতীয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্রুত পৌঁছতে পারব।

 

অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হল যোগাযোগ ব্যবস্থা। শ্রীমতী সীতারমন বলেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, শিল্প করিডর, পণ্য পরিবহণের জন্য ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর, ভারতমালা, সাগরমালা প্রকল্প, জল মার্গ বিকাশ ও উড়ান প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। শিল্পাঞ্চল সংলগ্ন এলাকাগুলিতে শিল্প করিডরের মাধ্যমে পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের মাধ্যমে রেল চলাচল জটমুক্ত হবে, যার ফলে, সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে। ভারতমালা প্রকল্পে জাতীয় পর্যায়ে সড়ক পরিবহণে এবং মহাসড়ক উন্নয়নে সুবিধা হবে। সাগরমালা প্রকল্পে বন্দরগুলির মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি, আধুনিকীকরণ এবং বন্দর সংক্রান্ত শিল্পায়ন সম্ভব হবে। জল পরিবহণ হল সস্তা। জল মার্গ বিকাশ প্রকল্পের আওতায় জাতীয় জলপথে নৌ-পরিবহণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এর ফলে, অভ্যন্তরীণ জল পরিবহণের মাধ্যমে দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা হবে।

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ উড়ান পরিবহণের বাজার বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। এখন সময় এসেছে এই ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগ করার। উড়ান শিল্পে ভারতীয় কারিগরি সুবিধার কথা বিবেচনা করে এ দেশেই আকাশযানের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করার জন্য নতুন প্রস্তাব করা হচ্ছে।

 

বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে সরকার দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘ফেম’ প্রকল্প ২০১৯-এ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্মতিক্রমে ৩ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার সংস্থান রেখেছে।

 

রেল পরিকাঠামোর জন্য ২০১৮-৩০ সালের মধ্যে ৫০ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রয়োজন। বর্তমানে প্রতি বছরে রেল ১.৫ লক্ষ কোটি থেকে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করতে পারে। ফলে, সমস্ত প্রকল্পগুলি শেষ হতে বছরের পর বছর সময় লেগে যাবে। তাই, নতুন রেললাইন বসানোর কাজ দ্রুততর করা, রেলের কামরা নির্মাণ এবং যাত্রী ও পণ্য পরিষেবায় গতি আনতে কেন্দ্রীয় বাজেটে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের প্রস্তাব করা হয়েছে। সব রাজ্যে আয়ত্তের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা পেতে সরকার ‘এক দেশ, এক গ্রিড’ মডেল চালু করবে। এই লক্ষ্যে গ্যাস গ্রিড, জল গ্রিড, আই-ওয়েজ উন্নয়নের প্রস্তাব এই বাজেটে রয়েছে।

 

জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, যাঁদের বার্ষিক লেনদেন ১.৫ কোটি টাকার কম, এরকম ৩ কোটি খুচরো ব্যবসায়ী ও ছোট দোকানদারদের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী লঘু ব্যাপারী মানধন যোজনা’র আওতায় পেনশনের ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য শুধু আধার এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন।

 

কম খরচে মূলধনের সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে বিনিয়োগ-নির্ভর বিকাশের উদ্দেশ্যে এবারের বাজেটে বেশ কিছু প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, এ বছর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে বিজ্ঞপ্তি জারির পর ক্রেডিট গ্যারান্টি এনহ্যান্সমেন্ট কর্পোরেশন গঠন করা। দীর্ঘমেয়াদি বাজারে বন্ড ছাড়া হবে। আইডিএফ-এনবিএফসি-কে ঋণ সংক্রান্ত সিকিউরিটির এফআইআই / এফপিআই-এর বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

 

ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ২০১৮-১৯-এর ৬ কোটি ৪৩ লক্ষ মার্কিন ডলারের সমতুল যা বিগত বছরের থেকে ৬ শতাংশ বেশি। বিমান চলাচল, মাধ্যম জগৎ এবং বিমা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী ভারতীয়দের বিদেশ থেকে অর্থ পাঠানোর নিরিখে ভারত বিশ্বে প্রথম। কিন্তু প্রবাসী ভারতীয়দের ভারতের বাজারে মূলধন বিনিয়োগ অপেক্ষাকৃত কম। এই কারণে এবারের বাজেটে বিদেশি বিনিয়োগের দপ্তরের সঙ্গে প্রবাসী ভারতীয়দের বিনিয়োগের প্রকল্পটিকে সংযুক্তিকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে দুটি প্রকল্প - উজ্জ্বলা যোজনা এবং সৌভাগ্য যোজনার আওতায় গ্রামে মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হয়েছে। ৭ কোটি নতুন রান্নার গ্যাসের সংযোগ এই যোজনার আওতায় হয়েছে। প্রায় সকলের ঘরেই বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ২০২২ সালে গ্রামে যাঁরা বিদ্যুৎ ও পরিচ্ছন্ন রান্নার গ্যাসের সংযোগ চাইবেন, তাঁরা যেন তার সুফল পান তা নিশ্চিত করা হবে।

 

গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ), পিএমএওয়াইজি-র আওতায় গ্রামে ১ কোটি ৫৪ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০১৯-২২ সালের মধ্যে যোগ্য সুবিধাভোগীদের জন্য আরও ১ কোটি ৯৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার ফলে গ্রামীণ এলাকার আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নানা সুবিধা হয়েছে। এই প্রকল্প ২০২২-এর পরিবর্তে চলতি বছরেই শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। গত এক হাজার দিনে দৈনিক ১৩০ থেকে ১৩৫ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। পিএমএওয়াইজি-৩-এর আওতায় আগামী পাঁচ বছরে ১,২৫,০০০ কিলোমিটার রাস্তার মানোন্নয়নে ৮০,২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার আওতায় মৎস্যচাষের ক্ষেত্রে সুবিধার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে – পরিকাঠামো গঠন, আধুনিকীকরণ, মৎস্যচাষ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা এবং গুণমান বজায় রাখা।

 

প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ ডিজিটাল সাক্ষরতা অভিযানের আওতায় গ্রামের ২ কোটি মানুষকে ডিজিটাল ব্যবস্থায় স্বাক্ষর করে তোলা হবে। গ্রাম এবং শহরের মধ্যে বিভাজন দূর করতে প্রতিটি পঞ্চায়েতে ভারত-নেট প্রকল্পের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। এর জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের সাহায্য নেওয়া হবে।

 

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর)-এর আওতায় ৪১ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য ৪ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪৭ লক্ষ বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। ২৬ লক্ষ বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। ২৪ লক্ষ বাড়িতে সুবিধাভোগীরা বসবাস করতে শুরু করেছেন। এই বাড়িগুলি নির্মাণের জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ১৩ লক্ষ বাড়ি ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।

 

মহাত্মা গান্ধীর জন্মের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে তাঁর ভাবনাগুলিকে শ্রদ্ধা জানানোর আবারও সুযোগ এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী দোসরা অক্টোবরের মধ্যে স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় দেশে উন্মুক্ত স্থানে শৌচকর্ম বর্জনের সঙ্কল্প নিয়েছেন।

 

ভারতের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক স্তরে সর্বশ্রেষ্ঠ মানে পৌঁছে নিয়ে যেতে সরকার জাতীয় শিক্ষা নীতির পরিকল্পনা করেছে। এই নীতিতে বিদ্যালয় স্তরে এবং উচ্চশিক্ষা স্তরে কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশে গবেষণার জন্য ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ) গঠন করা হবে। এর মাধ্যমে গবেষণা ক্ষেত্রে অর্থ সাহায্য এবং সমন্বয়ের ব্যবস্থা করা হবে। পাঁচ বছর আগে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রথম ২০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারতের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। বর্তমানে দুটি আইআইটি এবং আইআইএসসি ব্যাঙ্গালোর এখানে জায়গা করে নিয়েছে।

 

প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার আওতায় শিল্পকেন্দ্রিক দক্ষতা প্রশিক্ষণের জন্য ১ কোটি যুবক-যুবতীকে সুযোগ দেওয়া হবে। এর ফলে, দেশে দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরি হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃত্রিম মেধা, ইন্টারনেট, বিগ ডেটা, ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ, ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি এবং রোবোটিক্স-এর মতো নতুন যুগের প্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

 

শ্রীমতী সীতারমন বলেন, কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিল এবং কর্মচারী অবসর ভাতা প্রকল্পে সরকারের দেয় অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালে এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৮৮ লক্ষ। চলতি বছরের ৩১শে মার্চ এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সংখ্যা ১,১৮,০৫,০০০-তে পৌঁছেছে। সরকার বিভিন্ন শ্রম আইনের পরিবর্তে চারটি শ্রম বিধি তৈরি করেছে।

 

মুদ্রা, স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে মহিলাদের শিল্পোদ্যোগে উৎসাহ দেওয়ার জন্য সরকার নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করেছেন, চিহ্নিত মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একজন সদস্যকে জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের আওতায় ৫ হাজার টাকা ওভারড্রাফ্‌ট-এর সুযোগ দেওয়া হবে। মুদ্রা যোজনার আওতায় মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর একজন সদস্যকে ১ লক্ষ টাকার ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

 

অর্থমন্ত্রী সরকারের যে ১০ দফা পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছেন সেগুলি হল :

 

·        পরিকাঠামো নির্মাণ;

·        অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সুবিধা পৌঁছে দেওয়া;

·        সবুজ বসুন্ধরা এবং নীলাকাশ সুনিশ্চিত করতে দূষণমুক্ত ভারতবর্ষ;

·        অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পোদ্যোগ, স্টার্ট-আপ, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণ, গাড়ি শিল্প, বৈদ্যুতিন শিল্প, বস্ত্র শিল্প, ব্যাটারি এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জামে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি;

·        জল, জল ব্যবস্থাপনা এবং নদী সংস্কার;

·        নীল অর্থনীতি;

·        মহাকাশ কর্মসূচি, গগণযান, চন্দ্রযান এবং কৃত্রিম উপগ্রহ কর্মসূচি;

·        খাদ্যশস্য, ডাল, তৈলবীজ, ফলমূল এবং শাকসব্জির ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা এবং বিদেশে রপ্তানি;

·        আয়ুষ্মান ভারত, মহিলা ও শিশুদের যথাযথ পুষ্টি, নাগরিকদের নিরাপত্তা সহ স্বাস্থ্যকর সমাজ;

·        জন-ভাগিদারী, ন্যূনতম সরকারি হস্তক্ষেপ, সর্বোচ্চ সুপ্রশাসন সহ টিম ইন্ডিয়া।

 

 

CG/CB/DM


(Release ID: 1577650) Visitor Counter : 649


Read this release in: English