অর্থমন্ত্রক
জিএসটি দাখিলের প্রক্রিয়ার সরলীকরণ
Posted On:
06 JUL 2019 6:58PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৫ জুলাই, ২০১৯
পণ্য ও পরিষেবা কর দাখিল প্রক্রিয়া আরও সরল করা হয়েছে। পেট্রোল ও ডিজেলের ওপর বিশেষ অতিরিক্ত আন্তঃশুল্ক এবং সড়ক ও পরিকাঠামো সেস এক টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। সোনা ও মূল্যবান ধাতুর সীমাশুল্ক ১২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তামাকজাত দ্রব্য ও অপরিশোধিত তেলের ওপর ন্যূনতম আন্তঃশুল্ক ধার্য করা হয়েছে। ২০১৯-২০ কেন্দ্রীয় বাজেটে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবগুলি রাখা হয়েছে। কয়েকটি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে সীমাশুল্কের ছাড় দেওয়া হবে। কাঁচামাল ও মূলধনী দ্রব্যের সীমাশুল্ক কম করা এবং কাঁচা ও আংশিক প্রক্রিয়াজাত চামড়ার দ্রব্যের রপ্তানি শুল্ক যথাযথ হারে ধার্য করার বিষয়গুলিও উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ সংসদে বাজেট পেশ করে কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন পণ্য ও পরিষেবা কর দাখিলের প্রক্রিয়ার সরলীকরণ ছাড়াও দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহকারীদের জন্য কর ছাড়ের সীমা ২০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হবে বলে জানান। বার্ষিক ৫ কোটি টাকার কম লেনদেন থাকলে করদাতাদের ত্রৈমাসিক রিটার্ন দাখিল করতে হবে। রিটার্ন তৈরির সফ্টওয়্যার বিনামূল্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বাজেটে বৈদ্যুতিন ইনভয়েস ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, অপ্রত্যক্ষ কর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। এটি একটি বড় মাপের সংস্কার বলে মন্ত্রী জানান। জিএসটি পর্ষদকে অভিনন্দন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, জিএসটি রূপায়ণের প্রারম্ভিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধান করতে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্য সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। মন্ত্রী বলেন, জিএসটি-র হার লক্ষ্যণীয় মাত্রায় কমানো হয়েছে যার ফলে বার্ষিক ৯২ হাজার কোটি টাকা কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বাজেটে ‘সবকা বিশ্বাস মামলা নিষ্পত্তি প্রকল্প, ২০১৯’ চালু করা হয়েছে যাতে ৩.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার কর সংক্রান্ত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হয়।
সীমাশুল্কের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার উদ্দেশ্যগুলি পূরণের লক্ষ্যে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র প্রসার, আমদানির ওপর নির্ভরতা কমানো, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগকে রক্ষা করা, পরিশ্রুত শক্তির প্রসার, অত্যাবশ্যক নয় যে পণ্যসামগ্রী সেগুলির আমদানি বন্ধ করা। প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণের স্বার্থে কয়েকটি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানির ওপর সীমাশুল্ক ছাড়ের প্রস্তাব রয়েছে।
দেশের উৎপাদন শিল্পের প্রসারের স্বার্থে কিছু সামগ্রীর সীমাশুল্ক বাড়ানো হয়েছে। পিডিসি, কাজু বাদাম, ভিনাইল ফ্লোরিং, টাইল্স, মেটাল ফিটিংস, আসবাবপত্রের ফিটিং, যানবাহনের যন্ত্রাংশ, সিন্থেটিক রাবার, মার্বেল, অপটিক্যাল ফাইবার, সিসিটিভি ক্যামেরা, আইপি ক্যামেরা, ডিজিটাল ও নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার এই তালিকায় পড়ে। দেশে প্রস্তুত কিছু বৈদ্যুতিন সামগ্রীর সীমাশুল্কের ওপর ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমদানিকৃত বইয়ের ওপর ৫ শতাংশ সীমাশুল্ক ধার্য হবে।
দেশীয় উৎপাদন শিল্পের স্বার্থে কিছু কাঁচামাল ও মূলধনী সামগ্রীর সীমাশুল্ক কমানোর প্রস্তাব রয়েছে। এই তালিকায় আছে সিআরজিও,সিসি, প্রোপিলিন অক্সাইড, ন্যাপথা ইত্যাদি। বৈদ্যুতিন যানের কিছু যন্ত্রাংশের ওপর শুল্ক ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী।
CG/SC/DM
(Release ID: 1577649)