অর্থমন্ত্রক

এক ঝলকে ২০১৮ – ১৯ – এ অর্থনীতির অবস্থা

Posted On: 04 JUL 2019 9:35PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৪ জুলাই, ২০১৯

 

 

বিনিয়োগ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বৃদ্ধি এবং ক্রয় ক্ষমতায় অগ্রগতির প্রেক্ষিতে ২০১৯-২০’তে জিডিপি-র প্রকৃত বিকাশ হার ৭ শতাংশে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হয়েছে। অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০১৮-১৯ – এর অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করে একথা জানিয়েছেন। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে যে, সরকারের সমর্থনে বিপুল রাজনৈতিক সমর্থন স্পষ্টভাবে এই বার্তাই দেয় যে, দেশে উচ্চ হারে আর্থিক বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক আউটলুক বা সারা বিশ্বের আর্থিক পূর্বাভাস সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০১৯ - এ ভারতের জিডিপি-র বিকাশ হার গিয়ে দাঁড়াবে ৭.৩ শতাংশে। ২০১৮ – ১৯ – এ ভারত ছিল বিশ্বের দ্রুততম বিকাশশীল অর্থনীতিগুলির একটি। ২০১৭ – ১৮’তে জিডিপি-র বিকাশ হার ছিল ৭.২ শতাংশ। ২০১৮ – ১৯ – এ এই বিকাশ হার দাঁড়িয়েছে ৬.৮ শতাংশে। এ সত্ত্বেও ভারতের দ্রুততম বিকাশশীল অর্থনীতিধর দেশের তকমা বজায় রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাভাব সহ মার্কিন-চিন বাণিজ্য উত্তেজনা, চিনে কঠোর ঋণ নীতি, আর্থিক রক্ষণশীলতা প্রভৃতি কারণ সত্ত্বেও ভারতের জিডিপি’তে অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় থেকেছে।

 

সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, বিগত পাঁচ বছরে (২০১৪-১৫ থেকে এখনও পর্যন্ত) ভারতের জিডিপি-র প্রকৃত বিকাশ হার ছিল গড় ৭.৫ শতাংশ। যদিও ২০১৮-১৯ – এ ভারতীয় অর্থনীতির বিকাশ ৬.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কৃষি ও সহযোগী ক্ষেত্রে নিম্ন হারে অগ্রগতি, বাণিজ্য, হোটেল, পরিবহণ, মজুত ভান্ডার ব্যবস্থা, যোগাযোগ তথা পরিষেবা ক্ষেত্রে নিম্নগামীতার দরুণ জিডিপি-র বিকাশ হার ২০১৮ – ১৯ – এ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ওঠানামার দরুণ কৃষকদের উপার্জনে প্রভাব পড়েছে এবং এর ফলে তাঁদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।

 

 

সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, চলতি খাতে ঘাটতি ২০১৭’তে জিডিপি-র ১.৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৮-র এপ্রিল – ডিসেম্বর সময়ে ২.৬ শতাংশে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি খাতে ঘাটতির মূল কারণ। ২০১৭-১৮’তে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ১৬২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২০১৮ – ১৯ – এ ১৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। পরিষেবা রপ্তানি ও আমদানি খাতে বিকাশ হার ২০১৮-১৯ – এ ৫.৫ শতাংশ এবং ২০১৭-১৮’তে ৬.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ডলারের তুলনায় টাকার বিনিময়মূল্য ৭.৮ শতাংশ কমেছে। স্বাভাবিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডার ২০১৯ – এর মার্চ অন্তক সময়ে ২০১৮’র ঐ একই সময়ের তুলনায় কমেছে ১১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় তহবিল জুন পর্যন্ত সময়ে সন্তোষজনকভাবে ৪২২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

 

২০১৮ – ১৯ – এ মোট প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ১৪.২ শতাংশ বেড়েছে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে পরিষেবা, মোটরগাড়ি ও রসায়ন ক্ষেত্রে। ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্র দ্বিমুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। কর্পোরেট ও ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স শিট – এ সমস্যার পাশাপাশি, অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ চ্যালেঞ্জ আরও বাড়িয়েছে। অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ঋণ সহায়তায় ২০১৬ – ১৭’তে নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তবে, ২০১৮ থেকে এই প্রবণতা কিছুটা ঊর্ধ্বগামী। কৃষি ও সহযোগী ক্ষেত্রে ২০১৮ – ১৯ – এ প্রকৃত বিকাশ হার ২.৯ শতাংশ কমেছে। ২০১৮ – ১৯ – এ খাদ্যশস্য উৎপাদনে তৃতীয় আগাম হিসাব করা হয়েছে ২৮ কোটি ৩৪ লক্ষ টন। উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে অগ্রগতির দরুণ ২০১৮ – ১৯ – এ শিল্প বিকাশ হার ত্বরান্বিত হয়েছে। রিয়েল এস্টেট ও প্রফেশনাল সার্ভিসেস ক্ষেত্রে ২০১৮ – ১৯ – এ বিকাশ হার ছিল ৭.৪ শতাংশ ছিল বলে সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে।

 

 

CG/BD/SB


(Release ID: 1577326)
Read this release in: English