অর্থমন্ত্রক

জমি থেকে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পরিবর্তে সেচ-নির্ভর উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর জাতীয় স্তরে গুরুত্ব দিতে হবে; ক্ষুদ্র কৃষি সেচ ব্যবস্থায় বিশেষ নজর

Posted On: 04 JUL 2019 9:30PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৪ জুলাই, ২০১৯

 

 

অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে ২০১৮-১৯ – এর অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করেছেন। এবারের সমীক্ষায় জাতীয় স্তরে জমি থেকে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পরিবর্তে সেচ-নির্ভর উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জলের সুদক্ষ ব্যবহার বাড়াতে কৃষক সমাজকে উৎসাহিত করতে উপযুক্ত নীতি-কৌশল গ্রহণে জাতীয় স্তরের অগ্রাধিকারের কথা সমীক্ষায় উল্লেখ রয়েছে। আরও বলা হয়েছে যে, জলের সুদক্ষ ব্যবহার আরও বাড়াতে ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থার ওপর অধিকতর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। জলের সুদক্ষ ব্যবহার ও জলসম্পদের উন্নয়ন সম্পর্কিত সমগ্র এশিয়া জুড়ে ২০১৬-র যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে ভারতে ভূগর্ভ থেকে তোলা প্রায় ৮৯ শতাংশ জল সেচের কাজে লাগানো হয়। এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ভারতে এই প্রবণতা যদি বজায় থাকে, তা হলে ভূগর্ভস্থ জলস্তর আরও হ্রাস পাবে। দেশে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদনে জলের ব্যবহার ভিন্নতর। তবে, ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে জলের ব্যবহার কমাতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, উচ্চ হারে বিদ্যুৎ খরচে ভর্তুকি, সারে ভর্তুকি প্রভৃতির উদ্যোগ ফসলের উৎপাদনশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, কৃষিকাজ ও খাদ্য উৎপাদন ক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক মানুষ যুক্ত থাকলেও দেশে সার্বিক অগ্রগতিতে এই ক্ষেত্রটির অবদান হ্রাস পেয়েছে। তথাপি, সমীক্ষায় দেশের খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কৃষিকাজকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মাটির উর্বরশীলতা বাড়াতে জৈব চাষাবাদ এবং চিরাচরিত কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কথা সমীক্ষায় উল্লেখ রয়েছে। সমীক্ষায় পোকামাকড় নিধনে রাসায়নিকের ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়েছে এবং গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এক অভিন্ন কৃষি পদ্ধতির প্রয়োগ বাড়ানোর ওপর, যা হবে পরিবেশ-বান্ধব এবং জল সাশ্রয়ী।

 

দেশে এক নিরাপদ ও নিশ্চিত খাদ্য সংস্থানের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সবুজ বিপ্লবের আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে স্থায়ীভাবে দূষণহীন পরিবেশ-বান্ধব পদ্ধতি গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে, মহিলারা ফসল উৎপাদন, গবাদি পশু পালন, উদ্যান পালন, কৃষি জমিতে ফসল তোলা পরবর্তী বিভিন্ন কাজ, সামাজিক বনসৃজন এবং মৎস্যচাষ সহ কৃষির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে যে, কৃষিকাজে মহিলাদের অংশগ্রহণ ২০০৫-৬ – এ ১১.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৫-১৬’তে ১৩.৯ শতাংশ হয়েছে। সমীক্ষায় কৃষি সেচ ব্যবস্থায় উন্নত পদ্ধতি গ্রহণের পাশাপাশি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে সেচ-নির্ভর উৎপাদনশীলতায় বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রয়োজনীয়তার বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে কৃষি খাতে ঋণ সহায়তার সংস্থানের প্রস্তাবও সমীক্ষায় রয়েছে।

 

 

CG/BD/SB



(Release ID: 1577324) Visitor Counter : 537


Read this release in: English