অর্থমন্ত্রক

সমাজকল্যাণে তথ্যের ব্যবহার

Posted On: 04 JUL 2019 9:14PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৪ জুলাই, ২০১৯

 

 

দেশের সামাজিক ক্ষেত্র বিশেষ করে, দরিদ্রদের জন্য তথ্যের ব্যবহারে সরকারের পদক্ষেপ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করা হয়েছে অর্থনৈতিক সমীক্ষায়। এর একমাত্র কারণ বেসরকারি ক্ষেত্রগুলি মুনাফা না থাকলে তথ্য সংগ্রহে আগ্রহী হয় না। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নাগরিকদের সম্পর্কে প্রশাসনিক, প্রাতিষ্ঠানিক ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের তথ্য মজুত আছে। এইসব তথ্যকে মিলিয়ে নাগরিকদের কাজে লাগাতে পারে সরকার যা জনগণের জন্য কল্যাণ কর্মসূচি রূপায়ণে সাহায্য করবে, বহুধা বিভক্ত বাজারকে সংহত করতে, জন-পরিষেবায় দায়বদ্ধতা বাড়াবে এবং প্রশাসনে নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়াবে। তবে, জনকল্যাণে এই তথ্য সংগ্রহে গোপনীয়তার দিকটিতেও নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করা হয়েছে সমীক্ষায় এবং প্রাপ্ত তথ্যকে স্বচ্ছতার সঙ্গেই ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জনগণের দ্বারা প্রাপ্ত তথ্যকে জনগণের জন্যই ব্যবহার করতে হবে। এই ক্ষেত্রে গরিব-বড়লোক বৈষম্য করা ঠিক হবে না।

 

জনকল্যাণে তথ্য সংগ্রহ এবং সংগৃহীত তথ্যের রূপায়ণে সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে যাতে সঠিক তথ্য দেওয়া যায় বা কোন ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করা যায়। তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার আইনি পরিকাঠামোর মধ্যেই সেই তথ্যের ব্যবহার করে জনগণের কল্যাণের কাজ করতে হবে সরকারকে। সেই তথ্য ব্যবস্থাই করতে বলা হয়েছে অর্থনৈতিক সমীক্ষায়, যে তথ্য মানুষ সরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে স্বেচ্ছায় ভাগ করে নেয়। তথ্যের ক্ষেত্রে চারটি স্তর আছে – তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং তা সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেওয়া। ভারতে এই চারটি স্তরেরই উন্নতির অবকাশ আছে। তথ্যের প্রান্তিক খরচ কমেছে, সেইসঙ্গে সমাজকে দেওয়া প্রান্তিক সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে অনেকগুণ। সেজন্য তথ্যের ব্যবহার আগের থেকে বেড়েছে।

 

সমীক্ষায় বলা হয়েছে আধারের মাধ্যমে তথ্য এবং প্রযুক্তিগত বিপ্লবের সামনে ভারত। তথ্য এবং তথ্যের প্রসরণ পথ, দুটিই গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তাহলেই প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সুবিধা নিতে পারবে ভারত। একইসঙ্গে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভারতের সংবিধানকে সম্মান করে মানুষের তথ্য, মানুষের জন্য, মানুষের দ্বারা – এটাকেই মন্ত্র করতে হবে সরকারকে।

 

 

CG/AP/DM



(Release ID: 1577315) Visitor Counter : 135


Read this release in: English