অর্থমন্ত্রক
কমেছে মুদ্রাস্ফীতির হার
Posted On:
04 JUL 2019 9:13PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৪ জুলাই, ২০১৯
কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমনের পেশ করা ২০১৮-১৯-এর অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, উপভোক্তা মূল্য সূচকের ভিত্তিতে মূল মুদ্রাস্ফীতি গত পাঁচ বছর ধরেই কমছে। ২০১৯-এর এপ্রিলে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২.৯ শতাংশ, যা তার আগের বছরের ঐ একই সময়ে ৪.৬ শতাংশ। খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কমে হয়েছে ০.১ শতাংশ। পাইকারি মূল্য সূচকভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০১৭-১৮-য় এই হার ছিল ৩ শতাংশ। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এই হার দাঁড়িয়েছে ৪.৩ শতাংশে।
মুদ্রাস্ফীতির এই বর্তমান ধারা বিচার করে অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে খাদ্যদ্রব্যের দাম কমার ফলেই মুদ্রাস্ফীতির এই হ্রাস। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গড় খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি কমে হয়েছে ০.১ শতাংশ। পাইকারি মূল্য সূচকভিত্তিক খাদ্য মুদ্রাস্ফীতিও গত দুই অর্থ বছরে কমেছে।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, গ্রাম এবং শহরাঞ্চলেও কমেছে মুদ্রাস্ফীতির হার। তবে, শহরাঞ্চলের থেকে গ্রামাঞ্চলে এই হার কমেছে বেশি। তার কারণ, খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতির হ্রাস।
অনেকগুলি রাজ্যেই খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ৪ শতাংশের নিচে দাঁড়িয়েছে। দেশের গড়ের থেকেও মুদ্রাস্ফীতির হার কম এমন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা ১৬। সর্ব ভারতীয় স্তরে উপভোক্তা মূল্য সূচক মুদ্রাস্ফীতির হার কমার কারণ আবাসন, জ্বালানি এবং অন্যান্য কয়েকটি পণ্যের মূল্য হ্রাস। প্রধান মুদ্রাস্ফীতির হার কমা-বাড়ার ক্ষেত্রে পরিষেবা ক্ষেত্রের গুরুত্ব আছে বলে মনে করা হয়েছে সমীক্ষায়।
খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার অনেকগুলি ব্যবস্থা নিয়েছে। তার মধ্যে সাধারণ কয়েকটি ব্যবস্থা ছাড়াও নির্দিষ্ট কয়েকটি ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মধ্যে আছে যেমন কালোবাজারির বিরুদ্ধে অভিযান, নিয়মিত বাজার দর পর্যালোচনা এবং গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলির যোগান স্বাভাবিক রাখা। নির্দিষ্ট ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে সুলভ মূল্যে পেঁয়াজ বাজারে ছাড়া, বাফার স্টক থেকে ডাল সরবরাহ করা এবং সেনা এবং আধা-সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন মেটানো।
CG/AP/DM
(Release ID: 1577314)