অর্থমন্ত্রক
অর্থনৈতিক সমীক্ষার মুখ্য বিষয়
Posted On:
04 JUL 2019 9:05PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৪ জুলাই, ২০১৯
কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ লোকসভায় ২০১৮-১৯-এর অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ করলেন। ২০১৮-১৯-এর অর্থনৈতিক সমীক্ষার মুখ্য বিষয়গুলি হল :
দিক পরিবর্তন : আর্থিক বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, রপ্তানি এবং চাহিদার মূল চালিকাশক্তি বেসরকারি লগ্নি
· সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে যে দিকগুলি উন্মোচিত হয়েছিল এবং বিকাশের সুবিধা ও সার্বিক বৃহৎ অর্থনীতির স্থায়িত্ব পিরামিডের ভিত্তিতে পৌঁছেছে।
· ২০২৪-২৫-এর মধ্যে অর্থনীতির পরিমাণ ৫ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছে দিতে অপরিবর্তনীয় প্রকৃত জিডিপি-র বিকাশ হার ৮ শতাংশ হওয়া প্রয়োজন।
· ধারাবাহিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় জনসংখ্যার সুযোগের সাহায্যে এবং সঞ্চয়, লগ্নি ও রপ্তানির মূল্যে একটি শুভ চক্র তৈরি হয়েছে।
· বেসরকারি লগ্নি – চাহিদা, ক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা, নতুন প্রযুক্তি এবং কর্মসংস্থানের জন্য মূল চালিকাশক্তি।
· পুরনো অর্থনৈতিক ধারণা, হয় শুভ চক্র বা অশুভ চক্র যাতে কোন সাম্য কখনই আসে না, তার থেকে সমীক্ষা সরে এসেছে।
স্বনির্ভর শুভ চক্রের জন্য মূল প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি :
· জনগণের সুবিধার জন্য তথ্য প্রদান।
· আইনি সংস্কারে জোর।
· নীতি নিশ্চয়তা।
· ব্যবহারিক অর্থনীতির নীতিগুলি ব্যবহার করে ব্যবহারিক পরিবর্তনে উৎসাহ।
· অধিক কর্মসংস্থান এবং আরও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের পৃষ্ঠপোষকতা।
· মূলধনী খরচ হ্রাস।
· লগ্নির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বাণিজ্যের পরিমাণ কমানো।
মানুষের জন্যই নীতি, রোবটের জন্য নয়
· মানুষের সিদ্ধান্তের সঙ্গে অর্থনীতির মূল ধারণার তফাৎ বা পার্থক্য।
· ব্যবহারিক অর্থনীতি মানুষকে কাম্য ব্যবহারের দিকে প্রণোদিত করে।
· ব্যবহারিক অর্থনীতির মূল নীতি।
· মঙ্গলকারক সামাজিক নীতির ওপর জোর।
· নীতির পরিবর্তনশীলতা।
· পুনর্ব্যবহার।
· ব্যবহারিক অর্থনীতির মূল নীতিগুলির মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের দিশা খোঁজা।
· ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ থেকে ‘বদলাও’ (বেটি আপকি ধন লক্ষ্মী অউর বিজয় লক্ষ্মী)।
· ‘স্বচ্ছ ভারত’ থেকে ‘সুন্দর ভারত’।
· এলপিজি ভর্তুকি ছাড় থেকে ‘থিঙ্ক অ্যাবাউট দ্য সাবসিডি’।
· ‘কর এড়ানো’ থেকে ‘কর প্রদান’।
বামন থেকে দৈত্য : ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ (এমএসএমই) ক্ষেত্রের বৃদ্ধির জন্য নীতির পরিবর্তন
· সমীক্ষায় মুনাফা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ (এমএসএমই) ক্ষেত্রকে উপযুক্ত করা।
· বামন সংস্থা (১০০ কর্মীর কম যেখানে কাজ করে) ১০ বছরের বেশি পুরনো হলেও তাদের সংখ্যা উৎপাদন ক্ষেত্রে সকল সংগঠিত সংস্থার সংখ্যার ৫০ শতাংশ।
· এই বামন সংস্থাগুলির কর্মসংস্থানের ক্ষমতা মাত্র ১৪ শতাংশ, উৎপাদনশীলতা মাত্র ৮ শতাংশ।
· বৃহৎ সংস্থা (১০০ কর্মীর বেশি) কর্মসংস্থানে তার ভাগ ৭৫ শতাংশ, উৎপাদনশীলতায় প্রায় ৯০ শতাংশ যদিও তার সংখ্যা মাত্র ১৫ শতাংশ।
· এমএসএমইগুলিকে শৃঙ্খলমুক্ত করা এবং তার প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়তে সাহায্য করা।
· সব ধরনের উদ্যোগের জন্য ১০ বছরের কম ‘সানসেট ক্লজ’।
· শ্রমনীতির বিধি-নিষেধগুলি শিথিল করা যাতে আরও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় যা দেখা গেছে রাজস্থানে।
· বিপুল কর্মসংস্থান হয় এমন স্থিতিস্থাপক ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগগুলির জন্য ঋণদানের প্রক্রিয়া সহজ করা।
· সমীক্ষায় এছাড়াও নজর দেওয়া হয়েছে পর্যটন, হোটেল, কেটারিং, পরিবহণ, রিয়্যাল এস্টেট, বিনোদনের মতো পরিষেবা ক্ষেত্রগুলির ওপর কর্মসংস্থানের জন্য।
তথ্য ‘অফ দ্য পিপ্ল, বাই দ্য পিপ্ল, ফর দ্য পিপ্ল’
· তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের প্রযুক্তির উন্নতি থেকে সমাজের তথ্যের চাহিদা আরও বেশি।
· সামাজিক স্বার্থজনিত যে তথ্য তা মানুষের কাছ থেকেই আসে। তথ্যের গোপনীয়তার আইনি কাঠামোর মধ্যেই মানুষের ভালোর জন্য তথ্য প্রস্তুত করা যেতে পারে।
· দরিদ্র এবং সামাজিক ক্ষেত্র সহ মানুষের ভালোর জন্য তথ্য তৈরির করার ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিৎ।
· সরকারের হাতে থাকা বিভিন্ন তথ্য এক করে ইতিমধ্যেই বহু সুবিধা সৃষ্টি করা গেছে।
মাৎস্যন্যায়ের সমাপ্তি : নিম্ন বিচার ক্ষেত্রে ক্ষমতা কিভাবে বাড়ানো যায়
· সহজে বাণিজ্য করা এবং জিডিপি-র উচ্চ হারের ক্ষেত্রে একমাত্র বড়সড় বাধাটি হল বিতর্কিতভাবে আইনের রূপায়ণ।
· বকেয়া মামলার ৮৭.৫ শতাংশই জেলা এবং নিম্ন আদালতগুলিতে জমে আছে।
· উচ্চ আদালতে ৯৩ এবং নিম্ন আদালতে শুধুমাত্র ২,২৭৯টি শূন্যপদ পূরণ করলেই ১০০ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি সম্ভব।
· উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
· সুপ্রিম কোর্টে ১৮ শতাংশ, হাইকোর্টে ৪ শতাংশ এবং নিম্ন আদালতগুলিতে ২৫ শতাংশ উৎপাদনশীলতা বাড়লেই বকেয়া মামলাগুলির নিষ্পত্তি সম্ভব।
নীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা কিভাবে লগ্নিতে প্রভাব ফেলে ?
· বিশ্বের বড় বড় দেশগুলি বিশেষ করে, আমেরিকাতে যেখানে অর্থনৈতিক নীতি সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেখানে গত এক দশকে ভারতে ঐ অনিশ্চয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
· ভারতে লগ্নি বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করেছিল অনিশ্চয়তা।
· অর্থনৈতিক নীতি সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা কমলে লগ্নির পরিবেশ আরও ভালো হবে।
· নিম্নলিখিত বিষয়গুলির মাধ্যমে এই অনিশ্চয়তা কমানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে সমীক্ষায় :
o ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশ সহ প্রকৃত নীতির দৃঢ়তা।
o সরকারি দপ্তরগুলিতে কার্যাবলীর গুণমান বজায় রাখা।
২০৪০-এ ভারতের জনসংখ্যা : একবিংশ শতাব্দীর জন্য জনস্বার্থে পরিকল্পনা
· আগামী দু’দশকে জনসংখ্যায় বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতের বিপুল জনসংখ্যার সুবিধাগুলি যখন বেশিরভাগ রাজ্যই ভোগ করবে, সেই সময় আবার কোন কোন রাজ্যে ২০৩০-এর মধ্যে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়বে।
· ২০২১-এর মধ্যে জাতীয় মোট প্রজনন হার গড়ের থেকে কম হবে বলেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
· ২০২১-৩১-এর মধ্যে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়বে মোটামুটি বার্ষিক ৯৭ লক্ষ হারে। ২০৩১-৪১-এর মধ্যে বাড়বে বার্ষিক ৪২ লক্ষ হারে।
· আগামী দু’বছরে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী স্কুল ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা কমবে উল্লেখযোগ্যভাবে।
· নতুন স্কুল খোলার থেকে পুরনো স্কুলগুলিকে মিশিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে রাজ্যগুলির কাছে।
· নীতি নির্ধারকদের প্রস্তুত থাকতে হবে বয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে বেশি লগ্নি এবং পর্যায়ক্রমে অবসরের বয়স বাড়ানোর মাধ্যমে।
স্বস্থ ভারতের মাধ্যমে স্বচ্ছ ভারত থেকে সুন্দর ভারত : স্বচ্ছ ভারত মিশনের একটি বিশ্লেষণ
· স্বচ্ছ ভারত মিশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।
· ৯৩.১ শতাংশ পরিবারই শৌচালয়ের সুবিধা পেয়েছে।
· যারা শৌচালয়ের সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁদের ৯৬.৫ শতাংশই গ্রামীণ ভারতের।
· ৩০টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১০০ শতাংশ পরিবারেরই বাড়িতে শৌচাগার আছে।
· পরিবারের শৌচালয় থেকে আর্থিক সঞ্চয় প্রতিটি পরিবারের আর্থিক খরচের থেকে ১.৭ গুণ গড়ে বেশি এবং দরিদ্র পরিবারগুলির ক্ষেত্রে ২.৪ গুণ বেশি।
· দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে উন্নয়নের জন্য পরিবেশ এবং জল ব্যবস্থাপনার মতো বিষয়গুলিকে স্বচ্ছ ভারত মিশনের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সুলভ, আস্থাযোগ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী শক্তির মাধ্যমে সকলের জন্য উন্নয়ন সম্ভব করা
· সমীক্ষায় বলা হয়েছে এমজিএনআরইজিএস-এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য।
· এনইএফএমএস এবং ডিবিটি-র জন্য মজুরি প্রদানের বিলম্বের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
· এমজিএনআরইজিএস-এর অধীনে কাজের বরাত এবং রূপায়ণ বেড়েছে বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিতে।
· মহিলা, তপশিলি জাতি/উপজাতিদের মতো সমাজের দুর্বল শ্রেণীর শ্রমশক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে এমজিএনআরইজিএস-এর মাধ্যমে।
সকলের জন্য উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ভারতে ন্যূনতম মজুরি ব্যবস্থার পরিবর্তন
· সমীক্ষায় বলা হয়েছে শ্রমিকদের রক্ষা করতে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে সুচিন্তিত ন্যূনতম মজুরি ব্যবস্থা একটি প্রধান অস্ত্র।
· ভারতে বর্তমানে ন্যূনতম মজুরি ব্যবস্থায় রাজ্যগুলিতে বিভিন্ন ধরনের নির্দিষ্ট কাজের জন্য ১,৯১৫টি ন্যূনতম মজুরির হার চালু আছে।
· ভারতে প্রতি তিনজন মজুরের মধ্যে একজন ন্যূনতম মজুরি আইনের দ্বারা সুরক্ষিত নয়।
· মজুরি বিলের বিধির অধীনে ন্যূনতম মজুরির সরলীকরণকে সমর্থন জানানো হয়েছে সমীক্ষায়।
· সমীক্ষায় সব কর্মচারী এবং শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ করা হয়েছে।
· দেশের পাঁচটি ভৌগোলিক অঞ্চলের ভিত্তিতে ‘জাতীয় ন্যূনতম মজুরির ভিত্তি’ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে।
· রাজ্যগুলির দ্বারা নির্দিষ্ট ন্যূনতম মজুরির হার কখনই ঐ ভিত্তি হারের থেকে কম হবে না।
· ন্যূনতম মজুরি দক্ষতার ভিত্তিতে অথবা ভৌগোলিক অঞ্চল অথবা দুটির ভিত্তিতেই জানাতে হবে।
· প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সরল এবং রূপায়ণযোগ্য ন্যূনতম মজুরি ব্যবস্থার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সমীক্ষায়।
· সমীক্ষায় বলা হয়েছে, শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রককে ন্যূনতম মজুরি বিষয়ে নিয়মিত বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে।
· বিধিসম্মত ন্যূনতম মজুরি না পাওয়ার অভিযোগ জানাতে টোলফ্রি নম্বরের কথা বলা হয়েছে।
· স্বচ্ছ এবং দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কার্যকরী ন্যূনতম মজুরি নীতি ধার্য করা জরুরি।
২০১৮-১৯-এর অর্থনীতির পরিস্থিতি
· ২০১৮-১৯-এও ভারত দ্রুততম বৃদ্ধিশীল প্রধান অর্থনীতি।
· জিডিপি-র হার ২০১৭-১৮-র ৭.২ শতাংশ থেকে ২০১৮-১৯-এ ৬.৮ শতাংশ ধরা হয়েছে।
· ২০১৮-১৯-এ মুদ্রাস্ফীতি রয়েছে ৩.৪ শতাংশে।
· ২০১৮-র মার্চের শেষ নাগাদ ১১.৫ শতাংশ থেকে ২০১৮-র ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ মোট অগ্রিমের শতাংশের হিসেবে অনাদায়ী সম্পদ কমিয়ে ১০.১ শতাংশ করা হয়েছে।
· ২০১৭-১৮ থেকে লগ্নি বৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী।
· স্থায়ী লগ্নির হার ২০১৬-১৭-র ৮.৩ শতাংশ থেকে তার পরবর্তী বছরে বেড়ে হয়েছে ৯.৩ শতাংশ। ঐ হার ২০১৮-১৯-এ আরও বেড়ে হয়েছে ১০ শতাংশ।
· চলতি খাতে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে জিডিপি-র ২.১ শতাংশে।
· কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক ঘাটতি ২০১৭-১৮-য় জিডিপি-র ৩.৫ শতাংশ থেকে কমে ২০১৮-১৯-এ হয়েছে ৩.৪ শতাংশ।
· বেসরকারি লগ্নি এবং বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির ওপর ভর করে ২০১৯-২০-তে উন্নয়ন হার বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আর্থিক উন্নয়ন
· ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের শেষে আর্থিক ঘাটতি দাঁড়িয়েছে জিডিপি-র ৩.৪ শতাংশ। জিডিপি এবং ঋণের অনুপাত আনুমানিক ৪৪.৫ শতাংশ।
· জিডিপি-র শতাংশের হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারি ব্যয় ২০১৮-১৯-এ কমেছে ০.৩ পার্সেন্টেজ পয়েন্ট।
· ২০১৭-১৮-য় করবাবদ এবং কর বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ে বৃদ্ধি ঘটেছে উল্লেখযোগ্যভাবে এবং তা ২০১৮-১৯-এ বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
· শুধু কেন্দ্র নয়, রাজ্যগুলিতেও আর্থিক স্থিতাবস্থা বজায় আছে।
· ২০২০-২১ অর্থ বছরে আর্থিক ঘাটতি ৩ শতাংশ এবং ২০২৪-২৫-এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারি ঋণ দাঁড়াবে জিডিপি-র ৪০ শতাংশ।
অর্থ ব্যবস্থাপনা এবং অর্থনৈতিক মধ্যস্থতা
· অনাদায়ী সম্পদের (এনপিএ) অনুপাত কমায় এবং ঋণদানের হার বাড়ায় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।
· দেউলিয়া আইনের ফলে বকেয়া অর্থ প্রাপ্তি ঘটায় ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলের উন্নতি হয়েছে।
· ২০১৯-এর ৩১শে মার্চ পর্যন্ত ঐ আইনের মাধ্যমে ৯৪টি মামলা হয়েছে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা বকেয়া অর্থের জন্য।
· ২০১৯-এর ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২ লক্ষ ৮৪ হাজার কোটি টাকার জন্য ৬,০৭৯টি মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে।
· রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্বের অনাদায়ী সম্পদ খাতের ৫০ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে পেরেছে ব্যাঙ্কগুলি।
· এছাড়াও, বকেয়া ৫০ হাজার কোটি টাকা ফেরতের সম্ভাবনা বেড়েছে।
· সুদের হার প্রথমে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছিল যা পরে গত বছর কমানো হয়েছে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট।
· ২০১৮-র সেপ্টেম্বর থেকে নগদ যোগানের পরিস্থিতি প্রথাসিদ্ধ হওয়ায় আদায় বেড়েছে।
· মূলধনী বাজার থেকে আর্থিক প্রাপ্তির পরিমাণ কমায়, নগদ যোগান কিছু কম হয়েছে।
· ২০১৮-১৯-এ বাজারে শেয়ার ছেড়ে মূলধন তোলার পরিমাণ কমেছে ৮১ শতাংশ।
· ঋণের হার ২০১৮-র মার্চে ছিল ৩০ শতাংশ যা ২০৩০-এর মার্চে কমে হয়েছে ৯ শতাংশ।
বাজার দর এবং মুদ্রাস্ফীতি
· টানা পাঁচ বছর কমেছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি। গত দু’বছরে ঐ হার ছিল ৪ শতাংশেরও কম।
· উপভোক্তা খাদ্য মূল্য সূচকের ভিত্তিতে খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতি গত পাঁচটি অর্থ বছর ধরেই কমেছে। গত দু’বছরে যা ছিল ২ শতাংশের নিচে।
· খাদ্যপণ্য এবং জ্বালানি ছাড়া অন্যান্য পণ্যের মুদ্রাস্ফীতিও ২০১৯-এর মার্চ থেকে কমতে শুরু করেছে। যদিও, ২০১৭-১৮-র তুলনায় ২০১৮-১৯-এ তা বেড়েছিল।
· ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে উপভোক্তা মূল্য সূচকের ভিত্তিতে প্রধান মুদ্রাস্ফীতি ধরা হয়েছিল আবাসন, জ্বালানি ইত্যাদিকে নিয়ে। মুদ্রাস্ফীতি নির্ণয়ে পরিষেবা ক্ষেত্রের গুরুত্বও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
· ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের তুলনায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে গ্রামীণ উপভোক্তা মূল্য সূচকের মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। তবে, ২০১৮-১৯-এ শহরাঞ্চলে ঐ হার বেড়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে অনেক রাজ্যই উপভোক্তা মূল্য সূচক-ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের সাক্ষী থেকেছে।
দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন
· ভারতের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের সূচক রাজ্যগুলিতে ৪২ থেকে ৬৯-এর মধ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৫৭ থেকে ৬৮-র মধ্যে।
· রাজ্যগুলির মধ্যে ৬৯ পয়েন্ট করে কেরল এবং হিমাচল প্রদেশ সবার আগে।
· কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে চণ্ডীগড় ৬৮ এবং পুদুচেরি ৬৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে সবার আগে।
· এসডিজি-৬ অর্জনের লক্ষ্যে ২০১৫ থেকে ২০২০-র মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ‘নমামি গঙ্গে মিশন’ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সূচিত হয়েছে।
· এসডিজি অর্জনে উন্নয়নের পথে সম্পদের সদ্ব্যবহার করার জন্য একটি জাতীয় নীতি রূপায়ণ করা প্রয়োজন।
· সময় বেঁধে গোটা ভারতে ২০১৯-এ শুরু হয়েছিল সার্বিক এনসিএপি নিম্নলিখিত কারণের জন্য :
o বায়ু দূষণ রোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং হ্রাস
o দেশ জুড়ে বাতাসের গুণমান পরীক্ষা করার নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করা
· ২০১৮-র পোল্যান্ডের জলবায়ু বিষয়ক সঙ্কল্পের সাফল্য :
o উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য বিভিন্ন সূচনা বিন্দুর স্বীকৃতি
o উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য নমনীয়তা
o বিভিন্ন দায় এবং ক্ষমতার ভিত্তিতে নীতি নির্ধারণ
· প্যারিস চুক্তিতে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় আর্থিক বরাদ্দের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছিল।
· যদিও গোটা বিশ্ব উন্নত দেশগুলির বিভিন্ন দাবির সাক্ষী থেকেছে এই আর্থিক বরাদ্দের ব্যাপারে, তবে প্রকৃত বরাদ্দ ঐ দাবিগুলির তুলনায় অনেক কম।
· ভারতের এই নীতি রূপায়ণের মাত্রা এবং পরিমাণ নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক তহবিলের আর্থিক সাহায্য ছাড়াও বেসরকারি ক্ষেত্রের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজেটের ওপর।
বহিঃক্ষেত্র
· বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা অনুযায়ী গোটা বিশ্বের বাণিজ্য বৃদ্ধির হার ২০১৭-র ৪.৫ শতাংশ থেকে কমে ২০১৮-য় হয়েছে ৩ শতাংশ। এর কারণগুলি হল :
o নতুন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক মাশুল ব্যবস্থার প্রচলন
o আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্যিক টানাপোড়েন বৃদ্ধি
o বিশ্বের দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতি
o বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, অর্থাৎ বিশ্বের আর্থিক বাজারের দোলাচলতা
· ভারতীয় টাকার নিরিখে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু ২০১৮-১৯-এ আমদানি কমেছে।
· বিপুল প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ সত্ত্বেও ২০১৮-১৯-এর এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরে নিট মূলধন আসার পরিমাণ পুনর্নিধারণ করা হয়েছে।
· ২০১৮-র ডিসেম্বরের শেষে ভারতের ঋণের পরিমাণ ছিল ৫২,১১০ কোটি মার্কিন ডলার যা ২০১৮-র মার্চের শেষের তুলনায় ১.৬ শতাংশ কম।
· মূল ঋণের নির্দেশিকাগুলি থেকে স্পষ্ট যে ভারতের বিদেশ থেকে নেওয়া ঋণ দীর্ঘস্থায়ী নয়।
· জিডিপি এবং মোট দায়ের অনুপাত ৪৩ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৮ শতাংশ।
· প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। চলতি খাতে ঘাটতি মেটাতে এই পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়।
· ২০১৭-১৮-য় মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম ছিল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা যা ২০১৮-১৯-এ হয়েছে ডলার প্রতি ৭০ থেকে ৭৪ টাকা।
· রপ্তানির ক্ষমতা ক্রমবর্ধনশীল যেহেতু অশোধিত তেলের দাম লাগাম ছাড়া হয়নি।
· ২০১৮-১৯-এর বিনিময় মূল্য আগের বছরের তুলনায় ওঠা-নামা করেছে বেশি যেহেতু, অশোধিত তেলের দামে ওঠা-নামা হয়েছে বেশি, তবে তা খুব বেশি নয়।
· ২০১৮-১৯-এ ভারতের আমদানি এবং রপ্তানির আর্থিক মূল্য নিম্নরূপ :
o রপ্তানি (পুনঃরপ্তানি সহ) : ২৩ লক্ষ ৭ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা
o আমদানি : ৩৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা
o সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে যে পণ্যগুলি, সেগুলি হল - পেট্রোপণ্য, দামি পাথর, ওষুধের ফর্মুলা, সোনা এবং অন্য মূল্যবান ধাতু
o যেগুলি আমদানি হয়েছে বেশি, সেগুলি হল - অশোধিত তেল, মুক্ত, দামি এবং স্বল্প দামি পাথর এবং সোনা
o ভারতের প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, হংকং, আরব আমিরশাহী এবং সৌদি আরব
· ভারত বিভিন্ন দেশ এবং দেশগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৮টি দ্বিপাক্ষিক অথবা বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক চুক্তি করেছে। ২০১৮-১৯-এ –
o ভারতের মোট রপ্তানির ৩৬.৯ শতাংশ হয়েছে ঐ দেশগুলিতে যার পরিমাণ ১২,১৭০ কোটি ডলার।
o ঐ দেশগুলি থেকে আমদানির পরিমাণ ভারতের মোট আমদানির ৫২ শতাংশ, যার মূল্য ২৬,৬৯০ কোটি ডলার।
কৃষি এবং খাদ্য ব্যবস্থাপনা
· ভারতের কৃষিক্ষেত্র উন্নয়নের দিক থেকে ধরলে একইরকমভাবে চক্রাকারে বিবর্তিত হয়েছে।
· কৃষিক্ষেত্রে মোট যুক্ত মূল্যের উন্নতি ঘটেছে। ২০১৪-১৫-র ঋণাত্মক ০.২ শতাংশ থেকে ২০১৬-১৭-য় পৌঁছেছে ৬.৩ শতাংশে, কিন্তু ২০১৮-১৯-এ তা কমে দাঁড়িয়েছে ২.৯ শতাংশ।
· মোট যুক্ত মূল্যের শতাংশের হিসেবে কৃষিক্ষেত্রে মূলধন গঠন সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ২০১৭-১৮-য় ১৫.২ শতাংশে। ২০১৬-১৭-য় এই হার ছিল ১৫.৬ শতাংশ।
· সরকারি ক্ষেত্রে মোট মূলধন গঠন মোট যুক্ত মূল্যের শতাংশের হিসেবে ২০১৬-১৭-য় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭ শতাংশ যা ২০১৩-১৪-য় ছিল ২.১ শতাংশ।
· কৃষিক্ষেত্রে মহিলাদের যোগদান বেড়েছে। ২০০৫-০৬-এ এর হার ছিল ১১.৭ শতাংশ, ২০১৫-১৬-য় তা হয়েছে ১৩.৯ শতাংশ। ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষিদের ক্ষেত্রে ঐ হার সবচেয়ে বেশি, ২৮ শতাংশ।
· জমির মালিকানার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের ক্ষেত্রে।
· যতটা ভূগর্ভস্থ জল তোলা হয় তার ৮৯ শতাংশই ব্যবহার হয় সেচের কাজে। সেজন্য নজর দিতে হবে জমির উৎপাদনশীলতার থেকে সেচ জল-ভিত্তিক উৎপাদনশীলতার দিকে। জল ব্যবহারের কার্যকারিতার উন্নতির জন্য অণু-সেচে জোর দিতে হবে।
· সার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন দেখা গেছে। জৈব এবং প্রাকৃতিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার, কার্যকর জল ব্যবহার এবং মাটির উৎপাদনশীলতাও বাড়াতে সাহায্য করবে।
· ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষিদের জন্য নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকে উপযুক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাতে, কার্যকরভাবে সম্পদ ব্যবহার করা যায়।
· কৃষি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন এবং সকলের জন্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে জীবিকা নির্বাহে বৈচিত্র্য আনা জরুরি, জোর দিতে হবে :
o দুগ্ধ এবং দুগ্ধজাত প্রকল্পে কারণ, ভারতেই সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদন হয়
o পশুপালনে
o মৎস্যক্ষেত্রে, কারণ ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য উৎপাদক দেশ।
শিল্প এবং পরিকাঠামো
· মূল আটটি প্রধান শিল্পে ২০১৮-১৯-এ বৃদ্ধি ঘটেছে ৪.৩ শতাংশ হারে।
· বিশ্ব ব্যাঙ্কের ২০১৯-এর ‘ডুয়িং বিজনেস’ রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত ২০১৮-য় ১৯০টি দেশের মধ্যে ২৩ ধাপ উঠে ৭৭তম স্থানে পৌঁছেছে।
· সড়ক নির্মাণের হার ২০১৮-১৯-এ হয়েছে দৈনিক ৩০ কিলোমিটার, যা ২০১৪-১৫-য় ছিল দৈনিক ১২ কিলোমিটার।
· রেলে পণ্য ও যাত্রী চলাচল বেড়েছে যথাক্রমে ৫.৩৩ ও ০.৬৪ শতাংশ হারে।
· ২০১৮-১৯-এ ভারতে টেলি-সংযোগের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১৮ কোটি ৩৪ লক্ষে।
· বিদ্যুৎ সংযোগের পরিমাণ ছিল ২০১৮-য় ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ২ মেগাওয়াট, যা ২০১৯-এ হয়েছে ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ১০০ মেগাওয়াট।
· পরিকাঠামোয় ঘাটতি মেটাতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারী অবশ্যম্ভাবী।
· ‘সৌভাগ্য’ কর্মসূচি, পিএমএওয়াই প্রভৃতির মতো নির্দিষ্ট ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচির ওপর গুরুত্ব দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে।
· প্রাতিষ্ঠানিক কারিগরির মাধ্যমে সময় বেঁধে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে হবে।
পরিষেবা ক্ষেত্র
· ভারতের মোট মূল্যযুক্তিতে নির্মাণ শিল্প বাদে পরিষেবা ক্ষেত্রের ভাগ ৫৪.৩ শতাংশ। ২০১৮-১৯-এ জিভিএ বৃদ্ধির হার যা ছিল তার অর্ধেকের বেশি এসেছে পরিষেবা ক্ষেত্রের মাধ্যমে।
· ২০১৭-১৮-য় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বেড়েছে ৮.৪ শতাংশ যার আর্থিক মূল্য ১৬,৭০০ কোটি ডলার। ২০১৮-১৯-এ এটি ১৮,১০০ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে।
· পরিষেবা ক্ষেত্রের বৃদ্ধির হার ২০১৭-১৮-য় ৮.১ শতাংশ থেকে ২০১৮-১৯-এ আংশিক কমে ৭.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
o প্রধান উপ-ক্ষেত্র : আর্থিক পরিষেবা, রিয়েল এস্টেট এবং পেশাদারী পরিষেবা
o অ-প্রধান উপ-ক্ষেত্র : হোটেল, পরিবহণ, যোগাযোগ এবং সম্প্রচার পরিষেবা।
· ২০১৭-য় ৩৪ শতাংশ কর্মসংস্থান হয়েছে পরিষেবা ক্ষেত্র থেকে
· পর্যটন :
o ২০১৮-১৯-এ ১০৬ কোটি বিদেশি পর্যটক এসেছে ভারতে। ২০১৭-১৮-য় ঐ সংখ্যা ছিল ১০৪ কোটি।
o পর্যটন থেকে ২০১৮-১৯-এ আয় হয়েছে ২,৭৭০ কোটি ডলার। ২০১৭-১৮-য় ঐ পরিমাণ ছিল ২,৮৭০ কোটি ডলার।
সামাজিক পরিকাঠামো, কর্মসংস্থান এবং মানব উন্নয়ন
· সকলের জন্য উন্নয়ন করতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন এবং যোগাযোগের মতো সামাজিক পরিকাঠামো ক্ষেত্রে সরকারি লগ্নি জরুরি।
· কেন্দ্র এবং রাজ্য মিলিয়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি হয়েছে ২০১৮-১৯-এ জিডিপি-র ১.৫ শতাংশ। ২০১৪-১৫-য় ঐ হার ছিল ১.২ শতাংশ।
· শিক্ষাক্ষেত্রে খরচ বেড়েছে ২.৮ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ।
· স্কুলে ভর্তির অনুপাত, লিঙ্গসাম্য সূচক এবং প্রাথমিক স্কুলস্তরে শিক্ষার মানের উন্নয়নে বোঝা যায়, শিক্ষার সূচকের পরিমাণগত এবং গুণগত অগ্রগতি ঘটেছে।
· দক্ষতা বৃদ্ধিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে :
o নিবন্ধীকৃত প্রশিক্ষণ সংস্থায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে।
o সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে শিল্পগুলিকে প্রশিক্ষণ সংস্থা গঠন কাজে যুক্ত করে।
o দুরূহ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য রেল এবং আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মীদের যুক্ত করে।
o গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী যুবসম্প্রদায়ের দক্ষতার মানচিত্র তৈরি করে প্রশিক্ষকদের জন্য একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার মাধ্যমে।
· সংগঠিত ক্ষেত্রে ২০১৯-এর মার্চে কর্মসংস্থান হয়েছে ৮ লক্ষ ১৫ হাজার। ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে ঐ সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ৮৭ হাজার।
· ২০১৪ থেকে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় প্রায় ১ লক্ষ ৯০ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
· ২০১৯-এর ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সবরকম সুবিধা সহ ১ কোটি পাকা বাড়ি তৈরি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল, সেই জায়গায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রায় ১ কোটি ৫৪ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে।
· সুস্থ ভারতের জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এবং আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে সুলভে উচ্চ গুণমানসম্পন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিকল্প স্বাস্থ্য পরিষেবা হিসেবে খরচ কমাতে জাতীয় আয়ুষ মিশন চালু করা হয়েছে।
· কর্মসংস্থান বাড়াতে এমজিএনআরইজিএ-তে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাজেট বরাদ্দের থেকেও প্রকৃত খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত চার বছরে বাজেট বরাদ্দও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
CG/AP/DM
(Release ID: 1577312)
Visitor Counter : 1980